প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১০ ডিসেম্বর।। গোলাঘাটি বিধানসভার প্রমোদনগর একসময় জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চল ছিল। শ্মশানে পরিনত হয়েছিল গোটা এলাকা। ভিটেমাটি ছাড়া, স্বজন হারা হয়েছে অনেকে। জঙ্গিদের চাঁদার জুলুম সহ্য করতে হয়েছে জনজাতিদের। যখন তখন এসে মুরগী শুকর নিয়ে যেতো। কখনো রান্না করে খাওয়াতে হয়েছে। উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়। ডাবল ইঞ্জিনের সরকার সেখানকার জনজাতিদের আর্থসামাজিক বিকাশের কাজ শুরু করে। চাঁদাবাজি, দলবাজি, স্বজনপোষণ বন্ধ হয়েছে। কেন্দ্র বিরোধী মিছিল নেই। আন্দোলন নেই। সরকারি প্রকল্প পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। গত এডিসি নির্বাচনের পর প্রমোদনগরের পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠে। অবাস্তব স্বপ্ন দেখিয়ে জনজাতিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়। বিশৃঙ্খলতা কায়েম হয়। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে জনজাতিরা উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত শক্ত করতে চায়। সেখানে ঘরে ঘরে বিজেপি অভিযানে গিয়ে শ্রমজীবী খেটে-খাওয়া জনজাতিদের অব্যাক্ত ভাষা বুঝতে পারে বিজেপি কার্যকর্তারা। তাদের মনে ভীতি রয়েছে। বিজেপির কার্যকর্তাদের বুকে টেনে নেন তারা। ঘরে ঘরে বিজেপি অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন মন্ডল বিস্তারক সজল নাথ, জনজাতি মোর্চার মন্ডল সভাপতি সমীর দেববর্মা, যুব মোর্চার জেলা মুখ্যপাত্র অভিজিৎ ঘোষ, বিজেপি মন্ডল সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত দাস সহ স্থানীয় জনজাতি মোর্চার কার্যকর্তারা। যারা সোনালী স্বপ্ন দেখিয়ে এডিসি দখল করেছে তারা এলাকার উন্নয়নে উদাসীন। সহজ সরল জনজাতিদের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পকেট ভারি করার ধান্দায় মেতেছে। তাই আর নয় বিভ্রান্তি। সেখানকার জনজাতিরা চায় বিজেপিকে। চায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।
81
previous post