প্রতিনিধি কৈলাসহর- প্রায় ৪০বছর যাবত পিছিয়ে পড়া চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্র আগামী দিনে উন্নয়নের আলোকবর্তিকা নিয়ে উঠে দাঁড়াবে।সমস্ত জীর্ণতা এবং প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সবকা সাথ সবকা বিকাশের ভাবনায় এগিয়ে যাবে চন্ডিপুর।এই প্রত্যয় নিয়েই কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক আজ চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী টিংকু রায় কে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য মাঠে নেমেছেন।আজ দুপুরে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে চন্ডিপুর ইউনাইটেড ক্লাব সংলগ্ন ময়দানে আসেন নেডার চেয়ারম্যান তথা আসামের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনমন্ত্রী ফণীন্দ্রনাথ শর্মা,চন্ডীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী টিংকু রায়,জেলা বিজেপি সভাপতি পবিত্র দেবনাথ,ত্রিপুরা টি গার্ডেন সেলের কনভেনার চন্দ্রশেখর কূর্মী,বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য বিমল কর,প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি তথা সহকারী সভাধিপতি শ্যামল দাস,চন্ডিপুর মন্ডলের সভাপতি শ্যামকুমার সিনহা ও কৈলাসহর মন্ডলের সভাপতি সিদ্ধার্থ দত্ত সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি দলের প্রার্থী টিংকু রায়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন গত বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনটি অল্প ভোটের জন্য বিজেপি হেরেছিল।এইবার এই আসনে টিংকু রায় জিতবেন।তিনি বলেন ১৮ নির্বাচনের আগে তিনি যখন ত্রিপুরায় এসেছিলেন মন্দির কম ছিল লাল অফিস-ই বেশি ছিল। এয়ারপোর্ট থেকে আগরতলা শহরে ঢুকতে ২০০ মিটার পর পর একটি লাল অফিস দেখতে পেয়েছিলেন।আগে থানাতে না গিয়ে কোনো ঘটনা ঘটলে লাল অফিসে যেতে হতো।আমাদের সরকার আসার পর এখন কংগ্রেস সিপিআইএম এক সাথে হয়েছে।সাপ ও নেওল এক হয়ে গেছে।তিনি বলেন দেশে কোথাও সিপিআইএম ও কংগ্রেস নেই।এ রাজ্যেও থাকবে না।জিরো জিরো মিলে একটা বিগ জিরো হয়ে যাবে। কংগ্রেস ও সিপিআইএম মিলে দেশকে খুকলা করে দিয়েছে।এবার নতুন ত্রিপুরা গড়ে উঠেছে বিজেপির আমলে।বর্তমানে আগরতলা এয়ারপোর্ট গুয়াহাটি এয়ারপোর্ট থেকে চার গুনা বড় হয়ে গেছে।করোণা মহামারীর সময় সকলেই ভাবছিলাম কিভাবে এত মানুষ বাঁচবে।কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেককে বিনামূল্যে পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।সেই চাল বর্তমানেও দেওয়া চলছে। নরেন্দ্র মোদি আছে বলেই গরিবদের কল্যাণ হচ্ছে। আগে সিপিআইএমের মিছিলে না গেলে কিছু পাওয়া যেত না।আগে কর্মচারীদের সিপিআইএমকে চাঁদা দিতে হতো,আজ চাঁদা দেওয়ার দরকার হচ্ছেনা।শেষ ৫বছরে ত্রিপুরায় ট্রান্সফরমেশন হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশে কত বড় বড় কাজ করেছে। এখন ইন্ডিয়া গেটে ইংরেজদের রাজার মূর্তি নেই বর্তমানে সেখানে নেতাজির মূর্তি বসানো হয়েছে।তিপ্রা মথার সাথে আমাদের কথা হয়েছে।তাদের দাবি আলাদা ত্রিপুরা করতে হবে।আমরা না করে দিয়েছি,আমরা সব করব,জনজাতিদের উন্নয়ন করব কিন্তু তোমার দাদুরা যে ত্রিপুরা বানিয়েছে,আমরা তা নষ্ট করতে পারবনা।কংগ্রেস দল বিরসা মুন্ডা,নেতাজিকে সম্মান করেনি।এই কেন্দ্রের যিনি মন্ত্রী ছিলেন তপন চক্রবর্তী তিনি ১০৩২৩ শিক্ষকের জীবন শেষ করে দিয়েছেন।এইজন্য তিনি এইবার দাঁড়াননি।নতুন লোককে দাঁড় করিয়েছেন। কোন লাভ হবে না।এই কেন্দ্রে টিংকু রায় জয়ী হবেন।
117