কমিউনিস্টরা হচ্ছে ক্রিমিনাল আর কংগ্রেস দল হচ্ছে দুর্নীতিবাজের দল। ভারতবর্ষ থেকে বিলুপ্ত হয়েছে কমিউনিস্টরা একমাত্র ত্রিপুরায় অল্প সংখ্যক, তারাও মুছে যাবে। কংগ্রেসের অস্তিত্ব বিলুপ্তের পথে। মঙ্গলবার খোয়াই বিমানবন্দর ময়দানে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি আইপিএফটি জোটের মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থনে আয়োজিত সমাবেশে এভাবেই বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ । সমাবেশে প্রধান বক্তার ভাষণে অমিত সাহ বলেন, ত্রিপুরা অগ্রগতি ও বিকাশের পথে এগোচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরে ত্রিপুরা নর্থ ইস্ট জোনের মধ্যে এক সমৃদ্ধশালী প্রদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।২০১৮ সালে মোদীজির নেতৃত্বে ত্রিপুরায় ভাজপা সরকার গঠন হয়েছে। ২০১৮ সালে চলো পাল্টাই আমরা স্লোগান তুলেছিলাম, ত্রিপুরার জনগণ তা মেনে নিয়ে সরকার পরিবর্তন করেছে। রাজ্যে বাজপা সরকার গঠন হয়েছে। চলো পাল্টাই আমরা সরকার পরিবর্তনের জন্য বলেনি কিংবা মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তনের জন্য বলিনি। আমরা চেয়েছি রাজ্যে যে হিংসার রাজনীতি চলছে সেই পরিস্থিতি থেকে ত্রিপুরাবাসীকে মুক্ত করার জন্য। কমিউনিস্টদের আমলে রাজ্যে চারদিকে খুন ,সন্ত্রাস ধর্ষণের মত ঘটনা প্রতিদিন গঠত। কিন্তু ভাজপার পাঁচ বছরের শাসনকালে অপরাধ 30 শতাংশ কমে এসেছে। মোদীজির নেতৃত্বে সমগ্র দেশ বিকাশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব দরবারে মোদিজীর সম্মান বেড়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মোদীজি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, পাকিস্তান এই দেশে সন্ত্রাসীদের প্রেরণ করতো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এর মাধ্যমে মোদীজি এর মাধ্যমে যোগ্য জবাব দিয়েছে। ৯০০০ উগ্রবাদী ইতিমধ্যে আত্মসমর্পণ করেছে। বিশ্ববাসী মোদিজীর ভাষণ শোনার জন্য অধীর আগ্রহে থাকেন। জনজাতি এবং আদিবাসীদের একমাত্র কল্যাণ সম্ভব মোদিজীর শাসনকালে।ত্রিপুরাকে এক সমৃদ্ধশালী প্রদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে তার জন্য আরো পাঁচ বছর সময় প্রয়োজন। পাঁচ বছরে ত্রিপুরা নর্থইস্ট এর মধ্যে এক সমৃদ্ধশালী প্রদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন অমিত সাহ। তিনি বলেন ত্রিপুরা সরকার আয় এর বিভিন্ন উৎস তৈরি করেছে। রাজ্যে কৃষকদের আয় বেড়েছে। দেশের পাশাপাশি ত্রিপুরা ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে। তার জন্য আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি আইপিএফটি জুটের মনোনীত প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি। সমাবেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা, রাজ্যের নির্বাচনী ইনচার্জ মহেশ শর্মা, সাংসদ রেবতি ত্রিপুরা, বিজেপি খোয়াই জেলা নির্বাচনী ইনচার্জ সমীর কুমার দাস, বিধায়িকা কল্যাণী রায়, বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী, প্রশান্ত দেববর্মা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
111