অমরপুরে কংগ্রেসের মরা গাঙ্গে জুয়ার উঠাতে নিজেদের জীবন বাজি রেখে কংগ্রেস নেতা হারাধন দাসের নেতৃত্বে বেশ কিছু যুবক অমরপুর শহর চষে বেড়াচ্ছে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত। 2018 বিধানসভা নির্বাচনের পর অমরপুরে প্রায় সাইনবোর্ড সর্বস্ব হয়ে গিয়েছিলো কংগ্রেস দল। কিন্তু 2023 সালের বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই বেশ কিছু উঠতি বয়সের তরুণ যুবক অমরপুরে কংগ্রেস দলকে পুনরায় নতুন করে সাজিয়ে তুলছেন। এক সময় অমরপুর ছিলো কংগ্রেসের ঘর। অমরপুরে কংগ্রেস থেকে বিধানসভা ভোটে জিতে মন্ত্রী ও হয়েছেন এক সময়। তবে 2018 নির্বাচনে পরিবর্তনের আশায় কংগ্রেসের পুরো ভোটটাই চলে গিয়েছিলো বিজেপিতে। পরিবর্তন ও আসে, তবে পরিবর্তন হলেও দীর্ঘদিনের বাম বিরোধী কর্মীরা সেই লাঞ্ছিত বঞ্চিতই রয়ে গেল বিজেপি দলে। কিন্তু এখন আবার পুনরায় বিজেপি থেকে মুখ ঘুরিয়ে কংগ্রেস মুখি হয়ে আছে বহু কর্মী। ইতিমধ্যেই অমরপুরে বিশাল সংখ্যায় বিজেপি কর্মী কংগ্রেসের খাতায় নাম লিখিয়েছে। আরো প্রচুর সংখ্যায় কর্মীদের কংগ্রেসে যোগদান সময়ের অপেক্ষা বলে খবর। এদিকে অমরপুরে কংগ্রেস দলকে ধীরে ধীরে শক্তপুক্ত করে তুলতে মরিয়া বেশ সক্রিয় কিছু কর্মী। সোমবার অমরপুর ব্লক যুব কংগ্রেসের উদ্দ্যোগে অমরপুর মোটরস্ট্যান্ড এলাকায় এক পথসভার আয়োজন করা হয়। পথসভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা হারাধন দাস, প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার কনভেনর সুমন ইসলাম, যুব নেতা বিট্টু দাস, সায়ন দাশ গুপ্ত সহ অন্যান্যরা। এইদিনের এই সভা থেকে রাজ্যের শাষক দলকে তীব্র ভাষায় আক্রমন করেন নেতৃত্বরা। তাদের বক্তব্য রাজ্যে সুশাসন নয় চলছে কুশাসন। এদিন আলোচনা প্রসঙ্গে উঠে আসে অমরপুরের বিজেপি বিধায়ক তথা এস সি কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রঞ্জিত দাস দ্বারা তিপ্রা মথা সুপ্রিম প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ। অমরপুরের বিধায়ক যেভাবে প্রদ্যুৎ কিশোরকে রাজ পরিবারের কলঙ্কিত সন্তান বলে অবহিত করেছেন তা নিয়েও এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করেন যুব কংগ্রেস নেতৃত্বরা । তবে সব মিলিয়ে এদিন অমরপুর শহরের বুকে যেভাবে যুব কংগ্রেসের রনংদেহি রূপে শাসক কে প্রতিহত করার হুংকার তথা পথসভা ছিল তা ২৩ এর বিধানসভার আগে শাসক দল বিজেপিকে যে চিন্তায় ফেলবে তা একপ্রকার হলপ করে বলা যায়।
122
previous post