Home » শিক্ষক-স্বল্পতায় হাবুডুবু খাচ্ছে রাজনগর উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

শিক্ষক-স্বল্পতায় হাবুডুবু খাচ্ছে রাজনগর উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

by admin

ধর্মনগর প্রতিনিধি।
রাজ্যে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির হাত প্রসারিত করে রাজ্য সরকার একের পর এক বিদ্যালয়কে উন্নত থেকে উন্নততর করার প্রচেষ্টা হাতে নিয়ে কাজ করে চলেছে। তার জন্য বিভিন্ন বিদ্যালয়ে নতুন নতুন দোতলা দালান বাড়ির উদ্বোধন হচ্ছে। কিন্তু পরিকাঠামোর দিক দিয়ে উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়ে। বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীদের এবং ক্লাসের তুলনায় যে পরিমাণ শিক্ষক থাকার কথা তা নেই। ফলে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষাদানের প্রকৃত চেষ্টা। জয়নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিকে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা চারমাস আগে উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু যে পরিমাণ শিক্ষক ন্যূনতম দরকার সেই পরিমাণ শিক্ষক এখনো এই বিদ্যালয়ে নেই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ দেববর্মা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কেমন করে এই স্বল্প শিক্ষক দিয়েই প্রত্যেককে ন্যূনতম শিক্ষাদান করা যায়। বিদ্যালয়টিতে ষষ্ঠ থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা রয়েছে ৩৪৭ জন তার মধ্যে নতুনভাবে শুরু হওয়া একাদশ শ্রেণীতে রয়েছে 22 জন। একাদশ শ্রেণীতে ইংরেজি বাংলা রাষ্ট্রবিজ্ঞান ইতিহাস এবং শিক্ষাবিজ্ঞান বিষয়গুলি থাকলেও তাদেরকে পড়ানোর জন্য রয়েছেন মাত্র দুইজন শিক্ষক একজন ইংরেজির এবং একজন বাংলার। বাকি বিষয়গুলি বিষয় শিক্ষক ছাড়াই অন্যান্য শিক্ষকদেরকে দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। তবে নিদারুণ অবস্থা রয়েছে এই বিদ্যালয়ের প্রাইমারি স্তরে। এই স্তরে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ১২৫ জন ছাত্রছাত্রী থাকলেও শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র দুইজন। অর্থাৎ প্রতি শিক্ষক একসাথে দুটি ক্লাস করলেও সব সময়ই কোন একটি ক্লাস শিক্ষক ছাড়া ছাত্ররা বসে গল্প-স্বল্প করে কাটায়। দুপুরের স্তরে 14 জন শিক্ষক এবং একজন প্রধান শিক্ষক থাকলেও প্রাইমারি স্তরে মাত্র দুই জন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন পাঠন প্রক্রিয়া চলছে। শুধুমাত্র সুদৃশ্য দালান বাড়ি থাকলেই চলেনা তার জন্য দরকার প্রকৃত পরিকাঠামো যা সাহায্যে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী সমানভাবে উপকৃত হতে পারে। এলাকার অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহার কাছে আবেদন রাখছে কিছু সংখ্যক নতুন শিক্ষক প্রদান করে বিদ্যালয়েটির পরিকাঠামোকে সঠিক করার জন্য। অনেকেই এই বিদ্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আসার কারণে অনেক বড় বড় প্রত্যাশা নিয়ে বসে রয়েছে হয়তোবা তাদের গ্রামে ভালো ভালো শিক্ষক-শিক্ষিকা আসবেন এবং তাদেরকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবেন। তার জন্য শহরে কষ্ট করে টাকা পয়সা খরচ করে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণের কোনো প্রয়োজন হবে না এই ভেবে বসে আছে এলাকাবাসীরা।

You may also like

Leave a Comment