প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ৫ সেপ্টেম্বর:- স্বামীর অত্যাচারে আত্মহত্যা এক গৃহবধূ। ঘটনা সোমবার রাত আনুমানিক ৮টায় গন্ডাছড়া ষাট কার্ড এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায় গন্ডাছড়া ষাট কার্ড এলাকার বাসিন্দা স্বপন দাসের স্ত্রী রীতা দাস তার সাত বছরের ছেলেকে পড়ায় বসিয়ে রান্না ঘরে রান্না করতে যায়। স্বামী তখন বাথরুমে স্নান করছিল। এমন সময় রান্না ঘরে ফাঁসিতে ঝুলে পড়েন রীতা দাস নামের ২৬ বছরের এই গৃহবধূ। ঘটনার পরপরই বাড়ির লোকজনেরা গন্ডাছড়া থানায় খবর দেয়। পুলিশ ছুটে এসে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে গৃহবধূর অমরপুরস্হিত বাপের বাড়িতে খবর দেয়। রাত ১২টা নাগাদ বাপের বাড়ির লোকজনেরা ছুটে আসলে পুলিশ গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ নামিয়ে গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের শেষে মরদেহ পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে গৃহবধুর বাবা সুনীল দাসের অভিযোগ মেয়ের জামাই স্বপন দাস প্রতিদিন রাতে মদ্যপান করে তার মেয়ের উপর অমানবিক নির্যাতন চালাত। স্বামীর নির্যাতনে প্রায় সময় সে অসুস্থ হয়ে পড়ত। এ নিয়ে স্বপনের বাড়িতে বেশ কয়েকবার সালিশি সভা পর্যন্ত হয়। তারপরও স্বপন শুধরাইনি উল্টো দিনদিন নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে তুলে। অনিল দাসের আরো অভিযোগ তার মেয়েকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়। কারন পা দুটো যেভাবে মাটিতে লেগে আছে তাতে পরিস্কার বুঝা যায় তার মেয়ে নিজে আত্মহত্যা করিনি তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে স্বপন সহ তার পরিবারের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। এদিকে গৃহবধূর বাপের বাড়ি পক্ষ থেকে স্বপন দাসের বিরোদ্ধে মঙ্গলবার বিকেলে গন্ডাছড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। গন্ডাছড়া থানার পুলিশ মামলা হাতে নিয়ে ঘটনার তদন্তে নামে। উল্লেখ্য আজ থেকে আট বছর আগে গন্ডাছড়া ষাট কার্ড হাসপাতাল চৌমুহনী এলাকার বাসিন্দা গৌরচান দাসের ছোট ছেলে স্বপন দাসের সঙ্গে অমরপুর বামপুর এলাকার বাসিন্দা অনিল দাসের মেয়ে রিতা দাসের সামাজিক রীতিনীতি মেনে বিয়ে হয়। আট বছরের বিবাহিত জীবনে তাদের একটি সাত বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। রিতা দাসের এহেন মৃত্যুর ঘটনায় ৬০ কার্ড এবং বামপুর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্বামীর অত্যাচারে গৃহবধূর আত্মহত্যা, পাষণ্ড স্বামীর বিরুদ্ধে গন্ডাছড়া থানায় মামলা
by admin
written by admin
106
previous post