
ভারতের নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আজ ৫ই জানুয়ারী খোয়াই মহকুমার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করল ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার তথা মহকুমা শাসক বিজয় সিনহা। ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার বলেন খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় খোয়াই মহকুমার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিল১২২০৪৮ জন। বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১২৪২৫৫জন। মোট বেড়েছে ২২০৭জন। এর মধ্যে ভোটার বেড়েছে ২৪ রামচন্দ্র ঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে ৬৭৯জন। ২৫ খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্রে ৬২৪জন।২৬ আশারাম বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে ৯০৪জন। ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার আরো জানান নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে যেসব কেন্দ্রে বিগত বিধানসভা নির্বাচনে শতকরা ৮৮ শতাংশের নিচে ভোট ছিল সেইসব কেন্দ্র চিহ্নিত করে প্রচার অভিযান চালানো হবে। যাতে ভোট পার্সেন্টিস আরো বেড়ে যায়। সেই ভোট কেন্দ্র গুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রগুলি হল ২৪ রামচন্দ্র ঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে নয়টি ।২৫ খোয়াই কেন্দ্রে একটি এবং আশারাম বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে দশটি। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নিরাপত্তার কোন ঘাটতি থাকবে না ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী তিন কোম্পানি এসে গেছে । আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরো দুই কোম্পানি আসবে। এবং নির্বাচনের আগে আরো পাঁচ থেকে ছয় কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে। প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রে চার থেকে পাঁচ কোম্পানি নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে। আজ বিকাল চারটায় ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার তথা মহকুমা শাসক তাঁর কার্যালয়ে সর্বদলীয় সভা আহ্বান করেছিলেন। সেই সভায় সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরকেও উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই সুবাদে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের প্রশ্ন ছিল মহকুমা শাসকের কাছে। যে কোন নির্বাচনের সময় নির্বাচনের দিন অন্ধ ভোটারের সংখ্যা বেড়ে যায়। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটার তালিকা তৈরি হয়েছে, এবার অন্ধ ভোটারের সংখ্যা কত। উত্তরে মহকুমা শাসক জানান খোয়াই মহকুমার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ৭১৬ জন অন্ধ ভোটার আছেন। এর মধ্যে ২৪ রামচন্দ্র ঘাট কেন্দ্রে ২১২জন। ২৫ খোয়াই কেন্দ্রে ৩০০জন। এবং ২৬ আশারামারি কেন্দ্রে ২০৪জন। রাজনৈতিক দলের প্রতিটি দের কে জানিয়ে দেওয়া হয় নির্বাচন ঘোষণার পর কোন নির্বাচনী প্রচারের জন্য অনুমতি নিতে হলে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও আলোচনা করা হবে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সাথে। সবশেষে মহকুমা শাসক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির কাছ থেকে মতামত জানতে চান সেই মতামত জানাকে কেন্দ্র করে শাসক দল বি জে পি এবং বিরোধী দল সি পি আই(এম) এই দুই প্রতিনিধির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বদলীয় সভা হঠাৎ করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যদিও সেই উত্তপ্ত বেশি দূর পর্যন্ত এগিয়ে যেতে পারেনি ।