প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ৪ মে:- শনিবার সাতসকালে গোপন খবরের ভিত্তিতে গন্ডাছড়া থানার পুলিশ ৪ শিশুসহ ১১ জন বাংলাদেশী আটক করে। পরবর্তী সময় তাদের থানায় নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে গত এক বছর আগে কাজের সন্ধানে তারা বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের ভারত বাংলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। পরে সেখান থেকে কাজের সন্ধানে ব্যাঙ্গালোরের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। সেখানে এক বছর থাকার পর আবার বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যাঙ্গালোর থেকে গত ৩০ এপ্রিল ট্রেনে করে কলকাতায় রওনা দেয়। এরপর ২রা মে তারা শিয়ালদা থেকে ট্রেনে করে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরদিন রাত আনুমানিক এগারোটা নাগাদ আমবাসা স্টেশনে আসলে তারা সবাই ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। পরে এক দালালের মাধ্যমে তাদের দুটি অটো গাড়ি করে গভীর রাতে গন্ডাছড়ায় নিয়ে আসা হয়। গন্ডাছড়া মাছ কুম্ভীর পাড়ায় একটি পরিত্যক্ত ঘরে তারা রাত্রি যাপন করেন। শনিবার সকালে গন্ডাছড়া মহকুমা এলাকার কোন এক ভারত বাংলা সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। এরেই পাঁকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কর্মীরা বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে তাদের আটক করে। থানার বড়বাবু পলাশ দত্ত জানান তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশী ১৫২২ টাকা, বাংলাদেশ সরকারের করোনা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট, শিয়ালদা টু আমবাসা রেল টিকেট উদ্ধার করা হয়। শনিবার বিকেলেই তাদের গন্ডাছড়া এসডিজিএম কোর্টে তোলা হয়। সাতসকালে গন্ডাছড়া শহর এলাকা থেকে বাংলাদেশি আটক এর ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ধৃতরা হলেন- মোঃ মামুন সরদার (২৯) রুমা বেগম (২৫) এমডি পবিন সরদার (৩৫) এমডি চান মিয়া আকন (৩৫) এমডি ফায়সাল আকন (১৩) লামিয়া আক্তার (৫) এমডি মহারাজ শেখ (২৫) রাজীব হোল্ডার (২২) আফসানা আক্তার(২২) এমডি রুহান ইসলাম (৩) এমডি ফেরলাস শেখ (৩০) তাদের সবার বাড়ি বাংলাদেশের বগারহাট জেলায়।
99
next post