প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৮ নভেম্বর।। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সিপাহীজলা (উত্তর) এবং (দক্ষিণ) এর কার্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করলেন বিজেপির নির্বাচনী প্রভারী ডঃ মহেন্দ্র সিং। সিপাহীজলা উত্তরে পাঁচটি বিধানসভা এবং দক্ষিণে চারটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। সবগুলি আসনে বিজেপির জয় সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে দলের কার্যকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পাঠ দিলেন নির্বাচনী প্রভারী। এদিন সিপাহীজলা (উত্তর) জেলার সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বিশ্রামগঞ্জের সুর সম্রাট শচীন দেববর্মন কলা কেন্দ্রে। সেখানে বিজেপির নির্বাচনী প্রভারী ডক্টর মহেন্দ্র সিংহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, বিজেপির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত, প্রদেশ সম্পাদিকা তথা জেলা প্রভারী মৌসুমী দাস, সিপাহীজলা (উত্তর) জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিশালগড় পুর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ। বৈঠকে কার্যকর্তাদের মধ্যে ছিলেন জেলা কমিটির সকল সদস্য, জেলা মোর্চার সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, মন্ডল কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ এবং নগর পঞ্চায়েত সদস্য পুর পরিষদের কাউন্সিলর, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান প্রমূখ। বিজেপির নির্বাচনী প্রভারী ডঃ মহেন্দ্র সিংহ কার্যকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন বিগত পাঁচ বছরে ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপি সরকার কি কাজ করেছে তা সারা দেশবাসী অনুভব করতে পারছে। আজ সারা দেশের মানুষ ত্রিপুরায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে থাকেন। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পরিবেশ মানুষকে আকর্ষণ করে। পর্যটন শিল্পের দারুন বিকাশ হয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো একসময় ত্রিপুরায় আসতে ভিন রাজ্যের নাগরিকরা ভয় পেতেন। কারণ এখানে ছিল সন্ত্রাসবাদ। আজ শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। মানুষের প্রগতি হচ্ছে। সরকার এবং কার্যকর্তারা কাজ করেছে বলেই এখন মানুষের ঘরে ঘরে যাওয়ার সাহস করছে। ঘর ঘর বিজেপি অভিযান সফল করতে সকল কার্যকর্তা ঝাঁপিয়ে পড়েছে। অতীতে কখনো কোন রাজনৈতিক দল রিপোর্ট কার্ড নিয়ে মানুষের দরবারে যায়নি। কারণ তারা মানুষের জন্য কাজ করেনি। এছাড়া সিপাহীজলা (দক্ষিণ) জেলার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সোনামুড়ায়। সেখানে নির্বাচনে প্রভারী ডঃ মহেন্দ্র সিং ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, বিধায়ক সুভাষচন্দ্র দাস, বিজেপির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মন, রাজ্যের হজ কমিটির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, জেলা সভাপতি দেবব্রত ভট্টাচার্য প্রমুখ। ডঃ মহেন্দ্র সিং বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজী এ রাজ্যের সকল মানুষের কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন। করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে আপনারা মানুষের পাশে ছিলেন। তাই আগামী দিনেও এই দুই মাস আপনারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে পুনরায় বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা করুন। রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে একমাত্র বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
রাজনীতি
উদয়পুর প্রতিনিধি
প্রতিদিন রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভোটাররা যোগ দিচ্ছে শাসক দলে । এই ধরনের যোগদান সভা প্রতিদিন সংঘটিত করে যাচ্ছে শাসকদল বিজেপি । রাজারবাগ এলাকায় ৩৯ নং বুথে ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্যোগে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয় । যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন, কৃষিমন্ত্রী ও পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় , ৩১ আরকেপুর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস, ওয়ার্ড কাউন্সিলর থেকে শুরু করে যুব মোর্চার নেতৃত্বরা । যোগদান সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষি মন্ত্রী বলেন , ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শাসক দল বসে নেই । রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে রিপোর্ট কার্ড ঘরে ঘরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । সেই উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই শাসক দল প্রচারে বর্তমানে এগিয়ে রয়েছে । আজকের দিনে দাড়িয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল ত্যাগ করে ভোটাররা উন্নয়নের পথে সামিল হচ্ছে প্রতিদিন। তাই আজ রাজারবাগ এলাকায় ৪৬ টি পরিবারের ১৫৯ জন ভোটার ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করে। তাদেরকে দলে বরণ করে নেন রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় । এদিনের যোগদান সভাকে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মীদের উপস্থিতি ছিল রাজারবাগ এলাকায় সাড়া জাগানো
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
ঘরে ঘরে বিজেপি এই স্লোগানকে সামনে রেখে রবিবার বিকেল চারটায় আর কি পুর মন্ডলের উদ্যোগে রাজারবাগ দলীয় অফিসের সামনে এক জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ভারতীয় জনতা পার্টির । এই জনসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন , রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার ও ৩১ আর কে পুর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস সহ আরো অনেকে । এই দিনের জনসমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি নেত্রী পাপিয়া দত্ত তীব্র আক্রমণ শানান বামেদের । তিনি বলেন , বামেদের দীর্ঘ ২৫ বছরের শাসনে বহু মায়ের বুক খালি করা হয়েছে । মুছে ফেলা হয়েছে বহু নারীর সিঁথির সিঁদুর । আগরতলার মেলার মাঠে বামেদের দলীয় অফিস থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন দলীয় অফিসে যদি টোকা দেওয়া হয় তাহলে প্রতিটি দেয়ালের ইট থেকে বহু মায়ের রোধন বের হবে বলে তিনি ভাষনে উল্লেখ করেন । বর্তমান সময় দেখা যাচ্ছে বামেরা রাজপথে নেমে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মুখর হচ্ছেন । কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকার কাজের নিরিখে রিপোর্ট কার্ড তৈরি করে প্রতিটি মানুষের দ্বারে যাচ্ছে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে । কিন্তু বামেরা রাজ্যকে আবারও ধ্বংস করার জন্য ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে আগরতলা পোস্ট অফিস চৌহমুনির কোন এক দলীয় অফিসের সাথে যোগ সাজসের মাধ্যমে । কিন্তু ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের জনগণ আবারও বিজেপিকে ক্ষমতায় আনবে বলে তিনি উল্লেখ করেন । এদিন জনসমাবেশ শেষে রাজারবাগ থেকে বড় মাত্রায় মহিলা মোর্চার কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে একই মিছিল বের হয় ভারতীয় জনতা পার্টির । মিছিলটি রমেশ চৌহমুনি ও বিদ্যাসাগর রোড হয়ে জগন্নাথ চৌমুনী তে এসে আরেকটি জনসভায় যোগ দেয় । প্রতিটি জনসভায় বিজেপির নেত্রী পাপিয়া দত্ত ও রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়ের ভাষণ শুনার জন্য দলীয় কর্মী ও বাজার এলাকায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিলো সারা জাগানো ।
কাঁকড়া বন ৩৩ শালগড়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তরর্গত ঘরে ঘরে বিজেপি কর্মসূচিকে সামনে রেখে এবং ২০২৩ ভোট নির্বাচনকে সামনে রেখে কাকড়াবন বুকে বিশাল জনসমাবেশ অভিষেক দেবরায় নেতৃত্বে বিশাল জনসভা করা হয় ” রবিবার বিকেলে ” কাকরা বন বাজার স্থীত ভারতীয় জনতা পার্টি অফিসের সামনে থেকে শত শত বিজেপির কর্মী দের নিয়ে মিছিল করা হয় ” মিছিল টি কাকড়াবন বাজার পরিক্রমা করে ” কাকরাবন হসপিটাল চৌমুনীতে গিয়ে মিছিলটি অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ” অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি নবদল বণিক ” কাকড়াবন ৩৩ শালগড়া বিধানসভা কেন্দ্রের মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ সরকার ” বিজেপির ডিস্ট্রিক্ট সহ-সভাপতি জিতেন মজুমদার ” ভারতীয় জনতা পার্টির এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক বাবুল দেব । ওবিসি মোর্চার প্রদেশ সভাপতি সমির ঘোষ ” সহ আর অনেকে কাকরা বোনের বুকে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিশাল জনসভা কারা হর । বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডিসট্রিক সভাপতি অভিষেক দেবরায় বলেন
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি := ভারত জোড় কংগ্রেস দলের কর্মসূচির সর্বভারতীয় অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবে ত্রিপুরা রাজ্যে ওই অনুষ্ঠান চলছে।এর সুবাদে তেলিয়ামুড়া মহকুমা জুড়ে কংগ্রেস কর্মীরা পদযাত্রা শুরু করেছিল। রবিবার এই পদযাত্রার ছিল অন্তিম দিন। এদিনের কংগ্রেস কর্মীদের পদযাত্রা শুরু হয় তেলিয়ামুড়া কংগ্রেস ভবন থেকে। এই পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস দলের প্রাক্তন বিধায়ক অশোক কুমার বৈদ,, কংগ্রেস নেতা কার্তিক দেবনাথ সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। পরে এই পদ যাত্রা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে কংগ্রেস ভবনের সামনে এসেই শেষ হয়। পরে প্রাক্তন বিধায়ক অশোক কুমার বৈদ্য বলেন, দেশের ঐক্য, এবং এ রাজ্যের গণতন্ত্র রক্ষা করতে পারে কংগ্রেস দল। তাই কংগ্রেস দলের যুব আইকন রাহুল গান্ধী গোটা দেশজুড়ে পদযাত্রার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই আহব্বানে সাড়া দিয়ে কংগ্রেস কর্মীরা পদযাত্রায় শামিল হয়েছিল। রবিবার ছিল সেই পদ যাত্রার নবম দিন অর্থাৎ অন্তিম দিন।
বিগত বামফ্রন্ট শাসন ব্যাবস্থায় গোটা রাজ্যের রেশনিং ব্যাবস্থা, পানীয় জলের ব্যাবস্থা, রাস্তাঘাটের ব্যাবস্থা দুর্বল ছিল।
বিগত বামফ্রন্ট শাসন ব্যাবস্থায় গোটা রাজ্যের রেশনিং ব্যাবস্থা, পানীয় জলের ব্যাবস্থা, রাস্তাঘাটের ব্যাবস্থা দুর্বল ছিল। বর্তমান বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর গ্রাম পাহাড়ের গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা গুলি উন্নত হয়েছে। এমনটাই বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি কৃষ্ণপুর মন্ডলের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেন।
ঘর ঘর বিজেপি স্লোগান কে সামনে রেখে রাজ্য ব্যাপি বিজেপি দলের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। রবিবার কৃষ্ণপুর মন্ডলের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচীতে উপিস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক । রবিবার চাকমাঘাট বাজারে অনুষ্ঠিত হয় এই অনুষ্ঠান। রবিবার প্রথমেই দেশের প্রধানমন্ত্রী র মন কি বাত অনুষ্ঠান কেন্দ্রীয় ভাবে প্রদর্শন হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক,২৯ কৃষ্ণপুর বিধান সভার বিধায়ক ডঃ অতুল দেববর্মা, মন্ডলের অন্যান্য নেতৃত্ব সহ কার্যকর্তারা। মন কি বাত অনুষ্ঠান শেষে চাকমাঘাট বাজারে অনুষ্ঠিত হয় এক জন সভা। উক্ত জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, বিধায়ক অতুল দেববর্মা, মন্ডল সভাপতি সহ অন্যান্যরা। বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। রাজ্য সরকারের সচ্চ নিয়োগ নীতি, মহিলাদের আত্মনির্ভরশীল সহ নানাবিধ কাজের উল্লেখ করেন। এছাড়াও ২৫ বছরের বাম শাসনের সময়ে ত্রিপুরার অপশাসন কে তুলে ধরে একপ্রকার তুলুধুনো করে ছারেন বিগত আমলের সি পি আই এম সরকার কে। তিনি তার বক্তব্য আরো বলেন, বর্তমান সরকারের প্রশাসনিক ব্যাবস্থায় রেশনিং ব্যাবস্থা থেকে শুরু করে অন্যান্য সরকারি যেমন পানীয় জল,বার্ধক্য ভাতা, রাস্তাঘাট, প্রধানমন্ত্রী আবাসন যোজনায় পাকা ঘর সহ আরো নানা প্রকল্পের মাধ্যমে সুযোগ-সুবিধা থেকে পাহাড়ি জনপদ গুলিতে। স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের দেড় বছর তিপ্রা মথা দল ক্ষমতাশীল হওয়ার পর পাহাড়ি জনপদ গুলি সাধারণ মানুষ জনদের উন্নয়ন হয়নি উন্নয়ন হয়েছে স্ব শাসিত জেলা পরিষদের নেতৃত্বদের। তিনি তার বক্তব্য আরো বলেন বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে খুন শ্লীলতা হানি সহ নানা অপরাধ ছিল বেশি। বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর তা তুলনামূল কমেছে। জনসভা শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, বিধায়ক এবং মন্ডল সভাপতি সহ এবং একটি রেলি অনুষ্ঠিত হয় চাকমা ঘাট এলাকায়।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৬ নভেম্বর।।
আজ থেকে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সিপাহীজলা (উত্তর) জেলায় শুরু হচ্ছে “ঘর ঘর বিজেপি” এবং বুথ বিজয় অভিযান। শনিবার বিজেপির জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক। তিনি জানান সিপাহীজলা (উত্তর) জেলার পাঁচটি মন্ডলে রবিবার সকাল ১১ টায় এই কার্যক্রম শুরু হবে। মন্ডলের সকল বুথের কার্যকর্তা নির্ধারিত স্থানে জমায়েত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন কি বাত শুনবেন। এরপর হবে পদযাত্রা এবং সমাবেশ। সমাবেশে প্রদেশ এবং জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন। সেখানেই ঘর ঘর বিজেপি বুথ বিজয় অভিযান আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে। বিশালগড় মন্ডলের কার্যক্রমে উপস্থিত থাকবেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। সাংবাদিক সম্মেলনে গৌরাঙ্গ ভৌমিক জানান উন্নয়নমূলক কাজের রিপোর্ট কার্ড তুলে ধরার পাশাপাশি জনসম্পর্ক স্থাপনের জন্যই এই অভিযান। সেইসঙ্গে কেউ যদি স্ব ইচ্ছায় বিজেপিতে যোগদান করতে চায় তাদের দলে বরণ করা হবে। সদস্যপদ প্রদান করা হবে। প্রতি বাড়িতে উন্নয়নমূলক কাজের চিত্র অংকন এবং স্টিকার লাগানো হবে। ঘর ঘর বিজেপি অভিযানের টিম বুথ এলাকায় ডিজিটাল ওয়াল পেইন্টিং এর জন্য স্থান এবং পথ সভার জন্য পাঁচটি করে স্থান চিহ্নিত করে রাখবে। এই অভিযানের মধ্যে দিয়ে তেইশের প্রচারাভিযান শুরু করবে বিজেপি। এবং জয় সুনিশ্চিত করে ঘরে ফিরবে কার্যকর্তারা। সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক ছাড়াও ছিলেন জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ দেববর্মা,রাজেশ সাহা, কোষাধ্যক্ষ জয়ন্ত দাস, কাউন্সিলর রতন দেব।
তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে আরো শক্তিশালী হলো ভারতীয় জনতা পার্টি। আসন্ন ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তেলিয়ামুড়ায় ভারতীয় জনতা পার্টির সাংগঠনিক তৎপরতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই ফসল আজ ঘরে তুলল বিজেপি। আজ বিকাল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ ভারতীয় জনতা পার্টির তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের তিনটি বুথে সিপিএমের ঘর ভাঙ্গিয়ে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তির বৃদ্ধি করল বিজেপি। তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদ এলাকার সিপিএমের আঁতুড়ঘড় হিসেবে পরিচিত ১৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় আজ বিকাল চারটায় স্থানীয় নাট মন্দিরে ঘর ঘর বিজেপি কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিপিএমের দীর্ঘদিনের সমর্থিত 15 টি পরিবারের ৫১ জন ভোটার বিজেপি দলে সামিল হয়। দ্বিতীয় সভাটি হয় পুলিন পুরে। সেখানে ১৩ পরিবারের ৪৯ জন ভোটার সিপিএম থেকে বিজেপিতে শামিল হয়। তৃতীয় সভাটি হয় তুই ইন্দিন্দ্রাই বাড়ি গাও সভার ১৪ ঘাট এলাকাতে। সভাতে ১১ পরিবারের তেত্রিশ জন ভোটার সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়। তেলিয়ামুড়া বিধায়িকা তথা রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় তিনটি সভাতেই উপস্থিত থেকে নবাগতদের হাতে ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকা হাতে তুলে দিয়ে স্বাগত জানান। এছাড়াও সভা গুলিতে তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান রূপক সরকার. ভারতের জনতা পার্টি তেলিয়ামুরা মন্ডল কমিটির সভাপতি রঞ্জিত সূত্রধর সহ শক্তি কেন্দ্রে প্রমুখ বুথ সভাপতি প্রমুখড়া উপস্থিত ছিলেন। তিনটি সভাতেই নবাগতদের ভারতের জনতা পার্টি দলে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা তেলিয়ামুড়ার বিধায়িকা কল্যাণী রায় বলেন গত সাড়ে চার বছরে উন্নয়নে ত্রিপুরা রাজ্য ভারতবর্ষের কাছে নজির সৃষ্টি করেছে। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিজেপি সরকার সব কে সাথ সব কে বিকাশ লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। আজ যারা সিপিএম দল ত্যাগ করে বিজেপিতে সামিল হয়েছে তারা সকলেই বিজেপির কাজের নিরিখে ই দলে যোগ দিয়েছে। উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে নিজেদের সামিল করতে
সিপিএমের প্রাক্তন প্রধান ও উপপ্রধানসহ পাঁচ পরিবারের ১৬ জন ভোটার বাজপায় শামিল। বিধানসভা নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে চারদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো জনমত নিজেদের অনুকূলে আনতে বিভিন্ন কর্মসূচি জারি রেখেছে। এক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে শাসক দল বিজেপি। ঘর ঘর বিজেপি এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে আগামীকাল গোটা রাজ্যের সাথে খোয়াই জেলাতেও মিছিল সমাবেশ সংঘটিত করবে শাসক দল বিজেপি। এরই অঙ্গ হিসাবে শনিবার বিকেলে রামচন্দ্র ঘাট বিধানসভার অন্তর্গত গৌরনগর বাজারে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি খোয়াই জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাস। জেলা কমিটির সহ-সভাপতি বিনতা সিং, রামচন্দ্রঘাট মন্ডলের মন্ডল সভাপতি সঞ্জীব দেববর্মা, সাধারণ সম্পাদক মনোজ দেব ও অনিমেষ নাগ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সভায় গৌরনগর গাও সভার প্রাক্তন সিপিআইএম প্রধান ও উপপ্রধান ধবনি মুন্ডা, রামু মুন্ডা, সুশীল মুন্ডা, লক্ষ্মী দত্ত, ও চন্দ্র মনি দত্ত সহ ৫ পরিবারের ১৬ জন ভোটার ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন। সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা দলত্যাগীদের দলীয় পতাকা হাতে তুলে দিয়ে তাদের দলে বরণ করে নেন।
সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছেন গত কয়েক মাস। তা সত্ত্বেও তাঁকেই সভাপতি পদে রেখে পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করতে চায় তৃণমূল। তিনি বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ১১ অগস্ট বোলপুরের বাড়ি থেকে গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপর ১৪ অগস্ট বেহালা পশ্চিমে জনসভা করতে গিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে না থাকলেও তিনি যে ভীষণ ভাবেই রয়েছেন তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল বলে রাজনীতির কারবারিদের একাংশের ধারণা।
তাঁকে গুরুত্ব দিয়ে সভাপতি পদে রেখে দেওয়ার পক্ষপাতী বাংলার শাসকদল। শুক্রবার ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে বীরভূম জেলা থেকে নির্বাচিত তৃণমূলের ১০ জন বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, বীরভূম থেকে তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী বিধায়করা অনেকেই তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। মূলত ৪ জন বিধায়কের হাতে সংগঠনের রাশ দিয়েছে দল।