প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আগামী লোকসভা নির্বাচনকে টার্গেটে রেখে দলীয় সংগঠনকে আরো সুসংহত করা এবং সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই প্রদেশ কমিটির পরিবর্তন করা হয়েছে।বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাসকে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আনা হয়েছে।এর ফলে খুশি প্রকাশ করেছেন পাবিয়াছড়া বিধানসভা কেন্দ্রের কার্যকর্তারা।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,বিধায়ক শ্রী দাস এর পূর্বে ঊনকোটি জেলার জেলা সভাপতি পদে ছিলেন।প্রদেশ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ায় আজ পাবিয়াছড়া মন্ডল কার্যালয়ে বিধায়ক ভগবান দাস কে সংবর্ধনা এবং অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন জেলা সভাপতি পবিত্র দেবনাথ,জেলা সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর গোস্বামী, মন্ডল সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ সিনেমা,যুব মোর্চা মন্ডল সভাপতি রূপক দেবনাথ সহ অন্যান্যরা।
রাজনীতি
প্রতিনিধি মোহনপুর:-মোহনপুর বিধানসভা এলাকার মন্ডলের বিভিন্ন নেতৃত্ব ও কর্মীদের নিয়ে এক সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় শনিবার। এদিন ফটিকছড়া চা বাগানে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
মোহনপুর বিধানসভার বিভিন্ন মোর্চার নেতৃত্ব এবং কর্মীদের নিয়ে পৃথক পৃথক ভাবে নিজ বিধানসভার বাইরে প্রাকৃতিক পরিবেশে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বেশ কিছুদিন যাবৎ। তার ধারাবাহিকতা বজায় রইল শনিবার। এই দিন বাবুটিয়া বিধানসভার ফটিকছড়া চা বাগানে প্রাকৃতিক পরিবেশে মন্ডল কমিটির বিভিন্ন মোর্চার নেতৃত্ব এবং কর্মীদের নিয়ে এক সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠক প্রসঙ্গে মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন মন্ডল কমিটির সিদ্ধান্ত মূলেই এই ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। এদিনের এই সভাতে নমো অ্যাপ ব্যবহার, প্রধানমন্ত্রীর মনকি বাত শোনা এবং অন্যান্যদের উৎসাহিত করা, পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা সম্পর্কে নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি জনগণকে সচেতন করার উপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন গোটা মোহনপুর বাসি একত্রিত হয়ে হাজারো কণ্ঠে গীতা এই ধরনের আয়োজন করারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। এই সভাতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুরের মন্ডল সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ,মোহনপুর পুর পরিষদের চেয়ারপারসন অনিতা দেবনাথ, মোহনপুর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন রিনা দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।
উদয়পুর পালাটানা পাওয়ার প্লান্ট এমপ্লয়ী অ্যাসোসিয়েশন এর নতুন অফিস ঘর উদ্বোধন হয়
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
ভারতীয় মজদুর সংঘ অনুমোদিত পালাটানা পাওয়ার প্লান্ট এমপ্লয়ী অ্যাসোসিয়েশন সকল ওয়াকার্সদের নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় পালাটানা ওটিপিসি এলাকায় এক নতুন অফিস ঘরের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রথমে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ভারতীয় মজদুর সংঘের প্রতিষ্ঠাতা প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন ভারতীয় মজদুর সংঘের গোমতী জেলা সভাপতি গৌতম দাস । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন , ভারতে মজদুর সংঘের গোমতী জেলার সহ-সভাপতি স্বপন মন্ডল , সহ-সম্পাদক কৃষ্ণ বৈদ্য , জেলার অটো রিক্সা মজদুর সংঘের সম্পাদক প্রদীপ মজুমদার সহ প্রমূখ । এদিনের অনুষ্ঠানে ভাষণ রাখতে গিয়ে গোমতী জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন , ওটিপিসিতে কর্মরত বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে শ্রমিকরা কাজ করে চলেছে। একই সাথে সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় সংগঠনের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে সামিল হয়েছে। কিন্তু ওটিপিসির দায়িত্বে থাকা বর্তমান যে আধিকারিক রয়েছেন উদয়পুর পালাটানায় তার খারাপ আচরণের ফলে শ্রমিকদের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই আগামী কিছুদিনের মধ্যেই এই বিষয় নিয়ে দিল্লিতে এক প্রতিবাদ পত্র তুলে ধরা হবে ভারতীয় মজদুর সংঘের গোমতী জেলার পক্ষ থেকে । বর্তমান সময়ে রাজ্য সরকার শ্রমিকদের স্বার্থে কাজ করে চলেছে । আগামী দিন এই সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গুলি তুলে ধরতে হবে বিভিন্ন ছোট সভার মধ্য দিয়ে । একই সাথে সভাপতি বলেন , ওটিপিসির ভেতরে বিভিন্ন কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে তা তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি । পরে অনুষ্ঠান শেষে ভারতীয় মজদুর সংঘের অনুমোদিত পাওয়ার প্লান্ট এমপ্লয়ী অ্যাসোসিয়েশন সকল ওয়াকার্সদের মধ্য দিয়ে তৈরি হওয়া নতুন অফিস ঘরের ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন ভারতীয় মজদুর সংঘের গোমতি জেলা সভাপতি গৌতম দাস । গোটা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ইঞ্জিনিয়ার এবং শ্রমিকদের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-পাবিয়াছড়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মাছমারা বাজারে এক রাজনৈতিক সভার মধ্য দিয়ে যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।উক্ত সভায় বামগ্ৰেস ছেড়ে ৬৪ জন ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করেছেন।তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানিয়েছেন বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী ভগবান দাস।বিগত বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম কংগ্রেসের অবৈধ জোটকে না মানতে পেরে অনেক কর্মীরাই এখন দল থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছেন।চলতি সপ্তাহে আরও যোগদান সভা রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই কৃষকদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন গোটা দেশজুড়ে । প্রধানমন্ত্রী আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে বর্তমানে বিজেপি পরিচালিত রাজ্য সরকারও চায় রাজ্যের কৃষকদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন করতে । ৩১ রাধা কিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছাতারিয়া গ্রামীন এলাকাটি কৃষি প্রধান এলাকা । তাই কৃষকদের উৎপাদিত ফসল যাতে অতি সহজে বাজারজাত করা যায় তার লক্ষ্যে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রণজিৎ সিংহ রায় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে গ্রামীণ সড়ক পথ নির্মাণ করার নির্দেশ দেন। সে নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে এবার ছাতারিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬ নং বুথে পঞ্চায়েত সমিতির কোষাগার থেকে ৪ লক্ষ ২১ হাজার টাকা ব্যয় করে নির্মিত হচ্ছে নতুন সড়ক পথ । এই রাস্তাটি তৈরি করার ফলে উপকৃত হচ্ছে এই এলাকার কৃষক মহল । যে জায়গায় তাদের কৃষি জমিতে উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে দীর্ঘ বৎসর অসুবিধার সৃষ্টি হতে হয়েছিল এখন নতুন রাস্তা বর্তমানে তৈরি করায় স্থানীয় কৃষকরা অল্প খরচে তাদের কৃষি জমিতে উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে পারবে । এর ফলে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কৃষকরা। বর্তমানে রাস্তার কাজ কেমন চলছে তা সরজমিনে খতিয়ে দেখতে এবার টেপানিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ঝর্না দাস সহ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বরা রাস্তা নির্মাণের জায়গাটি পরিদর্শন করেন এবং কথা বলেন শ্রমিকদের সাথে । বর্তমানে শীতের মৌরসুমে রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে খুশির আবহাওয়া বইতে শুরু করেছে এলাকার কৃষকদের মধ্যে ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
সুদীর্ঘ ২৫ বছরের বাম শাসনে হোলাক্ষেত পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে পানীয় জল সর্বত্র ছিল নানা সমস্যা । ২০১৮ সালে যে বিধানসভা কেন্দ্রে তৎকালীন বাম বিধায়ক মাধব সাহাকে বিপুল ভোটে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি । গত পাঁচ বছরে এই এলাকার পরিবর্তন করার লক্ষ্যে বিজেপি তৎকালীন বিধায়ক বিপ্লব ঘোষ এলাকার উন্নয়নে কাজের গতি বাড়াতে সামিল হয় । পরবর্তী সময়ে ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে নতুনভাবে আবারো বিজেপি বিধায়ক হিসেবে শপথ নেন অভিষেক দেবরায় । ভোটে জিতে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে চলেছে । এবার নিজ বিধানসভা কেন্দ্রের হোলাক্ষেত এলাকায় জনগণের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থের জন্য ৫৩ নং বুথের জনপ্রতিনিধি ,গ্রাম প্রধান অপর্ণা দে থেকে শুরু করে বিজেপি স্থানীয় নেতৃত্ব এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের কে সাথে নিয়ে বট বৃক্ষের নিচে এক জনতার দরবার বসিয়েছেন বিধায়ক । কথা বলেন , গ্রামীন এলাকার বয়স জৈষ্ঠ সকল সাধারণ মানুষের সাথে । এলাকার রাস্তাঘাট, পানীয় জল থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ে চলার পথে যে সকল রাস্তাঘাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সে সকল রাস্তা গুলি সমস্যা সমাধান করে দেওয়া এবং এলাকায় সোলার লাইটের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেন বিধায়ক। তাছাড়া গ্রামীন এলাকার কৃষকদের সাথে এইদিন কথা বলেন তিনি। যুবক শ্রেণীর কাছ থেকে বিধায়ক জানতে চান এলাকার উন্নয়নে আরও বেশি করে কিভাবে সুবিধা দেওয়া যায় সে দিকে লক্ষ্য রেখে কাজ ও তার আলোচনা সমস্ত কিছু একসাথে করার জন্য । এদিনের জনতার দরবারে বিধায়কের এই ধরনের মনোভাব দেখে আপ্লুত গ্রামীণ এলাকার সাধারণ মানুষ। একই সাথে দিন গ্রাম প্রধানকেও নির্দেশ দেন সমস্ত ধরনের সাহায্য এবং সহযোগিতা সাধারণ মানুষকে সবসময় যেন করা হয় । সবমিলিয়ে বিধায়কের নির্দেশ পেয়ে একপ্রকার কাজের গতি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছেন গ্রাম প্রধান অপর্না দে। বর্তমান রাজ্য সরকার যে সকল উন্নয়ন করেছে সে সকল উন্নয়ন গুলি কেউ যাতে জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা যায় সে নির্দেশ দেন দলীয় কর্মীদেরকে । এই দিনের জনতা দরবার সভাকে কেন্দ্র করে গ্রামীন এলাকার সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো।
ধর্মনগর প্রতিনিধি, ২৬ ডিসেম্বর।।
“সিপিআইএম তিনটা রাজ্যে ছিল, অথচ ভারতবর্ষের মধ্যে দ্বিতীয় ধনী পার্টি ছিল। তারা চাঁদাবাজি করে টাকা আদায় করতো ও গরিব মানুষের টাকা আত্মসাৎ করত। “” বক্তা পূর্ব ত্রিপুরা আসনের সাংসদ রেবতী মোহন ত্রিপুরা। করমছড়া বিজেপি মন্ডলের উদ্যোগে এক দিবসীয় প্রশিক্ষণ বর্গে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেবতী মোহন ত্রিপুরা। ২৬ শে ডিসেম্বর মনু টাউন হলে এই এই প্রশিক্ষণবর্গ অনুষ্ঠিত হয়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দলীয় কর্মীদেরকে চাঙ্গা করতেই এই প্রশিক্ষণ বর্গের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রেবতীবাবু কংগ্রেস সিপিএম উভয় দলকেই তুলোধুনো করেন। তিনি বলেন কেন্দ্রে যখন সিপিএম এর সমর্থনে কংগ্রেসের জোট সরকার ছিল তখন রাজ্যের বামপন্থী নেতারা বলতেন কেন্দ্রীয় সরকারের লাগাম নাকি তাদের হাতে। অথচ রাজ্যের জন্য কিছুই করেনি তারা। শুধু চাঁদাবাজি করে টাকা আত্মসাৎ করা এবং গরিবের উন্নয়নের নামে বরাদ্দ টাকা নেতা বাবুরা পকেটস্থ করতেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার ঢালাও হারে টাকা দিচ্ছে। রাজ্যের উন্নয়নে দ্রুত গতিতে চলছে। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে রেলওয়ে স্টেশনের উন্নতিকরণে ভূমিকা নিচ্ছে সরকার। কোন ধরনের দুর্নীতি কেই বরদাস্ত করেনা বিজেপি। গরিব মানুষের স্বার্থে কাজ করছে সরকার । তাই সবকা সাথ সবকা বিকাশ সম্ভব হচ্ছে। আজকের এই প্রশিক্ষণ বর্গে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য, মনু-ছৈলেংটা আসনের এমডিসি সঞ্জয় দাস সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।
ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্যোগে গুরু গোবিন্দ সিং এর দুই বীর পুত্র শহীদ জোরাবর সিং এবং শহীদ ফতে সিং আত্ম বলিদান দিবস প্রতিপালিত হচ্ছে।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি।২৬ডিসেম্বর।ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্যোগে গুরু গোবিন্দ সিং এর দুই বীর পুত্র শহীদ জোরাবর সিং এবং শহীদ ফতে সিং আত্ম বলিদান দিবস প্রতিপালিত হচ্ছে।
দিকে দিকে ভারতের এই দুই বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদর্শন সহ দেশমাতৃকার প্রতি শ্রদ্ধা এবং মমত্ববোধ বৃদ্ধি করার আহ্বান ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়।
এরকমই এক কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে মঙ্গলবার সকালে ২৮ তেলিয়ামুড়া বিজেপি মন্ডল কমিটির উদ্যোগে বীর বাল দিবসের অঙ্গ হিসেবে বালক বালিকাদের নিয়ে তেলিয়ামুড়ার পথে প্রভাত ফেরী সহ এক মনোজ্ঞ আয়োজন সংঘটিত হয়। এই আয়োজনে তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রায় সহ তেলিয়ামুড়া মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক নন্দন রায়, তেলিয়ামুড়া মন্ডলের সহ-সভাপতি নিতীন কুমার সাহা, বিজেপি নেতৃত্ব মধুসূদন রায়, সুমন ঘোষ,বিধান চৌধুরী, প্রজেশ সরকার প্রমুখরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে গিয়ে বিধায়িকা শ্রীমতি কল্যাণী সাহা রায় আজকের এই দিনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে জোরাবর সিং এবং ফতে সিং-এর আত্মবিলের বলিদানের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন এবং আগামী দিনে সবাই যাতে দেশমাতৃকার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকেন সেই আবেদন রাখেন।
প্রতিনিধি, বিশালগড় ,
২৪ ডিসেম্বর।। স্বধর্ম রক্ষা থেকে শুরু করে স্বাধীনতার লড়াই, সর্বক্ষেত্রে বলিদান দিয়েছে ভারতীয় নারী। আজও প্রশাসন থেকে শুরু করে সরকার এবং সামরিক থেকে শুরু করে ক্রীড়া সবক্ষেত্রে সমান তালে ভারতবর্ষকে গৌরবান্বিত করছে।
ভারতীয় চিন্তনে নারীকে শক্তি রূপে হিসেবে পূজা করা হয়। যুগে যুগে সম্মানের আসনে ছিলেন ভারতীয় নারী। নারী তেজস্বিতার এবং বীরাঙ্গনার প্রতীক।রবিবার বিশালগড় নতুন টাউন হলে নারীদের নিয়ে তেজস্বিনী সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সিপাহীজলা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নারীরা অংশ নেন সম্মেলনে। সকাল দশটায় প্রথমে পঞ্জিকরণ ও জলপান হয়। তারপর দ্বীপ প্রজ্জ্বলন, উদ্বোধনী সংগীত, পরিচয় ও বরণ এর মাধ্যমে সন্মেলনের শুভ সূচনা হয়। অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু ছিল ভারতীয় চিন্তনে মহিলা, ভারতে মহিলাদের স্থিতি, রাষ্ট্র নির্মাণে মহিলাদের ভূমিকা। সন্মেলনের বৌদ্ধিকদাতা ভারতীয় শিক্ষা সংস্কৃতিতে নারীদের কৃতিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।ভারতবর্ষকে নারী হিসেবে সন্মাননা প্রদান করে,ভারত মাতা রূপে পূজা করা হয়। নারীদের চিত্তের দৃঢ়তা হওয়া উচিত সীতা মাতার ও দ্রৌপদীর মতো। ভারতের নারীদের আদর্শ হওয়া মৈত্রী, গার্গী, লোপামুদ্রার মতো। তাছাড়া বিভিন্ন যুগের নারী যেমন রাস সুন্দরী দাসী, সাবিত্রী বাই ফুলে, ভগিনী নিবেদিতা প্রভৃতি মহীয়সীর জীবনী নিয়ে আলোচনা করা হয় এই সন্মেলনে। নারীরা দেশ তথা সমাজ গঠনে অগ্ৰনী ভূমিকা পালন করে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভারতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি দিয়ে গড়ে তোলার দায়িত্ব নারীদের হাতে। সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ড. মুন্নি দে, শিবানী অধিকারী সহ অন্যান্যরা। শেষে বন্দেমাতরম সংগীত, সমবেত ভোজন মন্ত্র ও ভোজন শেষে সন্মেলনের সমাপ্তি ঘটে।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-দেশের চার রাজ্যের নির্বাচনে সিপিআইএম ফলাফলের নিরিখে লড়াই করেছে নোটার সাথে। বর্তমানে তাদের অবস্থান এতটাই অবনতি হয়েছে। শনিবার মোহনপুরের টিলাবাড়ীতে এক যোগদান সভায় এভাবেই সিপিআইএমকে কটাক্ষ করলেন মন্ত্রী রতল লাল নাথ। এইদিনের যোগদান সভাতে ৬৭ জন ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করেছেন।
বিগত দুদিন যাবত মোহনপুর বিধানসভা এলাকায় যোগদান সভা জারি রয়েছে। শনিবার বিকেলে বাড়িতে ২১ এবং ২৪ নং বুথের উদ্যোগে যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই যোগদান সভাতে সিপিআইএম এবং অন্যান্য বিরোধী দল ছেড়ে ৬৭ জন ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করেছেন। এই যোগদান সভাতে মোহনপুরে বিধায়ক তথা মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন সিপিআইএম চাইলেই মোহনপুরের উন্নয়ন করতে পারতো। কিন্তু করেনি। কারণ তাদের মানসিকতাই ছিল না উন্নয়নের। অথচ বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই মোহনপুর বিধানসভার এলাকাতে জাতীয় সড়ক নির্মাণ, নতুন বিদ্যালয় পরিকাঠামো তৈরি, মোহনপুর বাজারকে ঢেলে সাজিয়ে তোলা, পানীয় জলের সুবন্দুবস্ত, গৃহ নির্মাণ থেকে শুরু করে বহু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। এদিন মন্ত্রী বলেন মানুষের সমস্যা সমাধান নাকরে সিপিআইএম প্রতিনিয়ত সমস্যা জিয়িয়ে রাখত। কারণ তারা চাইতো মানুষ তাঁদের কাছে আসোক। অথচ বিজেপি একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। এদিন সম্প্রতি দেশের চার রাজ্যে সিপিআইএম দলের ফলাফলের সংখ্যা তুলে ধরতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন মধ্যপ্রদেশে নোটা ভোট পেয়েছে ০.৯৯ শতাংশ এবং সিপিআইএম পেয়েছে ০.০১ শতাংশ, ছত্রিশগড়ে নোটা পেয়েছে-১.২৭ শতাংশ এবং সিপিআইএম পেয়েছে -০.০৪ শতাংশ, রাজস্থানে নোটা পেয়েছে-০.৯৬ শতাংশ এবং সিপিআইমও পেয়েছে ০.৯৬ শতাংশ। অন্যদিকে তেলেঙ্গানাতে নোটা পেয়েছে- ০.২২ শতাংশ এবং সিপিআইএম পেয়েছে -০.৭৩ শতাংশ ভোট। তিনি কটাক্ষ করে বলেন সিপিআইএম এখন ভোটের ময়দানে প্রতিযোগিতা করছে নোটার সাথে। এদিন নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে বরণ করে নেন মন্ত্রী রতল লাল নাথ সমেত মোহনপুর পুর পরিষদের চেয়ারপারসন অনিতা দেবনাথ, ভাইস চেয়ারম্যান শংকর দেব, এবং দলের অন্যান্য নেতৃত্বরা।