প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৬ জানুয়ারি।। লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে ঝাঁপিয়েছে শাসক দল বিজেপি। দু’টি আসনে জয় সুনিশ্চিত করতে সাংগঠনিক তৎপরতা বেড়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ে ক্রমশ জমি হারাচ্ছে তিপরা মথা। সাইন বোর্ড স্বর্বস্ব গণমুক্তি পরিষদ। মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে বিজেপি। ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। তাই জনজাতিরা আস্থা রাখতে শুরু করেছে শাসক দলের ওপর । মঙ্গলবার চড়িলাম বিধানসভার নাইথং বাজারে বিজেপির যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাজ্যের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেব বর্মনের হাত ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ত্যাগ করে ৯৯ পরিবারের ৪৯৬ জন ভোটার বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদান সভায় প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চড়িলাম মন্ডল সভাপতি রাজকুমার দেবনাথ, সংখ্যালঘু মোর্চার প্রদেশ সভাপতি বিল্লাল মিয়া। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন ভাষণে বলেন চব্বিশে আবার বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশের সকল অংশের মানুষের উন্নয়ন হচ্ছে। বিগত সরকার মানুষের উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি করেছে। বিজেপি সবকা সাথ সাবকা বিকাশ নীতিতে অন্তিম ব্যাক্তির উন্নয়ন করছে। প্রাক্তন মন্ত্রী বিল্লাল মিয়া বলেন পঁচিশ বছর মানুষের উন্নয়নের টাকা লুটপাট হয়েছে। দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস। গত বিধানসভা নির্বাচনে এদের উচিৎ শিক্ষা দিয়েছে রাজ্যের মানুষ। আগামী লোকসভা নির্বাচনে এদের জামানত জব্দ করতে হবে।
রাজনীতি
প্রতিনিধি, বিশালগড়, । আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলের জয় সুনিশ্চিত করতে ময়দানে ঝাঁপিয়েছে বিজেপির কার্যকর্তারা। নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে জনভিত আরও মজবুত করার কাজ চলছে। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কার্যক্রমের অঙ্গ হিসেবে প্রতি বুথে দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। শনিবার বিশালগড় মন্ডলে দেওয়াল লিখন শুরু হয় বিধায়ক সুশান্ত দেবের হাত ধরে। এদিন বিশালগড় বিধানসভার এক নম্বর বুথে তুলির টানে দলের প্রতিক চিহ্ন পদ্মফুল অঙ্কন করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। উপস্থিত ছিলেন দলের কার্যকর্তারা। বিধায়ক সুশান্ত দেব জানান বিশালগড় বিধানসভার ষাটটি বুথে ৩০০ টি দেওয়াল লিখন হবে। বুথের কার্যকর্তারা এই কাজ শুরু করেছে। কার্যকর্তাদের উৎসাহ প্রদানের জন্য রঙ তুলি হাতে নিয়ে দেওয়ালে পদ্মফুল অঙ্কন করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব।
প্রতিনিধি কমলাসাগর :-
জেলা যুব মোর্চা সভাপতির নির্দেশক্রমে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ ঘটিকায় সিপাহীজলা জেলা উত্তরাংশ যুব মোর্চার উদ্যোগে গকুলনগর রাস্তমাথাস্থিত রবীন্দ্রনাথ কলেজে বিশালগড় মন্ডল যুব মোর্চা ও কমলাসাগর মন্ডল যুব মোর্চার সহায়তায় নরেন্দ্র মোদি অ্যাপস ক্যাম্পাস করা হয় উপস্থিতি ছিলেন জেলা যুব মোর্চা সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সাহা উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব মোর্চা সদস্য জয় গোস্বামী সহ বিশালগড় ও কমলাসাগর সকল সদস্য। আলোচনা করতে গিয়ে জেলা সম্পাদক তুলে ধরেন এই অ্যাপস এর মাধ্যমে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর জনকল্যা মুখী কার্যক্রমের সবকিছু দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষ। কিভাবে এই অ্যাপস ডাউনলোড করবে বা কিভাবে এর সাহায্যে প্রধানমন্ত্রীর সকল কার্যক্রম এবং ভারতবর্ষের যত জনকল্যাণমুখী যোজনা রয়েছে তা সবকিছু এই অ্যাপসের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। তাই কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এই অ্যাপস ডাউনলোড করে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর সকল জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম দেখার অনুরোধ জানান।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে সাধারণ ত্রিপুরাবাসী তত বেশি মোদি সরকারের বিজেপির প্রতি আসক্ত হয়ে দলে দলে এই দলকে বেছে নিচ্ছে। রাজ্যের দুটি লোকসভার আসনে বিশেষ করে পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনে বিজেপির হাত শক্ত করতে, মজবুত করতে প্রতিদিন দলে দলে মানুষ বিজেপি দলের প্রতি আস্থা দেখাচ্ছে। রবিবার বাগ বাসা বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নং ওয়ার্ডে ৪৯ জন ভোটার দীর্ঘদিনের বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের উপর আস্থা হারিয়ে বিজেপি দলের ছত্রছায়ায় শামিল হয়। এই যোগদান সভায় এলাকার বিধায়ক যাদব লাল নাথ এবং জেলার সাধারণ সম্পাদক কাজল দাসের হাত থেকে বিজেপি দলের পতাকা গ্রহণ করে। এভাবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনে বিরোধীরা কোণঠাসা হতে চলেছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
দলের তহবিলে চাঁদা দিতে কার্পণ্য করবেন না যেন! কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এমনই বার্তা দিলেন দলের প্রবীণ নেতাদের।
লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ও ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ নিয়ে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রদেশ কংগ্রেসের নেতা, এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে ও রাহুল। সেই সময়েই রাহুল দলের প্রবীণ নেতাদের বলেন, “দল হল মায়ের মতো। দলের অর্থ সংগ্রহ অভিযানে কার্পণ্য করবেন না।” এখানেই না থেমে দলীয় কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেনকে রাহুলের প্রশ্ন, “কমল নাথের থেকে
চাঁদা নিয়েছেন?”
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের ১৩৯তম প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে কংগ্রেস ‘ডোনেট ফর দেশ’ নামে অর্থ সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে। খড়্গে, রাহুল ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা করে চাঁদা দিয়েছেন। গত কালের বৈঠকে খড়্গে জানিয়েছেন, এর পরে রাহুলের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার জন্যও ‘ডোনেট ফর ন্যায়’ নামে অর্থ সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে।
দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়ালকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি (আপ)। তাঁর পাশাপাশি সঞ্জয় সিংহ এবং এন ডি গুপ্তকে দ্বিতীয় বার রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে দল। প্রসঙ্গত, দিল্লি থেকে রাজ্যসভার এই তিনটি আসনই রয়েছে রাজ্যের শাসক দল আপের দখলে।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন সঞ্জয়। দল রাজ্যসভায় প্রার্থী হিসেবে ফের তাঁর নাম ঘোষণা করার পরে সঞ্জয় মনোনয়ন পত্রে সই করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত তাঁকে সেই অনুমতি দিয়েছে। সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকেও। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে বৈশ্য সমাজের প্রতিনিধি এন ডি গুপ্তকে দ্বিতীয় বারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে দল। স্বাতী মালিওয়ালকে বাছা হয়েছে আপের তৃতীয় প্রার্থী হিসেবে, সুশীল গুপ্তের পরিবর্তে। আপ সূত্রের বক্তব্য, লোকসভার পরেই হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন। সেই রাজ্যে দলের প্রদেশ সভাপতি সুশীল গুপ্ত তাই আসন্ন লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনেই মনোনিবেশ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। সেই কারণেই তাঁর আসনে স্বাতীকে বেছে নেয় দল।আপের প্রার্থী বাছাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দিল্লির বিজেপি নেতা প্রবীণ শঙ্কর কপূর। তাঁর দাবি, আবগারি দুর্নীতিতে সঞ্জয় সিংহ যাতে মুখ বন্ধ রাখেন, সেই জন্যই রাজ্যসভার টিকিট দিয়ে পুরস্কৃত করা হল তাঁকে। দিল্লিতে পথবাতি না থাকায় রাস্তাঘাট মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়— এই অভিযোগ প্রকাশ্যে তুলে আপ সরকারের পূর্তমন্ত্রী অতিশীকে একাধিক বার অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন স্বাতী। বিজেপির নেতার অভিযোগ, দু’জনের বিবাদ সংঘাত বাড়তে থাকায় স্বাতীকে আসলে রাজ্যসভায় সরিয়ে আনা হচ্ছে।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া- নতুন বছরের শুরুতেই ঝড়ো ইনিংস শুরু করেছে শাসক দল বিজেপি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে ঝাঁপিয়েছে শাসক দল। শুরু হয়েছে দলবদলের পালা। রাইমাভ্যালীতে ক্রমশ জমি হারাচ্ছে সিপিআইএম, কংগ্রেস এবং তিপ্রা মথা।রীতিমতো তছনচ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক বিরোধী শিবির। শুক্রবার রাইমাভ্যালী মন্ডলের উদ্যোগ পৃথক দুটি বাজার সভায় ১৪৯ পরিবারের ৪৩৩ জন ভোটার সিপিআইএম, কংগ্রেস এবং তিপ্রা মথা দল ত্যাগ করে বিজেপি দলে যোগদান করেন। এদিন দুপুরে প্রথম সভাটি অনুষ্ঠিত হয় জগবন্ধু বাজারে। সেখানে সিপিআইএম এবং তিপ্রা মথা দল ত্যাগ করে ১১৮ পরিবারের ৩১৩ জন ভোটার ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন। দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয় গন্ডাছড়া বাজারে। সেখানে সিপিআইএম, কংগ্রেস এবং তিপ্রা মথা দল ত্যাগ করে ৩১ পরিবারের ১২০ জন ভোটার বিজেপির পতাকা তুলে সামিল হন। উক্ত দুটি সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং,জনজাতি মোর্চা রাজ্য সহ-সভাপতি পতিরাম ত্রিপুরা, বিজেপি ধলাই জেলা কমিটির সহ-সভাপতি বিকাশ চাকমা, কৃষান মোর্চা রাজ্য কমিটির সদস্য গোপাল সরকার, রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা প্রমুখরা ।সেখানে সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা তার ভাষনে বলেন সিপিআইএম এবং কংগ্রেস দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। তাই একে অপরের হাত ধরেও কত নির্বাচনে এদের ভরাডুবি হয়েছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে এদের জামানত জব্দ করতে হবে। তিনি বলেন বিজেপি ভিন্ন ধরনের পার্টি। বিজেপির সরকার আছে বলেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য মিটিং মিছিলে হাঁটতে হয় না। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। আগে মানুষ সরকারের না থাকা নেতাদের বাড়িত বাড়ি গিয়ে নিজের সময় থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু নষ্ট করে দিত। এখন মানুষের কাছে সরকারের জনপ্রতিনিধি সোজা চলে যায় মানুষের কাছে এটাই মোদি সরকারের পার্থক্য।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-বাম কংগ্রেসের অবৈধ জোটের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে ক্রমশই দলত্যাগ হচ্ছে পাবিয়াছড়ায়।সম্প্রতি পাবিয়াছড়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় একাধিক জনসভার মাধ্যমে প্রায় ৫ শতাধিক ভোটার অন্য দল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছেন।তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিধায়ক এবং ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক ভগবান চন্দ্র দাস। সিপিএম কংগ্রেসের সংগঠনকে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে দিচ্ছেন বিধায়ক শ্রী দাস।প্রতিদিন কোথাও না কোথাও যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং এই সভার মাধ্যমে শয়ে শয়ে মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির সাংগঠনিক পরিকাঠামো এবং উন্নয়নমূলক কাজের প্রতি অগাধ বিশ্বাস রেখে এবং দলের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দলে যোগদান করছেন। সবকা সাথ সবকা বিকাশের ভাবনায় সমাজের অন্তিম ব্যক্তির কাছে উন্নয়নের কাজ পৌঁছানোর যে দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করছে সেই সংকল্পের প্রতি আস্থা রেখেই বিরোধী শিবির থেকে শাসক শিবিরে যোগ দিচ্ছেন তাবড় রাজনৈতিক নেতারা।গতকাল পাবিয়াছড়া মন্ডলের উদ্যোগে পাবিয়াছড়া বাজারে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।এই জনসভার মাধ্যমে প্রায় শতাধিক ভোটার সিপিএম এবং কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন।তারমধ্যে প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে সেবা দলের নেতৃত্বরা যোগদান করেছেন বলে জানা গেছে। এই সভায় বিধায়ক ভগবান দাস ছাড়াও মন্ডল সভাপতি কার্তিক দাস,জেলা সভাপতি পবিত্র দেবনাথ এবং অন্যান্য নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন।এই চলতি সপ্তাহে মাছমাড়া বাজারে ৬৪ জন ভোটার সিপিএম কংগ্রেস থেকে যোগদান করেন। অনুরূপভাবে সোনাইমুড়ি এলাকায় জনসভার মাধ্যমে ৭৭ পরিবার বামগ্ৰেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছেন।একই ভাবে বেতছড়া বাজারে তিনটি শক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত প্রকাশ্য জনসভায় সিপিএম কংগ্রেস এবং অন্যান্য দল ছেড়ে ১২৫ জন ভোটার ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছেন। জোট আমল এবং তার পরবর্তী সময়ে যেভাবে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল ত্রিপুরায়,আজ তাদের মধ্যেই যে মাখামাখি চলছে সেটাকে সাধারণ কর্মী সমর্থকরা ভালোভাবে নিতে পারেননি। তাই আদর্শগত অবস্থান থেকে এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি বিশ্বাস রেখেছেন।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। বছরের শুরুতেই রাজনৈতিক তেজি করলো বিজেপি। লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন। দু’টি আসন প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে ময়দানে ঝাঁপিয়েছে শাসক দল। বিজেপির রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু হতেই বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরেছে। বিশালগড়ে সিপিএমে ধ্বস নেমেছে বলা যায়। মঙ্গলবার পৃথক দু’টি বাজার সভায় ১৯৭ জন ভোটার সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন । এদিন প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় অফিসটিলা বাজারে। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, বিজেপির জেলা প্রভারী অমল দেবনাথ, ভারপ্রাপ্ত মন্ডল সভাপতি তপন দাস প্রমূখ। সভায় ১০৫ জন সিপিএমের সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। নবাগতদের বরণ করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব সহ দলের নেতৃবৃন্দ। বিধায়ক সুশান্ত দেব ভাষণে বলেন সিপিএম কংগ্রেস দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। তাই একে অপরের হাত ধরেও গত নির্বাচনে এদের ভরাডুবি হয়েছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া এদের কোন কাজ নেই। আগামী লোকসভা নির্বাচনে এদের জামানত জব্দ করতে হবে। দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয় দুর্গানগর বাজারে। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত দুর্গানগরে ৯২ জন সিপিএমের সমর্থক বিধায়ক সুশান্ত দেবের হাত ধরে যোগ দেন বিজেপিতে। দলত্যাগীদের মধ্যে অধিকাংশ সংখ্যালঘু মুসলমান। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন সিপিএম একসময় সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করেছে। সংখ্যালঘুদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করেছে। বর্তমানে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর হিন্দু মুসলমান জাতি জনজাতি সকল অংশের মানুষ সম্প্রীতির মেলবন্ধনে বসবাস করছে। কারোর কোন ধর্মীয় কাজে অসুবিধা হচ্ছে না। সবকা সাথ সবকা বিকাশ নীতিতে সকলের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। বিজেপি ভিন্ন ধরনের পার্টি। বিজেপির সরকার আছে বলেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য মিটিং মিছিলে হাঁটতে হয়না। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। বিজেপিতে নতুন পুরনো বলে কিছু নেই। সবাই মিলে এক ত্রিপুরা এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনজাতিদের সার্বিক উন্নয়নে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ফলস্বরুপ প্রধানমন্ত্রী জনমন যোজনার মাধ্যমে রিয়াং সম্প্রদায়ের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, স্থায়ী অর্থ উপার্জন সহ মোট ১১ টি প্রকল্পের মাধ্যমে এই সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য মোট ২৪ হাজার ১ শত ৪ কোটি টাকা সারা দেশের জন্য ব্যয় করা হচ্ছে এবং ২০২৪ সালের মধ্যে এই প্রকল্প গুলি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে অন্যতম একটি প্রকল্প হল যে সমস্ত রিয়াং এলাকা জাতীয় সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে এই এলাকাগুলিকে জাতীয় সড়কের সাথে সংযোগ করা। তারই অঙ্গ হিসাবে মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বেশকিছু রাস্তা রয়েছে। যেগুলো জাতীয় সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন । তার মধ্যে পূর্ব মগপুস্করনী ভিলেজের অন্তর্গত হাসুপাড়া থেকে অবনী রিয়াং পাড়া রাস্তার সংস্কার এবং পাকা রাস্তায় রূপান্তরিত করা, গর্জি তৈনানী রাস্তা থেকে বড়বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাকে পাকা রাস্তায় রূপান্তরিত করা। পূর্ব গর্জিছাড়া ভিলেজের অন্তর্গত বলিন্দ রিয়াং বাড়ি থেকে আকুরাই রিয়াং বাড়ি পর্যন্ত এবং গর্জি রাস্তা থেকে তৈনানী রাস্তা পর্যন্ত রাস্তাকে সংস্কার এবং পাকা রাস্তার রূপান্তরিত করা। তৎসঙ্গে পূর্ব দক্ষিণ মহারানী ভিলেজের অন্তর্গত অমরপুর রাস্তা থেকে লামপ্রাহাম পাড়ার রাস্তা পর্যন্ত পাকা রাস্তায় রূপান্তরিত করা। এই নিয়ে পি ডব্লিউ ডি এবং আরডি দপ্তরের আধিকারিক এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে রাস্তা গুলি পরিদর্শন করেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায়। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই রাস্তা গুলি করে দেওয়া হবে বলে এলাকাবাসীকে আশ্বাস প্রদান বিধায়ক অভিষেক দেবরায়।