প্রতিনিধি,
বিশালগড়, ১৫ ডিসেম্বর।। কমলাসাগর এবং চড়িলামে সিপিএম কংগ্রেস ছাড়লেন ত্রিশ জন ভোটার। বৃহস্পতিবার বিকালে চড়িলাম বিধানসভা কেন্দ্রের ২১ নং বুথ উত্তর চড়িলামে বিজেপির এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। যোগদান সভায় ১৫ জন ভোটার সিপিএম এবং কংগ্রেস দল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেন। নবাগতদের গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে দিয়ে বরণ করেন এসসি মোর্চার সভাপতি রাজেশ দাস, বিজেপির জেলা সদস্য শ্যামল দেবনাথ, চড়িলাম মন্ডল সদস্য বিপ্লব সাহা প্রমূখ। এদিকে কমলাসাগর মন্ডলের ১০ নং বুথ পাথারিয়াদ্বারে ১৫ ভোটার সিপিএম এবং কংগ্রেস দল ত্যাগ করে বিজেপি দলে যোগদান করেন। তাদের বরণ করেন ত্রিপুরা ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ আলম মিয়া , কমলাসাগর মন্ডল সভাপতি সুবীর চৌধুরী প্রমুখ। ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ আলম মিয়া বলেন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম দেখে কংগ্রেস সিপিএম দল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করছে রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ। আগামী দিনে সিপিএম কংগ্রেস তাদের সাইনবোর্ড রক্ষা করতে পারে কি-না সন্দেহ রয়েছে।
রাজনীতি
প্রধানমন্ত্রীর সভায় সিপাহীজলা (উত্তর) জেলার ৭ হাজার বেনিফিসিয়ারি অংশ নেবেন
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১৫ ডিসেম্বর।। আগামী ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর আস্তাবল ময়দানে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সম্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সারা রাজ্য থেকে প্রায় সত্তর হাজার বেনিফিসিয়ারি সমাবেশে অংশ নেবেন। এরমধ্যে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সিপাহীজলা (উত্তর) জেলার পাঁচটি মন্ডল থেকে সাত হাজার বেনিফিসিয়ারি অংশ নেবেন। সেই লক্ষ্যে প্রশাসনিক এবং সাংগঠনিক প্রস্তুতি তুঙ্গে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বিজেপির জেলা কার্যালয়ে। সাংবাদিকদের সম্বোধন করেন বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক। ছিলেন জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সাহা, অফিস সম্পাদক রতন দেব। জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক জানান জেলার পাঁচটি মন্ডলে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। সাত হাজার বেনিফিসিয়ারি সমাবেশে অংশ নেবেন এই জেলা থেকে। প্রয়োজনীয় গাড়ির বন্দোবস্ত করতে পারলে আরও অনেক বেনিফিসিয়ারি অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ১৮ ডিসেম্বর বেলা দুইটায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নতুন গৃহ উদ্বোধন করবেন। এরপর আবাসন যোজনা সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বেনিফিসিয়ারিদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং প্রকাশ্যে সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া তিনি জানান আগামী ১৯ ডিসেম্বর বিজেপির নবনির্মিত সিপাহীজলা জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হবে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা, উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন, প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, প্রভারী মহেশ শর্মা, সংগঠন মহামন্ত্রী ফণীন্দ্র নাথ শর্মা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-মোহনপুর বিধানসভা এলাকায় বিজেপি দলের একছত্র নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মসূচি জারি রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা রাতে ১২ নং বুথের নির্বাচনী বোথ অফিস এবং একটি উঠানসভা অনুষ্ঠিত হয় জগতপুর এলাকায়। এই দুটি কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুরের বিধায়ক তথা শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
মোহনপুরে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে পেছনে ঠেলে শাসক দল বিজেপি একছত্র কর্মসূচিতে ব্যস্ত। বলা যায় অনেকটাই ডিপ ফ্রিজে চলে গেছে বিরোধীদলগুলো। শাসক দল বিজেপি প্রতিদিন গোটা বিধানসভা এলাকায় নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত। ২০২৩ নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার মোহনপুরে ১২ নং বুথে নির্বাচনি বুথ অফিসের উদ্বোধন করলেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ। এর পাশাপাশি জগতপুর এলাকায় একটি উঠান সভাতেও সামিল হন তিনি। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে এদিন এলাকার মানুষের সাথে মতবিনিময় করলেন শিক্ষামন্ত্রী। আহ্বান করলেন সরকারের উন্নয়নমুখী কাজের নিরিখে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করানোর।
শাহের বৈঠকের আগেই বিজেপি বনাম বিজেপি! নতুন করে সীমানা বিবাদে মহারাষ্ট্র-কর্নাটক
সীমানা বিবাদ মেটানোর জন্য কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার আগেই নতুন বিবাদে দুই বিজেপি শাসিত রাজ্য।মহারাষ্ট্রের শোলাপুর ডিভিশনের অক্কলকোট জেলার ১১টি গ্রামসভার বৈঠকে সর্বসম্মত ভাবে কর্নাটকে যোগদানের প্রস্তাব পাশ হওয়ার ঘটনায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। স্থানীয় সূত্রের খবর, জেলা প্রশাসনের ‘কড়া বার্তা’ পেয়ে ওই ১১টি কন্নড়ভাষী-গরিষ্ঠ গ্রামের মধ্যে ১০টি গ্রাম সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে মহারাষ্ট্রে থেকে যেতে চাইছে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অসম, মিজোরাম, মেঘালয়ের পরে এ বার সীমানা বিরোধে উত্তপ্ত হয়েছে দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের দুই রাজ্য। গত সপ্তাহ থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্র-কর্নাটকের সীমানাবর্তী জেলাগুলিতে। ঘটনাচক্রে, ২ রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে শিন্ডেসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে। কর্নাটকে একক ভাবেই। কিন্তু সীমানা বিতর্কের জেরে সম্প্রতি প্রকাশ্যে বাগ্যুদ্ধে জড়িয়েছেন বিজেপির ২ নেতা— কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এবং মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস।
সকালে উঠতে দম লাগে, শুভেন্দুকে পাল্টা ‘মর্নিং ওয়াক’ জবাব দিলীপের, পদ্মে লড়াই অব্যাহত
প্রথমে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন দিল্লিতে। সোমবার সকালে। তারিখ রাজনীতি নিয়ে একটু খোঁচাও ছিল। সন্ধ্যায় কলকাতায় হাজরার সভা থেকে জবাব দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার পাল্টা মন্তব্য দিলীপের। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে বিজেপির অন্দরের লড়াই। শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘‘আমি মর্নিং ওয়াক করতে গিয়ে মিডিয়াকে বাইট দিয়ে বেড়াই না।’’ তার জবাবে দিলীপের মন্তব্য, ‘‘সকালে উঠতে একটু দম লাগে।’’শুভেন্দু অনেক দিন থেকেই ডিসেম্বর তত্ত্ব নিয়ে সরব। প্রথমে রাজ্য সরকার পড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন। পরে মন্তব্য করেন, সরকার থাকলেও ক্ষমতা থাকবে না। নবান্ন পঙ্গু হয়ে যাবে। সম্প্রতি তিনটি তারিখও জানান তিনি। ১২, ১৪, ২১ ডিসেম্বর বড় কিছু ঘটবে বলে দাবি করেছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার, ১২ ডিসেম্বর সকালে দিলীপ বলেন, ‘‘আদালতে কী ফয়সালা হবে জানি না। তাই আদালতের উপরে ভিত্তি করে কিছু বলা যায় না। রাজনীতিতে এই তারিখের কোনও গুরুত্ব নেই।এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাজরার সভা থেকে শুভেন্দুর কটাক্ষ ছিল দিলীপের উদ্দেশে। তিনি বলেন, ‘‘আমি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, গিমিকে বিশ্বাস করি না। আমি মর্নিং ওয়াক করতে গিয়ে মিডিয়াকে বাইট দিয়ে বেড়াই না। আমি দায়িত্ব নিয়ে কথা বলি।’’ মঙ্গলবার তারই জবাবে সংবাদমাধ্যমকে দিলীপ বলেন, ‘‘আমাকে দেখে প্রেরণা পেয়ে অনেকে এখন মর্নিং ওয়াক করছেন। ভাল কথা, শরীর ভাল থাকে। আর সকালে ওঠার জন্য দম চাই একটু। কে কার সম্বন্ধে কেন বলেছেন আমার জানা নেই, আমার কিছু বলারও নেই।’’ শুভেন্দুর ‘দায়িত্ব নিয়ে কথা বলা’ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘‘কে ব্যক্তিগত ভাবে কী বলছেন, কী করছেন তাতে কিছু যায় আসে না। দেশের রাজনীতি, পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ আর রাজ্যের রাজনীতি নিয়ে আমাদের চিন্তা। নানা রকম মত থাকতে পারে। কারও মত নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।’’
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-বিধানসভা নির্বাচন যতটা এগিয়ে আসছে বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শাসক শিবিরে যোগদানের কর্মসূচি প্রতিনিয়ত অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে শহর উত্তরাঞ্চল এলাকায় যেখানে কংগ্রেসের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি টিলাগাঁও পঞ্চায়েত থেকে মাস দুয়েকের মধ্যে প্রায় শতাধিক সংখ্যালঘু কংগ্রেস সমর্থক বিজেপি দলে যোগদান করেছেন।দীর্ঘদিন যাবত কংগ্রেস এবং সিপিএমের শাসন দেখার পর এবারে ভারতীয় জনতা পার্টি পতাকাতলে স্বেচ্ছায় শামিল হচ্ছেন বিরোধী ভোটাররা।কৈলাসহর বিধানসভার অন্তর্গত টিলাগাঁও কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েতের ১৭ ও ১৮ নং বুথে গতকাল কংগ্রেসের ৩ পরিবারের ১৭ জন ভোটার ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকা তলে সামিল হোন।তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টি জেলা সম্পাদক অরুন সাহা এবং জেলা কমিটির সদস্য অরূপ দেব চৌধুরী ও হেমেন্দ্রকুমার দে।আগামী দিনে কংগ্রেস দল থেকে বিজেপি দলে বড়সড় যোগদান অনুষ্ঠিত হবে বলে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে জানা গেছে।
রাইমাভ্যালী মন্ডলের কৃষাণ মোর্চার ১০ নং শক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে সোমবার গাছবাগান এলাকায় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১২ডিসেম্বর:- আসন্ন ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতীয় জনতা পার্টি রাইমাভ্যালী মন্ডলের কৃষাণ মোর্চার ১০ নং শক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে সোমবার গাছবাগান এলাকায় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সভা শুরুর আগে দলীয় কর্মী সমর্থকরা বিশাল এক রেলির মাধ্যমে গাছ বাগান এলাকার বিভিন্ন পদ পরিক্রমা করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি ধলাই জেলা কমিটির সহ-সভাপতি তথা ডুম্বুরনগর ব্লকের ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ চাকমা, রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক মদন বিকাশ চাকমা, সম্পাদক প্রীতি কুমার চাকমা, দিপ দাস, রূপায়ণ চাকমা প্রমুখরা। সভায় সিপিআইএম এবং আইপিএফটি দল ত্যাগ করে ৫ পরিবারের ৮ ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করেন। নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন ধলাই জেলার সহ-সভাপতি বিকাল চাকমা এবং মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা। সেখানে আলোচনা করতে গিয়ে মন্ডল সভাপতি কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার কৃষাণ সম্মান নিধির মাধ্যমে কৃষকদের বছরে ৬০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই না বিনা মূল্যে সার, বীজ, ঔষুধ প্রভৃতি কৃষকদের মধ্যে বিতরন করা হয়। মন্ডল সভাপতি বলেন কৃষকের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যেই সরকার কাজ করে যাচ্ছেন।
ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পূজো দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব
উদয়পুর প্রতিনিধি
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন রাজ্য সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাসকে সাথে নিয়ে সোমবার দুপুর একটায় উদয়পুর ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পূজো দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। সাথে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা পূজন বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা । এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পৌঁছে সোজা চলে যান মায়ের কাছে পুজো দেওয়ার জন্য । মায়ের উদ্দেশ্যে পুজো অর্চনা শেষ করে মন্দির পরিক্রমা করে সকলে । পরে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের পাশে থাকা মহাদেব মন্দিরে পুজো দেন তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন রাজ্য সভাপতি । পরবর্তী সময়ে ঘুরে দেখেন মাতারবাড়ি প্রসাদ প্রকল্পের কাজ। পরে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্য সিপিআইএম ও প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্ব কে তীব্র আক্রমণ শানান তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি পীযূষ বিশ্বাস । একই সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব জানান , কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যে আসবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি । একই সাথে সুবল ভৌমিক কে বার্তা দেন দলে একসাথে কাজ করার জন্য । পাশাপাশি কংগ্রেস ও সিপিআইএমকেও তীব্র আক্রমণ করেন সুস্মিতা । সোমবার দুপুরে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে তৃণমূল প্রদেশ নেতৃত্ব আসাকে কেন্দ্র করে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল আঁটোসাঁটো।
উদয়পুর প্রতিনিধি………………………………………………………………………….
গত ৮ই ডিসেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিপুল ক্ষমতায় নিয়ে সরকারে ফিরে আসে জাতীয় কংগ্রেস । গতকাল ছিল কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান । সরকার গঠন করার কারণে সোমবার সন্ধ্যা রাতে ৩০ বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রের বাগমা বাজারে এক বিজয় মিছিল বের হয় । এদিন মিছিলটি বাগমা বাজারের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে । বিজয় মিছিল শেষে কংগ্রেসের দলীয় অফিসের সামনে এক পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা টিটন পাল তীব্র আক্রমণ শানান শাসকদল বিজেপিকে । এদিনের সভায় ১২ পরিবারের ৪০ জন ভোটার শাসকদল ত্যাগ করে কংগ্রেস দলে যোগদান করেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন কংগ্রেস নেতা টিটন পাল । এদিন বিজয় মিছিল কে কেন্দ্র করে বাগমা বাজারে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেল ও ত্রিপুরা পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল আঁটোসাঁটো।
প্রতিনিধি, বিশালগড় ।। চড়িলামে সিপিএম কংগ্রেসের ষড়যন্ত্রের জাল ক্রমশ ছিন্ন হচ্ছে। অশান্তির বীজ বপন করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছিল সিপিএম। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। বরং আরও জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে সিপিএম। চড়িলামে সিপিএম ছাড়ার হিড়িক লেগেছে বলা যায় । রবিবার চড়িলাম এবং বিশালগড়ে ৪৪ জন ভোটার সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এদিন চড়িলাম বিধানসভার ১৪ নং বুথে বিজেপির এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১০ পরিবারে ৩৮ জন ভোটার সিপিআইএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাদের বরণ করেন চড়িলাম মন্ডল সম্পাদক গোপাল দেবনাথ, গ্রাম প্রধান মিঠুন দেব সহ বিজেপির কার্যকর্তারা। দলত্যাগীরা জানান বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর অল্প সময়ে চড়িলামে যে কাজ হয়েছে তা পঁচিশ বছরে করতে পারেনি সিপিএম। এখন সরকারি সহায়তার জন্য মিছিল মিটিং করতে হয়না। চাঁদা দিতে হয়না। তারা জানান সিপিএমের সমর্থক হয়েও বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সরকারি সবধরনের প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, বিজেপি একমাত্র গরীব মানুষের বন্ধু। তাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে বিশালগড় বিধানসভার ৩৯ নম্বর বুথে ছয় ভোটার বিজেপিতে যোগ দেন। তাদের বরণ করেন বিজেপির বিশালগড় মন্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব। দলত্যাগীরা ক্ষোভের সাথে জানান বিশালগড়ের বিধায়ক ভানুলাল সাহা তাদের কোন খোঁজ খবর রাখেনি। করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে বিজেপির কার্যকর্তারা সবধরনের সহযোগিতা করেছে। বর্তমানে তারাও সরকারি প্রকল্প গুলো ভোগ করছে। তাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছে।