প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১১ ফেব্রুয়ারি।। ভোটের মুখে শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র জারি রেখেছে বামগ্রেস। রাতের অন্ধকারে নাশকতা মূলক কাজ করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে।
চড়িলাম বিধানসভার কৃষ্ণ সঙ্ঘ এলাকায় বিজেপির ২২ নম্বর বুথ অফিস আগুনে পুড়িয়ে দেয় দুষ্কৃতকারীরা। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাতে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কংগ্রেস সিপিএমের বিরুদ্ধে। পুলিশ প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনে রাত দশটার পর সকল বুথ অফিস বন্ধ রাখে বিজেপি। কিন্তু দুষ্কৃতকারীরা নির্জনতার সুযোগ নিয়ে নাশকতা মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে ভোটের মুখে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। খবর পেয়ে শনিবার
সকালে বুথ অফিসটি পরিদর্শনে যান বিজেপির কার্যকর্তারা। বিজেপির জেলা সহসভাপতি অমল দেবনাথ জানান পরাজয়ের আতঙ্কে ভুগছে বিরোধী দল। তাই শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে। প্ররোচনা দিয়ে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। গণতান্ত্রিক উপায়ে এর প্রতিবাদ করবে বিজেপি।
রাজনীতি
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১১ ফেব্রুয়ারি।। প্রচারে ঝড় তুলেছে বিজেপি। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের দুই প্রান্তে দু’টি জনসভা সম্বোধন করেছেন। রবিবার দুপুরে সিপাহীজলা জেলার বিশ্রামগঞ্জে সুবিশাল বিজয় সংকল্প সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সিপাহীজলা (উত্তর) জেলার পাঁচটি বিধানসভার প্রার্থীদের সমর্থনে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার জোর কদমে চলছে মঞ্চ নির্মাণ থেকে শুরু করে প্রচার সজ্জা ইত্যাদি কাজ। শনিবার রাতের মধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন হবে। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলেছে আরক্ষা প্রশাসন। শনিবার থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার জনসমাবেশের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক। তিনি জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ আঠারো সালে পরিবর্তনের অন্যতম কান্ডারী। তিনি আবার রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য রাজ্যে আসবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে কার্যকর্তাদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা রয়েছে বলে তিনি জানান। এদিন চড়িলাম বিশালগড় কমলাসাগর গোলাঘাটি মন্ডল থেকে কার্যকর্তা এবং সমর্থকরা অংশ নেবে সমাবেশে।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
শনিবার দুপুর দুইটায় উদয়পুর ভগিনী নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়ের ময়দানে নির্বাচনের জনসভা অনুষ্ঠিত হয় ভারতীয় জনতা পার্টির । প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । এদিন দুপুরে সবার শুরু হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী উদয়পুর শহরে এক রোড শো করেন । রোড শো শেষে জনসভায় যোগ দেন তিনি । তাকে মঞ্চে স্বাগত জানান ত্রিপুরার উপ মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মন । সাথে ছিলেন ত্রিপুরার রাজ্যসভার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক থেকে শুরু করে গোমতী ও দক্ষিণ জেলার বিজেপি মনোনীত প্রার্থীরা । নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন , ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ মানিক ফেলে হীরা নিয়ে এসেছিলো । এরাজ্য তৈরি হয়েছে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার । এই সরকার তৈরি হওয়ার ফলে সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা , মহারাজে বীর বিক্রম কিশোর মানিককে নামে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর , রেলপথে যোগাযোগ ও বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সংযোগ করা হয়েছে । প্রধানমন্ত্রী বলেন , ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে ত্রিপুরাকে বিভিন্ন খাতে যে টাকা বরাদ্দ করা হতো সে সকাল টাকা বিগত সময় বামপন্থীদের সরকার থাকাকালীন কারণে সে সময় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা রাজ্যে খরচ করা হতো না । এছাড়া বামপন্থীদের সরকার গত ২৫ বছর এবং কংগ্রেসের জোট সরকার পাঁচ বছর থাকাকালীন অবস্থায় গ্রামীণ এলাকার সাথে শহর এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ততটা ভালো ছিল না। উন্নয়নের বিকাশের জন্য কোন কাজ করেনি বিগত সরকার । প্রধানমন্ত্রী বলেন , বর্তমানে বামপন্থী ও কংগ্রেস দল জোট করে এই রাজ্যে ভোটে লড়াই করছে । বিগত দিনে একে অপরের বিরোধী প্রতিপক্ষ হিসাবে কাজ করতো । বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ভোটে লড়াই করার জন্য জোট বদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তোলার জন্য এই জোট গটবন্ধন হয়েছে বলে মোদি তীব্র আক্রমণ শানান বামপন্থী ও কংগ্রেস দলের এই জোটকে। তিনি বলেন তাদের কাছ থেকে সতর্ক থাকতে হবে রাজ্যবাসীকে । এছাড়া তিনি বলেন ত্রিপুরা সুন্দরী মায়ের এই পবিত্র ভূমিতে গোমতী নদী জীবিকার এক যে মাধ্যম তা আগামী দিনে আরও উন্নত করা হবে । একই সাথে ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের পূণ্যভূমির মধ্য দিয়ে এক নতুন পরিচয় পেয়েছে রাজ্য । প্রধানমন্ত্রী বলেন আগামী ১৬ ই ফেব্রুয়ারি পদ্মফুলে ভোট দিয়ে দ্বিতীয় বার এই রাজ্যে ভাজপা সরকার তৈরি করতে হবে এবং উন্নয়নকে আরো দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে দিতে হবে । প্রধানমন্ত্রী বলেন বিশ্বাস রাখতে হবে আগামী দিন যে সকল গরিব মানুষের মানুষ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাননি তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর দেওয়া হবে । একই সাথে বিজেপি সরকার এই রাজ্যে ক্ষমতা থাকার কারণে প্রতি ঘরে নাল থেকে জল পৌঁছাতে পেরেছে সরকার । তাই দ্বিতীয়বারের জন্য ভাজপা সরকার তৈরি করতে হবে এই রাজ্যবাসীকে । প্রধানমন্ত্রীর জনসভা কে ঘিরে এদিন ভগিনী নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়ের ময়দানে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের উপচে পড়া ভীর লক্ষ্য করা যায় ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে। ইতিমধ্যেই শাসক দল বিজেপি দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভা করতে শুরু করেছে গোটা রাজ্যজুড়ে । এদিকে গোমতী জেলার ৩০ বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী রামপদ জমাতিয়ার সমর্থনে শুক্রবার দুপুর দুইটায় নোয়াবাড়ি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ময়দানে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয় । এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন , বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী হেমা মালিনী , বিজেপি নেত্রী মিমি মজুমদার সহ বাগমা মন্ডলের নেতৃত্বরা । জনসভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে অভিনেত্রী হেমা মালিনী বলেন , ১৪০ কোটি ভারতবর্ষে সাধারণ জনতার জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন যোজনা নিয়ে এসেছে । সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা গোটা দেশের সাথে ত্রিপুরা রাজ্যেও পেতে শুরু করেছে রাজ্যের মানুষ । সেই সাথে ৩০ বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রের জাতী উপজাতি সাধারণ মানুষ ও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা বর্তমান সরকার আমলে পেয়েছে । বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রে যে উন্নয়ন হয়েছে সে উন্নয়ন দেখে বিরোধীরা সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে চলেছে । যা এই রাজ্যের মানুষ এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীদেরকে উপযুক্ত জবাব দিয়ে দেবে বলে তিনি এদিন ভাষনে উল্লেখ করেন । সেই সাথে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী রামপদ জমাতিয়া বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবেন বলে তিনি আশাবাদী । ভারতীয় জনতা পার্টি এদিনের জনসভাকে ঘিরে জাতী উপজাতি সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারি । ৬০ আসনে বিধানসভা নির্বাচন হবে ত্রিপুরায় । ইতিমধ্যেই শাসক দল বিজেপি দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার অভিযান শুরু করে দিয়েছে । এবার দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে রাজ্যের প্রচার করার জন্য ১১ই ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার দুপুরে উদয়পুর ভগিনী নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়ের ময়দানে ভারতীয় জনতা পার্টির এক প্রকাশ্য জনসভায় বক্তব্য রাখবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । প্রধানমন্ত্রীর সকলকে কেন্দ্র করে জনসভার প্রস্তুতি চলছে দলীয়ভাবে জোড়কদমে । শুক্রবার দুপুরে জনসভার মাঠ পরিদর্শন করেন গোমতী জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সুকান্ত সাহা ও বিজেপি নেতা প্রশান্ত পোদ্দার । এদিন গোটা মাঠ পরিদর্শন করেন নেতৃত্বরা। একই সাথে বালিকা বিদ্যালয়ের ময়দানে ফ্ল্যাগ ফেস্টুন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা মাঠকে । একই সাথে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে । ইতিমধ্যেই নামানো হয়েছে ত্রিপুরা পুলিশ ও ত্রিপুরা স্টেট রাইফেল এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ বড় মাত্রায় পুলিশবাহিনী নামানো হয়েছে গোটা মাঠজুড়ে । প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্য জনসমাবেশে কি বক্তব্য রাখেন রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে সে দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য সহ রাজনৈতিক মহল । প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি এই সফরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উদয়পুর সফরকে কেন্দ্র করে ।
Tv100 বাংলা , উদয়পুর প্রতিনিধি :-
আগামী 16 ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন । হাতেগোনা আর কয়েকটা দিন বাকি রয়েছে প্রচারের । তাই সময় নষ্ট না করে প্রচারে খামতি রাখতে নারাজ সর্বভারতীয় কংগ্রেসের মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী প্রণজিৎ রায় । ৩২ মাথার বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী প্রণজিৎ রায় প্রচারের ঝড় তুলতে সক্ষম হয়েছে । শাসকদলকে পেছনে ফেলে কংগ্রেস প্রার্থী প্রণজিৎ রায় অনেকটাই এগিয়ে । সমতল থেকে পাহাড় ছোট বাজার থেকে শুরু করে পাহাড়ি বাজার সর্বত্র প্রণজিৎ রায় দলীয় পতাকাকে কাঁধে নিয়ে কর্মীদের সাথে পা মিলিয়ে প্রচারের ঝড় তুলেছে গোটা মাতার বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে । তার দলীয় প্রচারে একের পর এক দিল্লী কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডের নির্দেশে নেতৃত্বরা মাতার বাড়িতে আসতে শুরু করেছে । গ্রামীণ সভা থেকে শুরু করে পথসভা বড়সভা থেকে শুরু করে ঘরোয়াসভা সর্বোচ্চ সব জায়গায় উপচে পড়া ভীড় । কংগ্রেস প্রার্থী প্রণজিৎ রায় এর এই ঝড়ো প্রচারে এক প্রকার শাসক দল অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে । রাজনৈতিক মহলের ধারণা মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী প্রণজিৎ এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াই নিয়ে যেতে চলেছে গোটা বিধানসভা নির্বাচন টিকে । সব মিলিয়ে কংগ্রেসের প্রচারে ব্যাপক ঝড় উঠতে শুরু করেছে ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-বিজয় সংকল্প সমাবেশে রীতিমতো জন সুনামিতে ভাসলো ফটিকরায় কেন্দ্র।আসন্ন নির্বাচনে ফটিকরায়ের বিজেপি মনোনিত প্রার্থী তথা যুব বিধায়ক সুধাংশু দাসের সমর্থনে লক্ষ্য করা যায় এই বিশাল জনস্রোত।এই জন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ ।
এই বিজয় সংকল্প সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস সহ তিপ্রা মথাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি দলের প্রার্থী তথা ৫১ ফটিকরায়ের বিধায়ক সুধাংশু দাস।শ্রী দাস দাবী করেন যে ভাবে আজকের এই জন জমায়েতে জাতি ও জনজাতিদের অংশগ্রহন পরিলক্ষিত হয়েছে তা থেকে পরিষ্কার যে রাজ্যে আবারো উন্নয়নমূখী ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।তিনি এও বলেন সিপিএম ও কংগ্রের যে অশুভ জোট তা মানুষ ইতিমধ্যেই প্রত্যাখ্যান করেছেন।আর তার চিত্র ভোটের মাধ্যমে ফোটে উঠবে আগামী ২মার্চ। প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা করতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ত্রিপুরা রাজ্যের বিগত পাঁচ বছরের বিজেপি শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।তিনি দাবী করেন প্রতিশ্রুতি মতো বিজেপি সরকার এ রাজ্যের জনসাধারণের জন্য এক্সপ্রেস গতিতে উন্নয়ন করেছে।দীর্ঘ বামশাসনে মানুষ যে বাক্ স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছিল এবং আইনের শাসন বলতে কিছুই ছিল না ত্রিপুরা রাজ্যে তা বিজেপি সরকার আসার পর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তার ভাষণে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন ডাবল ইঞ্জিন সরকার থাকার ফলস্বরূপ ত্রিপুরা পেয়েছে একাধিক হাইওয়ে,ভালো ইন্টারনেট পরিষেবা,এক ডজনের ওপর রেল,প্রতিটি দপ্তরে জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প,নাগরিক সম্মান এবং সর্বোপরি মহিলাদেরকে সম্মান দিয়েছে বিজেপি সরকার।আদিত্যনাথ বলেন, ২০১৮ সালে যখন সুধাংশু দাসের হয়ে প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন সেই সময়ের ফটিকরায় আর আজকের দিনের ফটিকরায়ের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট।তাই আগামী দিনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে বিধায়ক সুধাংশু দাসকে জয়ী করে বিধানসভায় পুনরায় পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন সমর্থকদের কাছে।আজকের এই বিজয় সংকল্প সমাবেশের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি পবিত্র দেবনাথ,জেলা সভাধিপতি অমলেন্দু দাস সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিধি কৈলাসহর- প্রায় ৪০বছর যাবত পিছিয়ে পড়া চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্র আগামী দিনে উন্নয়নের আলোকবর্তিকা নিয়ে উঠে দাঁড়াবে।সমস্ত জীর্ণতা এবং প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সবকা সাথ সবকা বিকাশের ভাবনায় এগিয়ে যাবে চন্ডিপুর।এই প্রত্যয় নিয়েই কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক আজ চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী টিংকু রায় কে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য মাঠে নেমেছেন।আজ দুপুরে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে চন্ডিপুর ইউনাইটেড ক্লাব সংলগ্ন ময়দানে আসেন নেডার চেয়ারম্যান তথা আসামের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনমন্ত্রী ফণীন্দ্রনাথ শর্মা,চন্ডীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী টিংকু রায়,জেলা বিজেপি সভাপতি পবিত্র দেবনাথ,ত্রিপুরা টি গার্ডেন সেলের কনভেনার চন্দ্রশেখর কূর্মী,বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য বিমল কর,প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি তথা সহকারী সভাধিপতি শ্যামল দাস,চন্ডিপুর মন্ডলের সভাপতি শ্যামকুমার সিনহা ও কৈলাসহর মন্ডলের সভাপতি সিদ্ধার্থ দত্ত সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি দলের প্রার্থী টিংকু রায়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন গত বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনটি অল্প ভোটের জন্য বিজেপি হেরেছিল।এইবার এই আসনে টিংকু রায় জিতবেন।তিনি বলেন ১৮ নির্বাচনের আগে তিনি যখন ত্রিপুরায় এসেছিলেন মন্দির কম ছিল লাল অফিস-ই বেশি ছিল। এয়ারপোর্ট থেকে আগরতলা শহরে ঢুকতে ২০০ মিটার পর পর একটি লাল অফিস দেখতে পেয়েছিলেন।আগে থানাতে না গিয়ে কোনো ঘটনা ঘটলে লাল অফিসে যেতে হতো।আমাদের সরকার আসার পর এখন কংগ্রেস সিপিআইএম এক সাথে হয়েছে।সাপ ও নেওল এক হয়ে গেছে।তিনি বলেন দেশে কোথাও সিপিআইএম ও কংগ্রেস নেই।এ রাজ্যেও থাকবে না।জিরো জিরো মিলে একটা বিগ জিরো হয়ে যাবে। কংগ্রেস ও সিপিআইএম মিলে দেশকে খুকলা করে দিয়েছে।এবার নতুন ত্রিপুরা গড়ে উঠেছে বিজেপির আমলে।বর্তমানে আগরতলা এয়ারপোর্ট গুয়াহাটি এয়ারপোর্ট থেকে চার গুনা বড় হয়ে গেছে।করোণা মহামারীর সময় সকলেই ভাবছিলাম কিভাবে এত মানুষ বাঁচবে।কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেককে বিনামূল্যে পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।সেই চাল বর্তমানেও দেওয়া চলছে। নরেন্দ্র মোদি আছে বলেই গরিবদের কল্যাণ হচ্ছে। আগে সিপিআইএমের মিছিলে না গেলে কিছু পাওয়া যেত না।আগে কর্মচারীদের সিপিআইএমকে চাঁদা দিতে হতো,আজ চাঁদা দেওয়ার দরকার হচ্ছেনা।শেষ ৫বছরে ত্রিপুরায় ট্রান্সফরমেশন হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশে কত বড় বড় কাজ করেছে। এখন ইন্ডিয়া গেটে ইংরেজদের রাজার মূর্তি নেই বর্তমানে সেখানে নেতাজির মূর্তি বসানো হয়েছে।তিপ্রা মথার সাথে আমাদের কথা হয়েছে।তাদের দাবি আলাদা ত্রিপুরা করতে হবে।আমরা না করে দিয়েছি,আমরা সব করব,জনজাতিদের উন্নয়ন করব কিন্তু তোমার দাদুরা যে ত্রিপুরা বানিয়েছে,আমরা তা নষ্ট করতে পারবনা।কংগ্রেস দল বিরসা মুন্ডা,নেতাজিকে সম্মান করেনি।এই কেন্দ্রের যিনি মন্ত্রী ছিলেন তপন চক্রবর্তী তিনি ১০৩২৩ শিক্ষকের জীবন শেষ করে দিয়েছেন।এইজন্য তিনি এইবার দাঁড়াননি।নতুন লোককে দাঁড় করিয়েছেন। কোন লাভ হবে না।এই কেন্দ্রে টিংকু রায় জয়ী হবেন।
কমিউনিস্টরা হচ্ছে ক্রিমিনাল আর কংগ্রেস দল হচ্ছে দুর্নীতিবাজের দল। ভারতবর্ষ থেকে বিলুপ্ত হয়েছে কমিউনিস্টরা একমাত্র ত্রিপুরায় অল্প সংখ্যক, তারাও মুছে যাবে। কংগ্রেসের অস্তিত্ব বিলুপ্তের পথে। মঙ্গলবার খোয়াই বিমানবন্দর ময়দানে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি আইপিএফটি জোটের মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থনে আয়োজিত সমাবেশে এভাবেই বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ । সমাবেশে প্রধান বক্তার ভাষণে অমিত সাহ বলেন, ত্রিপুরা অগ্রগতি ও বিকাশের পথে এগোচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরে ত্রিপুরা নর্থ ইস্ট জোনের মধ্যে এক সমৃদ্ধশালী প্রদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।২০১৮ সালে মোদীজির নেতৃত্বে ত্রিপুরায় ভাজপা সরকার গঠন হয়েছে। ২০১৮ সালে চলো পাল্টাই আমরা স্লোগান তুলেছিলাম, ত্রিপুরার জনগণ তা মেনে নিয়ে সরকার পরিবর্তন করেছে। রাজ্যে বাজপা সরকার গঠন হয়েছে। চলো পাল্টাই আমরা সরকার পরিবর্তনের জন্য বলেনি কিংবা মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তনের জন্য বলিনি। আমরা চেয়েছি রাজ্যে যে হিংসার রাজনীতি চলছে সেই পরিস্থিতি থেকে ত্রিপুরাবাসীকে মুক্ত করার জন্য। কমিউনিস্টদের আমলে রাজ্যে চারদিকে খুন ,সন্ত্রাস ধর্ষণের মত ঘটনা প্রতিদিন গঠত। কিন্তু ভাজপার পাঁচ বছরের শাসনকালে অপরাধ 30 শতাংশ কমে এসেছে। মোদীজির নেতৃত্বে সমগ্র দেশ বিকাশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব দরবারে মোদিজীর সম্মান বেড়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মোদীজি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, পাকিস্তান এই দেশে সন্ত্রাসীদের প্রেরণ করতো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এর মাধ্যমে মোদীজি এর মাধ্যমে যোগ্য জবাব দিয়েছে। ৯০০০ উগ্রবাদী ইতিমধ্যে আত্মসমর্পণ করেছে। বিশ্ববাসী মোদিজীর ভাষণ শোনার জন্য অধীর আগ্রহে থাকেন। জনজাতি এবং আদিবাসীদের একমাত্র কল্যাণ সম্ভব মোদিজীর শাসনকালে।ত্রিপুরাকে এক সমৃদ্ধশালী প্রদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে তার জন্য আরো পাঁচ বছর সময় প্রয়োজন। পাঁচ বছরে ত্রিপুরা নর্থইস্ট এর মধ্যে এক সমৃদ্ধশালী প্রদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন অমিত সাহ। তিনি বলেন ত্রিপুরা সরকার আয় এর বিভিন্ন উৎস তৈরি করেছে। রাজ্যে কৃষকদের আয় বেড়েছে। দেশের পাশাপাশি ত্রিপুরা ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে। তার জন্য আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি আইপিএফটি জুটের মনোনীত প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি। সমাবেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা, রাজ্যের নির্বাচনী ইনচার্জ মহেশ শর্মা, সাংসদ রেবতি ত্রিপুরা, বিজেপি খোয়াই জেলা নির্বাচনী ইনচার্জ সমীর কুমার দাস, বিধায়িকা কল্যাণী রায়, বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী, প্রশান্ত দেববর্মা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
ফের ভাঙন বিজেপিতে, অভিষেকের হাত ধরে পদ্মের ষষ্ঠ বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূল শিবিরে
বিজেপি পরিষদীয় দলে আবারও ভাঙন। রবিবার কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দলে যোগদান করান। এই নিয়ে ষষ্ঠ বিজেপি বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে।
বিধানসভা ভোটে ৭৭টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। দলের দুই সাংসদও জয়ী হয়েছিলেন বিধায়ক পদে। তাঁরা অবশ্য পরে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন। ওই দুটি আসনের উপনির্বাচনেই জয় পায় তৃণমূল। বর্তমানে বিধানসভায় খাতায়কলমে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৫ হলেও, ৬ জন বিধায়কের দলবদলে কার্যত এই সংখ্যা ৬৯-এ নামল।
২০২১ সালে রাজ্যজুড়ে জয় পেলেও আলিপুদুয়ার জেলায় একটি আসনেও জিততে পারেনি তৃণমূল। ওই জেলার পাঁচটি আসনেই জয় পেয়েছিল বিজেপি। এ বার সেই জেলাতেও পদ্ম শিবিরে ভাঙন ধরাল শাসকদল।