প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৭ ফেব্রুয়ারি।। জম্পুইজলা মহকুমায় নারী পাচার সহ নেশা সামগ্রী পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একাংশ মহিলা। সংখ্যালঘু পরিবারের মহিলাদের বিপথগামী করার পেছনে রয়েছে বৃহত্তর চক্র। শুক্রবার নারী পাচারকারীদের অন্যতম সহযোগী শাবানা বিবিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা । পাথালিয়াঘাট এডিসি ভিলেজের লুঙতাংছড়ায় তাকে আটক করে স্থানীয় জনতা। শাবানার বাড়ি জম্পুইজলার নবসর্দার পাড়ায়। দীর্ঘদিন ধরে নারী পাচার কান্ডে জড়িত। প্রথমত নারীদের ফুসলিয়ে স্থানীয় ভাবে নেশা কারবারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। প্রলোভনে পা বাড়ায় জনজাতি এবং সংখ্যালঘু পরিবারের মহিলারা। এমনকি নাবালিকা মেয়েদের এই কাজে যুক্ত করা হয়। এরপর অতিরিক্ত অর্থের লোভ দেখিয়ে ভিন রাজ্যে এমনকি ভিনদেশে দেখিয়ে পাচার করা হচ্ছে। জম্পুইজলা এবং বিশালগড় মহকুমার জনজাতি ও সংখ্যালঘু পরিবারের নাবালিকা সহ যুবতী গৃহ বধূদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করছে শাবানা বিবি সহ একটি মানব পাচারকারী চক্র। জানা যায়, গত শনিবার বিশ্রামগঞ্জের লুংতাংছড়ার এক পঞ্চদশী নাবালিকাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় উদয়পুরে। যার হাতে নাবালিকাকে তুলে দেয়ার কথা ছিল তাকে না পেয়ে পাচারকান্ডের মূল পান্ডা বাবুল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে শাবানা। যথারীতি উদয়পুর থেকে নাবালিকাকে এনে বাবুল মিয়ার হাতে তুলে দেয়ার সময় ধরা পড়ে শাবানা। তাকে উত্তমমধ্যম দিয়ে বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় জনতা। নাবালিকাকে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়া হয়। ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অপর অভিযুক্ত বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে। বিশ্রামগঞ্জ থেকে জম্পুইজলা পর্যন্ত নানা অপরাধের করিডর বানিয়ে ফেলেছে একাংশ সমাজবিরোধী। বাংলাদেশী রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা এসে বিয়ে করে সংসার পেতে সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখল করে বসতি স্থাপন করছে। এরপর নেশা কারবার সহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপে নেমে পড়ছে। জনজাতি পরিবারের যুবকদের নেশার অন্ধগলির দিকে টেনে নিয়ে ধ্বংস করছে। আর মহিলাদের বিপথগামী করছে। এদের কারণেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় চুরি ছিনতাই নেশা কারবারি ইত্যাদি অপরাধ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এ-সব অপরাধ দমনে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ জরুরি।
92