Home » পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেনের পক্ষে ভোটের প্রচার

পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেনের পক্ষে ভোটের প্রচার

by admin

ধর্মনগর,
রবিবার দুপুর দেড় ঘটিকায় ধর্মনগরের পাওয়ার হাউসের সামনে বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেনের নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেনের পক্ষে ভোটের প্রচার করার প্রয়োজন তিনি মনে করেননি। কারণ কোভিডে র মহামারীতে যাকে কোনদিন দেখতে পাওয়া যায়নি, যাকে কোনদিন জনগণের সমস্যায় পাসে দাঁড়াতে দেখা যায়নি তিনি হয়েছেন সিপিআইএম কংগ্রেস জুটের প্রার্থী । তিনি হলেন জামা পাল্টানো নেতা চয়ন ভট্টাচার্য। কোভিড পরিস্থিতিতে যাকে সবাই পাশে পেয়েছে, দীর্ঘদিনের মানুষের সমস্যায় যাকে কাছে পেয়েছে তিনি হলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন। তিনি বুথে বুথে নেতৃত্ব তৈরি করেছেন ,পৃষ্ঠা প্রমুখ তৈরি করেছেন । কাজেই মানুষ স্বাভাবিকভাবেই তাকে ভোট দেবে। তিনি বলেন ১৬ তারিখে গণতন্ত্রের মহোৎসব হবে কেউ যেন ডাবল ইঞ্জিন ছাড়া সিঙ্গেল ইঞ্জিনের উপর ভিত্তি না করে তার পরামর্শ দেন ।তিনি বলেন ত্রিপুরাতে ৩০ বছরের সিপিএমের রাজত্ব, পাঁচ বছরের কংগ্রেস জোট সরকারের রাজত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করলেই বুঝা যাবে পাঁচ বছরের ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারের গুরুত্ব । কংগ্রেস সিপিআইএমের দীর্ঘ রাজত্বে বাঙালি – অবাঙালির লড়াই, সম্প্রদায়ের – সম্প্রদায়ের লড়াই, হিন্দু – মুসলিমের লড়াই, জঙ্গলের রাজত্ব ও ত্রিপুরা ভাগের লড়াই এসব ছাড়া ত্রিপুরার মানুষ আর কিছুই পায়নি ।এসবের সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির পাঁচ বছর কার্যকালের মূল্যায়নের জন্য তিনি পরামর্শ দেন। তিনি বলেন ত্রিপুরায় জঙ্গলের রাজত্বকালে একটিমাত্র জাতীয় সড়ক ছিল। বর্তমানে ত্রিপুরা সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার অর্থাৎ ডাবল ইঞ্জিনিয়ার সরকার একসঙ্গে কাজ করছে যার ফলে একাধিক জাতীয় সড়ক হচ্ছে । ত্রিপুরার উন্নয়নের জন্য একদিকে মানিক সরকার অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদির সরকার কাজ করে যাচ্ছেন রেলসহ সামগ্রিক উন্নয়নে। এইম সের মতো হাসপাতাল নির্মাণ উদ্যোগ নিচ্ছে, এমন কি হয়ে গেল কংগ্রেস দলের যেখানে সিপিএমের সঙ্গে হাত মেলাতে হল। যেখানে সিপিআইএম ইন্দিরা গান্ধীকে ডাইনি বলতো। সুদীপ রায় বর্মনের প্রসঙ্গ এনে বলেন তিনি ছয় মাসে পাঁচবার দল ত্যাগ করেছেন ।সিপিআইএম কংগ্রেসের জোটকে ও অশুভ বলে আখ্যা দেন । সিপিআইএম এই জোট কে জোট বলছে না, বলছে আসন সমঝোতা ।২৩২৩ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন বেআইনিভাবে সিপিআইএম তাদের চাকরি দিয়েছিল ,যার ফলে চাকরি চলে গেছে। একইভাবে পশ্চিমবঙ্গে মমতা আর ভাইপো ৫৮ হাজার চাকুরী বিক্রি করে দিয়েছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জিকে হারাতে চেয়েছিলেন এবং হারিয়েও দিয়েছেন । একইভাবে পশ্চিমবঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকার গঠন করে এরপর ত্রিপুরা, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ মিলে একসঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার কাজ করার কথা বলেন। তিনি বলেন সিপিআইএম কংগ্রেসের এই জোট অশুভ সংকেত। এদের ভোট দেওয়া মানে আবার রাজ্যে সন্ত্রাস ,পার্টি তন্ত্র ,বিভিন্ন সংগঠনের নামে স্বৈরাচারিতাকে ফিরিয়ে আনা ।সেই অন্ধকারময় দিনগুলিকে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছে অশুভ জোট। কাজেই পদ্ম ফুলের বিকল্প নেই।তিনি বলেন নরেন্দ্র মোদী শুধু আমাদের দেশের নেতা নন , তিনি আন্তর্জাতিক নেতা , মোদিজী সবকা সাথ সবকা বিকাশ সব বিশ্বাস নিয়ে কাজ করছেন, ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার চায় সন্ত্রাসবাদ ,পরিবার তন্ত্রবাদ নিপাত যাক- এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা । প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনা ,অটল জলধারা প্রকল্প, পি এম কৃষাণ বিকাশ প্রকল্প, গরিব কল্যাণ যোজনা, যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের নতুন প্রকল্প ,স্বাস্থ্য ,শিল্প, আয়ুষ্মান প্রকল্প সহ নানা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জি এই আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করতে দেয়নি ।যেখানে গরিব পরিবারের মানুষেরা ৫ লক্ষ টাকার বিনা মূল্যে চিকিৎসা করতে পারে । এসব ব্যবস্থা সবই করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার। এরপর তিনি ত্রিপুরা সরকারের সংকল্প পত্র ২০২৩ এর প্রসঙ্গ এনে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি উৎসবের সাথে রাষ্ট্রবাদের পক্ষে ভোট দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনতা পার্টির প্রার্থীদের জয়যুক্ত করার দাবি করেন। তিনি আরো বলেন ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার জাতপাতে বিশ্বাস করে না, ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার সংখ্যালঘু এপিজে আবদুল কালাম কে শ্রেষ্ঠ আসনে বসিয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার জনজাতিদের মধ্য থেকে মহিলা নেতৃত্বকে সবার উপরে বসিয়েছে । ত্রিপরা মথা প্রসঙ্গে বলেন ত্রিপরা মথা নেতৃত্ব ত্রিপুরাকে ভাগ করতে চাইছেন । কাজেই বিজেপি ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সবাইকে বারবার ডাবল ইঞ্জিনে বিশ্বাস রাখতে, সিঙ্গেল ইঞ্জিন কে বিশ্বাস না করার পরামর্শ দেন। কংগ্রেস আজ লুপ্ত প্রায়, সিপিএমের নিচুস্তরের লোক এই জুটকে মেনে নেয়নি বলে, সব শেষে ধর্মনগরবাসীর কাছে আবেদন রাখেন ১৫ থেকে 20 হাজার ভোটের ব্যবধানে বিশ্ববন্ধুকে জয়যুক্ত করার জন্য।

You may also like

Leave a Comment