প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২৩ ডিসেম্বর,, আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গোটা রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির সাংগঠনিক তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সমতলের সাথে পাহাড়েও সমান তালে চলছে দলীয় প্রচার কর্মসূচি। প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের কোন না কোন জায়গায় যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবার রাইমাভ্যালীতে আরো একটি যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন রাইমাভ্যালী মন্ডলের ৪৩ নং বুথ কমিটির উদ্যোগে রামনগরে অনুষ্ঠিত যোগদান সভায় তিপ্রা মথা এবং সিপিআইএম দল ত্যাগ করে ২৮ পরিবারের ৬৫ ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং, ডুম্বুরনগর ব্লকের ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ চাকমা, রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা, মন্ডলের যুব মোর্চা সভাপতি সজল মল্লিক প্রমুখরা। সেখানে নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন উপস্থিত নেতৃত্বরা। এদিনের যোগদান সভাকে ঘিরে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে।
রাজনীতি
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকে শাসক দল বিজেপি নিজেদের সাংগঠনিক বৈঠক এবং এলাকাভিত্তিক শক্তি বাড়াতে প্রচার শুরু করে দিয়েছে । শুক্রবার সকালে ৩১ আর কে পুর মন্ডলের যুব মোর্চার উদ্যোগে ছনবন শক্তি কেন্দ্র তথা ২২ নং বুথে বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক অভিযানের নামে যুব মোর্চার কর্মীরা। এই দিনের জন সম্পর্ক অভিযানে উপস্থিত ছিলেন যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি রাকেশ শীল , সাধারণ সম্পাদক রতন ঘোষ , ছনবন শক্তি কেন্দ্রের ইনচার্জ অর্জুন সাহা সহ প্রমূখ । জন সম্পর্ক অভিযানে বের হয়ে আরকেপুর মণ্ডলের যুব মোর্চার নেতৃত্বরা এলাকার নাগরিকদের কাছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের নানা সুযোগ সুবিধার প্রচার তুলে ধরেন । একই সাথে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন উন্নয়নের কাজকর্ম খতিয়ান তুলে ধরা হয় এই দিন। সেই সাথে রাধা কিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় এলাকা উন্নয়নে যে সকল কাজ করেছেন এখনো পর্যন্ত সে সকল কাজের খতিয়ান তুলে ধরা হয় । পাশাপাশি সাধারণ মানুষের যদি কোন ধরনের অভাব অভিযোগ থেকে থাকে সেগুলিও এদিন নেতৃত্বরা শুনেন এবং কথা দেন আগামী দিনে এই সকল বিষয় নিয়ে তার সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজা হবে । এই দিনের জন সম্পর্ক অভিযানকে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মীদের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-মোহনপুর বিধানসভার গজারিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নং ওয়ার্ডে এক যোগদান সভায় ৫২ জন ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করেন। নবাগতদের আনুষ্ঠানিকভাবে দলে বরণ করে নেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
গত বিধানসভা নির্বাচনের পর মোহনপুর বিধানসভা এলাকাতে নিয়মিত যোগদান সভার মধ্য দিয়ে বেশিরভাগ বিরোধী দলের সমর্থকরা বিজেপি দলে যোগদান করেছেন। এর মধ্যেও যা কিছু বাকি ছিল তাদের কেও যোগদান করানোর প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে গজারিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নং ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত হয় যোগদান সভা। এই যোগদান সভাতে মোট ১৩ পরিবারের ৫২ জন ভোটার বিরোধী দল ছেড়ে বিজেপি দলে যোগদান করেছেন। নবাগতরা জানান সরকারের উন্নয়নমুখী কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়েই উনারা বিজেপি দলে যোগদান করেছেন। অন্যদিকে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন রাজ্যের সমস্ত অংশের মানুষের উন্নয়নকে মাথায় রেখে কাজ করছে সরকার। নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার গোটা দেশে একযোগে উন্নয়নযগ্য চালাচ্ছে। তাঁর অঙ্গ হিসেবেই এই ত্রিপুরা রাজ্যেও ২০১৮ সালে সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই পানীয় জল, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা স্বাস্থ্য সমেত সমস্ত ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এই দিন নবাগতদের দোলে বরণ করে এই উন্নয়ন যগ্যে শামিল হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন মন্ত্রী।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে ২৯৮ পরিবারে ১হাজার১২৬ জন জন কর্মী সমর্থক যোগদান করেন গেরুয়া শিবিরে।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।। কাঞ্চনপুর মহকুমায় বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলো ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে। সোমবার বিরোধী রাজনৈতিক দল সিপিএম, তিপ্রা মথায় বড়সড় ভাঙন থেকে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।আসন্ন ২০২৪ শের লোক সভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দল বিজেপি। দলের পক্ষ থেকে প্রতিদিন নানা কর্মসূচির নেওয়া হচ্ছে।আর এই দলীয় কর্মসূচিতেই আকৃষ্ট হচ্ছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা । জানা গেছে কাঞ্চনপুরের দশদায় বিজেপি জনজাতি মোর্চা কাঞ্চনপুর মন্ডল কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক যোগদান সভার এক হাজারের বেশি নেতা কর্মী যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। সারা রাজ্যের মতো আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি জনজাতি মোর্চা কাঞ্চনপুর মন্ডল কমিটি সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করেছে।তারই অঙ্গ হিসেবে বিজেপি জনজাতি মোর্চা কাঞ্চনপুর মন্ডল কমিটির উদ্যোগে সোমবার দশদা দূর্গা মন্ডপ প্রাঙ্গণে এক যোগদান সভার আয়োজন করা হয়।আয়োজিত যোগদান সভায় প্রধান বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের উপজাতি কল্যান দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববরর্মা, বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, বিজেপি জনজাতি মোর্চার মন্ডল সভাপতি বিমানজয় রিয়াং, বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। এদিন দশদা বাজারে যোগদান সভায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের হাত ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে ২৯৮ পরিবারে ১হাজার১২৬ জন জন কর্মী সমর্থক যোগদান করেন গেরুয়া শিবিরে। বিজেপির ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন দেশের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার উন্নয়ন মূলক প্রকল্প দেখে সাধারণ মানুষ খুশি । দেশের মধ্যে যে ভাবে উন্নয়ন মূলক কাজ হচ্ছে তাতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা খুশিতে গেরুয়া শিবিরে সামিল হচ্ছেন । তিনি বলেন আগামী লোকসভা সভা নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনই ভারতীয় জনতা পার্টির দখলে যাবে ।এদিনের সভায় স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কাঞ্চনপুর মন্ডল সভাপতি গৌতম রায় , সাধারণ সম্পাদক তাপসেন্দু নাথ ও বিজেপির উত্তর জেলা কমিটির সদস্য নাথ প্রমুখ ।
রাজ্যের উদ্যান দপ্তরের চেয়ারম্যান হিসেবে নবনিযুক্ত হওয়ায় শনিবার জেলা কিষান মোর্চা এবং কিষান মোর্চা খোয়াই মন্ডলের উদ্যোগে কৃষাণ মোর্চা ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির সভাপতি জহর সাহাকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। পাশাপাশি আসন্ন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের রেকর্ড ভোটে জয়ী করার লক্ষ্যে কৃষান মোচা খোয়াই মন্ডলের উদ্যোগে তাঁত চৌমুহনী কাঞ্চনপ্রভা কমিউনিটি হলে এক সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষান মোর্চা ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির রাজ্য সভাপতি জহর সাহা, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষান মোর্চা প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বরণ রায়, জেলা সভাপতি অজিত শীল, কৃষান মোর্চার মন্ডল সভাপতি সমরেন্দ্র দত্ত এবং খোয়াই জেলা সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা প্রমুখ। বৈঠকে আলোচনা করতে গিয়ে রাজ্য সভাপতি জহর সাহা বলেন বিগত ২৫ বছর রাজ্যের কৃষকরা ছিল অবহেলিত, বঞ্চিত। রাজনৈতিক রঙ দেখে কৃষকদের ধানের বীজ,আলোর বীজ,সার এবং কীটনাশক ওষুধ প্রদান করা হতো। এখন রাজনৈতিক রঙ দেখা হয় না। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ পাচ্ছে রাজ্যের কৃষকরা। কৃষি বীমা যোজনা, কৃষক কল্যাণ যোজনা, পিএম কিষান যোজনা, বিনামূল্যে সার বীজ প্রকল্প যোজনা, কৃষক ভাতা মাসে ৫০০ টাকা, বছরে মোট ৬ হাজার টাকা প্রদান করা হচ্ছে। দেশের কৃষকদের কল্যাণ একের পর এক পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করে চলছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার। সব শেষে তিনি বলেন দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে রাজ্যের দুটি লোকসভা আসন মোদি জি কে উপহার স্বরূপ তুলে দেওয়া হবে। এর জন্য এখন থেকেই দলীয় কার্যকর্তাদের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান তিনি। এই দিন সাংগঠনিক বৈঠক শেষে পশ্চিম গনকি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ডের আর্থিকভাবে দুর্বল কৃষক পরিবার সন্তোষ পালের ক্ষেতের পাকা ধান কেটে দেন জহর সাহা সহ কৃষান মোর্চার কার্যকর্তাগন।
আরএসএস বা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সদর দফতর যে শহরে, সেই নাগপুর থেকেই কংগ্রেস ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করছে।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস। সে দিনই নাগপুরে জনসভা করতে চলেছে কংগ্রেস। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে রাহুল, সনিয়া ও প্রিয়ঙ্কা, গান্ধী পরিবারের তিন সদস্যই নাগপুরের জনসভায় হাজির হবেন। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সমস্ত সদস্য, মুখ্যমন্ত্রী, পরিষদীয় দলনেতারাও নাগপুরের জনসভায় যোগ দেবেন। এই জনসভা থেকেই রাহুল গান্ধী কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে বিজেপি-আরএসএসকে হঠানোর ডাক দিতে চাইছেন। ১৯২০ সালে কংগ্রেসের নাগপুর অধিবেশন থেকেই মহাত্মা গান্ধী স্বাধীনতা আন্দোলনে কংগ্রেসের প্রধান মুখ হিসেবে উঠে এসেছিলেন। ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে সিলমোহর পড়েছিল। সে দিক থেকেও নাগপুর কংগ্রেসের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথমে ঠিক ছিল, বিরোধীদের সম্মিলিত মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’-র প্রথম জনসভা হবে নাগপুরে। নানা তালেগোলে তা আর হয়নি। আগামী সপ্তাহে ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’-র দলগুলির বৈঠক। সেখানে জোটের জনসভা কবে থেকে শুরু হবে, তা ঠিক হবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, জানুয়ারি মাসেই ‘ইন্ডিয়া’-র দলগুলির অন্তত দু’তিনটি জনসভা করার চেষ্টা হবে। তবে তার আগে কংগ্রেস নিজের প্রতিষ্ঠা দিবসকে কাজে লাগিয়ে প্রচারে নেমে পড়তে চাইছে।
অমরপুরে বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক অভিযানে গোমতী জেলা যুব মোর্চা সাধারণ সম্পাদক সানি সাহা
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
আগামী বছর গোটা ভারতবর্ষে অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা নির্বাচন । লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি দলীয়ভাবে সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যে মাঠে নেমে পড়েছে এখন থেকেই । পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের ৪২ অমরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন শক্তি কেন্দ্রের অন্তর্গত সকল বুথের যুব মোর্চার বুথ কমিটির উদ্যোগে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বুথ স্ব-শক্তিকরন সহ সংগঠনকে শক্তিশালী ও মজবুত করার লক্ষ্যে এক সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন , বিধায়ক রঞ্জিত দাস , গোমতী জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সানি সাহা ও অমরপুর মন্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি লিটন সাহা সহ প্রমুখ । এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক তথা বুথ স্ব-শক্তিকরনের বিস্তারক সানি সাহা বলেন, আগামী বছর দেশে লোকসভা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। একই সাথে রাজ্যের দুই আসনে করা হবে লোকসভা ভোট । তাই পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের ৪২ অমরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয়ভাবে বিভিন্ন মিছিল, মিটিং ও সভা করার জন্য ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে । একই সাথে দলের সংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত দল বিভিন্ন বৈঠক করে চলেছে । কোথাও যদি সংগঠন দুর্বল থেকে থাকে সে সকল বিষয়গুলি সামনে নিয়ে আসতে হবে এবং কিভাবে ঐ সকল এলাকায় দলীয় নেতৃত্ব এবং কর্মীদেরকে কাজে লাগানো যায় সেদিকে নজর দিতে হবে । পাশাপাশি সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানো একদিকে যেমন দায়িত্ব অন্যদিকে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গুলি প্রচারের আলোয় নিয়ে আসতে হবে। সমস্ত ভোটারদের কাছে ভারত সরকারের উন্নয়ন এবং রাজ্য সরকারের কাজকর্ম তুলে ধরতে হবে । তাই প্রতিদিন এবং প্রতিনিয়ত সংগঠনকে শক্তিশালী এবং মজবুত করার লক্ষ্যে এই ধরনের সাংগঠনিক বৈঠক প্রতিটি বুথে করা হচ্ছে। তাই আগামীর লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে এই ধরনের সভা করে যেতে হবে যুব মোর্চার কর্মীদেরকে। একই সাথে বিধায়ক রঞ্জিত দাসও সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর জন্য নির্দেশ দেন । পাশাপাশি দলের কর্মীদেরকে একজোট হয়ে বিরোধীদের সমস্ত মিথ্যাচারকে রাজনৈতিকভাবে খণ্ডন করার জন্য রাজনৈতিক প্রচারসূচি জারি রাখার আবেদন জানান। এদিন বাড়ি বাড়ি যুব মোর্চার নেতৃত্ব এবং কর্মীদেরকে জনসম্পর্ক অভিযানে ব্যাপক সাড়া মেলে। যা অমরপুরের রাজনৈতিক মহলে একপ্রকার সারা ফেলে দিয়েছে ।
করমছড়া বিধানসভায় এলাকায় ১২০০ ভোটার কংগ্রেস ও সিপিএম ছেড়ে প্রদেশ সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্যের হাত ধরে বিজেপির ছত্রছায়ায়।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
করমছড়া বিধানসভায় বড় ধ্বস নামালো বিজেপি। ৫২৩ পরিবারের প্রায় ১২০০ অধীক ভোটার সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়ে গেরয়া শিবিরে সামিল হয়। যোগদানকারীদের অধিকাংশই ছিল সিপিএমের নেতানেত্রী ও সমর্থক মনুঘাট টাউনহল মাঠের মুক্ত মঞ্চে দলীয় পতাকা দিয়ে দলে বরন করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যী, মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, ছামানু কেন্দ্রের বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা। রাজীববাবু বলেন মানুষের স্বার্থে বিজেপির কর্মযজ্ঞ দেখি বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীরা থেকে বিজিবিতে যোগ দিচ্ছে। সিপিএম দলের মধ্যে এত বড় ভাঙ্গনের পেছনে মূল কারিগর ছিলেন মনু-ছৈলেংটা কেন্দ্রের এমডিসি সঞ্জয় দাস।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিকভাবে প্রচার শুরু করে দিয়েছে শাসকদল বিজেপি। বুধবার বিকেলে মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মহারানী ১ নং শক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে এক ঐতিহাসিক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয় । এই যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন , রাজ্যের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, বিধায়ক অভিষেক দেবরায় সহ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বরা । এদিন যোগদান সভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন , বর্তমান রাজ্য সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে উন্নয়ন জারি রেখেছে । তেমনিভাবে মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে নতুন বিধায়ক অভিষেক দেবরায় ভোটে জয়লাভ করে বিধানসভা আগে নির্বাচনী প্রচারে বের হয়ে যে সকল প্রতিশ্রুতি গুলি দিয়েছিলেন সেই সকল প্রতিশ্রুতি গুলি ধীরে ধীরে কার্যকর করতে শুরু করে দিয়েছে । এছাড়া মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য দিয়ে সমস্ত গ্রামীণ এলাকায় বিকাশ মেলার মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা জনসাধারণের হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে । তাছাড়া গড়ে তোলা হয়েছে এই মহারানী এলাকায় নতুনভাবে প্রাথমিক হাসপাতাল । এছাড়া নতুন পাকা সড়ক পথ থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক আলো ও গ্রামীন এলাকার কাঁচা সড়কগুলিকে নতুনভাবে পাকা সড়কে তৈরি করা ইত্যাদি বিষয়ে জোর দিয়েছে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় । উন্নয়নকে সামনে রেখে আগামী দিন কাজ করবে দলীয় কর্মীরা। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কাজকর্ম দেখে এইদিন ঐতিহাসিক যোগদান সভায় বাম ও কংগ্রেস সমর্থিত রাজনৈতিক দল ত্যাগ করে ১৬৪ পরিবারের ৪৮২ জন ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করে । তাদের হাতে দলীয় পতাকা এবং উত্তরীয় পরিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে বরণ করে নেন মন্ত্রী ও বিধায়ক । জনসভা কে কেন্দ্র করে বিজেপি নেতৃত্ব থেকে শুরু করে স্থানীয় কর্মী এবং সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো ।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। লোকসভা নির্বাচনকে দামামা বাজার আগেই বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরেছে । তথাকথিত আইএনডিএ জোটের নামে তামাসা মেনে নিতে পারছেনা কেউ। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গেরুয়া ঝান্ডা হাতে তুলে নিচ্ছে। বিশেষ করে পাঁচ রাজ্যে বিজেপির বিপুল জয়ে সিপিএম সহ বিরোধী শিবির হতাশায় নিমজ্জিত। এছাড়া তিপরা ল্যান্ডের নামে বিভ্রান্তিকর রাজনীতি থেকে মুক্তি চাইছে জনজাতিরা। তাই উন্নয়নের প্রতি আস্থা রাখতে শুরু করেছে জনজাতি ভোটাররা। বুধবার গোলাঘাটি এবং চড়িলাম বিধানসভায় পৃথক দু’টি সভায় সিপিএম এবং তিপরা মথা ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেয় ২৭৩ ভোটার। চড়িলামের ব্রজপুরে সিপিএমের লোক্যাল কমিটির সম্পাদক সহ ২৪০ জন সিপিএমের সমর্থক বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন। অপরদিকে গোলাঘাটি বিধানসভার জারুল বাঁচাই এডিসি ভিলেজে তিপরা মথা সমর্থক ৩৩ জন জনজাতি ভোটার বিজেপিতে যোগ দেন। গোলাঘাটি বিধানসভার বিস্তারক যোজনা শুরু হয় জারুল বাঁচাই এডিসি ভিলেজে। বিস্তারক অনিল দেববর্মা সহ প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা মন্ডল সভাপতি রামকৃষ্ণ সাহা স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে তিনটি বুথে জনসম্পর্ক করেন। মূলত সরকারি প্রকল্প গুলো নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মতবিনিময় করা হয় সাধারণ মানুষের সঙ্গে। বিকালে আয়োজিত সভায় ৩৩ জন তিপরা মথা সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। ভাষণে প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা বলেন বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর জনজাতিরা অধিকার ফিরে পেয়েছে। কোন রাজনীতির রঙ না দেখে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সিপিএম নিজেদের জনজাতি দরদী বলে জাহির করলেও পঁচিশ বছর জনজাতিদের জন্য কোন কাজ করেনি। অন্যদিকে এদিন চড়িলাম বিধানসভার মন্ডলের ব্রজপুর বাজারে বিজেপির বাজার সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সি পি এমের লোক্যাল কমিটির সেক্রেটারি অমৃত দাস সহ ৭০ পরিবারের ২৪০ জন ভোটার ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকার তলে সামিল হন। নবাগতদের বরন করেন চড়িলাম মণ্ডল সভাপতি রাজকুমার দেবনাথ। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সম্পাদক গোপাল দেবনাথ , যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতি শ্যামল দেবনাথ প্রমুখ ।