প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। লোকসভা নির্বাচনকে দামামা বাজার আগেই বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরেছে । তথাকথিত আইএনডিএ জোটের নামে তামাসা মেনে নিতে পারছেনা কেউ। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গেরুয়া ঝান্ডা হাতে তুলে নিচ্ছে। বিশেষ করে পাঁচ রাজ্যে বিজেপির বিপুল জয়ে সিপিএম সহ বিরোধী শিবির হতাশায় নিমজ্জিত। এছাড়া তিপরা ল্যান্ডের নামে বিভ্রান্তিকর রাজনীতি থেকে মুক্তি চাইছে জনজাতিরা। তাই উন্নয়নের প্রতি আস্থা রাখতে শুরু করেছে জনজাতি ভোটাররা। বুধবার গোলাঘাটি এবং চড়িলাম বিধানসভায় পৃথক দু’টি সভায় সিপিএম এবং তিপরা মথা ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেয় ২৭৩ ভোটার। চড়িলামের ব্রজপুরে সিপিএমের লোক্যাল কমিটির সম্পাদক সহ ২৪০ জন সিপিএমের সমর্থক বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন। অপরদিকে গোলাঘাটি বিধানসভার জারুল বাঁচাই এডিসি ভিলেজে তিপরা মথা সমর্থক ৩৩ জন জনজাতি ভোটার বিজেপিতে যোগ দেন। গোলাঘাটি বিধানসভার বিস্তারক যোজনা শুরু হয় জারুল বাঁচাই এডিসি ভিলেজে। বিস্তারক অনিল দেববর্মা সহ প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা মন্ডল সভাপতি রামকৃষ্ণ সাহা স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে তিনটি বুথে জনসম্পর্ক করেন। মূলত সরকারি প্রকল্প গুলো নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মতবিনিময় করা হয় সাধারণ মানুষের সঙ্গে। বিকালে আয়োজিত সভায় ৩৩ জন তিপরা মথা সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। ভাষণে প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা বলেন বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর জনজাতিরা অধিকার ফিরে পেয়েছে। কোন রাজনীতির রঙ না দেখে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সিপিএম নিজেদের জনজাতি দরদী বলে জাহির করলেও পঁচিশ বছর জনজাতিদের জন্য কোন কাজ করেনি। অন্যদিকে এদিন চড়িলাম বিধানসভার মন্ডলের ব্রজপুর বাজারে বিজেপির বাজার সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সি পি এমের লোক্যাল কমিটির সেক্রেটারি অমৃত দাস সহ ৭০ পরিবারের ২৪০ জন ভোটার ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকার তলে সামিল হন। নবাগতদের বরন করেন চড়িলাম মণ্ডল সভাপতি রাজকুমার দেবনাথ। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সম্পাদক গোপাল দেবনাথ , যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতি শ্যামল দেবনাথ প্রমুখ ।
169