প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া :- আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাইমাভ্যালী মন্ডলে ভারতীয় জনতা পার্টির একের পর এক বুথ অফিস উদ্বোধন চলছে। শনিবার ৬ এপ্রিল ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন রাইমাভ্যালীতে বেশ কিছু বুথ অফিস উদ্বোধন হয়। এর মধ্যে একটি নারায়ণপুর মগ পাড়ার ৪১ নং বুথ। ফিতা কেটে বুথ অফিস ঘরের শুভ উদ্বোধন করেন রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা। সেখানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এস.সি মোর্চা সভাপতি অতীত চন্দ্র দাস, শক্তি কেন্দ্রের কনভেনার অভিজিৎ রুদ্র পাল, বুথ সভাপতি সি. মগ, প্রবীণ দলীয় নেতৃত্ব প্রেম কুমার ত্রিপুরা প্রমুখরা। বুথ অফিস উদ্বোধন শেষে মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা জানান পার্টির গাইডলাইন মেনে রাইমাভ্যালী মন্ডলের ৭০ টি বুথেই একের পর এক বুথ অফিস উদ্বোধন করা হচ্ছে। মন্ডল সভাপতি আরো জানান আগামী ২৬ শে এপ্রিল পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মা এই এলাকা থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন এই আশা ব্যক্ত করেন মন্ডল সভাপতি। দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে কর্মীরা গোটা রাইমাভ্যালী এলাকা জুড়ে জোরালো ভাবে প্রচার অভিযান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান রাইমাভ্যালীতে ভারতীয় জনতা পার্টি ছাড়া অন্য কোন দলের প্রার্থীর প্রচার চোখে দেখা যাচ্ছে না। এদিন বুথ অফিস উদ্বোধন ঘিরে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে দারুন সারা লক্ষ্য করা যায়।
রাজনীতি
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-উদয়পুর মহকুমার অন্তর্গত টি আরকেএস বাগমা সাব ইউনিটের উদ্যোগে শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় বাগমা কমিউনিটি হল ঘরে । রবিবার দুপুর বারোটায় শুরু হয় আলোচনা সভা। সভার শুরুতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন বিএম এসএর এর জেলা সভাপতি গৌতম দাস। এছাড়া আলোচনা সভায় অংশ নেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া , টিআরকে এস এর বাগমা ইউনিটের সভাপতি পার্থ মজুমদার , বিএমএস এর মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দ্বিগবিজয় ভাওয়াল সহ প্রমূখ । এই দিনের আলোচনা সভায় বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন , বাম আমলে কর্মচারীদের কে দিয়ে মিছিল এবং বিভিন্ন সমাবেশ করানো হতো অফিস সময়ে । কিন্তু বর্তমানে রাষ্ট্রবাদী সরকার এই রাজ্যে আসার পর কোন ধরনের অফিস ফাঁকি দিয়ে কোন সভা অথবা বৈঠক করা হয় না। এছাড়া কর্মচারীদেরকে পঁচিশ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিয়েছে বর্তমান সরকার। এই রাজ্যে এক অভূতপূর্ব উন্নয়নের দিকগুলি সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কর্মচারীদের ভূমিকা অনেকটাই বড়। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে সমস্ত অংশের কর্মচারীদের এক ছাতার তলে আসার জন্য আহ্বান রাখেন বিধায়ক। এই দিনের আলোচনা সভায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও বিহারের আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব কে তীব্র আক্রমণ করেন বিধায়ক রাম পদ জমাতিয়া। একই সাথে এদিন সন্ধ্যা রাতে বিএম এসের উদ্যোগে হদ্রায় ব্যাপক প্রচার করেন টিআরকেএস নেতৃত্বরা । এই দিনের বৈঠকে টিআরকে এস এর শিক্ষক কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল সাড়া জাগানো ।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৭ এপ্রিল।। ত্রিপুরার জনজাতিদের আর্থসামাজিক বিকাশ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হচ্ছে। দীর্ঘ সিপিএমের জামানায় বঞ্চনার জাতাঁকলে পিষ্ট ছিল জনজাতিরা। বর্তমানে বিজেপির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার জনজাতিদের বিকাশে কাজ করছে। রবিবার গাবর্দি বাজারে বিজেপির নির্বাচনী সমাবেশে কথাগুলো বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। এদিন গোলাঘাটি বিধানসভার গাবর্দি বাজারে বিজেপির প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে সুবিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, বিধায়ক মানব দেববর্মা, প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা আরও বলেন এই নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের দেশের সুরক্ষা শান্তি উন্নতির জন্য ভোট। এই সুরক্ষা শান্তি উন্নতির গ্যারান্টি একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিতে পারে। কারণ স্বাধীনতার পর কংগ্রেসের নেতৃত্ব দীর্ঘদিন দেশ শাসন করেছে। দেশ জুড়ে অশান্তি ছিল। সন্ত্রাসবাদ ছিল। দুর্নীতি ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাস মুক্ত দুর্নীতিমুক্ত বৈভবশালী ভারত গড়ার কাজ করছে। ভারতের অখন্ডতার জন্য লড়াই করতে গিয়ে আত্মবলিদান দিয়েছিল ড: শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি। ড: মুখার্জির স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। রামমন্দির প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে তিন তালাক বাতিল ইত্যাদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তর পূর্ব ভারতের বিকাশে জোর দিয়েছে সরকার। ত্রিপুরার সাত জন জনজাতি সুনাগরিক পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। রাজ্যে ২১ টি একলব্য বিদ্যালয় হয়েছে। আধুনিক বিমান বন্দর হয়েছে। মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের নামে নামাঙ্কিত হয়েছে বিমান বন্দর। সাব্রুম পর্যন্ত রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা হয়েছে। অর্থাৎ জাতি জনজাতি সকলের উন্নয়নে একের পর এক সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। একসময় সিপিএম জনজাতিদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করেছে। আর বিজেপির সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশ নীতিতে অন্তিম ব্যক্তির কাছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে। বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন দীর্ঘদিন ধরে গরিব জনজাতিদের অত্যাচার শোষণ করেছে সিপিএম। ২৫ বছরে গাবর্দি এলাকায় রাজনীতির হানাহানি করেছে। সাধারণ মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এবার এদের উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে। আগামী ১৯ এপ্রিল সিপিএম কংগ্রেসকে উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে। বুথে বুথে জামানত জব্দ করতে হবে। বিধায়ক মানব দেববর্মা বলেন ২৫ বছর কোন কাজ করেনি বলেই এখন মানুষের কাছে ভোট চাইতে লজ্জা পাচ্ছে সিপিএম। এদের পায়ের তলায় জমি নেই। তাই কংগ্রেসের সঙ্গ ধরেছে। এ-সব করে কোন লাভ হবে না।
প্রতিনিধি, উদয়পুর:-
রাধা কিশোরপুর বিধানসভা এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভোট প্রচারে ঝড় তুলেছে অর্থমন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায়। বিধানসভা এলাকার প্রত্যন্ত জনপদ গুলিতে প্রচারে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে বলে জানিয়েছে দলীয় কর্মী সমর্থকরা । শুক্রবার সকালে রাধাকিশোরপুর বিধানসভার অন্তর্গত রাজারবাগ ৩৪ নং বুথে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করলেন অর্থমন্ত্রী । রাজারবাগ এলাকার উন্নয়ন সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করেছেন সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে । রাধা কিশোরপুর বিধানসভা এলাকায় আরো কি কি উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণ করা যায় সেই বিষয়েও মতামত সংগ্রহ করেছেন সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে । এই দিন এলাকায় খোদ রাজ্যের অর্থমন্ত্রীকে দেখতে পেয়ে সাধারণ নাগরিকরা উল্লাসিত হয়ে পড়েন । রীতিমতো বাড়ি বাড়ি অর্থমন্ত্রীকে বরণ করে নিয়েছেন আমজনতা । একই সাথে রাজনৈতিক মহলের ধারণা , একদিকে যেমন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবকে জেতানোর জন্য প্রচার অভিযান চলছে অন্যদিকে একটু বিধানসভার রাজনীতির প্রচারক একই সাথে সেরে ফেলছে দলীয় কর্মী সমর্থকরা । একটা সময় শহরবাসী মনে করছে বিধানসভা ভোটের প্রচারে যেন বের হচ্ছে দলীয় কর্মীরা এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উদয়পুরে রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে পড়ছে আগামী দিনে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে বিপ্লব কুমার দেব বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছে উদয়পুর বাসী।
বার চারশো পার এই স্লোগানকে সামনে রেখে যুব মোর্চার উদ্দ্যোগে জোলাইবাড়ীতে সাইকেল রেলি ।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি: আসন্ন লোকসভানির্বাচনে পূর্বত্রিপুরা আসনে বিজেপি, আই পি এফ টি ও তিপ্রামথা দলের জোটের মনোনিত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করারলক্ষ্যে কাজকরেযাচ্ছে ৩৮ জোলাইবাড়ী মন্ডল বিজেপি। এরইমধ্যে শুক্রবার জোলাইবাড়ী মন্ডলে বিজেপি, আই পি এফ টি ও তিপ্রামথা দলের নির্বাচনী কার্যালয়ের শুভসূচনা করাহয়। এইকার্যালয় থেকে তিনদল একত্রিতহয়ে পূর্ব ত্রিপুরা আসনের প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মনের সমর্থনে কাজকরবে। নির্বাচনী কার্যালয়ের দলীয় পতাকা উত্তোলন করলেন মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াং। ফিতাকেটে নবনির্মিত কার্যালয়ের শুভসূচনা করলেন যুবমোর্চার প্রদেশ সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব ও মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া। নির্বাচনী কার্যালয় উদ্ভোধনশেষে বিজেপি, আই পি এফ টি ও তিপ্রামথা দলের কর্মীসমর্থকদের নিয়ে অনুষ্ঠীত হয় এক সাইকেল রেলি। জোলাইবাড়ী বাইপাসথেকে রেলিটি শুরুহয়ে বাজারের বিভিন্নপথ পরিক্রমা করে পুনরায় বাইপাসে এসে সমাপ্তিহয়। আজকের এই সমগ্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া, যুবমোর্চার প্রদেশ সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব, মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াং, যুবমোর্চার মন্ডল সভাপতি কেশব চৌঁধুরী, যুবমোর্চার মন্ডলের জেনারেলসেক্রেটারী রাজীব বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা। আজকের এই কর্মসূচীর কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে জানালেন মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া। যুবমোর্চার উদ্দ্যোগে আয়োজিত আজকের এই রেলিতে উপস্থিত লোজনদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্যকরাযায়।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
ত্রিপুরার জনসাধারণের বিশ্বাস এবং ভরসার অপর নাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এখন বিকাশের লক্ষ্যে দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । অপরদিকে এই ত্রিপুরা রাজ্যে বামেদের দীর্ঘ বছরের অপশাসনের ফল এখনো ভোগ করতে হচ্ছে রাজ্যের মানুষকে । মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে কিছুই করেনি তারা । আগামী লোকসভা নির্বাচনে মানুষ বাম কংগ্রেসের অশুভ জোটকে প্রত্যাখ্যান করবে । লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৩১ আরকেপুর মন্ডলের টেপানিয়া হাসপাতাল চৌমুহনীতে টেপানিয়া শক্তি কেন্দ্রের ৫ ও ৬ নং বুথের উদ্যোগে আয়োজিত নির্বাচনী বাজার সভায় অংশ নিয়ে এই কথা বলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। এদিনের এই বাজার সভায় এই ছাড়া উপস্থিত ছিলেন , আর কেপুর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি প্রবীর দাস, পঞ্চায়েত প্রধান অমিতা গোস্বামী সহ ৩ ,৪, ৫ ও ৬ নং বুথের বুথ সভাপতি গন । এই দিনের এই বাজার সভায় ছয় নং বুথের দশ পরিবারের ৩৬ জন ভোটার সিপিআইএম দল ত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন । ভারতীয় জনতা পার্টি দলীয় পতাকা দিয়ে তাদেরকে দলে বরণ করে নেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় সহ বিজেপি মন্ডল নেতৃত্ব ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আগামী ২৬শে এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনের লোকসভা নির্বাচন।এই নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলগুলো এখনও শীতঘুমে থাকলেও শাসক দল বিজেপি প্রচার প্রসার এবং কৌশলগত দিক দিয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা।পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনের ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে আজ কৈলাসহর ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে পৃষ্ঠা প্রমুখ সম্মেলন ও নির্বাচনী সংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি পবিত্র দেবনাথ,রাজ্য কমিটির সদস্য নিতিশ দে এবং রাজ্য কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য তথা ত্রিপুরা ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান মবস্বর আলী,মহিলা মোর্চার মণ্ডল সহ-সভানেত্রী চপলা দেবরায়,রাজ্য সরকারের যুব বিষয়ক ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিঙ্কু রায়,সমবায় দপ্তরের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া,পৃষ্ঠা প্রমুখ স্টেট ইনচার্জ সুবল ভৌমিক এবং স্টেট কো-ইনচার্জ সুভাষ সরকার ও জেলা পৃষ্ঠা প্রমুখ ইনচার্জ সুকান্ত পাল এবং সভাপতিত্ব করেন মন্ডল সভাপতি সিদ্ধার্থ দত্ত।অতিথিদের হাত ধরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় এবং ভারতমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী সভার কাজ শুরু হয়।বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সহ-সভাপতি তথা পৃষ্ঠা প্রমুখ স্টেট ইনচার্জ সুবল ভৌমিক বলেন,ভারতীয় জনতা পার্টিতে সারা রাজ্যে বর্তমানে ৬৬ হাজার ৯৮০ জন পৃষ্ঠা প্রমুখ রয়েছেন।যারা হচ্ছে দলের মূল ভিত্তি।এই পৃষ্ঠা প্রমুখদের কাজের অগ্রগতিতেই ২০১৮ সালে সরকার পরিবর্তন করা সম্ভব হয়।যা সিপিএম দল টেরই পায়নি।এনিয়ে ৩১তম পৃষ্ঠা প্রমুখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে কৈলাসহরে।তিনি বলেন পৃষ্ঠা প্রমুখ যারা রয়েছেন তাদের বাড়িতে কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ না পেলেও বিনা নিমন্ত্রণে পৃষ্টা প্রমুখদের ছুটে যাবার জন্য।পৃষ্ঠা প্রমুখদের পরিবারের কেউ মারা গেলে তাকে সাহায্যের জন্য শ্মশানযাত্রী হতে হবে।কোন পৃষ্ঠা প্রমুখ জমিতে ধান রোপন করেছেন তা কাটার জন্য অন্য পৃষ্ঠা প্রমুখদের এগিয়ে যেতে হবে কিংবা তার যদি ঘর ভেঙ্গে যায় তাহলে অন্য পৃষ্ঠা প্রমুখদের তার পাশে দাঁড়াতে হবে।পৃষ্ঠা প্রমুখরাই যে দলের মূল স্তম্ভ এবং সম্পদ সেকথা বারবার উল্লেখ করেছেন সুবল বাবু।সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বলেন নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব কিভাবে পালন করা হবে তা নিয়ে আজকের আলোচনা। রাজ পরিবারের সদস্যা কৃতি সিং দেববর্মনের সমর্থনে আজকের বৈঠক। এবারের নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী মোদিকে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী করার নির্বাচন। প্রত্যেকটি বুথকে জয়ী করতে হবে।সেক্ষেত্রে বুথ সভাপতির দায়িত্ব থাকবে।বিজেপি, আইপিএফটি ও তিপ্রা মথা দল এখন একসাথে।তাই উনিশের নির্বাচনের চেয়ে এ বছরের নির্বাচনে আরো বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হতে হবে।এক দলের লোক অন্য দলের লোককে খুন করেছে।এখন তারা একসাথে হয়েছে।আমাদের বিশ্বাস প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না।তিনি পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবকে ভোট দেবেন। আজকের বৈঠকের প্রধান বক্তা সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন আমাদের লড়াই ন্যায়ের জন্য।অনেকের জীবন যৌবন শেষ করেছে এই সিপিআইএম ও কংগ্রেস দল। কৈলাসহরের রাজপথ রক্তে লাল করেছে।আজ নিজেদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যাওয়ায় বীরজিৎ,বদরুজ্জামান, বিশ্বরূপ বাবুরা এক মঞ্চে হয়ে এসেছেন।২৫ বছরে আর কে এস পি স্কুলের বিল্ডিং মেরামতি করার জন্য তারা কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। দেওয়ালের পলেস্তারা ভেঙ্গে পড়ে ছাত্রদের মাথা ফাটছে। বীরজিৎ বাবু কুড়ি বছর বিধায়ক ছিলেন বিধানসভায় এই বিষয়ে একটি কথাও বলেননি।জেলাশাসক ও মহকুমা শাসকের অফিস ভেঙ্গে যাচ্ছে সেই বিষয়ে একটি কথা বলেননি। কৈলাসহরের যুব আবাস নেই।উদয়পুরের মাতাবাড়ির পরেই পুণ্য স্থান হচ্ছে ঊনকোটি।ঊনকোটিকে নিয়ে তিনি কোনদিন কোন কথা বলেননি।কমিউনিস্ট দলের নেতারা আর কে আই মাঠে সভা করার জন্য চা শ্রমিকদের নিয়ে এসে মাঠ ভরতেন।অথচ শ্রমিকদের জন্য কিছুই করেননি। শ্রমিকদের মৌলিক চাহিদা টুকু পূরণ করেননি। কমিউনিস্টরা শ্রমিকদের একটি বাড়ি একটি জমি দেয়নি।আমাদের সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর তিন হাজার শ্রমিক পরিবারকে জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে। কমিউনিস্টরা কৃষক সভার নাম করে চাঁদা তুলেছে।অথচ কৃষকদের স্বার্থে কিছু করেনি। সবশেষে রাজনীতিগত দিক দিয়ে কৈলাসহর অভিশাপ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য এই লোকসভা নির্বাচনে গণদেবতারা বিপুল ভোটে প্রার্থী কৃতি সিং কে জয়যুক্ত করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন সকলেই।২০১৯ সালের পাঁচ বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।এই পাঁচ বছরে ভারতীয় জনতা পার্টির সাংগঠনিক ভিত্তি অনেকটাই সমৃদ্ধ হয়েছে।এক্ষেত্রে বিগত লোকসভা এবং সদ্য সমাপ্ত হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় উন্নয়নের নিরিখে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে সিংহভাগ সমর্থন থাকবে বলে আশা করছে দলের শীর্ষ নেতারা।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
লোকসভা ভোটের মুখে কাকড়াবনে বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে গণহারে ভাঙছে বিরোধী দল । এক সময় এই রাজ্যের বুকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল বিগত বাম আমল থেকে শুরু করে ১৯৮৮ জোট আমলে । বর্তমানে এই রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফিরে এসেছে শান্তি এবং সম্প্রীতি । তারই ফলস্বরুপ কাকরাবন বিধানসভার অন্তর্গত কার্য্য মনি ৪২ নং বুথ ও গর্জনমুড়া ১১ নং বুথে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয় । এই দুইটি যোগদান সভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার বলেন , লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে বাম কংগ্রেসের অপজোট মেনে নিতে পারছে না দুই দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ও সমর্থকরা । যার ফলে উন্নয়নের নিরিখে মানুষ একমাত্র বিকল্প হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে । তাই প্রতিদিন কাকড়াবন বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে কংগ্রেস ও সিপিআইএম দল ত্যাগ করে ভোটার থেকে শুরু করে সে সকল দলের কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে । এদিন দুই জায়গায় মোট ৩০ পরিবারের ১০৩ জন ভোটার ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকা তলে সামিল হন । তাদেরকে দলে বরণ করে নেন বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার। এই দুইটি যোগদান সভায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব থেকে শুরু করে মন্ডল নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ উদয়পুর পৌর পরিষদের ২১ নং ওয়ার্ডের ৪৪ নং বুথে ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্যোগে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয় । এই যোগদান সভায় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় কে পুষ্প বৃষ্টি দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এদিন মন্ত্রী ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার , আরকেপুর মন্ডলের প্রভারী গৌতম কর ও ওয়ার্ড কমিশনার মান্নান মিঞা সহ প্রমূখ । এদিনের যোগদান সভায় স্বাগত ভাষণ রাখেন আর কে পুর মন্ডলের গৌতম কর। পরে অর্থমন্ত্রী ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন, আগামী ১৯ এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করতে হবে। সেই সাথে প্রতিটি বুথে কাজ করতে হবে কর্মীদেরকে। মন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন , ২০০৩ এর বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০০৮ এর নির্বাচন এই সোনামুড়া চৌহমুনী এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাস নামিয়ে এনেছিল সিপিআইএম। এক বাড়িতে বিবর্ষ আক্রমণ করা হয়েছিল। অত্যাচারের ঘটনার সাথে যুক্ত তৎকালীন সে বামকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করার পর আদালত তাকে জেলে পাঠিয়েছে। পরবর্তী সময়ে সে অত্যাচারী বাম কর্মী এলাকায় যখন ফিরে আসে তখন তাকে তৎকালীন মাতারবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক ফুলের মালা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছিলেন সেই বাম দলে। বহু অত্যাচারের সাক্ষী তৎকালীন সময় থেকে এই এলাকায় রাজনৈতিক করতে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে তা সম্পূর্ণভাবে আমার অবগত রয়েছে। মন্ত্রী বামেদের বিভিন্ন দুর্নীতি থেকে শুরু করে এলাকায় স্বজন পোষণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানান সিপিআইএমকে। পরবর্তী সময় এদিনের যোগদান সভায় ৩২ পরিবারের ১১৫ জন ভোটার যোগ দেয় ভারতীয় জনতা পার্টিতে । দলীয় পতাকা দিয়ে তাদেরকে দলে বরণ করে নেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। এই যোগদান সভাকে কেন্দ্র করে সোনামুড়া চৌহমুনী এলাকার দলীয় কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায় ।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মোহনপুর বিধানসভা এলাকার তিপ্রা মথা,আইপিএফটি এবং বিজেপির যৌথ সংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয় সোমবার। এদিনের এই সাংগঠনিক সভাতে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবকে বিপুল ভোটে জয়ী করানোর লক্ষ্যে মোহনপুর বিধানসভা এলাকাতে যৌথভাবে সাংগঠনিক কাজ করে যাচ্ছে তিপ্রা মথা, আইপিএফটি ও বিজেপি। এলাকার সিংহভাগ ভোটারদের ভোট বিপ্লব কুমার দেবের ঝুলিতে যাতে পরে সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করছেন দলীয় নেতৃত্ব। এদিন মন্ত্রী রতন লালনাথ তিন দলের স্থানীয় নেতৃত্ব এবং কর্মীদের সাথে নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করলেন। এদিনের এই সভাতে বিজেপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি মোর্চার নেতা রঞ্জিত দেববর্মা, আইপিএফটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন লেফুঙ্গা বিএসির ভাইস চেয়ারম্যান বুদ্ধ দেববর্মা এবং তিপ্রা মথা দলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন টিটিএএডিসির ইএম রুনিয়াল দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।