প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৭ এপ্রিল।। ত্রিপুরার জনজাতিদের আর্থসামাজিক বিকাশ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হচ্ছে। দীর্ঘ সিপিএমের জামানায় বঞ্চনার জাতাঁকলে পিষ্ট ছিল জনজাতিরা। বর্তমানে বিজেপির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার জনজাতিদের বিকাশে কাজ করছে। রবিবার গাবর্দি বাজারে বিজেপির নির্বাচনী সমাবেশে কথাগুলো বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। এদিন গোলাঘাটি বিধানসভার গাবর্দি বাজারে বিজেপির প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে সুবিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, বিধায়ক মানব দেববর্মা, প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা আরও বলেন এই নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের দেশের সুরক্ষা শান্তি উন্নতির জন্য ভোট। এই সুরক্ষা শান্তি উন্নতির গ্যারান্টি একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিতে পারে। কারণ স্বাধীনতার পর কংগ্রেসের নেতৃত্ব দীর্ঘদিন দেশ শাসন করেছে। দেশ জুড়ে অশান্তি ছিল। সন্ত্রাসবাদ ছিল। দুর্নীতি ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাস মুক্ত দুর্নীতিমুক্ত বৈভবশালী ভারত গড়ার কাজ করছে। ভারতের অখন্ডতার জন্য লড়াই করতে গিয়ে আত্মবলিদান দিয়েছিল ড: শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি। ড: মুখার্জির স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। রামমন্দির প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে তিন তালাক বাতিল ইত্যাদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তর পূর্ব ভারতের বিকাশে জোর দিয়েছে সরকার। ত্রিপুরার সাত জন জনজাতি সুনাগরিক পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। রাজ্যে ২১ টি একলব্য বিদ্যালয় হয়েছে। আধুনিক বিমান বন্দর হয়েছে। মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের নামে নামাঙ্কিত হয়েছে বিমান বন্দর। সাব্রুম পর্যন্ত রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা হয়েছে। অর্থাৎ জাতি জনজাতি সকলের উন্নয়নে একের পর এক সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। একসময় সিপিএম জনজাতিদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করেছে। আর বিজেপির সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশ নীতিতে অন্তিম ব্যক্তির কাছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে। বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন দীর্ঘদিন ধরে গরিব জনজাতিদের অত্যাচার শোষণ করেছে সিপিএম। ২৫ বছরে গাবর্দি এলাকায় রাজনীতির হানাহানি করেছে। সাধারণ মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এবার এদের উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে। আগামী ১৯ এপ্রিল সিপিএম কংগ্রেসকে উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে। বুথে বুথে জামানত জব্দ করতে হবে। বিধায়ক মানব দেববর্মা বলেন ২৫ বছর কোন কাজ করেনি বলেই এখন মানুষের কাছে ভোট চাইতে লজ্জা পাচ্ছে সিপিএম। এদের পায়ের তলায় জমি নেই। তাই কংগ্রেসের সঙ্গ ধরেছে। এ-সব করে কোন লাভ হবে না।
75
next post