প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৮ এপ্রিল।। একই দিনে বিশালগড়ে ৪৮৩ ভোটার সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। বিশালগড়ের নদীলাগ মূলত বামদুর্গ হিসাবে পরিচিত। ২০১৮ সালে সেখানে প্রচার করতে পারেনি বিজেপির প্রার্থী। ২০২৩ সালেও বামেদের সঙ্গে ছিল নদীলাগ। এবার ভাঙন ধরেছে তথাকথিত লালদুর্গে। লোকসভা নির্বাচনে বামগ্রেস প্রার্থীকে মেনে নিতে পারছেনা তারা। তাই এবার নতুন দিশায় হাঁটতে চলছে নদীলাগ। বিশেষ করে বিধায়ক সুশান্ত দেবের কাজে খুশি তারা। তাছাড়া বিজেপির সবকা সাথ সবকা বিকাশ নীতিতে নদীলাগ এলাকায় ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। তাই এবার সরাসরি উন্নয়নের শিবিরে মিশে যেতে চাইছে তারা। সোমবার ২৩৩ ভোটার সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাদের বরন করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন উন্নয়ন আমাদের মূল লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আবাসন প্রকল্পের ঘর থেকে শুরু করে সকল সরকারি প্রকল্পের সুবিধা রাম রহিম বিচার করে দেয়া হয়নি। একসময় সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দল সিপিএমের নেতারা সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করেছে। ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করেছে। সিপিএমের ফাঁদে কেউ পা দেবেন না। সিপিএম উন্নয়ন বিরোধী। ওরা রাষ্ট্রের মঙ্গল চায়না। কাজেই আর ভুল সিদ্ধান্ত নেবেন না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখতে। উন্নত ভারত গড়ার সংকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই নদীলাগের সব ভোট নরেন্দ্র মোদিকে দেয়ার আবেদন জানান তিনি। অন্যদিকে এদিন বিশালগড় বিধানসভার ধ্বজনগরে ২৫০ জন ভোটার সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। নবাগতদের বরণ করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। ধ্বজনগর এবং নদীলাগ এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সিপিএমের সঙ্গে ছিল। গত দুই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হলেও ধ্বজনগর এবং নদীলাগ হাঁটে উল্টো পথে। এবারের লোকসভা নির্বাচনের মুখে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। সেখানকার সংখ্যালঘুরা দলে দলে ভিড়ছে বিজেপিতে।
রাজনীতি
বাড়ি বাড়ি প্রচারে যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রে পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী মহারানী কীর্তি সিং দেববর্মা।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
৫৫ বাগ বাসা বিধানসভা কেন্দ্রের কমিউনিটি হলে একটি সাংগঠনিক বৈঠক সম্পন্ন করে পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী মহারানী কীর্তি সিং দেববর্মা সোজা চলে আসেন যুবরাজ নগর বিধানসভা কেন্দ্রের হাফলং এর চিন্তা লোহার ভবনে। সেখানে এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থীর সাথে সঙ্গী হিসেবে ছিলেন যুব কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী টিংকু রায়, প্রদেশ ওবিসি মোর্চার সহানেত্রী মলিনা দেবনাথ, উত্তর জেলা বিজেপির সভাপতি কাজল দাস সহ জেলার এবং মন্ডলের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীবৃন্দ। হাফলং চিন্তা লোহার ভবনে সাংগঠনিক বৈঠকের পর হাফলংয়ের চা বাগানের ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিলিত হন পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী এবং মানুষের সম্মতি ক্রমে মোদীজির স্টিকার বিতরণ করেন। মন্ত্রী টিংকু রায় জানান শনিবার ধর্মনগর যেভাবে জনটল পরিলক্ষিত হয় তাতে বিজেপি এই আসনে যে বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করছে তার নিশ্চিত। তবে ব্যবধানটা আরো কত বেশি বাড়ানো যায় তাই হচ্ছে আমাদের মূল্ উদ্দেশ্য। শুধুমাত্র ধর্মনগর নয় যুবরাজনগর এর ক্ষেত্রেও ব্যবধানটা যাতে আরো বেড়ে যায় তার জন্য পার্টি কার্যকর্তারা মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে। এখানেও নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নই হচ্ছে এই লোকসভা নির্বাচনে ভোটের মূল ইস্যু। সবাইকে দলে দলে ভোট প্রদান করে বিজেপির জয়ের ব্যবধানটা আরো বাড়িয়ে তুলতে মন্ত্রী সবাইকে আহ্বান জানান।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
আগামী দিনে রাজ্যে উন্নয়নের প্রবাহ ধরে রাখতে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করতে হবে । প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি ত্রিপুরাসহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন । তাই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে গণদেবতার কাছে প্রতিদিন আহ্বান রাখছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। একই সাথে দেশকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম আর্থিক শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে । তার জন্য কেন্দ্রে শক্তিশালী সরকার প্রয়োজন । প্রতিদিন নিজ রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কখনো বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক অভিযান , আবার কখনো পথসভা , কখনো আবার ছোট ছোট আকারে জনসভা । প্রতিদিন সকাল থেকে রাত রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারে খামতি রাখতে চাইছে না অর্থমন্ত্রী। যত ভোটের দিন এগিয়ে আসছে সামনের দিকে তত তেজি বাড়ছে প্রচারে । একের পর এক প্রচার অভিযানকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা এক প্রকার অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ এর কাছে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে । বিরোধীরা কোনভাবেই প্রচারে নিজেদেরকে ধরে রাখতে পারছে না । শনিবার সকালে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবকে পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার লক্ষ্যে রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১৭ এবং ১৮ নং বুথে নির্বাচনী প্রচার করেন তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। এদিন প্রচারে বের হয়ে গণদেবতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদী ভারতের জনগণের সেবক। ১৪০ কোটি জনগনের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে নরেন্দ্র মোদিকে। তাই মোদি কা গ্যারান্টি-র উপর ভরসা রাখুন । যেভাবে তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় প্রচারের দিনের পর দিন ঝড় তুলতে শুরু করেছে নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে তাতে করে এক প্রকার চিন্তার ভাঁজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- রাজ্য একটা সময় জাতি জনজাতির মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি করেছে বামফ্রন্ট । উন্নয়নের নাম করে আত্মসাৎ করেছে বহু টাকা । কখনো পাহাড়ি এলাকায় উন্নয়ন পৌঁছে দেয়নি বামেরা। শুধুমাত্র নিজেদের রাজনীতির লাভের অংক চিন্তা করে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময় জনজাতি ভোটারদের দিয়ে রাজনীতি করে গিয়েছে। রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস অস্থির পরিস্থিতির মাধ্যমে উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল । তাদের অপশাসনের দরুন অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে গিয়েছিল ত্রিপুরা । কিন্তু ২০১৮ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর এগিয়েছে পাহাড়। কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন সময় তাদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পাঠিয়েছেন বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা পরিদর্শন করার জন্য। সে সমস্ত রিপোর্ট রাজ্যে এবং কেন্দ্রে জমা পড়েছে। কিভাবে তাদেরকে উন্নত করা যায়। সেসব বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করেছে প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে গণদেবতাদের কাছে বাড়ি বাড়ি জনসম্পর্ক অভিযানের মধ্য দিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বললেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া । যেভাবে প্রতিদিন কখনো গভীর জঙ্গলের মধ্য দিয়ে আবার কখনো পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন জনজাতি পরিবারের মধ্যে মিশে গিয়ে দলীয় প্রচার করে চলেছেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া তাতে করে কিল্লা এলাকার বিভিন্ন জনজাতি এলাকায় বামেদের সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়েছে। মানুষ বিকাশমুখী সরকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। রাজ্যে যে উন্নয়ন করেছে বর্তমানে বিজেপি সরকার তা কখনো গত ২৫ বছরে এই পাহাড় বাসী দেখেনি । কৃষি যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পরিষেবা ,রাস্তাঘাট বিদ্যুৎ ,পানীয় জল ও বেকারদের বিভিন্ন কর্মসংস্থান করে দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে এবার বর্তমান বিজেপি সরকার রাজ্যের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করার কারণে বর্তমানে প্রতিদিন এই লোকসভা ভোটের মুখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ত্যাগ করে শাসক দলে যোগ দিচ্ছে ভোটাররা । এমনটাই মনে পড়ছে বাগমার সচেতন রাজনৈতিক মহল ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-ভারতীয় মজদুর সংঘের গোমতী জেলার উদ্যোগ উদয়পুর মহকুমার অন্তর্গত মহারানী হাসপাতাল চৌমুহনীতে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয় । এই পথ সভায় উপস্থিত ছিলেন , ভারতীয় মজদুর সংঘের গোমতী জেলা সভাপতি গৌতম দাস ,টিআর কে এস এর উদয়পুর মহকুমার সাধারণ সম্পাদক অনুপ সরকার , বিএম এস এর রাজ্য মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দ্বিগবিজয় ভাওয়াল , টি আরকেএসএর মহারানী ইউনিটের সভাপতি ফরিদ আহমেদ ও অটো মজদুর সংঘের জেলা সম্পাদক প্রদীপ মজুমদার সহ প্রমুখ । এদিনের পথ সভায় জেলা সভাপতি গৌতম দাস ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন , বিগত দিনে বামেরা কর্মচারীদেরকে যখনই মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করার ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত যখন নেওয়া হতো তখনই সমিতি অফিসে চাঁদা দেওয়ার জন্য নির্দেশ চলে আসতো । এছাড়া বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মচারী সমর্থককে সেই সময় বহুদূরান্তে বদলি করা হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে এই ধরনের কোন নির্দেশিকা বর্তমান সরকার এখনো পর্যন্ত দেয়নি শান্তিপূর্ণভাবেই কর্মচারীরা তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে কাজ করে চলেছে। ভারতীয় মজদুর সংঘ কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে সরকারের সাথে বিভিন্ন সময় বৈঠক করে থাকে । আগামী দিনে ১৯ এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব কে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য এদিন আহ্বান রাখেন বিএমএস-র জেলা সভাপতি গৌতম দাস সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। এদিন ভারতীয় মজদুর সংঘের উদ্যোগে মহারানী হাসপাতাল চৌহমুনীতে যে পথসভা করা হয়েছে তাতে কর্মচারী থেকে শুরু করে বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক ভীড় লক্ষ্য করা যায় ।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া :- আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাইমাভ্যালী মন্ডলে ভারতীয় জনতা পার্টির একের পর এক বুথ অফিস উদ্বোধন চলছে। শনিবার ৬ এপ্রিল ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন রাইমাভ্যালীতে বেশ কিছু বুথ অফিস উদ্বোধন হয়। এর মধ্যে একটি নারায়ণপুর মগ পাড়ার ৪১ নং বুথ। ফিতা কেটে বুথ অফিস ঘরের শুভ উদ্বোধন করেন রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা। সেখানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এস.সি মোর্চা সভাপতি অতীত চন্দ্র দাস, শক্তি কেন্দ্রের কনভেনার অভিজিৎ রুদ্র পাল, বুথ সভাপতি সি. মগ, প্রবীণ দলীয় নেতৃত্ব প্রেম কুমার ত্রিপুরা প্রমুখরা। বুথ অফিস উদ্বোধন শেষে মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা জানান পার্টির গাইডলাইন মেনে রাইমাভ্যালী মন্ডলের ৭০ টি বুথেই একের পর এক বুথ অফিস উদ্বোধন করা হচ্ছে। মন্ডল সভাপতি আরো জানান আগামী ২৬ শে এপ্রিল পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মা এই এলাকা থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন এই আশা ব্যক্ত করেন মন্ডল সভাপতি। দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে কর্মীরা গোটা রাইমাভ্যালী এলাকা জুড়ে জোরালো ভাবে প্রচার অভিযান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান রাইমাভ্যালীতে ভারতীয় জনতা পার্টি ছাড়া অন্য কোন দলের প্রার্থীর প্রচার চোখে দেখা যাচ্ছে না। এদিন বুথ অফিস উদ্বোধন ঘিরে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে দারুন সারা লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-উদয়পুর মহকুমার অন্তর্গত টি আরকেএস বাগমা সাব ইউনিটের উদ্যোগে শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় বাগমা কমিউনিটি হল ঘরে । রবিবার দুপুর বারোটায় শুরু হয় আলোচনা সভা। সভার শুরুতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন বিএম এসএর এর জেলা সভাপতি গৌতম দাস। এছাড়া আলোচনা সভায় অংশ নেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া , টিআরকে এস এর বাগমা ইউনিটের সভাপতি পার্থ মজুমদার , বিএমএস এর মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দ্বিগবিজয় ভাওয়াল সহ প্রমূখ । এই দিনের আলোচনা সভায় বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন , বাম আমলে কর্মচারীদের কে দিয়ে মিছিল এবং বিভিন্ন সমাবেশ করানো হতো অফিস সময়ে । কিন্তু বর্তমানে রাষ্ট্রবাদী সরকার এই রাজ্যে আসার পর কোন ধরনের অফিস ফাঁকি দিয়ে কোন সভা অথবা বৈঠক করা হয় না। এছাড়া কর্মচারীদেরকে পঁচিশ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিয়েছে বর্তমান সরকার। এই রাজ্যে এক অভূতপূর্ব উন্নয়নের দিকগুলি সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কর্মচারীদের ভূমিকা অনেকটাই বড়। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে সমস্ত অংশের কর্মচারীদের এক ছাতার তলে আসার জন্য আহ্বান রাখেন বিধায়ক। এই দিনের আলোচনা সভায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও বিহারের আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব কে তীব্র আক্রমণ করেন বিধায়ক রাম পদ জমাতিয়া। একই সাথে এদিন সন্ধ্যা রাতে বিএম এসের উদ্যোগে হদ্রায় ব্যাপক প্রচার করেন টিআরকেএস নেতৃত্বরা । এই দিনের বৈঠকে টিআরকে এস এর শিক্ষক কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল সাড়া জাগানো ।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৭ এপ্রিল।। ত্রিপুরার জনজাতিদের আর্থসামাজিক বিকাশ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হচ্ছে। দীর্ঘ সিপিএমের জামানায় বঞ্চনার জাতাঁকলে পিষ্ট ছিল জনজাতিরা। বর্তমানে বিজেপির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার জনজাতিদের বিকাশে কাজ করছে। রবিবার গাবর্দি বাজারে বিজেপির নির্বাচনী সমাবেশে কথাগুলো বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। এদিন গোলাঘাটি বিধানসভার গাবর্দি বাজারে বিজেপির প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে সুবিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, বিধায়ক মানব দেববর্মা, প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা আরও বলেন এই নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের দেশের সুরক্ষা শান্তি উন্নতির জন্য ভোট। এই সুরক্ষা শান্তি উন্নতির গ্যারান্টি একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিতে পারে। কারণ স্বাধীনতার পর কংগ্রেসের নেতৃত্ব দীর্ঘদিন দেশ শাসন করেছে। দেশ জুড়ে অশান্তি ছিল। সন্ত্রাসবাদ ছিল। দুর্নীতি ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাস মুক্ত দুর্নীতিমুক্ত বৈভবশালী ভারত গড়ার কাজ করছে। ভারতের অখন্ডতার জন্য লড়াই করতে গিয়ে আত্মবলিদান দিয়েছিল ড: শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি। ড: মুখার্জির স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। রামমন্দির প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে তিন তালাক বাতিল ইত্যাদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তর পূর্ব ভারতের বিকাশে জোর দিয়েছে সরকার। ত্রিপুরার সাত জন জনজাতি সুনাগরিক পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। রাজ্যে ২১ টি একলব্য বিদ্যালয় হয়েছে। আধুনিক বিমান বন্দর হয়েছে। মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের নামে নামাঙ্কিত হয়েছে বিমান বন্দর। সাব্রুম পর্যন্ত রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা হয়েছে। অর্থাৎ জাতি জনজাতি সকলের উন্নয়নে একের পর এক সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। একসময় সিপিএম জনজাতিদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করেছে। আর বিজেপির সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশ নীতিতে অন্তিম ব্যক্তির কাছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে। বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন দীর্ঘদিন ধরে গরিব জনজাতিদের অত্যাচার শোষণ করেছে সিপিএম। ২৫ বছরে গাবর্দি এলাকায় রাজনীতির হানাহানি করেছে। সাধারণ মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এবার এদের উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে। আগামী ১৯ এপ্রিল সিপিএম কংগ্রেসকে উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে। বুথে বুথে জামানত জব্দ করতে হবে। বিধায়ক মানব দেববর্মা বলেন ২৫ বছর কোন কাজ করেনি বলেই এখন মানুষের কাছে ভোট চাইতে লজ্জা পাচ্ছে সিপিএম। এদের পায়ের তলায় জমি নেই। তাই কংগ্রেসের সঙ্গ ধরেছে। এ-সব করে কোন লাভ হবে না।
প্রতিনিধি, উদয়পুর:-
রাধা কিশোরপুর বিধানসভা এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভোট প্রচারে ঝড় তুলেছে অর্থমন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায়। বিধানসভা এলাকার প্রত্যন্ত জনপদ গুলিতে প্রচারে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে বলে জানিয়েছে দলীয় কর্মী সমর্থকরা । শুক্রবার সকালে রাধাকিশোরপুর বিধানসভার অন্তর্গত রাজারবাগ ৩৪ নং বুথে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করলেন অর্থমন্ত্রী । রাজারবাগ এলাকার উন্নয়ন সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করেছেন সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে । রাধা কিশোরপুর বিধানসভা এলাকায় আরো কি কি উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণ করা যায় সেই বিষয়েও মতামত সংগ্রহ করেছেন সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে । এই দিন এলাকায় খোদ রাজ্যের অর্থমন্ত্রীকে দেখতে পেয়ে সাধারণ নাগরিকরা উল্লাসিত হয়ে পড়েন । রীতিমতো বাড়ি বাড়ি অর্থমন্ত্রীকে বরণ করে নিয়েছেন আমজনতা । একই সাথে রাজনৈতিক মহলের ধারণা , একদিকে যেমন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবকে জেতানোর জন্য প্রচার অভিযান চলছে অন্যদিকে একটু বিধানসভার রাজনীতির প্রচারক একই সাথে সেরে ফেলছে দলীয় কর্মী সমর্থকরা । একটা সময় শহরবাসী মনে করছে বিধানসভা ভোটের প্রচারে যেন বের হচ্ছে দলীয় কর্মীরা এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উদয়পুরে রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে পড়ছে আগামী দিনে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে বিপ্লব কুমার দেব বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছে উদয়পুর বাসী।
বার চারশো পার এই স্লোগানকে সামনে রেখে যুব মোর্চার উদ্দ্যোগে জোলাইবাড়ীতে সাইকেল রেলি ।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি: আসন্ন লোকসভানির্বাচনে পূর্বত্রিপুরা আসনে বিজেপি, আই পি এফ টি ও তিপ্রামথা দলের জোটের মনোনিত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করারলক্ষ্যে কাজকরেযাচ্ছে ৩৮ জোলাইবাড়ী মন্ডল বিজেপি। এরইমধ্যে শুক্রবার জোলাইবাড়ী মন্ডলে বিজেপি, আই পি এফ টি ও তিপ্রামথা দলের নির্বাচনী কার্যালয়ের শুভসূচনা করাহয়। এইকার্যালয় থেকে তিনদল একত্রিতহয়ে পূর্ব ত্রিপুরা আসনের প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মনের সমর্থনে কাজকরবে। নির্বাচনী কার্যালয়ের দলীয় পতাকা উত্তোলন করলেন মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াং। ফিতাকেটে নবনির্মিত কার্যালয়ের শুভসূচনা করলেন যুবমোর্চার প্রদেশ সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব ও মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া। নির্বাচনী কার্যালয় উদ্ভোধনশেষে বিজেপি, আই পি এফ টি ও তিপ্রামথা দলের কর্মীসমর্থকদের নিয়ে অনুষ্ঠীত হয় এক সাইকেল রেলি। জোলাইবাড়ী বাইপাসথেকে রেলিটি শুরুহয়ে বাজারের বিভিন্নপথ পরিক্রমা করে পুনরায় বাইপাসে এসে সমাপ্তিহয়। আজকের এই সমগ্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া, যুবমোর্চার প্রদেশ সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব, মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াং, যুবমোর্চার মন্ডল সভাপতি কেশব চৌঁধুরী, যুবমোর্চার মন্ডলের জেনারেলসেক্রেটারী রাজীব বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা। আজকের এই কর্মসূচীর কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে জানালেন মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া। যুবমোর্চার উদ্দ্যোগে আয়োজিত আজকের এই রেলিতে উপস্থিত লোজনদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্যকরাযায়।