ধর্মনগর প্রতিনিধি। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে কিষান মোর্চা মন্ডল ভিত্তিক সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছে। আজ ঊনকোটি জেলার পেচারতল মন্ডল ও কুমারঘাট মন্ডলে কিষান মোর্চার পূর্ণাঙ্গ মণ্ডল কমিটি কে নিয়ে দুটি সংগঠনিক সভা হয়। প্রথম সভাটি হয় পেচারথল কমিউনিটি হলে। উপস্থিত ছিলেন কিষান মোর্চা প্রদেশ সভাপতি শ্রী প্রদীপ বরণ রায় সাধারণ সম্পাদক শ্রী বীরেন্দ্র কুমার দাস ঊনকোটি জেলা বিজেপি সভাপতি শ্রী পবিত্র কুমার নাথ বিজেপি পেচারথল মন্ডল সভাপতি শ্রী আশুতোষ ধর এবং কিষান মোর্চা মন্ডল কমিটির পূর্ণাঙ্গ সদস্যবৃন্দ। সেখানে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে কিষান মোর্চা পেচারথল মন্ডল কমিটি সকল সদস্য নিজ নিজ গ্রামে তৎপরতা শুরু করবেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান অতিথির ভাষণে প্রদেশ সভাপতি শ্রী প্রদীপ বরণ রায় বলেন মোদিজির শাসনকালে সবচাইতে বেশি লাভবান হয়েছেন দেশের কৃষক ও মহিলাগণ। লাভার্থিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ করার জন্য স্থানীয় নেতৃত্ব গণকে তিনি পরামর্শ দেন। দ্বিতীয় সাংগঠনিক সভাটি হয় পাবিয়াছড়া মন্ডল অফিসে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক তথা পাবিয়াছড়ার বিধায়ক শ্রী ভগবান চন্দ্র দাস কিষান মোর্চা প্রদেশ সভাপতি শ্রী প্রদীপ বরণ রায় বিজেপি উনকোটি জেলা সভাপতি শ্রী পবিত্র নাথ, কিষান মোর্চা প্রদেশ সহ-সভাপতি আব্দুল গফুর প্রদেশ সদস্য শ্রী সুব্রত ঘোষ কিষান মোর্চা জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্রী মিলন কান্তি দে, বিজেপি পাবিয়াছড়া মন্ডল সভাপতি শ্রী কার্তিক দাস সহ মন্ডল নেতৃত্ব। প্রধান অতিথির ভাষণে পাবিয়া ছড়ার বিধায়ক তথা বিজেপি প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক শ্রী ভগবান চন্দ্র দাস কিষান মোর্চাকে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রত্যেক গ্রামে কৃষকের সাথে জনসংযোগ করার জন্য পরামর্শ দেন। তিনি বলেন বিজেপি শাসনকালে সব চাইতে বেশি উপকৃত হয়েছেন রাজ্যের কৃষকগণ কিষান সম্মান নিধি ফসলবিমা যোজনা, কেসিসি, কৃষি যন্ত্রপাতি, বিভিন্ন প্রকার বীজ কৃষক গণ পেয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে কিষান মোর্চার মণ্ডলভিত্তিক এই তৎপরতার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
রাজনীতি
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-সারা ভারতবর্ষ জুড়ে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন । এখনো পর্যন্ত তিন দফায় নির্বাচন শেষ হয়েছে । লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি লোকসভা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি প্রতিটি বিজেপি মনোনীত প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করে চলেছেন । ইতিমধ্যেই দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে ত্রিপুরার বিভিন্ন মন্ত্রী বিধায়করা পশ্চিমবঙ্গ লোকসভার ৪২ টি আসনের জন্য নির্বাচনী প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন । শনিবার সন্ধ্যায় ১৪ বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের উপস্থিতিতে বনগাঁ দক্ষিণ মন্ডল ২ এর রামপুর সরকার পাড়া এলাকাতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয় । এই সভায় ত্রিপুরার মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অভিষেক দেবরায় প্রধান বক্তা হিসাবে অংশ নেন । সভায় ভাষণ রাতে গিয়ে বিজেপি বিধায়ক অভিষেক দেবরায় বলেন , পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে । এছাড়া সরকারি কর্মচারীরা পাচ্ছে না মহার্ঘ ভাতা । আন্দোলন করছে প্রতিনিয়ত । এছাড়া প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা পর্যন্ত বিধায়ক থেকে মন্ত্রী সকলের কাছে কাটমানি চলে যাচ্ছে বিভিন্ন উন্নয়নের কাজের টাকা থেকে । শুধু তাই নয় , খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক থেকে শুরু করে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ তার বান্ধবী বর্তমানে দুর্নীতির দায়ে জেলে রয়েছে । মন্ত্রীদের ঘরে থেকে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা । শুধু তাই নয় , গরু পাচার থেকে শুরু করে কয়লা পাচার এই সকল কাজের সাথে যে সকল সমাজ দ্রোহীরা জড়িত তারাও কাট মানি দিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্বদেরকে । বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে ঠাকুর পরিবারে একটি সুনাম রয়েছে । এই লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল নেতৃত্ব মমতা বালা ঠাকুর কোন উন্নয়ন করেনি এলাকার জন্য । তাই বর্তমান দেশের বিজেপি সরকার চলছে গোটা লোকসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে মানুষের আশীর্বাদে জয়ী করার জন্য । এবার ও লোকসভা নির্বাচনে উন্নয়নকে সামনে রেখে এবং পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে দুর্নীতি হয়েছে সেই দুর্নীতিকে শেষ করার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীকে বিপুল ভোটে যেন জয়লাভ করে তার আহ্বান রাখেন অভিষেক দেবরায় । এদিনের সভা কে কেন্দ্র করে বিজেপি দলীয় কর্মীদের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ফোটামাটি বাজারে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি নতুন বাজার সেড তৈরি করার জন্য । বিগত সরকারের আমল থেকে ব্যবসায়ীদের এই দাবি উঠে আসছিল । কিন্তু কখনো গ্রাম পঞ্চায়েতে হোক অথবা সেই সময় বাম বিধায়ক কোন জনপ্রতিনিধি ব্যবসায়ীদের কথা ভাবেনি। এর ফলে টিনের ছাউনির নীচে শীত , গ্রীষ্ম ও বর্ষার মধ্যে তাদের ছোটখাটো ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছে। দেখতে দেখতে বহু বছর কেটে গিয়েছে কিন্তু সমস্যা সমাধানের জন্য সামনের দিক থেকে কোনো জনপ্রতিনিধি এগিয়ে না আসার ফলে এবার সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রামপদ জমাতিয়ার কাছে ব্যবসায়ীরা দাবি তুলে তাদেরকে একটি পাকা সেড ঘর নির্মাণ করে দিতে হবে । ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে এবার বিধায়ক পাকা সেড ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন । কাজের গুণগতমান সঠিক রয়েছে কিনা এবং কতটুকু কাজ সম্পন্ন হয়েছে সেসব বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য বুধবার দুপুরে ফোঁটা মাটি বাজার পরিদর্শন করেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া। বর্তমান সরকারের বিধায়কের এই ধরনের উন্নয়নের ফলে খুশি ব্যবসায়ী মহল ।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। অর্থমন্ত্রী আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রার্থী অরূপ কান্তি দিগার সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলেছেন । সোমবার থেকে বুধবার টানা তিন দিন জনসভা থেকে শুরু করে পথসভা ও রোড শো করেন অর্থমন্ত্রী । বুধবার তারকেশ্বর বিধানসভার তারকেশ্বর টাউন ১ নং মন্ডলের অন্তর্গত ২ নং ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি ভোট প্রচারে বের হন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। ভোট প্রচারে বের হয়ে তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি তুলে ধরেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী তীব্র আক্রমণ শোনান পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারকে । পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে যেভাবে সিন্ডিকেট রাজ থেকে শুরু করে তোলাবাজি সহ রেশন দুর্নীতি বেড়ে চলেছে এই নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। এছাড়া যেভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দল তথা বিজেপি কর্মীদেরকে ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে এই নিয়েও তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেউ আক্রমণ করতে ছাড়েননি অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। এদিন নির্বাচনী প্রচারে যেভাবে বাড়ি বাড়ি ভোট প্রচারে সারা পেয়েছেন তাতে করে বিজেপি প্রার্থী আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে অনায়াসে জয় লাভ করতে পারবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী। নির্বাচনী প্রচারে সকাল থেকে দুপুর এবং সন্ধ্যায় একদিকে যেমন প্রচার চলছে অন্যদিকে দলীয় বৈঠকেও জোর দিয়েছেন সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে । মহিলা মোর্চা থেকে শুরু করে যুব মোর্চা এবং অন্যান্য মন্ডলের নেতৃত্বেরাও একের পর এক সভা করে চলেছেন অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে । মন্ত্রী নিজেও প্রচারে খামতি রাখতে নারাজ । অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মীরাও ত্রিপুরার অর্থমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে একদিকে যেমন প্রচার শুরু করেছেন অন্যদিকে দলীয় সংগঠনকে কিভাবে আরো শক্তিশালী করা যায় সেই বিষয়েও নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা সেরে নিচ্ছেন। সবমিলিয়ে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী অরূপ কান্তি দিগার নির্বাচনী প্রচার ব্যাপকভাবে জমা উঠেছে বলে মনে করছে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের রাজনৈতিক মহল ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-প্রতিদিন উদয়পুর মহকুমা জুড়ে ছোট বড় গাড়ি দুর্ঘটনা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রতিদিন এক ভয়ের পরিবেশ বিরাজ করে। রবিবার দুপুরে বিজেপির গোমতী জেলা কমিটির অন্যতম সম্পাদক উমাকান্ত বিশ্বাস দলীয় কাজে কাকরাবন যাওয়ার পথে বাইকের সাথে যাত্রীবাহী বাসের সংঘাত ঘটে । এর ফলে দুর্ঘটনা কবলে পড়ে উমাকান্ত বিশ্বাস । দুর্ঘটনার পর পথ চলতি সাধারণ জনগণ বিষয়টি দেখতে পেয়ে খবর দেয় বলে জানা যায় স্থানীয় সূত্রে। দমকল কর্মীরা গোমতী জেলা টেপানিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসা করানোর জন্য । পরে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কাকরাবন কেন্দ্রের বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার দলীয় কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান উমাকান্ত বিশ্বাসকে দেখার জন্য । কথা বলেন চিকিৎসকদের সাথে । পরে বিধায়ক জানান , বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রয়েছে ।
প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া।৩রা মে।বিজেপি যূবমোর্চা ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির সিদ্ধান্ত ক্রমে তেলিয়ামুড়া মণ্ডল এবং তেলিয়ামুড়া যুবমোর্চার যৌথ উদ্যোগে সাপ্তাহ ব্যাপী একগুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়, এরই অঙ্গ হিসেবে শুক্রবার বৃক্ষরোপণ ও পথচারীদের মধ্যে ঠান্ডা পানীয় বিতরণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয় তেলিয়ামুড়ায় । এদিন প্রথমে তেলিয়ামুড়া বিদ্যাসাগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ করাহয়। এবং এর পর তেলিয়ামুড়া বাজারের পথ চলতি সাধারণ মানুষ এবং ছোট বড় ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাট করতে আসা মানুষের মধ্যে ঠান্ডা পানীয় বিতরণ করা হয়। এই দুটি সামাজিক কাজে উপিস্থিত ছিলেন বিজেপি প্রদেশ যুব মোর্চার সভাপতি তথা রাজ্য বিধানসভার বিধায়ক সুশান্ত দেব তেলিয়ামুড়া যবমোর্চার মন্ডল সভাপতি কিংকর দেবনাথ, তেলিয়ামুড়া মন্ডল সহ-সভাপতি নীতিন কুমার সাহা, বিজেপি মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক নন্দন রায় গোপাল ব্রহ্ম, প্রজেশ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য মন্ডল এবং যুব মোর্চার নেতৃবৃন্দরা । এদিনের এই দুইটি কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন, বিজেপি দল এবং যুব মোর্চা অন্যান্য রাজনৈতিক দল বা যুব সংঘটনের চেয়ে আলাদা নিতি আদর্শে বিশ্বাসী। মানুষের সেবা করাই এই সংঘটনের মূল লক্ষ। মানুষের সুখে দুঃখের সাথি হয়ে কাজ করে এই সংঘটন। তিব্র গরমে সাধারণ মানুষকে একটু শস্তি দিতে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য আজকের এই কর্মসূচী। এধরণের কাজে সমাজের সকল অংশের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এদিনের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যুব মোর্চার কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-গ্রীষ্মের এই তাপদাহের অসহ্য গরমে তৃষ্ণার্ত মানুষের পাশে ভারতের জনতা পার্টির কার্যকর্তাদের নিয়ে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়।এই গ্ৰীষ্মে অসহ্য তাপপ্রবাহ সৃষ্টি হয়েছে । পথ চলতি মানুষ তৃষ্ণার্ত। এই অবস্থায় গত কয়েকদিন ধরে ভারতীয় জনতা পার্টির আর কে পুর বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন অংশে ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তাদের নিয়ে মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় জলছত্রের আয়োজন করেছেন। বুধবার গোমতী জেলা হাসপাতাল সংলগ্ন টেপানিয়া রাস্তার মাথায় যাত্রী বিশ্রামাগারে স্থানীয় বুথ কমিটি গুলি, পঞ্চায়েত এবং জেলা আই টি সেলকে নিয়ে এক জলছত্রের আয়োজন করা হয়। অর্থমন্ত্রী নিজেএই জলছত্রে উপস্থিত থেকে বাসযাত্রী, পথচারী এবং অপেক্ষমান যাত্রীদের হাতে পানীয় এবং ফল তুলে দিয়ে তিনি সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন। পাশাপাশি যতদিন এই তাপপ্রবাহ চলবে ততদিন এই বিধানসভা কেন্দ্রের সর্বত্র এই ধরনের জলছত্র চালিয়ে যেতে কার্যকর্তাদের নির্দেশ দেন।এই জলসত্রে মাননীয় মন্ত্রী শ্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় মহাশয়ের সঙ্গে গোমতী জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্রী দেবল দেবরায়, টেপানিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন শ্রীমতি ঝর্ণা দাস, জেলা আই টি সেলের আহ্বায়ক শ্রী গোবিন্দ ব্রহ্ম, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানগণ, বুথ সভাপতিগণ সহ স্থানীয় কার্যকর্তাগণ উপস্থিত থেকে পথচলতি মানুষের হাতে জল ও কাটা ফল তুলে দেন।
অসহিষ্ণ গরম যন্ত্রণা থেকে সাধারণ মানুষকে খানিকটা স্বস্তি দিতে পথে নামলো যুব মোর্চার এবং বিজেপি খোয়াই জেলা কমিটির নেতৃত্বেগণ।
সংস্কৃতির শহর খোয়াই এর নৃপেন চক্রবর্তী এভিনিউ এলাকায় সোমবার দুপুর ১ ঘটিকায় যুব মোর্চার খোয়াই শহরের কিছু উদ্যমী যুবকদের উদ্যোগে পথচারীদের তীব্র দাবদাহ থেকে স্বস্তি দিতে যুব মোর্চা ত্রিপুরা রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক সুশান্ত দেবের অনুপ্রেরণায় আয়োজিত হয় এক জলছত্র কর্মসূচি। এদিনের এই জলছত্র কর্মসূচি খোয়াই শহরের প্রাণকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হওয়ায় পথচারীদের অনেকটাই স্বস্তি মিলে। সেখানে ঠান্ডা পানিও হিসেবে শরবত ও তরমুজ বিতরণ করা হয়। এদিনের এই জলছত্র অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা যুব মোর্চা । তাদের এই উদ্যোগের পাশে দাঁড়ান ভারতীয় জনতা পার্টি খোয়াই জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাস, খোয়াই মণ্ডল সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ নাগ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ পরিমল দেবনাথ । এদিন খোয়াই জেলা সাধারণ সম্পাদক বলেন গ্রীষ্মের প্রখর দাবদহ থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে যুব মোর্চার ছেলেদের এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। পথ চলতি মানুষ, গাড়ির চালক, রিকশাচালক, পায়ে হাটা পথচারী, বিভিন্ন দূরপাল্লার গাড়ি , লরিচালক তারা সাদরে এসে এই ঠান্ডা পানীয় গ্রহণ করে, তাতে করে তারা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয় । তিনি আরো বলেন শুধুমাত্র যুব মোর্চা নয় এই গ্রীষ্মে র প্রখর দাবদাহ থেকে মানুষদের একটু স্বস্তি দিতে যাতে অন্যান্য সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও যেন এগিয়ে আসে। এদিনের এই যুব মোর্চার সামাজিক কর্মসূচিকে ঘিরে কার্যকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়।
প্রতিনিধি কমলাসাগর :-প্রতিনিয়ত রাজ্যের মধ্যে তাপমাত্রা বেরিয়ে চলেছে, গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী। সকাল থেকে রাত অব্দি গরমে রাজ্যের জনগণ নাজেহাল অবস্থা তারমধ্যে অনেক মানুষ শারীরিক অসুস্থতা বোধ করছে তা একমাত্র দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে চত্বরে। হাসপাতালে প্রতিনিয়ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলছে। এই গরম থেকে পথ চলতি মানুষদের তৃষ্ণা মেটাতে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে যুব মোর্চার উদ্যোগে নানান পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার এই অঙ্গ হিসেবে
কমলাসাগর যুব মোর্চার উদ্যোগে মধুপুর বাজারে পথ চলতি মানুষদের মধ্যে ঠান্ডা পানীয় জল ও শরবত বিতরণ করেন। প্রখর রৌদ্র ও দাবদাহ গরমের মধ্যে পথ চলতি মানুষ সহ সাধারণ মানুষ যখন গরমে অতিষ্ঠ। তারই মধ্যে কমলাসাগর যুব মোর্চার কার্যকর্তাগণ পথ চলতি মানুষদের শরবত ও ঠান্ডা পানীয় জল পান করার মধ্যে দিয়ে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। পখর গরমে কাজের সন্ধানে ও নিত্যদিনের কাজকর্ম করার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে গন্তব্যস্থলে আসা যাওয়া করছে। দাবদহ গরম কেও উপেক্ষা করে মানুষ নিজেদের নিত্যদিনের কাজকর্ম অব্যাহত রাখছে। তাই কমলাসাগর যুব মোর্চা পথ চলতি মানুষদের শরবত ও ঠান্ডা পানীয় জলের গরম থেকে মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা। পানীয় জল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপাহী জেলার জেলা যুব মোর্চা সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সাহা উপস্থিত ছিলেন কমলাসাগর মন্ডল যুব মোর্চার সদস্য বিজয় দাস ও বাপন পাল, সহ কমলাসাগর যুব মোর্চার কার্যকরতাগণ।
লোকসভার দ্বিতীয় পর্যায়ের উপজাতি সংরক্ষিত পূর্ব ত্রিপুরা আসনের ভোট গ্রহণ পর্ব।
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সম্পন্ন হল অষ্টাদশ লোকসভার দ্বিতীয় পর্যায়ের উপজাতি সংরক্ষিত পূর্ব ত্রিপুরা আসনের ভোট গ্রহণ পর্ব। এই দিন উৎসবের মেজাজে খোয়াই জেলার ৩০৭ টি ভোটকেন্দ্রে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন গণদেবতারা। নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে সকাল থেকে অধিকাংশ বুথে ছিল ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। ভোট কেন্দ্র গুলিতে ছিল কঠুর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শাসকদল এবং বিরোধী দলের সমর্থকরা একই চায়ের দোকানে বসে হাসি ঠাট্টা করতে দেখা যায় এই দিন । ২৫ খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্রের ২১ নং বুথে ভোটদানের মাধ্যমে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন সিপিআইএম বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস। ২৫ এর ২৮ নং বুথে ভোট দান করেন বিজেপি খোয়াই মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার। ৪২ নং বুথে ভোট দান করেন বিজেপি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাস। ৩৭নং বুথে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন খোয়াই এর বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অভিজিৎ দত্ত ভৌমিক এবং অনিমেষ নাগ। রাজ্য সরকারের বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা আশারাম বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের তুলা শিখর জামটিলা উচ্চতর বিদ্যালয়ে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন। রামচন্দ্র ঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা বেলছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে ভোট দান করেন। তবে ভোটের দিন সাত সকালে দুন্দুমার কান্ড ঘটে যায় ২৫ খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্রের ১৪ নং পোলিং স্টেশনে। ভোট দান করতে গিয়ে ভীমরুলের আক্রমনে গুরুতরভাবে আহত হন বেশ কিছু ভোটার। এদের মধ্যে ৮ জনকে উদ্ধার করে খোয়াই দমকল বাহিনীর কর্মীরা নিয়ে আসে খোয়াই জেলা হাসপাতালে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন খোয়াই জেলা হাসপাতালে। উক্ত ঘটনা ব্যতীত খোয়াই জেলার সার্বিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ এবং নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। তবে দুপুরের পর তীব্র দাবদাহের ফলে ভোট কেন্দ্র গুলিতে ভোটারদের লাইনে খানিকটা ভাটার টান পড়ে। অবশ্য রৌদ্রের কিরন খানিকটা কমতেই ভোটারদের ভিড় পুনরায় পরিলক্ষিত হয়। ভোটকে কেন্দ্র করে কোথাও কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। জেলার ভোটারগন স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটদানে অংশগ্রহণ করায় তাদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন খোয়াই জেলাশাসক তথা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক চাঁদনী চন্দ্রন। এই দিন ২৪ রামচন্দ্র ঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে ৭৩.১৪ শতাংশ। ২৫ খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৮৫. ৫২ শতাংশ এবং 26 আশারাম বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের হার ৭২. ১৩ শতাংশ।