নিজস্ব প্রতিনিধি , মজলিশপুর :- রক্তদান জীবন বাঁচায়। আসুন আমরা রক্তদান নিয়ে সচেতনতা বাড়িয়ে তুলি এবং রক্তের প্রয়োজন আছে এমন ব্যক্তিরা যাতে সময়মত সুলভে উৎকৃষ্ট রক্ত পান তা সুনিশ্চিত করি। স্বেচ্ছায় রক্তদান একটি মানবিক দায়বদ্ধতা ও সামাজিক অঙ্গীকার। রক্তদান মহৎ দানও বটে। নিজের রক্ত দিয়ে অন্যের জীবন বাঁচানো এক মহৎ কাজ। রবিবার দুপুরে মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের জিরানিয়া পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত বড়জলা বীণাপানি বিদ্যালয় পরিসরে ১০-মজলিশপুর মন্ডলের বিজেপির জনজাতি মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত এক স্বেচ্ছায় মহতি রক্তদান শিবিরে উপস্থিত থেকে মঙ্গলদ্বীপ প্রজ্জ্বলিত করে এই রক্তদান শিবিরের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করার পর কথাগুলি বললেন মজলিশপুর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, মানবিক কার্যকলাপে অনুপ্রেরণা,উৎসাহ উৎসাহ জোগানো এবং উদ্যোগী হওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য হতে হবে। এর ফলে আগামী দিনে মানুষের দূর্ভোগ অনেক কম করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, বেসরকারী সংগঠন এবং সাধারণ মানুষের কাছে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান, এর ফলে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক গুলিতে জরুরি প্রয়োজনে রক্তের মজুতের পরিমান সঠিক মাত্রায় বজায় থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।স্বেচ্ছায় রক্তদানকারিদের উৎসাহ দিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, মানুষের জীবন বাঁচানো মনুষ্যত্বের একটি বড় দিক। যে কোনো সুস্থ ব্যক্তি ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত রক্তদান করতে পারেন। বছরে চার বার রক্তদান করলে সুস্থ থাকা যায় বলে তিনি জানান। তিনি বলেন রক্তদান করলে রক্তদান কারীরাও অনেক রকম ভাবে সুস্থ থাকতে পারেন। রক্তদান করলে,হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে,পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন,কোলস্টরেলের মাত্রা কম হয়, তাতে মেদবহুলতা কমে। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী রক্তদান শিবির গুলিতে গিয়ে রাজ্যবাসীকে স্বেচ্ছায় রক্তদান করার জন্য অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর আহবানে আজ বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের পক্ষ থেকে রক্তদান শিবিরে আয়োজন উৎসবে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মজলিশপুর মন্ডল থেকে ৫০০ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করার। এই কর্মসূচির সূচনা হয়েছে গত কয়েকদিন আগে। এরই অঙ্গ হিসেবে আজকে জনজাতি মোর্চার উদ্যোগে চলছে রক্তদান শিবির। এতে উৎসাহিত এলাকার যুবকরা ও মহিলারা বলে জানান তিনি। পরে মন্ত্রী রক্তদান শিবির পরিদর্শন করে রক্তদাতাদের উৎসাহিত করেন। তিনি আজকের এই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত সকল রক্তদাতাদের তাঁদের এই মহতী সেবামূলক কাজ ও মানসিকতার সাধুবাদ জানিয়ে সকলের সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন। আজকের এই রক্তদান শিবিরে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মজলিশপুর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ, জনজাতি মোর্চার মন্ডল সভাপতি সুধন দেববর্মা।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- দিনমজুর শ্রমিকের অসহায় ভাবে দিন কাটছে প্রতিটা সময় । বর্তমানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রয়েছেন তিনি। আজ উদয়পুর পশ্চিম খিলপাড়া নানুয়া দিঘীরপাড় ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলমগীর সরকারের করুন কাহিনী চিত্র তুলে ধরা হয়েছে । এক সময়ের দিনমজুর আজ আলমগীর হোসেন আমাদের সংবাদ প্রতিনিধিকে জানান একটা সময় রিক্সা চালিয়ে সংসার প্রতিপালন করেছেন । বর্তমানে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর। অসুস্থ হওয়ার পর থেকে সংসার প্রতিপালন করা সম্ভব হচ্ছে না । খিলপাড়া এলাকার গ্রামবাসীরা সাহায্য হিসেবে যতটুকু খাবার দিচ্ছে সেটাই তাদের একমাত্র জীবন জীবিকার সম্বল হয়ে দাঁড়িয়েছে । সরকার থেকে একটি সরকারি ঘর দেওয়া হয়েছে । কিন্তু আর্থিক অনটনের ফলে সেই ঘরটি তৈরী করা সম্ভব হচ্ছে না । শুধুমাত্র বিপিএল কার্ড একটি রয়েছে। এছাড়া কোন ধরনের সরকারি সাহায্য কপালে জোটেনি । বড় ছেলে দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত। কিন্তু কোন ধরনের গৃহ শিক্ষক নেই। তার কারণ হিসেবে আলমগীর সরকার যারা অর্থের অভাবে শিক্ষক রেখে পড়াশুনা করে ছেলেকে ভালো ছাত্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পাঠানো হয়েছে তার মেয়ে। সব মিলিয়ে চারজনের সংসারে অভাব যেন পিছু ছাড়তে নারাজ । বর্তমানে কর্মহীন আলমগীর সরকার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহার কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। রাজ্য সরকার যেন আলমগীরের ছেলে-মেয়েকে পড়াশুনার খরচ ও আর্থিক সাহায্য করে । তাহলে তার ছেলে মেয়েটি ভালো মানুষ হয়ে উঠবে । বর্তমানে চোখের জল ও এক আর্থিক অনটন তার পরিবারে ঘন কালো মেঘের ছায়ায় হিসেবে ঘিরে ধরেছে । যা খুবই করুনাদায়ক হয়ে উঠেছে বর্তমান সমাজের জন্য । এখন দেখা রাজ্য সরকার ও স্থানীয় পঞ্চায়েত কি ভূমিকা গ্রহণ করে সে দিকে তাকিয়ে আলমগীর সরকারের গোটা পরিবার ।
৮ ই জুন শনিবার ফটিকরায় বিধানসভাদিন মশাউলি রাতাছড়া নিলেশ্বর মুখার্জি নাট মন্দির প্রাঙ্গনে নিখিল বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরী মহাসভার আঞ্চলিক কমিটির সহযোগিতায় এক আনন্দ ঘন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ বছর মশাউলি রাতাচড়া এলাকার যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে তাদের মধ্যে ২২ জন ছাত্র-ছাত্রীকে কলম খাতা এবং শংসাপত্র দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয় উক্ত অনুষ্ঠানের মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন শ্রী মানিক্য সিনহা গোকুল সেনা সিনহা, সুখেন্দু বিকাশ সিনহা, রাজেন সিনহা রাজু সিনহা ,দেবেন সিনহা, সুখেন সিনহা, স্বপন সিনহা ,জয়ন্ত সিনহা, স হ স্তানিয় উদ্যোক্তরা
এদিনের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিখিল বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী মহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর কেডি শাস্ত্রী , ছাড়া ও কমলপুর নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপারসন প্রশান্ত সিনহা, সমাজসেবী নীলকান্ত সিনহা , সমাজসেবি রানা সিনহা , ডক্টর সুশান্ত সিনহা ,পরিতোষ সিনহা নির্মল সিনহা সহ অন্যান্য অতিথি বিন্দরা সবায় অতিথীরা বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বিকাশের কথা মাথায় রেখে ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান পাশাপাশি শিক্ষা ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না শিক্ষা হলো সমাজের মেরুদন্ড এবং এ বছর যারা মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষায় ভালো ফল করেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানান , এবং যারা এবছর পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারেনি তারাও আগামী দিনে পড়াশোনায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান।অনুষ্ঠানের শেষে অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপট গুলি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন নিখিল বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরী মহাসভার রাজ্য সহ-সভাপতি মানিক্য সিনহা।এদিনে অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ছাত্রছাত্রী ও এলাকার অভিভাবকদের মধ্যে বেশ সাড়া লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া।৮ই জুন।বর্ষা মৌসুমে ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব রুখতে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। মুংগিয়াকামি ব্লকের আঠারোমুড়া, এডিসি ভিলেজের অধীন বিভিন্ন এলাকায় প্রতি বছরই এই সময়ে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখাযায়। বিগত কয়েক বছর এর তুলনায় এবছর এত বেশী এখনো হয়নি। তবে কিছু কিছু এলাকায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন হওয়ার খবর আসছে । বিশেষ করে আঠারোমুড়া, বিলাইহাম, নোনা ছড়া, কাকরাছড়া, ৪১ মাইল, ৪৩ মাইল, ৪৭ মাইল ইত্যাদি অঞ্চলেই এর প্রকোপ লক্ষ করাযায়। যদিও এবছর এখন পর্যন্ত কোন জীবন হানী ঘটার খবর নেই। তবে এসব এলাকার গিরিবাসীরা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের খবর রয়েছে। মুংগিয়াকামি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী জানাযায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর অনেকটাই কম রয়েছে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জানাযায় সাধারণত পাহাড় অঞ্চলের মশার কারনেই বেশি আক্রান্ত হয়। এবছর সময় থাকতে এর প্রতিকার হিসেবে সরকারি ভাবে উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় প্রত্যেকটি এলাকায় মশার প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিশেষ ধরনের মিশারি বিতরণ করাহয়। এর পাশাপাশি আশা কর্মিরা প্রতিনিয়ত খোজ খবর নিচ্ছে বলে জানান মুংগিয়াকামি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক চিকিৎসক ডঃ হিল্লি দেববর্মা । অন্যদিকে আশাকর্মি জয়লক্ষ্মি দেববর্মা জানান বাড়িবাড়ি রক্ত পরিক্ষা করে যে সকল রোগিদের ম্যালেরিয়া সনাক্ত হয় তাদের জন্য নিজ বাড়িতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এছাড়াও যাদের অবস্থা গুরুতর তাদের হাসপাতালে এনে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়াহয়। এবছর এখন পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ্য হয়েছে বলেও তিনি জানান। এদের মধ্যে ৪৩ মাইল ৪১ মাইল এলাকার মানুষের সংখ্যাই বেশি। তবে নিয়মিত স্বাস্থ্য শিবির করা হলে আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও কম হবে
কৃতি ছাত্রকে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কৃতি সংবর্ধনা দেওয়া হয় ।
ধর্মনগর …. শুক্রবার সকাল ১১ টায় ধর্মনগর নর্থ পয়েন্ট টুয়েল্ভ ক্লাস স্কুলের ছাত্র ঋষভ চন্দ ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক পরীক্ষায় নবম স্থান অধিকার করায় কৃতি ছাত্রকে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কৃতি সংবর্ধনা দেওয়া হয় । কৃতি সংবর্ধনা জ্ঞাপন কালে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রিজিওনাল ম্যানেজার প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী , মারকেটিং ম্যানেজার অনুপম দেব নর্থ, ধর্মনগর রাজবাড়ী গ্রামীন ব্যাঙ্ক শাখার ম্যানেজার পঙ্কজ মালাকার । উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শশাঙ্ক শেখর দাস । নর্থ পয়েন্ট টুয়েল্ভ ক্লাস স্কুল এর ট্রাস্ট এর পক্ষে উপস্থিত ছিলে ভাইস চেয়ারম্যান দেবব্রত চক্রবর্তী , সেক্রেটারি দেবময় ভট্টাচার্য ,কোষাধ্যক্ষ রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় ,একাডেমিক ডাইরেক্টর দীপঙ্কর গুপ্ত ।এছাড়াও বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারী সকলেই উপস্থিত ছিলেন । সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের শুরুতে বিদ্যালয় এর অধ্যক্ষ শশাঙ্ক শেখর দাস ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আগত অতিথিদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং বিদ্যালয়ের কৃতি সন্তান ঋষভ চন্দকে অভিনন্দন জানান, তৎসঙ্গে বিদ্যালয়ের সার্বিক সাফল্য এবং বিগত দিনে এই বিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র-ছাত্রী এবং যারা বোর্ডের পরীক্ষায় প্রথম দশে স্থান করেছে তাদের প্রশঙ তুলে ধরেন। এরপর ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষে রেজিওনাল ম্যানেজার প্রসেনজিত চক্রবর্তী তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তাদের এরূপ উদ্যোগের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন উত্তর, ঊনকোটি ও ধোলাই সহ এই তিনটি জেলার মধ্যে একমাত্র ঋষভ চন্দ প্রথম দশে স্থান করে নেওয়ায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত উৎসাহিত হয়ে ঋষভ চন্দকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য তারা এগিয়ে এসেছেন । তারা ঋষভ চন্দের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন এবং ঋষভ চন্দের চলার পথ যেন আরো মসৃণ হয় এবং সে যেন নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে সেই উদ্দেশ্যে রিজওনাল ম্যানেজার ঋষভ চন্দ্রের সামনে অনেক দিক নির্দেশক অভিমত তুলে ধরেন । সংক্ষিপ্ত আলোচনা রাখেন মার্কেটিং ম্যানেজার অনুপম দেব । বিদ্যালয়ের সম্পাদক দেবময় ভট্টাচার্য সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ঋষভ চন্দের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করেন এবং বিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ রাহুল বন্দোপাধ্যায় তার সংক্ষিপ্ত আলোচনার মধ্য দিয়ে ঋষভ চন্দকে অভিনন্দন জানান। উপস্থিত সকলেই ঋষভ চন্দকে অভিনন্দনের পাশাপাশি উপস্থিত ঋষভ চন্দের বাবা রামানুজ চন্দ এবং মা শিল্পী চন্দকেও তাদের এই কৃতি সন্তানের অবদানের জন্য অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।
ধর্মনগর প্রতিনিধি : পানিসাগর মহকুমার পেকুছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘটনা এখনো সরগরম রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে। ৬ জুন তৃতীয় নোটিশ হওয়ার পর ৭ জুন অর্থাৎ শুক্রবার এলাকাবাসীরা ডেপুটেশন দিল জেলা বন আধিকারিক সুমন মল্লর কাছে। এলাকাবাসীর বক্তব্য বন দপ্তরের আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে সমান ব্যবস্থা প্রয়োগ করতে হবে। এই এলাকায় ৩৬ টি পরিবার জাইকা প্রজেক্টের জায়গা দখল করে দীর্ঘ পাঁচ ছয় বছর যাবৎ বসবাস করছে। তাদের নামে ও নোটিশ করা হয়েছিল কিন্তু তারা নোটিশের জবাব দেয়নি। গত একমাস যাবত কাঞ্চনপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে যে ৩০ থেকে ৩৫টি পরিবার এসে অস্থায়ীভাবে জায়গা দখল করে আছে তাদেরকে পরপর তিনটি নোটিশ বন দপ্তর থেকে ধরিয়ে দেওয়া হল এবং গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তৃতীয় নোটিশ ছয় জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর মাইক সহযোগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদেরকে উচ্ছে দ করা হবে। কিন্তু এলাকাবাসীর বক্তব্য হলো উচ্ছেদ করা হলে পূর্বের যে ৩৬ টি পরিবার রয়েছে তাদেরও একই সাথে উচ্ছেদ করতে হবে। না হলে কেউ ই এই এলাকা ছাড়বে না। এমনকি আরক্ষা দপ্তরের সহযোগিতায় এই এলাকা ছাড়া দুর্ভ্যাদ্য হয়ে দাঁড়াবে। কারণ সরকারি নিয়ম সবার ক্ষেত্রে একই রকম। যারা পাঁচ বছর আগে এসেছে এবং বনদপ্তরের জায়গা দখল করেছে তাদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম ইদানিং কাঞ্চনপুরের বিভিন্ন মহকুমা থেকে আসা ৩০-৩৫ টি পরিবারের ক্ষেত্রে ও এই নিয়ম কার্যকর হতে বাধ্য। তা নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীরা উত্তর জেলার বন আধিকারিক সুমন মল্লর কাছে এক ডেপোটেশন দেয়। সম্পূর্ণ ব্যাপারটি এখন দাঁড়াচ্ছে মানবিকতার নিদর্শন হিসেবে কি সিদ্ধান্ত হয় তাই দেখার।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ২০২২ সালের ১৪ই জুন ‘অগ্নিপথ’ নামে একটি প্রকল্প চালু করার ঘোষণা করেছিলেন।এই প্রকল্পের অধীনে যুবকদের চার বছরের জন্য সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। অগ্নিপথ যোজনা ২০২২ এর অধীনে নির্বাচিত যুবকদের বলা হবে ‘অগ্নিবীর’। ১৭ থেকে ১৮ অর্থাৎ টিনেইজার যারা বিভিন্ন ড্রাগসের নেশায় আক্রান্ত হয়ে গেছে এবং যে সমস্ত যুবকরা নিজেদের সঠিক পথে পরিচালনা করতে ব্যর্থ তাদেরকে অগ্নিবির তৈরি করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাধানগর আসাম রাইফেল। কৈলা শহর এবং কুমারঘাট মহকুমার অন্তর্গত প্রায় ৩০ জন যুবক যুবতি কে প্রায় একমাস ব্যাপী তাদেরকে প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন আসাম রাইফেলসের অফিসার এবং সৈনিকরা। যাতে করে শৃঙ্খলা এবং ভারত মায়ের প্রতি নিজেকে সমর্পণ করার ভাবনায় তাদেরকে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। রাধানগর আসাম রাইফেল স ক্যাম্পের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে যে সমস্ত যুবক-যুবতীরা চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন তাদের কাছে সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণের উপযুক্ত একটি মাধ্যম হচ্ছে অগ্নিবির যোজনার মাধ্যমে নিজেদের তৈরি করতে বিনামূল্যে এই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণ করার জন্য। যাতে করে এই জেলা তথা রাজ্য এবং দেশের জন্য কাজ করতে পারবে। তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণের চিন্তা করেই রাধানগর আসাম রাইফেল ক্যাম্প এ ধরনের উদ্যোগ জারি রেখেছে। যাতে করে যুবক যুবতীরা কেন্দ্রীয় সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার সুযোগ লাভ করতে পারে।
প্রায় ২ ঘন্টা প্রমিলারা রাস্তা অবরোধ করে রাখল ধর্মনগর পুরো পরিষদ এলাকায়।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। বিদ্যুৎ নিয়ে গোলযোগ রাজ্যের একটি নিত্যদিনের ঘটনা। ধর্মনগর উত্তর ত্রিপুরা জেলা সদর এর বাইরে নেই। দক্ষিণ নয়াপাড়া অর্থাৎ ধর্মনগর পুরো পরিষদের 12 নং ওয়ার্ডে প্রমিলা বাহিনী রাস্তায় নেমে পড়ে শুক্রবার সন্ধ্যায়। তাদের দাবি প্রায় দুই ঘন্টা যাবত রাস্তা অবরোধ করার পর বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের আশ্বাসে রাস্তা অবরোধ মুক্ত হয়। শহরের প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত দক্ষিণ নয়াপাড়া দীর্ঘ ৩ বছর যাবত বিদ্যুতের সমস্যায় ভুগছে। যখন তখন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে আসতে আসতে কখন আসবে তার কোন ঠিক নেই। তার ওপর রয়েছে বর্ষাকালের কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি। কিছু হলে ওই বিদ্যুতের কর্মীরা তাদের সংযোগ ঠিক থাকে না বলে বাহানা দেয়। আজ এলাকার প্রায় শখানেক মহিলা এবং পুরুষরা রাস্তায় নেমে রাস্তা অবরোধ করে ফেলে। প্রায় দুই ঘন্টা রাস্তা দীননাথ নারায়নী বিদ্যামন্দির রোডে অবরোধের পর বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা এসে আশ্বাস দেন যে আজকে রাত্রে কোন মত কাটিয়ে নিলে কাল সকালে এলাকায় নতুন ট্রান্সফরমার বসিয়ে সংযোগ দেওয়া হবে। তখন আর এই সমস্যায় ভুগতে হবে না। দপ্তর কর্মীদের এই আশ্বাসে রাস্তা অবরোধ মুক্ত হয় বলে জানা যায়।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৬ জুন।। বিশালগড় মহকুমা আইন সেবা কতৃপক্ষের উদ্যোগে আইনি সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামীণ এলাকার নাগরিকদের সচেতন করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে আইন সেবা কতৃপক্ষ। বিশালগড় মহকুমার গোপীনগর পঞ্চায়েতে অনুষ্ঠিত হয় আইনি সচেতনতা শিবিরে। উপস্থিত ছিলেন গ্রাম প্রধান সঞ্জু নম:, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা মলিনা চৌধুরী প্রমুখ। শিবিরে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। বক্তব্য রাখেন আইনজীবী নাদিয়া আক্তার । পরিবেশ সুরক্ষা আইন এবং জল সংরক্ষণ বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। পরিবেশ রক্ষায় গৃহীত আইনি বিষয় তুলে ধরেন। বৃক্ষ নিধন সহ পরিবেশ দূষণ অপকর্মের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গুলো তুলে ধরেন। জলের অপচয় রোধ করে জল সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
হেলমেট বিহীন মদমত্ত অবস্থায় দ্রুত গতিতে বাইক চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার স্বীকার হয় পুলিশের কনস্টেবল রাজিব। ফেলে দে নিজের পিস্তল।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি :ঘটনার বিবরনে জানাযায় বীরচন্দ্র মনু ও কলসী এডিসি ভিলেজের এম ডি সি সঞ্জীব রিয়াং এর দেহরক্ষী রাজিব দেবনাথ মদমত্ত অবস্থায় তান্ডব চালাতেগিয়ে দুর্ঘটনার স্বীকার হয়। জানাযায় দেহরক্ষী রাজীব দেবনাথ প্রতিনিয়ত এইভাবে মদমত্ত অবস্থায় থাকে এমনটাই অভিযোগ। আজকের দিনেও মদমত্ত অবস্থায় বাইকনিয়ে বীরচন্দ্র মনু বাজারে তান্ডব চালাতেগিয়ে বাজারে শনি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনার স্বীকার হয়। পরবর্তীসময় স্থানীয় লোকজনেরা ঘটনাস্থলথেকে দেহরক্ষীকে জঙ্গলথেকে উঠিয়ে আনলে সে পুনরায় বাইকনিয়ে চলেযাবার পথে বীরচন্দ্রমনু জোনাল অফিস সংলগ্ন এলাকায় পুনরায় দুর্ঘটনার স্বীকারহয় বলে জানান স্থানীয়রা। জানাযায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি বিদ্যুৎতের খুঁটিতেগিয়ে সজোরে ধাক্কাদেয়। এতেকরে দেহরক্ষী রাজীব দেবনাথের পা ভেঙ্গে যায় বলে জানায় স্থানীয়রা। দুর্ঘটাগ্রস্থ অবস্থায় উর সঙ্গে সার্ভিস রিভলবার ছিলো বলে জানাযায়। এইনিয়ে সকলের মনে প্রশ্ন জাগছে সে কি ডিউটি অবস্থায় সুরাপান করে এইধরনের তান্ডব চালাচ্ছে। আজকের দিনে দেহরক্ষীর ডিউটি নাথকলে তবে উর সাথে কেন সার্ভিস রিভলবার রাখাহয়েছে। এইনিয়ে প্রশ্ন করছে সাধারন লোকজনেরা। দুর্ঘটনার খবরপেয়ে মনপাথর ফাঁড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিতহয়ে আহত দেহরক্ষীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসারজন্য নিয়েযায়। এখন দেখার বিষয় দেহরক্ষীর এইধরনের তান্ডবের বিরুদ্ধে দপ্তর কিপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহনকরে।