প্রতিনিধি মোহনপুর:- গোপন খবরের ভিত্তিতে আগে থেকেই উৎপেতে বসে অবৈধ গাঁজা এবং এসকফ সহ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতে নারায়ণপুর এলাকা থেকে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডল। পুলিশের কাছে আগেই খবর ছিল এই এলাকাতে নেশা সামগ্রী সাপ্লাই করতে আসছে দুই যুবক। সেই মোতাবেক আগে থেকেই নারায়ণপুর এলাকায় অবস্থান করছিল এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের কাছ থেকে ১২ কিলো অবৈধ গাঁজা এবং ২০ বোতল এসকফ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার অভিযুক্তদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। গোটা বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়ায় শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি। এই নেশাচক্রের পেছনে আরো কার কার নাম জড়িত রয়েছে সে বিষয়টিও খুঁজে বার করার কাজ শুরু করেছে তদন্তকারী পুলিশ।
অপরাধ
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
শনিবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ মাধবী দাস। তার তার ঘরে কিছুই নেই ,এমনকি মোবাইল পর্যন্ত নেই, নিয়ে গেছে চোরের দল। ঘটনায় জানা যায় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ মাধুরী দাস যাদের অন্যের উপরে জীবন যাপন সে একটা বাড়ি বানিয়েছে ধর্মনগর রেলগেট সংলগ্ন সিগন্যাল বস্তিতে। গতকাল তার ঘরে চোরের দল হানা দিয়েছে এ খবর পেয়ে সে আগরতলা থেকে ট্রেনে দুইটা নাগাদ ধর্মনগর আসে। এসে সরাসরি তার ঘরে একজনকে নিয়ে প্রবেশ করে এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। কয়েকদিনের জন্য মাধুরী আগরতলা গিয়েছিল কিন্তু খবর আসে তার ঘরে চোরের দল হানা দিয়েছে। তার ঘরে যা যা রয়েছে সর্বস্ব তোলপাড় করে এমনকি মোবাইল অলংকার সর্বস্ব নিয়ে গেছে চোরের দল। শনিবার সে এসে ধর্মনগর থানায় একটি ডায়েরি করে এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। তার কথায় তাদের জীবন হচ্ছে মানুষের করুণার উপর নির্ভরশীল এই করুণার ওপর নির্ভরশীল জীবনে যদি কেউ চুরি করে সর্বস্ব নিয়ে যায় তার আর সারা জীবনের কিছুই থাকে না। একই রাতে চোরের দল হানা দেয় কলেজ রোড শুভদীপ নাথের দোকানে। সেখানে টিন কেটে দোকানের ভিতর প্রবেশ করে মূলত নগদ টাকা তার কাছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো ছিল সেই টাকা নিয়ে পালায়। সে ধর্মনগর থানায় সম্পূর্ণ ঘটনা জানিয়েছে এবং ধর্মনগর থানা থেকে একদল পুলিশ সম্পূর্ণ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে এসেছেন। একের পর এক ধর্মনগরের চুরি হচ্ছে আর পুলিশ বাবুরা পর্যবেক্ষণ করে দায় সারা কাজ করছেন বলে অভিযোগ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে আগরতলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা বহিঃরাজ্যে পাচারের সময় অসম চুরাইবাড়ি ওয়াচপোস্টের পুলিশের হাতে আটক গাঁজা সহ চালক। যদিও আগরতলা থেকে চুরাইবাড়ি পর্যন্ত জাতীয় সড়কের উপর অবস্থিত এতগুলো থানায় তল্লাশি করা হলেও গাঁজা আটক করতে সক্ষম হয় নি ত্রিপুরার রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত পুলিশ। নামকাওয়াস্তে তল্লাশি করে নিজেদের দায়িত্ব খালাস করছে পুলিশ।
অপরদিকে অসম পুলিশের ধারাবাহিক সফলতায় বারবার ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে ত্রিপুরা পুলিশের। ত্রিপুরা পুলিশ যেখানে তল্লাশি করেও গাঁজা আটক করতে পারেনি সেখানে অসম পুলিশের নিকট আগে থেকেই গোপন খবর পৌঁছে যায়।আজ শনিবার একইভাবে আগরতলা থেকে HP17E-9474 নম্বরের একটি বারো চাকার ট্রাক গাড়ি বিহারের গাজীপুর যাওয়ার উদ্দেশে ত্রিপুরা সীমান্ত পেরিয়ে অসম চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোস্টের নাকা গেটে আসে। অপরদিকে, ইনচার্জ প্রনব মিলি দলবল নিয়ে আগে থেকেই ওৎ পেতে বসে থাকেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ গাড়িটি আসতেই সেটি আটক করে তল্লাশি চালিয়ে খালি বস্তার মাঝে থাকা গোপন কেবিন থেকে এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা গুলো জব্দ করা হয়।ছোট বড়ো বিরানব্বই পেকেটে মোট আটশো ছয় কেজি শুকনো গাঁজা জব্দ করা হয়।যার কালোবাজারি মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বলে জানান ইনচার্জ মিলি।
এদিকে গাড়ির চালক অমিত কুমারকে(পিতা পিয়ারী লাল) আটক করা হয়েছে।তার বাড়ি হিমাচল প্রদেশের মাজরা থানার পদ্দুনী গ্ৰামে।সে জানায়, তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে সে গাঁজা গুলো বিহার নিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশ তার বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনে মামলা রুজু করেছে এবং আগামীকাল করিমগঞ্জ সিজেএম আদালতে সোপর্দ করা হবে।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া :- পার্বত্য রাজ্য ত্রিপুরা থেকে বিপুল পরিমাণে গাঁজা বহিরাজ্যে পাচার হচ্ছে। রেল পথের সাথে পাল্লা দিয়ে সড়ক পথে শুকনো গাঁজা পাচার করা হচ্ছে। ইদানিং কালে পুরুষদের সঙ্গে মহিলারাও পাচার বাণিজ্যে হাত পাঁকা করছে। একদিকে যেমন নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার শ্লোগান কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নেশা কারবারিরা তাদের পাচার বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে – অন্যদিকে রাজ্য পুলিশও হাত গুটিয়ে বসে নেই। প্রতিনিয়ত রাজ্যের বিভিন্ন থানায় প্রতিদিন – গাঁজা সহ বিভিন্ন নেশা সামগ্রী আটক তারই প্রমাণ। আমবাসা থানা এলাকায় জাতিয় সড়কে দুটি নাকা পয়েন্ট রয়েছে। একটি বেত বাগান এলাকায়, অন্যটি উপনগর এলাকায়। আগরতলা থেকে আমবাসা হয়ে বহিরাজ্যে আসা যাওয়ার সময় উপনগর এবং বেত বাগান এলাকায় ছোট বড় সমস্ত গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। মঙ্গলবার দুই নাকা পয়েন্ট এ কর্মরত থাকা পুলিশ এবং এসপিও দের যৌথ অভিযানে ফের আট লক্ষাধিক টাকার শুকনো গাঁজা সহ চালককে আটক করে। শুধু তাই না বর্তমানে নেশা কারবারিরা আগরতলা গন্ডাছড়া ভায়া আমবাসা সড়ক নেশা সামগ্রী পাচারের উদ্দেশ্যে বেঁছে নিয়েছে। গত শনিবার গন্ডাছড়া আমবাসা সড়কের হরিণছড়া এলাকায় ১৬ লক্ষাধিক টাকার গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এরপর মঙ্গলবার আমবাসা উপনগর নাকা পয়েন্টে আট লক্ষাধিক টাকার গাঁজা উদ্ধার করা হয়।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এদিন গণ্ডাছড়া হয়ে বহিরাজ্যের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পথে আমবাসায় জাতীয় সড়ক উপনগর নাঁকা পয়েন্টে ধরা পরে গাঁজা বোঝাই একটি বিলাসবহুল গাড়ি। ডবলু বি, ০২ এ এইচ, ৩১৭২ নম্বরের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নাকা পয়েন্ট এর পুলিশ কর্মীরা শুকনো গাঁজা উদ্ধার করে, সঙ্গে গাড়ির চালক বিজন দাস(২৩)কে আটক করা হয়। তার বাড়ি উদয়পুর। জানা যায় উদ্ধারকৃত গাঁজার বাজার মূল্য আট লক্ষাধিক টাকা। ধৃত চালক বিজন দাসকে বুধবার আমবাসা থানার পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
খোয়াই জেলা আদালত থেকে পালালো বিচারাধীন বন্দি! যদিও পরবর্তীতে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ
এন ডি পি এস কেইসের আসামি চিরঞ্জিত দেব, পিতা চন্দন দেব বাড়ি তেলিয়ামুড়া গমাইবাড়ি এলাকায়। মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক দুটো নাগাদ অভিযুক্ত চিরঞ্জিত দেব কে খোয়াই জেলা আদালতে হাজির করা হয়। সেই সময় ঝড়-বৃষ্টির সুযোগ নিয়ে একটি অটো রিক্সা করে পালিয়ে য়েতে সক্ষম হয় সে। পরক্ষণেই খবরটি চাউর হওয়ার পর হইচই পড়ে যায় আদালত চত্বরে । বেড়ে যায় পুলিশি তৎপরতা , নানান জায়গায় শুরু হয় আসামির তল্লাশি । তবে প্রশ্ন হল এন ডি পি এস মামলায় ধৃত আসামিকে কি করে দায়সারা ভাবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার না করে তাকে আদালতে তোলা হয়। খোয়াই জেলা আদালতের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাফিলতি তা মোটেও কাম্য নয়। কি করে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এ ধরনের গাফিলতি হলো এবং কারা কারা এর পেছনে যুক্ত রয়েছে তা অবিলম্বে তদন্ত করুক-রাজ্য আরক্ষা দপ্তর । তাছাড়া আগামী দিনে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এহেন গাফিলতি যদি ঘটে তবে যেকোনো বড় ধরনের মামলার আসামি সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারে ! আদালত চত্বরে সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার বন্দোবস্ত করুক খোয়াই জেলা প্রশাসন । পরবর্তী সময়ে পুলিশের সূত্র মারফত তেলিয়ামুড়া এলাকা থেকে আসামি চিরঞ্জিত দেবকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ । তবে জেলা আদালতের মতো এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার এহেনও গাফিলতি তা সত্যিই বিচারব্যবস্থাকে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করায়।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ধর্মনগর দুর্গাপুর এলাকার সাধারণ বাসিরা একজন বাইক চোরকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিল। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ মঙ্গলবার মুস্তাপ আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে ধরে ধর্মনগর পুলিশের হাতে তুলে দিল এলাকাবাসীরা। একটি নাম্বার বিহীন পালসার বাইক রেলগেট এলাকার শামীম এর কাছ থেকে ত্রিশ হাজার টাকায় একটি বাইক কিনেছে এবং দশ হাজার টাকার দিয়েছে বলে জানায় মুস্তাপ। উল্লেখ্য অভিযুক্ত চোর বলে মুস্তাপ আহমেদ শনি ছড়া বাজারে ভাড়া থাকে। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী আসাম রাজ্যের পাথারকান্দি এলাকায়। কিন্তু এলাকাবাসীরা জানায় সে নম্বরবিহীন এই বাইকটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীরা তাকে ধরে ফেলে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ধর্মনগরে চুরি এবং ডাকাতির যেসব ঘটনা ঘটছে তার অধিকাংশই পার্শ্ববর্তী আসাম রাজ্য থেকে আসা চোর বা ডাকাতের কান্ড বলে অভিযোগ।
রাতের অন্ধকারে নিরাপত্তাহীনতায় খোয়াই শহর। রাত দশটায় সাধারণ মানুষ পুলিশের সাহায্য চাইলোও পুলিশ বাবুরা ফোন ধরেন না। রাত হলেই চোরের উপদ্রব অপরদিকে সমাজদ্রোহীদের তাণ্ডবে ওষ্টাগত প্রাণ খোয়াইবাসীর। এর জন্য পুলিশের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতাইকেই দায়ী করছেন খোয়াই বাসি। সোমবার খোয়াই থানাধীন গৌরনগর এলাকায় স্বামীর হাতে নির্মমভাবে খুন হল বিমলা ঝড়া নামে এক গৃহবধূ। তাকে জলে ডুবিয়ে নিশংস ভাবে খুন করা হয়। ঘটনা জানতে পেরে পরের দিন ঘটনাস্থলে ছুটে যায় খোয়াই থানার পুলিশ। যদিও পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার খোয়াই জেলা আদালত থেকে এনডিপিএস মামলায় অভিযুক্ত এক আসামি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় । পরবর্তী সময়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও পুলিশের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এই ঘটনার জন্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনার পেছনে পুলিশের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতাইকেই দায়ী করাহচ্ছে।জেলা পুলিশ প্রশাসন সঠিক তদন্ত করলে ঘটনার নেপথ্যে যে রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তা উদঘাটন হবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
ডাকাতি করতে আসা কোবি উদ্দিনকে ধরে ডাকাতির প্ল্যান বানচাল করল ধর্মনগর থানার পুলিশ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। রবিবার রাতে ধর্মনগরে আসামের একটি অটো করে ডাকাতি করতে আসে জনাব এক ব্যক্তি। রাত্রি কালে ধর্মনগর থানার পুলিশ পেট্রোলিং করার সময় এই প্রচন্ড গতিতে আসা আসামের অটোটিকে আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু অটো রিক্সাটি একটি সিগন্যাল ভেঙে চলে গেলেও অপর সিগনালে ধর্মনগর থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তল্লাশিতে অটোরিকশাটি থেকে কোবি উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে এই কবিরুদ্দিনের কাছে আরো দুই তিনটি নাম জানতে পারা যায় কিন্তু তদন্তের স্বার্থে নাম গুলি পুলিশ গোপন রাখে। এই অটো থেকে শাবল দা সহ বেশ কিছু ভাঙ্গার এবং কাটার সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। এই অপারেশনে বাগ বাসা থানার পুলিশ ধর্মনগর থানার পুলিশকে সাহায্য করেছে বলে, ধর্মনগর থানার ওসি হিমাদ্রি সরকার জানিয়েছেন। যে কোবি উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসামের নিলাম বাজারে বলে জানা যায়। সোমবার কোর্টে তোলা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাকে আটক রেখেছে। ইদানিং ধর্মনগরে চুরি এবং ডাকাতির ঘটনা উত্তরোত্তর ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে এবং পুলিশ এতে নির্বিকার বলে ধর্মনগরবাসী বারে বারে অভিযোগ তুলেছে।
প্রতিনিধি, উদয়পুর:- গত ছয় মাসের মধ্যে দুইটি অপহরণ কাঁকড়াবন থানার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা থেকে । গত সোমবার তথা জুনের ১০ তারিখ সকালে কাঁকড়াবন থানার অন্তর্গত মুড়াপাড়া এলাকা থেকে অপহরণ করা হয় ১৫ বছরের এক নাবালিকা মেয়েকে । এই ঘটনায় বাড়ির সদস্যরা মেয়েকে খোঁজ করার জন্য বের হয়। কিন্তু দিনভর খোঁজাখুজি করার পরেও না পেয়ে অবশেষে ১১ তারিখ মঙ্গলবারে কাকরাবন থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে নাবালিকা মেয়েটির পরিবার । পুলিশ অপহরণের মামলা হাতে পেয়ে খোঁজ শুরু করে । কিন্তু পুলিশ এই অপহরণ মামলায় তদন্তে নেমে অন্ধকারে প্রতিমুহূর্তে ধাবিত হচ্ছিল। পরবর্তী সময়ে গোমতী জেলা পুলিশ সুপার নমিত পাঠক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে কাঁকড়াবন থানার ওসি রাজিব ভৌমিকের নেতৃত্বে এক পুলিশের তদন্তকারীর দল গঠন করা হয় । পরে এই তদন্তকারী দলটি তদন্তে নেমে জানতে পারে এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে হদ্রা গর্জনমুড়া এলাকার ২২ বছর বয়সি প্রলয় ঘোষ নামে এক যুবক । জানা যায় , একটি ঔষুধ দোকানে কর্মরত উদয়পুরে । পুলিশ জানায় , ১০ তারিখ নাবালিকা মেয়েটিকে অপহরণ করার পর তাকে সেদিন দুপুরেই বেসরকারি বিমানে আগরতলা থেকে বহি: রাজ্য ব্যাঙ্গালোরে নিয়ে যায় । পরবর্তী সময় পুলিশ ব্যাঙ্গালোর শহরের স্থানীয় থানা কুদ্দুগুড্ডি থানার পুলিশের সহযোগিতায় কাঁকড়াবন থানার পুলিশ একটি বেসরকারি হোটেল থেকে নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে ১৬ তারিখ তথা রবিবার সন্ধ্যা ছয়টায় আগরতলায় নিয়ে আসা হয় একটি বেসরকারি বিমানে করে । এই ঘটনায় পুলিশ প্রলয় ঘোষের বিরুদ্ধে ৩৬৬ এ / আই পি সি ধারায় মামলা গ্রহণ করে যার মামলা নম্বর ২৬ / ২০২৪ । ছয় দিনের মাথায় পুলিশ অপহরণ হওয়া ১৫ বছর বয়সী মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসার ফলে এক স্বস্তির নিঃশ্বাস নেমে আসে পরিবারের লোকজনের মধ্যে । পুলিশ জানিয়েছে , সোমবার দুপুরে অপহরণের ঘটনার সাথে যুক্ত প্রলয় ঘোষকে উদয়পুর জেলা দায়রা আদালতে সোপর্দ করা হবে ।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- গোপন খবরের ভিত্তিতে গাজা বিরোধী অভিযানের নামে সাফল্য পেল পুলিশ। ঘটনা সিধাই থানার অন্তর্গত ছোট কুত্না এলাকায়। শুক্রবার গভীর রাতে এই এলাকায় গাঁজা বিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৮০ কিলো অবৈধ গাঁজা উদ্ধার করেছে সিধাই থানার পুলিশ।
সিধাই থানা এলাকাতে ব্যাপক পরিমাণ গাজার চাষ হয়ে বিগত দিনে। সর্বশেষ মরসুমেও আলু পটলের মত গাঁজার চাষ হয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। পাহাড় থেকে সমতল গাঁজার রমরমা ছিল প্রকাশ্যে। বর্তমানে সেই গাঁজা বিভিন্ন জায়গার লুকিয়ে বিক্রি করার প্রক্রিয়া চলছে। ছোট কুত্না এলাকাতেও ব্যাপক পরিমাণ গাঁজা চাষ করার পর মজুদ করা হয়েছিল বিক্রির জন্য। গোপন খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে এলাকার কান্থামনি দেববর্মার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ২৮০ কিলো অবৈধ গাঁজা। পুলিশি অভিযানকে কেন্দ্র করে বাড়ির লোকেরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও গ্রেফতার করা হয় মেয়ের জামাই দুলন দেববর্মাকে। উদ্ধার হওয়া গাঁজার বাজার মূল্য আনুমানিক ২২ থেকে ২৩ লক্ষ টাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিধাই থানার ওসি মঙ্গেশ পাটারি। এদিন পুলিশের পাশাপাশি সিআরপিএফ জোয়ানরাও এই গাঁজা বিরোধী অভিযানে অংশ নিয়েছিল।