প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২১ এপ্রিল:- পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে রাইমাভ্যালীতে চলছে জোরদার প্রচার। রবিবার মহিলা মোর্চার উদ্যোগে নারায়নপুর দেবনাথ পাড়ায় আরো একটি প্রচার সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ মহিলা মোর্চা সভানেত্রী মিমি মজুমদার, সহ-সভানেত্রী সতী চাকমা, মন্ডলের মহিলা মোর্চা সভানেত্রী বর্না দাস মন্ডল, রাইমাভ্যালী মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা প্রমুখ। সেখানে প্রদেশ মহিলা মোর্চা সভানেত্রী মিমি মজুমদার মোদী সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের তথ্য তুলে ধরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন। তিনি বলেন মোদী সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যে একটি উজ্জলা যোজনায় মহিলাদের বিনামূল্য গ্যাস সরবরাহ। তাতে করে দেশের কয়েক লক্ষ কোটি মহিলা এর সুবিধা ভোগ করছে। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জন দরদী নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয়বারের মতো দেশের শাসন ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করতে মহিলারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে উনার বিশ্বাস। পাশাপাশি আগামী ২৬ এপ্রিল পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মাকে বিপুল ভোটে জয়ী করার আহবান রাখেন। এদিকে রাইমাভ্যালী মন্ডলের উদ্যোগে পঞ্চরতন বাজারে এদিন আরও একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি সমীর রঞ্জন ত্রিপুরা, বিজেপি ধলাই জেলা কমিটির সহ-সভাপতি বিকাশ চাকমা, মহিলা মোর্চা প্রদেশ সহ-সভানেত্রী সতী চাকমা প্রমুখ। বাজার সভায় বক্তারা বিজেপি প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মাকে বিপুল ভোটে জয়ী করে মোদিজীর হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান রাখেন। এদিন ছোট থেকে বড় দলের প্রতিটি সভাতেই বিশাল আকারের কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
রাজনীতি
উত্তর জেলা কার্যালয়ে ভারতীয় যুব মোর্চার পক্ষ থেকে নতুন ভোটারদের নিয়ে এক মতবিনিময়ে অনুষ্ঠান।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
ধর্মনগরের উত্তর জেলা বিজেপি দলের কার্যালয়ে শনিবার নতুন ভোটারদের নিয়ে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের রাজ্যসভার সদস্য বিপ্লব কুমার দেব, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সুশান্ত দেব, যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক শুভঙ্কর সাহা, যুব মোর্চার রাজ্য মুখপাত্র অম্লান মুখার্জি এবং উত্তর জেলার যুব মোর্চার বিভিন্ন স্তরের কার্যকর্তারা। এ সভায় ধর্মনগর যুবরাজ নগর এবং পানিসাগর থেকে মোট ৩৮০ জন নতুন ভোটার এই আলোচনা সভায় যোগদান করেন। রাজ্যের দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটকে সামনে রেখে আজকে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানের পর যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সুশান্ত দেব জানান নতুন ভোটাররা পুনরায় মোদিকে অর্থাৎ তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদিকে দেখার জন্য প্রচন্ড উৎসাহী এবং তারা মুক্ত হতে মোদির দলকে ভোট দিয়ে মোদিকে পুনরায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। কারণ মোদি ছাড়া এই দেশের এবং রাজ্যের বিশেষ করে যুবকদের অর্থাৎ বর্তমান প্রজন্মদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে এর থেকে ভালো কেউ ভারতবর্ষে হতে পারে না। তাই মোদিকে ভোট দিয়ে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী করার ক্ষেত্রে উত্তর জেলার যুব সমাজ আপ্লুত।
রাজ্যের মানুষ এই বিরোধী জোটকে প্রত্যাখ্যান করছেন প্রকাশ্য জনসভায় বললেন রাজিব।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি: কলসী বাজারেপূর্ব ত্রিপুরা আসনের বিজেপি মনোনিত প্রার্থীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠীত হয় নির্বাচনী সমাবেশ।
ত্রিপুরা রাজ্যে প্রথমদফায় পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভোটগ্রহনের পক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। দ্বীতিয় দফায় ভোট গ্রহন করাহবে আগামী ২৬ শে এপ্রিল। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে বিজেপি মনোনিত ও আই পি এফ টি, তিপ্রামথা সমর্থীত প্রার্থীর জয়ের লক্ষ্যে রেখে শনিবার ৩৮ জোলাইবাড়ী মন্ডল বিজেপির উদ্দ্যোগে কলসী বাজারে এক নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠীত করাহয়। আজকের এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব ত্রিপুরা আসনে বিজেপি মনোনিত ও তিপ্রামথা, আই পি এফ টি দলের সমর্থীত প্রার্থী মহারানী কৃতি সিং দেববর্মন। এছারা উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য্য, জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া, বিজেপির দক্ষিন জেলার সভাপতি শঙ্কর রায়, জোলাইবাড়ী বিজেপির মন্ডল সভাপতি অজয় রিয়াং সহ অন্যান্যার। আজকের সমাবেশে বক্তব্যরাখতেগিয়ে বক্তারা বিগত বাম আমলে দক্ষিন জেলায় খুন সন্ত্রাসের তথ্য তুলেধরেন ও ত্রিপুরা রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে মহারানী কৃতি সিং দেববর্মনকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার বিশেষ আহব্বান জানান। আজকের এই সমাবেশে উপস্থিত লোকজনদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্যকরাযায়।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের প্রার্থী কৃতি দেববর্মনের সমর্থনে গতকাল সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা কৈলাসহরের রাজপথে রোড শো করেন। হাজার হাজার কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতিতে ভোট আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী।গত ১৫ই এপ্রিল কুমারঘাট পিডব্লুডি ময়দানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।আজ বিকেলে কৈলাসহর বাবুর বাজারে অনুষ্ঠিত হয় জনসভা।সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় আয়োজিত এই জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়,রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান মবস্বর আলী, সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি প্রাক্তন মন্ত্রী বিল্লাল মিয়া,পাবিয়াছড়া কেন্দ্রের বিধায়ক ভগবান দাস,জেলা সভাপতি পবিত্র দেবনাথ, মন্ডল সভাপতি সিদ্ধার্থ দত্ত সহ অন্যান্যরা।জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিপ্লব কুমার দেব বলেন উন্নয়ন মূলক কাজের নিরিখে মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে রয়েছে।আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনেই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হবে বিজেপি প্রার্থীরা।তিনি বলেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, এনসিআরটি সিলেবাস,বিদ্যা জ্যোতি প্রকল্পে সিবিএসসি স্কুল,৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণ,নির্বাচনে মহিলা সংরক্ষণ,উজ্জ্বলা যোজনা, সৌভাগ্য যোজনা,কিষাণ সম্মান নিধি,আয়ুষ্মান ভারত, দুই হাজার টাকা সামাজিক ভাতা,সপ্তম বেতন কমিশন, ২৫ শতাংশ ডি এ,যুবাদের জন্য স্টার্টআপ এভাবে উন্নয়নমূলক কাজের পরিসংখ্যান দিয়ে শেষ করা যাবে না।ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার এক শক্তিশালী সরকার,মানুষ ও শক্তির সঙ্গে যায় দুর্বলের সঙ্গে কেউ যেতে চায় না।বাবুর বাজার বাসীর উদ্দেশ্যে বিপ্লব দেব বলেন আপনাদের ভবিষ্যৎ পূর্বতন সিপিএম ও কংগ্রেস সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে,আপনাদের ছেলে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ভারতীয় জনতা পার্টিকে ভোট দিন।আপনারা পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বানাবেন আর যদি কাস্তে হাতুড়ি চিহ্নে ভোট দিন তাহলে জামানত জব্দের জন্য ভোট দেওয়া হবে।তিনি পূর্বতন বাম সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন যে ত্রিপুরা রাজ্যে বিপ্লব দেব,সুনীল দেওধর ও অমিত শাহ যদি না আসতো তাহলে পরিবর্তন হতো না। ত্রিপুরা রাজ্যে বান্দরের হাতে লাঠি ছিল।এরা সরকার চালানোর উপযুক্ত ছিল না। দুর্ভাগ্য ত্রিপুরা বাসীর যে এদের মতো লোক মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রী ছিল যারা রাজ্য পরিচালনা করেছিল।তিনি সকলকে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপিতে আসার আহ্বান করেন।কংগ্রেস ও কমিউনিস্ট মানুষকে হিন্দু, মুসলিম,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান ইত্যাদি জাতিতে বিভক্ত করে,ক্ষমতা দখল করে থাকতে চায়। ইন্ডিয়া ব্লক জোটকে কটুক্তি করে বিপ্লব দেব বলেন আমি কোনদিন কল্পনা করতে পারিনি যে ৭৫ বছর বয়সে মানিক সরকারের এমন অধঃপতন হবে শেষ বয়সে হাত চিহ্নে উনাকে ভোট দিতে হলো।ব্যক্তি স্বার্থে এরা কতটুকু নিচে নামতে পারে এটাই তার প্রমান।ভারতীয় জনতা পার্টি প্রত্যেক মানুষের সার্বিক কল্যাণে বিশ্বাস করে।
পূর্ব ত্রিপুরা আসনে বিজেপি দলের মনোনীত প্রার্থী কৃতি দেব বর্মনের সমর্থনেখোয়াই এর একাধিক জায়গায় প্রচার অভিযানে অংশগ্রহণ করেন মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী মিমি মজুমদার। এদিন তিনি প্রথমে রামচন্দ্র ঘাট বিধানসভাকেন্দ্রের রসরাজ নগর কমিউনিটি হলে এক নির্বাচনী সভায় মিলিত হন। উক্ত সভায় মজুমদার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি সঞ্জীব দেববর্মা সহ মন্ডলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। দ্বিতীয় নির্বাচনের সভাটি সংগঠিত হয় খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্রের চেরমা এলাকায়। এই দিনে দুইটি সমাবেশে মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী মিমি মজুমদার বলেন মহিলাদের আত্মনির্ভর করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মোদীজির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করেছে। মহিলারা আত্মনির্ভরশীল হলে পরিবার এবং সমাজ শক্তিশালী হবে। বিগত দিনে রাজ্যের মহিলারা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত এবং নিপীড়িত হত। সন্ধ্যার পর আমাদের মা বোনরা ঘর থেকে বেরহতে পারত না। আতঙ্ক তাদের গ্রাস করে নিত। এখন রাজ্যে মহিলাদের জন্য কঠোর নিরাপত্তা বিধান রয়েছে। তাই মহিলাদের সুরক্ষা এবং রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিজেপি প্রার্থীকে রেকর্ড সংখ্যকভোটে জয়ী করা আহ্বান জানান তিনি। এ দিনের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার, মন্ডল সম্পাদক তাপস কান্তি দাস, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
লোকসভা নির্বাচনের একেবারে প্রাক মুহূর্তে বাগ বাসা বিধানসভায় এলাকায় বিরোধী দলে ভাঙ্গন।
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
লোকসভা নির্বাচন রাত পোহালে ই। এখনো বিরোধী দলে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত উপজাতি কেন্দ্রে আগামী ২৬ শে এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব হতে চলেছে। আগামীকাল অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হচ্ছে। এমন অবস্থায় মানুষ শেষ পর্যন্ত বিরোধীদল গুলির প্রতি আস্থা রাখতে না পেরে কেন্দ্রীয় সরকার তথা রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত ডাবল ইঞ্জিন সরকারের প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করে দলে দলে যোগদান করছে। 18 এপ্রিল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাগবাসা বিধানসভার লক্ষীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন খেরেংজুড়ি ৩০ বুথ এলাকায় এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত বিজেপি দলের। এই যোগদান সভায় ৮ পরিবারের ৩৫ জন ভোটার সিপিআইএম দল ছেড়ে বিজেপি দলে যোগদান করেন। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি দলের জেলা সভাপতি কাজল দাস, বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ, মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী রুপালী অধিকারী সহ অনান্য নেতৃত্বরা।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :-
লোকসভা নির্বাচনের দিন তারিখ যত সামনের দিকে এগিয়ে এসেছে ততই যেন বেড়ে চলেছে রাজনীতির উত্তাপ। প্রতিদিন শাসক দল সমতল থেকে পাহাড় সর্বোত্ত দলীয় প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে প্রচার করে চলেছেন । বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আঠারোভোলা এলাকায় এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয় । এই যোগদান সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া । সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রামপদ জমাতিয়া বলেন ,বাগমা আঠারোভোলা এলাকায় বিগত দিনে তৎকালীন বাম মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া কোন উন্নয়ন করেনি । এর ফলে দিনের পর দিন জাতি , উপজাতি সফল অংশের মানুষ একের পর এক উন্নয়নের কাছ থেকে পিছিয়ে পড়ে। ২০১৮ সালে রাজ্যে পালা বদলের পর রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ উদ্যোগে এই রাজ্যকে বিভিন্ন উন্নয়নের মধ্য দিয়ে এগিয়ে নেওয়া যাওয়ার জন্য কাজ করেছে। কৃষক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ক্ষেত্র ও শিল্প থেকে শুরু করে অর্থনীতির উন্নয়নে নিয়ে এসেছে জুয়ার । বিধায়ক প্রশ্ন তোলেন কেন বিগত দিনে তৎকালীন সময় বামেরা রাজ্যের উন্নয়ন করার জন্য কোন ভূমিকা গ্রহণ করেনি ? সরাসরি আক্রমণ করেন ততকালীন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার কে । এই যোগদান সভায় বিধায়ক সমস্ত মানুষের কাছে আহ্বান রাখেন আগামী ১৯ এপ্রিল বিপ্লব কুমার দেব কে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার জন্য । পরে আঠারোভোলা এলাকার ১০ নং বুথের তিন পরিবারের সাতজন ভোটার সিপিআইএম দল ত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেয়। তাদেরকে দলে বরণ করে নেন দলীয় পতাকা দিয়ে বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-রাধাকিশোরপুর মন্ডলের ২৫ নং বুথ কমিটির উদ্যোগে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে বিজেপি প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব এর সমর্থনে এক নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয় সোমবার সন্ধ্যায় উদয়পুর সেন্ট্রাল রোডে । এই নির্বাচনী সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায় । এছাড়া ছিলেন , জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সুকান্ত সাহা , বুথ সভাপতি অনুপ সাহা , ও প্রবেশ কিষানণ মোর্চার অন্যতম সহ-সভাপতি পান্নালাল সাহা সহ প্রমূখ । নির্বাচনী সভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে বিধায়ক শ্রী দেবরায় বলেন , লোকসভা নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে বিরোধী দলের মধ্যে তত ভাঙ্গন পরিলক্ষিত হচ্ছে । মানুষ দলে দলে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের জোটের ওপর আস্থা হারিয়ে বিজেপি জোটের উপর আস্থা রেখে চলেছে । তিনি বলেন , গত ২৫ বছর বাম রাজত্বে গোমতী জেলা সহ সারা রাজ্যে কয়েক শত কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছেন । বিরোধী দল করার অপরাধে বহু কর্মীর বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল । ব্যতিক্রম ছিল না রাধা কিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রও। প্রতিটি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাধা কিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বেঁছে বেঁছে সেই সময় কংগ্রেস কর্মীদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হতো। আজ সেই সব কথা ভুলে গিয়ে কংগ্রেস নেতা সিপিএমের সাথে মিশে গিয়েছেন । তারা একসাথে মিলে ভোটে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন । এই অশুভ জোটকে প্রত্যাখ্যান করে আগামী দিনে রাধা কিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্র সহ সারা রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের প্রবাহ ধরে রাখতে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীকে জয় নিশ্চিত করতে হবে । তাই সকাল সকাল ভোটাররা নিজের ভোট নিজে দিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে জয়ী করুন। ভাষণের মধ্য দিয়ে ভোটারদের কাছে এই আবেদন রাখেন বিধায়ক । এদের নির্বাচনী সভাকে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থক এবং বাজারে আশা ক্রেতা বিক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায় ।
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি –
বিধায়িকা কল্যানী সাহা রায় এর ঝরো প্রচারে বিরোধী শিবির ভেংগে চুরচুর হয়ে পরছে তেলিয়ামুড়া বিধানসভা এলাকায়। প্রত্যেকটি বুথের সভায় বিজেপি দলে যোগদান অব্যাহত। শুক্রবারও এর ব্যাতিক্রম হয়নি। শুক্রবার তিনটি বুথ সভায় সি পি আই এম, কংগ্রেস দল ত্যাগ করে বিজেপি দলে সামিল হয়। তেলিয়ামুড়া বিধানসভার অন্তর্গত মোহরছড়া ১০নং বুথে সিপিআইএম পার্টি ত্যাগ করে ২৯পরিবারের ১১১জন ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করে। অন্যদিকে পৌর পরিষদ ১২ নং ওয়ার্ড এলাকায় ৪৮ নংং বুথে ২৭ পরিবারের ৬২ জন ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করে।
নির্বাচন ঘোষণা হবার পর থেকে ভারতীয় জনতা দলে বিভিন্ন বিরোধী দল ত্যাগ করে যোগদান অব্যাহত রয়েছে তেলিয়ামুড়া বিধানসভা এলাকায়। প্রতিদিন ই বুথ সভা ও উঠান সভাতে সি পি আই এম এবং অন্যান্য দল ত্যাগ করে বিজেপি দলে সামিল হচ্ছে।
দুইটি সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়িকা কল্যানী সাহা রায় সহ বিজেপি তেলিয়ামুড়া মন্ডল এবং বুথ এলাকার নেতৃত্বরা। বিরোধী দল ছেড়ে বিজেপি দলে যোগদান কারিদের হাতে বিজেপি দলের পতাকা ও টুপি পরিয়ে স্বাগত জানান বিধায়িকা সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। বিরোধী শিবির ছেড়ে ভারতীয় জনতা দলে যোগদান সম্পর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিধায়িকা কল্যানী সাহা রায় বলেন, ভাররবর্ষের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজীর জনমুখী কাজ, সব কা সাথ সবকা বিকাশ, এবং সমাজের অন্তিম ব্যাক্তি পর্যন্ত উন্নয়নের সুবিধা পৌছে দেওয়া ইত্যাদি দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন মানুষ। বিকশিত ভারতের সংকল্পে মানুষ সামিল হচ্ছে প্রতিদিন। তিনি আরও বলেন, সবাই একসাথে হাতে হাত রেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহার উন্নত ত্রিপুরা, এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গরার সপ্নকে সফল করার লক্ষে সকলে একসাথে কাজ করব ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-আগামী সাত দিনের মাথায় ঊনিশে এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে । তার আগে শাসক দল নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে নিচ্ছে প্রতিটি এলাকায় ভিত্তিক। মাতাবাড়ি বিধানসভার ৪২ নং বুথের অন্তর্গত পূর্ব জুলাই বাড়ি স্কুল মাঠে এক যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয় । এই যোগদান সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে ছিলেন মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিষেক দেবরায় । যোগদান সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক বলেন , বিগত ৩৫ বছরে রাজ্যে গণতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে । কমিউনিস্টদের শাসনে মানুষ সর্বদিক দিয়ে বঞ্চিত হয়েছে । এর পাশাপাশি কংগ্রেসের জোটের পাঁচ বছরের শাসনে বিভিন্ন দিক দিয়ে পিছিয়ে গিয়েছে তৎকালীন সময়ে রাজ্য বাসী । রাজ্য প্রশাসনের জন্য সিপিএম এবং কংগ্রেসের ভূমিকা একেবারে নিন্দনীয় । আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের লড়াই করার জন্য তাদের কাছে কোন উল্লেখযোগ্য ইস্যু নেই । তাই বিরোধীরা বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে রাজ্যে একেবারেই দিশেহারা । এদিন এই যোগদান সভায় একের পর এক আক্রমণ শানান বিধায়ক অভিষেক দেবরায় । করে ১২ পরিবারের ৫০ জন ভোটার সিপিআইএম দল ত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেয়। তাদেরকে দলীয় পতাকা দিয়ে দলে বরণ করে নেন বিধায়ক ।