- প্রতিনিধি, উদয়পুর :- মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন রাস্তাঘাট ভগ্নাশয় পরিণত । ১৯৮৮ সালে জোট সরকার থেকে শুরু করে ২৫ বছরের বাম শাসন মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে শাসন করে গিয়েছে । তৎকালীন বাম কতটুকু উন্নয়ন করেছে ২০১৮ সালে মানুষ ভোট বাক্সে তাদের রায় দিয়ে বামেদের পরাজিত করে জোটের বিধায়ক নির্বাচিত করে মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে । পাঁচ বছরের তৎকালীন বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ কাজ করার যতটুকু সুযোগ পেয়েছে ততটুকু পর্যন্ত উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। ২০২৩ সালে পুনরায় দ্বিতীয়বারের জন্য বিধানসভা নির্বাচনে বাম- কংগ্রেস জোটের প্রার্থীকে ভোটের রাজনীতিতে হারিয়ে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয় আইপিএফটি -বিজেপি জোটের প্রার্থী অভিষেক দেবরায় । রাজনৈতিক ভাবে যখন বিভিন্ন গ্রামীন এলাকা গুলিতে প্রচার অভিযান শুরু হয়েছিল তখন বিভিন্ন জায়গায় গণদেবতাদের কথা দিয়েছিলেন জয়ী হবার পর এলাকার বিভিন্ন সমস্যা গুলি সমাধান করা হবে । সেই মতো এবার শুরু হয়েছে মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে অসমাপ্ত কাজগুলিকে সমাপ্ত করার জন্য জোর কদমে কাজ । মাতাবাড়ি হীরাপুর সাব সেন্টার থেকে হীরাপুর বড় দিঘির পাড় পর্যন্ত ভগ্ন দশা সম্পন্ন রাস্তাটিকে সংস্কার করে পাকা রাস্তায় রূপান্তরিত করার জন্য দীর্ঘদিনের একটি দাবি ছিল গ্রামবাসীদের। এই দাবীকে মান্যতা দিয়ে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয় পাকা রাস্তা ( ব্ল্যাক টপ ) তৈরি করা হবে । সংশ্লিষ্ট রাস্তাটির কাজ শুরু হওয়ার পূর্বে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় শুক্রবার দুপুরে ভূমি পূজন অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছেন গ্রামের প্রধান ,উপপ্রধান থেকে শুরু করে গ্রামীন এলাকার জনপ্রতিনিধি ও ব্লকের আধিকারিকদের সাথে নিয়ে । গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের এই দাবি পূরণ হতে দেখে খুশি গ্রামবাসীরা ।
রাজনীতি
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১৭ জানুয়ারি:- সংবিধান গৌরব অভিযান উপলক্ষে শুক্রবার বিজেপি ধলাই জেলা কমিটির উদ্যোগে পদযাত্রা ও সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন বিজেপি জেলা কার্যালয় থেকে একটি বিশাল মিছিল আমবাসা শহর এলাকার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা শেষে আমবাসা মধ্য বাজারে অনুষ্ঠিত হয় গৌরব দিবসের জেলা ভিত্তিক সভা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক ভগবান দাস, ধলাই জেলা সভাপতি পতিরাম ত্রিপুরা, বিধায়ক মনোজ কান্তি দেব, জেলার সহ-সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকগন, জেলার ছয়টি মন্ডলের মন্ডল সভাপতিগন, মন্ডলের অফিস বেয়ারার, মন্ডল মোর্চা সভাপতিগন, এবং শক্তি কেন্দ্রের কনভেনার’গন। সভায় গৌরব দিবসের তাৎপর্য নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেন প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ভগবান চন্দ্র দাস। তিনি সংবিধান প্রণেতা ভীমরাও আম্বেদকর সম্পর্কে আলোচনা সহ দেশকে শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদান এবং দেশপ্রণেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির নানা বিষয় নিয়েও বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেন। এদিনের সংবিধান গৌরব অভিযানকে ঘিরে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি :তিপ্রা ল্যান্ডের দাবিকে আরো জোরদার করতে আইপিএফটি জোলাই বাড়ি ডিভিশনাল কমিটির উদ্যোগে কোয়াই ফাং বাজারে প্রচার মিছিল এবং যোগদান সভা সংগঠিত করেন । এই প্রচার মিছিল কোয়াই ফাং আইপিএফটি কার্যালয় সামনে থেকে শুরু হয়ে বাজারের বিভিন্ন জনপদ পরিক্রমণ করে অবশেষে কোয়াই ফাং বাজারে এক যোগদান সভায় মিলিত হয়। এই যোগদান সভায় বীরেন্দ্রনগর এডিসি ভিলেজ থেকে সি .পি.এম, কংগ্রেস এবং তিপ্রা মথা্ দল ত্যাগ করে জোলাই বাড়ি আইপিএফটি ডিভিশনাল কমিটিতে ৪৯ পরিবারের ১৩৮ ভোটার যোগ দেন।আইপিএফটির আজকের এই প্রচার মিছিল এবং যোগদান সভার উপস্থিত ছিলেন আইপিএফটি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রাজেন্দ্র রিয়াং, আইপিএফটি সেন্ট্রাল কমিটির এ.জি.এস জিতিরাম ত্রিপুরা, আইপিএফটি সেন্ট্রাল কমিটির মেম্বার হরিনাথ ত্রিপুর, আইপিএফটি জোলাই বাড়ি ডিভিশনাল কমিটির সভাপতি রাধা মোহন ত্রিপুরা , আইপিএফটি জোলাই বাড়ি ডিভিশন কমিটির সেক্রেটারি শম্ভু রাম ত্রিপুরা সহ অন্যান্যরা । বক্তারা আলোচনা করতে গিয়ে বলেন চক্রান্ত করে বিভ্রান্ত করে আর আইপিএফটিকে রোখা যাবেনা। বিভ্রান্ত হয়ে যারা আইপিপি ছেড়ে চলে গেছেন তারা আজ ফিরছেন আবার নিজের দলে। আস্থা রয়েছে সকলের আইপিএফটি দলের উপরে। বক্তারা আরো বলেন আলোচনা করতে গিয়ে মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া জনজাতিদের আরো বেশি মান উন্নয়নে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিনিধি শান্তিরবাজার :শ্রমিকদের স্বার্থে প্রতিনিয়ত কাজকরেযাচ্ছে ভারতীয় জনতা মজদুর সংঘ। এরইমধ্যে দক্ষিন জেলায় নবনিযুক্ত বিজেপির মন্ডল সভাপতিদের সংবর্ধনা প্রদানে কলসীরমুখ এলাকায় ভারতীয় জনতা মজদুর সংঘের উদ্দ্যোগে অনুষ্ঠীত করাহয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। আজকের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিতছিলেন ৩৮ জোলাইবাড়ী বিজেপির মন্ডল সভাপতি সুজিত দত্ত, ৩৬ শান্তির বাজার বিজেপির মন্ডল সভাপতি দেবাশিষ ভৌমিক,রাবার বোর্ড অফ ডিরেক্টর এবং মেম্বার সুনীল নমঃ, বিকাশ সেন, ভারতীয় জনতা মজদুর সংঘ প্রদেশ সভাপতি বাপন দত্ত, ত্রিপুরা রাবার মজদুর সংঘ প্রদেশ সভাপতি মুকুল নন্দী,রাজ্য প্রদেশ জনজাতি মোর্চার আই টি ইনচার্জ রবীন্দ্র রিয়াং সহ অন্যান্যরা। আজকের অনুষ্ঠানে বক্তব্যরাখতেগিয়ে বক্তারা রাবার শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধীকরার জন্য রাজ্যসরকারকে ধন্যবাদ জানান। তারপাশি আগামীদিনে নবনিযুক্ত মন্ডলসভাপতিদের সঙ্গেথেকে শ্রমিকদের স্বার্থে প্রতিনিয়ত কাজকরেযেতেপারবেন বলে আশাব্যক্তকরেন। বক্তব্যের মাধ্যমে বক্তারা জানান রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে ও লোকজনের স্বার্থে রাজ্যসরকারের পাশে থাকবেবলে জানান। অনুষ্ঠানে বক্তাদের বক্তব্যশেষে আমন্ত্রীত অতিথি ও নবনিযুক্ত মন্ডল সভাপতিদের সংবর্ধনা প্রদানকরাহয়। আজকের আয়োজিত কর্মসূচী সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানালেন ভারতীয় জনতা মজদুর সংঘের প্রদেশ সভাপতি বাপন দত্ত।
নিজস্ব প্রতিনিধি।। উদয়পুর, ১১ জানুয়ারি-
কর্মসংস্থানের দাবিতে, আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে এবং নেশার বিরুদ্ধে যুব পদযাত্রা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করলো গোটা বাগমা এলাকায়। যুবদের হার না মানা লড়াই। ছয় কিলোমিটার পথ জুড়ে পদযাত্রায় অসংখ্য সাধারন মানুষের তরফে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা। তিন ইস্যুতে ডিওয়াইএফআই রাজপথে থেকেই আগামীর লড়াইকে তীব্র ও চেতনাদৃপ্ত করার দৃপ্ত ঘোষনা। স্বৈরাচারী, যুব বিরোধী, জনগণের বিরোধী নীতি গ্রহণকারী বিজেপি জোট সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে সামিল হওয়ার আহ্বান জানালো ডিওয়াইএফআই।শনিবার বাগমা থেকে খুপিলং পর্যন্ত বিস্তির্ন এলাকার জনগণ দেখলো যুবকদের দৃপ্ত পদচারনা। ভয়, ভীতি, হুমকিকে মাড়িয়ে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে গেছে পদযাত্রা। সাদা, লাল পতাকা হাতে যুবকরা ঘোষনা করলো রাজপথে লড়াই করেই হকের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার। পদযাত্রা যত এগিয়ে গেছে, বেড়েছে মিছিলের লাইন। রাস্তায় রাস্তায় উদ্বীপ্ত যুব পদযাত্রা দেখে অনেকেই এতে অংশ নিয়েছেন। বাগমা ব্যাঙ্ক চৌমুহনী থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রা বাগমা বাজার, বারভাইয়া, নলঢেপা হয়ে খুপিলং বাজারে গিয়ে শেষ হয়। দীর্ঘ ছয় কিলোমিটারের পদযাত্রায় কখনো মূল সড়ক, কখনো সব্জি ক্ষেতের আল বেয়ে ঘন জনবসতিপূর্ন এলাকা ধরে এগিয়ে গেছে। আর পদযাত্রাকে দেখতে ও উষ্ণ অভিবাদন জানাতে রাস্তায় রাস্তায় সাধারন মহিলা-পুরুষদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া।
ডিওয়াইএফআই বাগমা অঞ্চল কমিটির উদ্যোগে এদিনের পদযাত্রা যখন খুপিলং বাজারে গিয়ে পৌঁছে তখন হাট বাজারে সাধারন মানুষের থিক থিক ভিড়। এই পদযাত্রা সমাপ্তি হয় খুপিলং বাজারে সভার মধ্য দিয়ে। এখানে যুবনেতা বিক্রম ঘোষের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক নবারুন দেব, উদয়পুর বিভাগীয় সম্পাদক শুভ চক্রবর্ত্তী। দীর্ঘ পদযাত্রায় এই নেতৃত্বরা ছাড়াও অংশ নিয়েছেন প্রাক্তন যুবনেতা দিলীপ দত্ত, নিখিল দাস, প্রদীপ সাহা, আশিষ ঘোষ, যুবনেতা ফারুক আহমেদ, পূর্নিমা সরকার, মির হোসেন চৌধুরী, নকুল মজুমদার, সোমরাজ চৌধুরী বাদল মালাকার, প্রীতম শীল, সুরজিৎ মজুমদার প্রমুখরা।
এখানে আলোচনা করতে গিয়ে নবারুন দেব বলেন, জরুরী যুবজীবন ও জনগণের তিন দফা দাবিতে রাজ্যের ধর্মনগর থেকে সাব্রুমের রাজপথ থেকে গলিপথের লড়াইয়ে সামিল যুবক-সহ সাধারন মানুষ। রাজ্যের জনগণ গত সাত বছরের অভিজ্ঞতায় বুঝতে পারছেন প্রতারক ও লুটেরা সরকার চলছে রাজ্যে। বিজেপি ত্রিপুরাকে ধ্বসের কিনারায় নিয়ে দাঁড় করিয়েছে। যুবকের কাজ নেই, সরকারী দপ্তরে হাজার হাজার শূন্যপদ কিন্তু নিয়োগ নেই। পুলিশ থেকে চিকিৎসক, সাধারন জনগণ থেকে শিক্ষক কারোর জীবনের নিরাপত্তা নেই স্বৈরাচারদের শাসনে। ছাত্রী, যুবতী থেকে নারী সুরক্ষিত নেই কেউ। গোটা রাজ্যকে বানানো হয়েছে নেশার ডিপো। রাজ্য প্রশাসনকে না জানিয়ে ইডি এখন রেড মারছে, যাদের বাড়িতে করা হচ্ছে শাসকের তল্পিবাহক মাতব্বর তারা। এরকম রাজ্য হোক ত্রিপুরা- এটাই কি চেয়েছিলেন?
তিনি বলেন, ডিওয়াইএফআই-টিওয়াইএফ যে দাবি নিয়ে রাজপথে এতে যারা বিজেপি করেন তাদের ঘরের সন্তানদের কর্মসংস্থানের কথাও রয়েছে। বিরোধী যারা করছে তাদের বাড়ি ভাঙ্গা, দৈহিক আক্রমন, দোকান ভাঙ্গার কাজ করছেন তাদের ঘরে কি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে? হয় নি। আপনাদের ব্যবহার করে লুট বানিজ্য চালাচ্ছে মুষ্টিমেয় বিজেপি নেতারা। রেগায় কাজ নেই, সরকারী চাকরি নেই, জীবনের নিরাপত্তা নেই, পুলিশকে খুন করা ঘাতকদের গ্রেপ্তার নেই, ধর্ষনকারীর বিচার নেই- চূড়ান্ত অরাজকতা রাজ্য জুড়ে। এভাবে চলতে দেবেন কি? বিজেপির শাসনে আপনার সন্তান নেশাগ্রস্থ হচ্ছে, এলাকা এলাকা নেশার ডিপো তৈরী হচ্ছে- চুপ করে বসে থাকবেন? লড়াই নামুন। রাজপথ দখল করুন। যুবদের লড়াইকে সাহস জোগান। স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরীর ক্ষেত্রে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান রাখেন নবারুন দেব।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-পাবিয়াছড়া বিধানসভার বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাসের উদ্যোগে কুমারঘাটে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা।১১ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় এই পৌষ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের সাংসদ তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, জেলাশাসক ও সমাহর্তা দিলীপ কুমার চাকমা, কুমারঘাটের মহাকুমা শাসক এন এস চাকমা এবং সমাজকর্মী পবিত্র দেবনাথ। বাঙালি পরম্পরার চিরন্তন ঐতিহ্য পৌষ মেলার এই আনন্দধারার সন্ধ্যায় অসংখ্য শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং হাজারো মানুষের উজ্জ্বল উপস্থিতি এই পৌষ মেলা কে সুন্দর থেকে সুন্দরতর করেছে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়েছে।স্বাগত বক্তব্য রাখেন এই মেলার প্রধান হোতা বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস। মূলত মনু এবং দেওনদীর মিলনস্থলকে কেন্দ্র করে নদী বিধৌত অঞ্চল পি ডব্লিউ ডি ময়দানে তিন দিনব্যাপী পৌষ মেলা শুরু হয়েছে।যেখানে প্রায় ৪৫টিরও বেশি স্ব-সহায়ক দলের স্টল এবং সরকারি স্টল রয়েছে। যেখানে স্ব-সহায়ক দলের দিদিদের উৎপাদিত পন্য সামগ্রী এবং পিঠে পুলি সহ সুস্বাদু খাবারের বিভিন্ন স্টল এই মাঠে রয়েছে।স্বাগত বক্তব্যে বিধায়ক শ্রী দাস বলেন,তিন দিনব্যাপী এই পৌষ মেলার আয়োজনে প্রতি সন্ধ্যায় থাকবে স্থানীয় এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।গ্রাম বাংলার চিরায়ত এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং প্রবাহমান ধারায় এই পিঠে পুলি উৎসবের পরম্পরাগত আয়োজন সবাইকে উপহার দেওয়া হচ্ছে।এই সময়ে মানুষের জীবন ব্যস্ততায় পিঠে পুলি উৎসবের যে উৎকর্ষতা ছিল সেটা অনেকটাই ম্রিয়মাণ হয়ে যাচ্ছে।তার দিকে লক্ষ্য রেখেই এই চিরন্তন ঐতিহ্যকে স্বার্থক এবং সাফল্যমন্ডিত করার লক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী পৌষ মেলার আয়োজন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ তথা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজিব ভট্টাচার্য বলেন, ২০১৮ সালে বাম সরকারের পতন ঘটিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক ভাবনা এবং নাস্তিকতা থেকে বেরিয়ে আস্তিক মানসিকতায় সমৃদ্ধ হচ্ছেন।তিনি তার বক্তব্য উল্লেখ করেন অন্নদাতা কৃষকরাই হচ্ছেন এই সমাজ গঠনের মূল কারিগর।যারা কৃষি কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন।কৃষকদের উৎপাদিত সোনালী ধান যখন ঘরে আসে তখনই নবান্নের সুর বেজে ওঠে এবং মকর সংক্রান্তির পরব শুরু হয়। এই কৃষকদের সহযোগিতার জন্যই ত্রিপুরা সরকার বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেখানে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করার মধ্য দিয়ে কৃষকদেরকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা রেখে কাজ করে চলেছে সরকার। বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বলেন, প্রতিটা দেশের মতো ভারতবর্ষেরও একটি পরিচয় রয়েছে।সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং পরম্পরাগত ঐতিহ্যের সমন্বয়ে এই দেশ বিশ্বের বুকে অদ্বিতীয় হয়ে আছে।তিনি বলেন ২০১৮ সালের সরকার পরিবর্তনের পর থেকে এই রাজ্যের সত্যিকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে।সরকার পরিবর্তনের পর যোগাযোগের মানচিত্রে রাস্তার প্রভুতা উন্নয়ন পর্যটকদের আকর্ষিত করেছে।এখন দু থেকে আড়াই ঘণ্টা সময়ের মধ্যেই কৈলাসহর কিংবা কুমারঘাট থেকে আগরতলা পৌঁছা যায় যা শুধুমাত্র বিজেপি সরকারের হাত ধরেই এই উন্নয়নের অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে কমিউনিস্ট দলকে খোঁচা দিয়ে বলেন একটা সময় মানুষের সন্তান হওয়ার পর তার নাম রাখা হতো পার্টি অফিসে।অর্থাৎ তিনি বলতে চেয়েছেন যে সমস্ত কিছুই রাজনীতির নিয়ন্ত্রণে রাখত সিপিএম দল।আজ মানুষ তার মৌলিক অধিকার ফিরে পেয়েছে এবং সহজ-সরল জীবন যাপন করতে পারছে এই সরকারের সময়ে। কর্মসংস্থানের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন করোনার সময় বাদ দিলে এখন অব্দি মানুষের গড় আয় প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বেড়েছে,যা পশ্চিমবঙ্গ থেকেও ত্রিপুরার মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড মানিক সাহার নেতৃত্বে সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশের ভাবনায় কাজ করে চলেছে।মানুষের আর্থিক সমৃদ্ধি এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ক্রমোন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজ করাই সরকারের মূল লক্ষ্য। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দুটো স্টল ফিতে কাটার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক পৌষ মেলার সূচনা করেন এবং অতিথিরা মেলার স্টল গুলো পরিদর্শন করেন।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:- সংবিধানের ৭৫ বর্ষ পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে চণ্ডীপুর মণ্ডলে সংবিধান গৌরব অভিযানের প্রথম দিনের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন মণ্ডল সভাপতি পিন্টু ঘোষ ও রাজ্য কমিটির সদস্য বিমল কর এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।কর্মশালায় ভারতীয় সংবিধানের ইতিহাস,তার মূল চেতনা এবং গণতন্ত্রের ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি সময়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।তবে এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান আয়োজকরা।
নিজস্ব প্রতিনিধি।।উদয়পুর, ৫ জানুয়ারি-
যুব পদযাত্রা ও সভায় আন্দোলিত উদয়পুর মহকুমার মির্জা। হকের দাবিতে যুবকরা হুমকি, হুলিয়া, ভয় উপেক্ষা করে সামিল মিছিলে। আওয়াজ তুললো কাজের, কর্মসংস্থানের। শপথ নিলো রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের। নেশার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষনা করে বিজেপি’র পরিকল্পিত ছকের বিরুদ্ধে সব অংশের জনগণকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানালো যুবকরা।
ডিওয়াইএফআই-টিওয়াইএফ মির্জা ও পূর্ব মির্জা অঞ্চল কমিটির উদ্যোগে রবিবার মির্জাতে অনুষ্ঠিত হয় যুব পদযাত্রা ও মিছিল। সাদা, সবুজ পতাকা হাতে যুবকদের গর্জমান পদযাত্রা ব্যাপক সাড়া ফলে গোটা মির্জাতে। যুবদের পদযাত্রায় সামিল হয়েছেন অন্যান্য গণতান্ত্রিক অংশের জনগণও। সিপিআই(এম) মির্জা অফিসের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে গোটা বাজার পরিক্রমা করে মির্জা আরপিএস, শনিতলা হয়ে মির্জা স্কুলের পাশ দিয়ে মোটর ষ্ট্যান্ড ঘুরে পুনরায় বাজার হয়ে পার্টি অফিসের সামনে এসে মিলিত হয় সভায়। শ্লোগান সোচ্চার পদযাত্রা যে পথ দিয়ে গিয়েছে তাতে সাধারন মানুষ থেকে বাড়ি-ঘরের লোকজন ছুটে এসে প্রত্যক্ষ করেছে। আর বহুদিন পর যুবকদের উচ্ছ্বাসপূর্ন পদযাত্রা দেখে উদ্বেলিত হয়েছেন তারা।
গোটা রাজ্যেই এই সময়ে ডিওয়াইএফআই-টিওয়াইএফ কর্মসংস্থানের দাবিতে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে এবং নেশার বিরুদ্ধে ৩ দফা দাবিতে কর্মসূচীর আহ্বান জানিয়েছিল। তারই অঙ্গ হিসাবে উদয়পুর মহকুমার নানান অঞ্চলে এই কর্মসূচী সংগঠিত হচ্ছে। রবিবার শীতের বিকেলে মির্জাতে যুব পদযাত্রা উত্তাপ ছড়ায়। পদযাত্রা শেষে সভায় যুব নেতৃত্বরা কর্মসংস্থান, আইনশৃঙ্খলা ও নেশা তিন ইস্যুতে তীর্যক ভাষায় শাসক বিজেপি’র বিরুদ্ধে আক্রমন শানায়। তাতে বিজেপি’র ব্যাপক গায়ে লাগে এবং যুবদের পদযাত্রা-সভার পর মির্জা বাজারে বিজেপি তীব্র উস্কানি ও কুরুচিপূর্ন শ্লোগান দিয়ে মিছিল সংগঠিত করে। আর এতে বাজারে থাকা সাধারন ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়।
এদিন পদযাত্রা শেষে সিপিআই(এম) মির্জা অঞ্চল অফিসের সামনে আয়োজিত পথসভায় যুবনেতা পার্থ লোধ ও অমল দেববর্মার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি পলাশ ভৌমিক, উদয়পুর বিভাগীয় সভাপতি ফারুক আহমেদ, টিওয়াইএফ উদয়পুর বিভাগীয় সম্পাদক রাজেন্দ্র জমাতিয়া। এই নেতৃত্বরা এছাড়াও পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন প্রাক্তন যুবনেতা নিখিল দাস, বিজয় চক্রবর্ত্তী, বিপ্লব দাস, গৌতম আইচ, ডিওয়াইএফআই বিভাগীয় সম্পাদক শুভ চক্রবর্ত্তী প্রমুখরা।
ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি পলাশ ভৌমিক আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, বিজেপি দেশ, রাজ্যের জনগণের সাথে প্রতারনা করে চলছে। ত্রিপুরার জনগণ গত সাত বছরে বিজেপি’র কাছ থেকে কি পেয়েছেন? সন্ত্রাস, লুটতরাজ, আক্রমন ছাড়া আর কিছু জুটে নি। অথচ এরাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বছরে পঞ্চাশ হাজার যুবকের চাকরি, ঘরে ঘরে রোজগারের ব্যবস্থা করবে। অভিজ্ঞতা হচ্ছে হাজার হাজার শূন্যপদ অবলুপ্ত করা হচ্ছে, চাকরির দরজা প্রতিদিন সঙ্কুচিত করা হচ্ছে। যুবকরা যাতে কাজের দাবিতে একত্রিত না হতে পারে তারজন্য পরিকল্পিত পন্থায় যুবকদের নেশায় ডুবিয়ে রাখা হচ্ছে, ধর্মীয় উন্মাদনায় বেঁধে রাখার চেষ্টা করছে। গোটা রাজ্যকে নেশার ডিপোতে পরিনত করছে এই বিজেপি সরকার। এর প্রতিবাদ না হলে যিনি বিজেপি করছেন তার ঘরের সন্তানদেরও কর্মসংস্থান হবে না, নেশায় বুঁদ হওয়ার রাস্তা প্রশ্বস্থ হবে। তাই সব অংশের জনগণকে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিজেপির শাসনে ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা তলানিতে ঠেকেছে। বেওয়ারিশ লাশ প্রতিদিন পাওয়া যাচ্ছে, নারীর সম্ভ্রম নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষক খুন হচ্ছে, কর্মক্ষেত্রে ডাক্তার থেকে কর্মচারী আক্রান্ত হচ্ছেন। পুলিশকে নেশা কারবারিরা পিষে মারছে। কথা বলার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। আতীতে কি এরকম ছিল ত্রিপুরা? ত্রিপুরাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি? ডিওয়াইএফআই-টিওয়াইএফ যে দাবিতে আন্দোলন করছে এটা শুধু তাদের দাবি না, সমাজের সব অংশের দাবি। তাই দলমত নির্বিশেষে বিজেপির স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামুন। রাস্তায় নেমে হকের দাবি সোচ্চার হোন। সমাজকে সুস্থ রাখতে কথা বলুন। যারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করেনা তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান রাখেন পলাশ ভৌমিক।
- প্রতিনিধি, উদয়পুর :- রবিবার উদয়পুর রাজর্ষি কলাক্ষেত্রে বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চ অনুমোদিত রাষ্ট্রবাদী কর্মচারী সংঘ ও রাষ্ট্রবাদী শিক্ষক সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত মেগা রক্তদান উৎসব ও গোমতী জেলার এক দিবসীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শুভ সূচনা করেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মজদুর মনিটরিং সেলে সভাপতি বিপ্লব কর, রাজ্য মজদুর মনিটরিং সেলের ও আশা ফেসিলেটর সম্পাদিকা সেবিকা চৌধুরী, বিবেকানন্দ বিচারমঞ্চের রাজ্য কমিটির সদস্য দীপেন ভৌমিক, রাজ্য মনিটারিং সেলের সদস্য বিপ্লব দাস সহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানে ৫১ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন। এক দিবসীয় কনভেশন অনুষ্ঠান শেষে বিধায়ক রাম পদ জমাতিয়া বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন , কর্মচারীদের বদলির কথা চিন্তা না করে কর্মক্ষেত্রে আরও অধিক মনোনিবেশ করার আহবান জানান এবং কাজের ফাঁকে নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে অধিকতর সমৃদ্ধ করার জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের দিকে মনোনিবেশ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এছাড়াও বিবেকানন্দ বিচারমঞ্চের রাজ্য কমিটির সদস্য দীপেন ভৌমিক বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন আমাদের সমাজব্যবস্থায় দেখা যাচ্ছে সমাজের মানুষের মধ্যে একটা আত্মকেন্দ্রিকতার প্রবণতা যেন জেগে আছেন। এই আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব যাতে এটা থেকে আমরা দূরে থাকতে পারি আমরা যাতে সমাজের মানুষের সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে পারি আদর্শকে পাথেয় করে আমরা বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চ ধরা পরিচালিত হয়ে রাষ্ট্রবাদী কর্মচারী সংঘ এবং রাষ্ট্রবাদী শিক্ষক সংঘের ছাত্র ছায়ায় সামিল হয়েছেন। পাশাপাশি বেশ কিছু দাবি সনদ নিয়ে বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া কাছে পেশ করেন। দাবি গুলি হল , সর্বশিক্ষার শিক্ষকদের ত্রিপুরা মাননীয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় অনুযায়ী নিয়মিত করতে হবে। সমস্ত দপ্তরের কর্মচারীদের সপ্তম বেতন কমিশনের ন্যায় সমস্ত এলাউন্স প্রদান করতে হবে ইত্যাদি। গোটা অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভাগের লোকেদের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো ।
অর্থমন্ত্রীর নামে ত্রিপুরায় খোলা হয়েছে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট । থানায় মামলা ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ সিংহ রায়ের নাম ও ছবি ব্যবহার করে কে বা কারা ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট চালু করেছে। এই বিষয়টি নজর আসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শুভানুধ্যায়ীদের পক্ষ থেকে একাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বার্তা দেওয়া হয় কিন্তু একাউন্টটি এখনো চলছে। আজ মন্ত্রীর নির্দেশে তাঁর আপ্ত সহায়ক আর কে পুর থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ জানান। অভিযোগ নং ২১/২৫। এর আগেও গত বছর প্রায় একই সময়ে ফেসবুকে এরকমই একটি অ্যাকাউন্ট চালু করা হয়েছিল যা নিয়েও থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল। ২০২২ সালে এপ্রিল এবং মে মাসে হোয়াটসঅ্যাপে দুটো অ্যাকাউন্ট চালু করা হয়েছিল যেগুলো নিয়েও আই টি এক্ট্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। মন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফেসবুকে এবং অন্যান্য মাধ্যমে এই একাউন্টগুলিতে সাড়া না দিতে এবং অস্বাভাবিক কিছু নজরে এলে পাশ্ববর্তী থানায় অভিযোগ জানাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অর্থমন্ত্রী কে নিয়ে এই ধরনের ফেসবুক একাউন্ট খোলা কে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য উদয়পুরে ।