প্রতিনিধি মোহনপুর :-সিমনা ধ্বধানসভার ইন্ডাস্ট্রি এলাকার এক বাড়ি থেকে স্বর্ণের হার চুরি করার অভিযোগ ওঠে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে মামলা করা হয়েছে সিধাই থানাতে। দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া স্বর্ণের হার। অভিযুক্তদের আদালতে পাঠিয়েছে সিধাই থানার পুলিশ।সিধাই থানার অন্তর্গত ইন্ডাস্ট্রি এলাকা লিপিকা দেববর্মার বাড়ি থেকে একটি স্বর্ণের হার চুরি হয়েছে গত ফেব্রুয়ারি মাসে। রবিবার এই বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে সিধাই থানায়। পুলিশ তদন্ত নেমে সন্দেহভাজন দুই যুবককে আটক করে। অভিযুক্তরা হল রিকুশ দেববর্মা এবং জাহ উজাহার। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে স্বর্ণের হার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। ১৮ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের হার চুরির পর পুলিশের কাছে ফেরত দিয়েছে অভিযুক্তরা। ইতিমধ্যেই দুজনের বিরুদ্ধে চুরির মামলা গ্রহণ করে অভিযুক্তদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মঙ্গেশ পাটারি।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি ধর্মনগর,, ধর্মনগর রেলস্টেশনে এক যুবকের কাছ থেকে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার, বৈধ নথি না থাকায় আটক করা হলো এই যুবককে ।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগর রেলস্টেশনে রেলওয়ে পুলিশ কর্তৃক এক যুবকের কাছ থেকে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম রাহুল দেবনাথ।
আজ সকালে ধর্মনগর থেকে আগরতলাগামী একটি ট্রেনে অভিযান চালিয়ে জিআরপিএস পুলিশ রাহুল দেবনাথকে আটক করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯০০ টাকা। তবে এত বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ বহনের বৈধ কোনো নথিপত্র সে দেখাতে পারেনি। ফলে তাকে আটক করে বর্তমানে ধর্মনগর জিআরপিএস থানায় রাখা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাহুল দেবনাথ পেশায় একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তার নিজস্ব স্বর্ণের দোকান রয়েছে ধর্মনগরের ডিএল মার্কেটে। তিনি ধর্মনগরের নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে জিআরপিএস, এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন না করলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।তবে বর্তমানে পুলিশ কি পদক্ষেপ নেয় তা দেখার অপেক্ষায় সমগ্র ধর্মনগর বাসী।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- সিধাই থানার অন্তর্গত ফটিকছড়া এলাকায় জুয়াবিরোধী অভিযানে সাফল্য পেল পুলিশ। এই ঘটনার জেরে পুলিশ আধিকারিককে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ মান্না ঘোষ ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা আক্রমণ করেছে পুলিশের উপর। ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে পুলিশ আধিকারিকের মোবাইল ফোন।
সিধাই থানার অন্তর্গত ফটিকছড়া এলাকায় এক মেলাকে কেন্দ্র করে বিগত দুদিন যাবত হচ্ছিল জোয়ার আসর। বৃহস্পতিবার সংবাদ প্রকাশের পর এদিন দুপুর নাগাদ মেলাকে কেন্দ্র করে জোয়ার আসরে হানা দেয় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন অভিযুক্তকে। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে জুয়া খেলার সামগ্রী। এই ঘটনার পর এদিন সন্ধ্যা নাগাদ মেলায় নিরাপত্তা দিতে যান সিধাই থানার সাব ইন্সপেক্টর উত্তম দাস। সেখানেই উনাকে পেছন দিক থেকে জাপটে ধরার অভিযোগ উঠেছে মান্না ঘোষের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার সাথে মান্না ঘোষের পাশাপাশি জড়িত ছিল মান্না ঘোষের পাশাপাশি পুলিশ নিগ্রহে সরাসরি যুক্ত ছিল কমল দেব, গৌতম ঘোষ, ইন্দ্রজিৎ রায়, অরূপ দত্ত, লিটু পান উড়িয়া, বাপি সরকার এবং সত্যজিৎ দাস। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করেছে পুলিশ। এদিন পুলিশ অফিসারের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে মোবাইল ফোন। পুলিশের ইউনিফর্ম ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শারীরিক ও মানসিক ভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে পুলিশ আধিকারিককে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় মোহনপুরের এসডিপিও সব্যসাচী দেবনাথ ও সিধাই থানার ওসি মঙ্গেশপাটারী। উদ্ধার করা হয়েছে ছিন্তাই হওয়া মোবাইল ফোন। ওসি জানিয়েছেন যারাই এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেককে বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি যারাই পুলিশের উপর এই আক্রমণ সংঘটিত করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশ প্রদান করুক পুলিশ মন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ২৮ এপ্রিল:- ধলাই জেলার প্রত্যন্ত গন্ডাছড়া মহকুমার নারায়নপুর দেবনাথ পাড়ার এক ছোট্ট প্রাণপ্রেমী অর্ণব দেবনাথ আজ শোকাহত। ছোটবেলা থেকেই পশু-পাখির প্রতি অর্ণবের অগাধ ভালোবাসা ছিল। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এই কিশোর এখন পর্যন্ত অসংখ্য পশু ও পাখি লালন-পালন করেছে। তার সংগ্রহে ছিল টিয়া, ময়না, অস্ট্রেলিয়ান বাজিস পাখি, ফিঞ্চ, বুলবুলি, চড়ুই, শালিক, বিড়াল, কবুতর, হাঁস ও মুরগির মতো বিভিন্ন প্রাণী। খাঁচাবন্দি পশুপাখিদের প্রতি মমতা দেখিয়ে অর্ণব অনেক সময় নিজের জমানো টাকায় আগরতলা থেকে এক হাজার, দুই হাজার, এমনকি তিন হাজার টাকায় পাখি কিনে এনে লালন-পালন করত।কিন্তু অর্ণবের মন সব সময় একটাই কথা ভাবত — “এই সুন্দর পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণী স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রাখে।” সেই ভাবনা থেকেই সে প্রতি বছর ২৩ আগস্ট, নিজের জন্মদিনে খাঁচার দরজা খুলে পাখিদের মুক্ত করে দিত। তার বিশ্বাস, বছরের পর বছর খাঁচায় বন্দি রেখে প্রাণীদের স্বাধীনতা হরণ করা পাপের সমান। তাই বিশেষ দিনে সে পাখিদের মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দিয়ে আনন্দ পেত।
সম্প্রতি অর্ণব তার বাবা-মায়ের সাথে আগরতলা গিয়ে বিদুরকর্তা চৌমুহনী টিবিএস শোরুম সংলগ্ন মা সন্তোষী একুয়া পেট শপ থেকে দুটি অস্ট্রেলিয়ান বাজিস পাখি কিনে আনে। বাড়িতে এনে যথারীতি ভালোবাসা আর যত্নে পাখিগুলোর পরিচর্যা করছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে একটি পাখি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিন দিন ধরে পাখিটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। রবিবার দিন অর্ণব অসুস্থ পাখিটিকে নিয়ে দ্রুত আগরতলায় পশু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ এনে যথাসাধ্য চেষ্টা চালানো হয় পাখিটিকে সুস্থ করার।কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সোমবার সকালে, অর্ণব স্কুলে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে তার আদরের বাজিস পাখিটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নিজের প্রিয় পাখির মৃত্যু দেখে অর্ণব কান্নায় ভেঙে পড়ে। ভীষণ মন খারাপ নিয়ে, অশ্রুসজল চোখে সে স্কুলে চলে যায়। যাওয়ার আগে মা,বাবা এবং ঠাকুরমা’কে বলে যায়, স্কুল থেকে ফিরে এসে প্রিয় পাখিটির সৎকার করবে।
স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে, দুপুর দু’টার দিকে হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে বাড়ির পাশে একটি বিশাল গর্ত খুঁড়ে প্রিয় বাজিস পাখিটিকে শ্রদ্ধাভরে সমাধিস্থ করে। পাখির মরদেহ ফুল দিয়ে সাজিয়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়। সেদিন শুধু অর্ণব নয়, গোটা দেবনাথ পরিবার শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে। ছোট্ট একটি প্রাণের অকাল মৃত্যুর যন্ত্রণা তাদের চোখেমুখে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
অর্ণবের এই নিরহংকার পশুপ্রেম এবং প্রাণীর প্রতি গভীর সম্মান সত্যিই আজকের সমাজের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এতটুকু বয়সে সে যা উপলব্ধি করতে পেরেছে, তা অনেক বড়রাও প্রায়ই বুঝতে ব্যর্থ হয়। প্রতিটি প্রাণীর স্বাধীনতার জন্য তার ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- মাতাবাড়ি ফামার্স সার্ভিস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর উদ্যোগে বোর্ডের মোট ৫৫ জন মহিলা সদস্যাকে আর্থিক স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে মোট ১১ টি যৌথ দায়বদ্ধতা গ্রুপের মাধ্যমে সর্বমোট ২৭,৫০,০০০ টাকা লোন দেওয়া হয়েছে । উক্ত লোন লেটার বন্টন অনুষ্ঠানে অংশ নেন মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিষেক দেবরায়। এদিন সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে ভাষণ রাখতে গিয়ে বিধায়ক বলেন , কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রাজ্যের জনগণকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন ব্লক স্তর থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন , আগামী দিনে গ্রামীণ মহিলাকে আত্মনির্ভর ভাবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি মাতাবাড়ি ফার্মাস সার্ভিস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর উদ্যোগে ৫৫ জন সদস্যাকে যে লোন দেওয়া হয়েছে তা আগামী দিনে প্রত্যেকে আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করে। এদিন গোটা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২০ এপ্রিল।। ব্যানার ছিল জন অধিকার সংগ্রাম মঞ্চ। কার্যত হলো বামগ্রেসের রাজনৈতিক মঞ্চ। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধী আন্দোলনে বিরোধীদের মুখ ও মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেল। রবিবার বিশালগড় রেল স্টেশন সংলগ্ন মাঠে সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন জন অধিকার সংগ্রাম পরিষদ। পুলিশের অনুমতি না থাকায় মিছিল বাতিল হয়ে যায়। মাঠেই হয়েছে সভা। লক্ষ্যমাত্রা দশ হাজার থাকলেও উপস্থিতির সংখ্যা আটকে যায় আড়াই হাজারে। যদিও বিশালগড়ের সংখ্যালঘুদের উপস্থিতি ছিল নগণ্য। পার্শ্ববর্তী কমলাসাগর, বক্সনগর, চড়িলাম, উদয়পুর প্রভৃতি এলাকা থেকে সংখ্যালঘুরা সমাবেশে অংশ নেন। অরাজনৈতিক সমাবেশের কথা থাকলেও আড়ালে কল কাঠি নেড়েছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। সিপিএম কংগ্রেসের ছলচাতুরি আগেই ধরে ফেলেছিলেন বিশালগড়ের সংখ্যালঘুরা । তাই সমাবেশ মুখী হয়নি বিশালগড়ের সংখ্যা লঘুরা। বেলা দুইটাই সমাবেশ শুরু হওয়ার পর আচমকায় সভা মঞ্চে উপস্থিত হন সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী ভানু লাল সাহা, সিপিএমের মহকুমা সম্পাদক পার্থ প্রতিম মজুমদার, কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গোপীনাথ সাহা। মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে মঞ্চে ভাষণ দেন পুরুষোত্তম রায় বর্মন। অন্যদিকে মঞ্চে ছিলেন তিপরা মথার সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান শাহ আলম মিয়া। এ নিয়েও গুঞ্জনের অন্ত নেই। এদিকে সংখ্যালঘুদের আন্দোলনে বাম কংগ্রেস নেতাদের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ লিখছে করোনা মহামারী সময়ে হিন্দু মুসলমান কারোর পাশেই ছিলেন না সিপিএমের নেতারা। আবার কেউ প্রশ্ন তুলছে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় কোথায় ছিলেন সিপিএম কংগ্রেসের নেতারা ? আবার কেউ লিখছে ওরা অসুবিধাবাদী। যখন যেমন, তখন তেমন। অনেকেই বলছে শান্ত বিশালগড় কে অশান্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে কংগ্রেস সিপিএমের নেতারা। সংখ্যালঘু মোর্চা লিখেছে কংগ্রেস সিপিএমের নেতারা তাদের রাজনৈতিক পতাকা হাতে নিয়ে সমাবেশে আসলেই পারতেন। ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনে বিরোধীদলের মাতব্বরিতে অখুশি সংখ্যালঘুরাও। কংগ্রেস সিপিএমের নেতারা যে সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন তা গোপন রেখেছে আয়োজকরা। যদিও বিশালগড়ের সংখ্যালঘু নাগরিকরা তা আগেই টের পেয়েছেন। তাই বামগ্রেসের ফাঁদে পা দেননি। এদিকে অনুমতি না থাকলেও মিছিল করার চেষ্টায় ছিলেন আয়োজকরা। পুলিশ প্রশাসন আগে থেকেই সতর্ক ছিলেন। পুলিশ টিএসআর সিআরপিএফ মোতায়েন ছিল । জল কামান , রাবার বুলেট নিয়ে যুদ্ধ সাজে ছিল পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার বিজয় দেববর্মা, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার রাজিব সূত্রধর, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দুলাল দত্ত, থানার ওসি সনজিত সেন সকাল থেকেই যে কোন অশান্তি এড়াতে প্রস্তুত ছিলেন। জম্পুইজলা এবং আগরতলা থেকেও বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার দায়িত্ব সামলিয়েছেন।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ১৯ এপ্রিল: – গত ১৬ এপ্রিল, অসমের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের অরণ্যে দেখা গেল এক অত্যন্ত বিরল সোনালি বাঘ বা গোল্ডেন টাইগার। এই অনন্য মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি করেন ত্রিপুরার গন্ডাছড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং শখের আলোকচিত্রী ডঃ শ্রীমন্ত রায়।
বাঘটির গায়ের রং ছিল হালকা সোনালি-কমলা, আর ডোরা হালকা লালচে—যা সাধারণ বাঘের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটি বেঙ্গল টাইগারের একটি জিনগত বৈচিত্র্যের ফল, যার নজির পৃথিবীতে হাতে গোনা কয়েকটিই আছে।
ডঃ রায় এই অভিজ্ঞতাকে তাঁর আলোকচিত্র জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন। তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কাজিরাঙ্গার অভিজ্ঞ সাফারি চালক শ্রী ভাস্করজ্যোতি হাজং-এর প্রতি, যিনি তাঁকে সঠিক স্থানে ও সঠিক সময়ে নিয়ে গিয়ে এই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে সাহায্য করেন।
তাঁর এই সফরের অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস ছিলেন তাঁর স্ত্রী শ্রীমতী নিশিতা ভৌমিক, যিনি সবসময় তাঁর সৃজনশীল প্রচেষ্টাকে উৎসাহ দিয়ে চলেছেন। তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন স্থানীয় ট্যাক্সি চালক শ্রী বিনোদ কুমার দাস-এর প্রতিও, যিনি পুরো যাত্রাপথে তাঁকে সহায়তা করেছেন।
ডঃ রায় তাঁর এই দুর্লভ ছবিটি উৎসর্গ করেছেন তাঁর ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে, যাতে তারা প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য এবং সৃজনশীলতার প্রতি আগ্রহী হয় ও পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে শেখে।
এই ছবি শুধুমাত্র একটি দুর্লভ দৃশ্য নয়, বরং এটি বহন করে একটি গভীর বার্তা—প্রকৃতি আমাদের কত অমূল্য এবং আশ্চর্য রত্নে সমৃদ্ধ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- উদয়পুর শহরসহ তার আশপাশ এলাকায় প্রতিদিন দিন অথবা সন্ধ্যা রাতে ড্রোন উড়ছে আকাশের মধ্যে। কারা এবং কোথা থেকে এই ড্রোনগুলি উড়াচ্ছে শহরের বুকে তা নিয়ে খবর নেই পুলিশের কাছে। শনিবার সন্ধ্যা রাতে উদয়পুর জগন্নাথ দিঘীর মধ্যে একটি ড্রোন উড়ানো হয়। একটা সময় ড্রোনটি প্রায় এক ঘন্টা গোটা শহরের বিভিন্ন জায়গার ছবি নিয়ে নেয় । কিন্তু কেন এই ড্রোন এইভাবে সন্ধ্যারাতে ওড়ানো হয়েছে শহরের বুকে তা নিয়ে কিন্তু চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে শহরবাসীদের মধ্যে। জানা যায় , কোন শহর অথবা গ্রামে যদি ড্রোন উড়ানো হয় তার জন্য জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। সূত্রের দাবি , এদিন সন্ধ্যা রাতে যেভাবে উদয়পুর শহরের মধ্যে ড্রোন উড়ানো হয়েছে তাতে করে কোন ধরনের প্রশাসনিক অনুমতি ছিল না। একটা সময় ড্রোন উড়ানো কয়েকজন যুবক সাধারণ মানুষকে দেখতে পেয়ে বাইক নিয়ে জগন্নাথ দিঘীর পূর্বপাড় থেকে চম্পট দেয়। শহরবাসী দাবি তুলছেন প্রশাসন যেন আকাশে এই ড্রোন উড়ানো নিয়ে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করে । তার কারণ যেভাবে অবৈধভাবে এর ড্রোনগুলি উড়িয়ে সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘরের ছবি নিয়ে নিচ্ছে । সেই ছবিগুলি যে কোনো খারাপ কাজে ব্যবহৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করতে জনগণ।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- বৈশাখের তৃতীয় দিনেই গরমে নাভিশ্বাস ওঠার যোগার। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশে কখনও রোদ কখনও আবারও রোদের ফাঁকে মেঘের দেখা মিললেও গরম থেকে স্বস্তি নেই। শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যের গোমতী জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্র বিদ্যুৎসহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উদয়পুরে কালবৈশাখীর সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কাও। শুক্রবার পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। এমনটাই আবহাওয়ায় দেখিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তার মাঝেই বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ কালবৈশাখীর ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে গোটা উদয়পুর মহকুমা। এদিন তীব্রগতির ঝড়ের কারণে উদয়পুর রেল স্টেশনে মরুভূমির মরু ঝড় দেখতে পাওয়া গিয়েছে যা ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল । অন্যদিকে মহারানী , কাকড়াবন এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা ভেঙে পড়ে রাস্তার উপর। তারপরে ঐ সকল এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বর্তমানে কি পরিস্থিতি রয়েছে ঝড়ের পরে সে সকল ছবিগুলি গোমতী জেলা শাসক সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আধ ঘন্টার বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি নেমে এসেছে জনমানুষে তার কারণ যেভাবে গত কয়েকদিনের তীব্র গরম নাজেহাল করে তুলেছিল সাধারণ মানুষকে তাতে করে পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু করে তার দ্বিতীয় দিনে গরমের হাঁসফাঁস থেকে রেহাই পায়নি কোন মানুষ তারপরে অসুস্থ হয়ে পড়েছে উদয়পুর মহকুমার বিভিন্ন মানুষ । ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বহু লোক। যেভাবে গরমের তীব্রতা বেড়েছে উদয়পুরে তাতে করে বৃহস্পতিবার দুপুরের হালকা বৃষ্টি স্বস্তি নেমেছে শহরবাসীর মধ্যে।
পহেলা বৈশাখের শুভক্ষনে কৈলাসহর এবং চন্ডিপুর সহ গোটা রাজ্যের মানুষকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মন্ত্রী টিংকু রায়।নতুন বছরের ভোর হোক আশার আলোয় ভরা,হোক শান্তি,প্রগতি ও সৌভ্রাতৃত্বের বার্তাবাহক।বাংলা নববর্ষ আমাদের পরম্পরাগত সংস্কৃতি,ঐতিহ্য ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক। এই দিন শুধু নতুন খাতা বা হিসেবের সূচনাই নয়,এটি হৃদয়ের নবীকরণ,সম্পর্কের পুনর্গঠন এবং মানবতার জয়গান।চলুন আমরা সকলে মিলে প্রতিজ্ঞা করি এই নতুন বছরে বিভেদ নয়,গড়বো ঐক্যের বন্ধন।শোষণ নয়, গড়বো সহানুভূতিশীল সমাজ।হতাশা নয়,জাগিয়ে তুলবো আশার আলো।আমি বিশ্বাস করি,একত্রে আমরা গড়তে পারি একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও উন্নত ত্রিপুরা। বাংলা নববর্ষ আমাদের সেই নতুন পথ চলার প্রেরণা জোগাক।শুভ নববর্ষ!
প্রেম,ঐক্য ও মানবিকতার আলোয় আলোকিত হোক আমাদের নতুন বছর।