প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ৭ ডিসেম্বর:- গোটা দেশের সাথে গন্ডাছড়া মহকুমাতেও ৭ ডিসেম্বর সশস্ত্র বাহিনী পতাকা দিবস উদযাপন করা হয়। এদিন গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের এন এস এস ইউনিটের উদ্যোগে উদযাপিত হয় সশস্ত্র বাহিনী পতাকা দিবস। এই উপলক্ষে এন এস এস স্বেচ্ছাসেবীরা সশস্ত্র বাহিনীর পতাকা স্টিকার বিলি করে তহবিলের উদ্দেশ্য অর্থ সংগ্রহ করে। এই কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অর্থ প্রদান করেন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা,উপাধ্যক্ষ, বিদ্যালয় পরিদর্শক সহ পরিদর্শক কার্যালয়ের কর্মীরা। পাশাপাশি অর্থ’রাশি সংগ্রহে মহকুমা সদর বাজার, যানবাহন,মহকুমা হাসপাতাল,থানা,ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন সরকারী কার্যালয়ে যায় এন এস এস স্বেচ্ছাসেবীরা। অত্যন্ত আগ্রহের সাথে সেচ্ছাসেবী’দের আবেদনে সাড়া দিয়ে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে দান করেন অর্থ’রাশি। এদিন স্বেচ্ছাসেবীদের এই অভিযান প্রত্যক্ষ করে তাতে অর্থ প্রদান করেন সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী এবং টি এস আর জওয়ানরা। এন এস এস প্রোগ্রাম অফিসার ভাস্কর ঘোষ জানান সংগ্রহ করা অর্থ রাশি সশস্ত্র বাহিনী পতাকা দিবস তহবিলে দানের উদ্দেশ্যে ত্রিপুরা রাজ্য এন এস এস সেল এ প্রদান করা হবে। তিনি আরও জানান,গত বছর গোটা রাজ্যে সর্বমোট ২ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এর থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে এবং দুই লক্ষ এগার
হাজার টাকা রাজ্য সৈনিক বোর্ডে প্রদান করা হয়।উল্লেখ্য গত বছর গোটা রাজ্যের মধ্যে গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের এন এস এস ইউনিট সবচেয়ে বেশি অর্থ প্রদান করেছিল।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-সংস্কৃতির শহরে এই প্রথমবার অনুষ্ঠিত হবে লোক শিল্পীদের সমন্বয়ে লোকগানের বর্ণময় উৎসব। লোক সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে এবং কৈলাসহর পুর পরিষদের সহযোগিতায় আগামী ২৮ এবং ২৯শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনের রাজ্য ভিত্তিক বাউল উৎসব।এই উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বাউল শিল্পীরা অংশগ্রহণ করবেন।বাউল সংগীতের এই বিশেষ আয়োজন কৈলাসহরের গোবিন্দপুর এলাকায় অবস্থিত রামকৃষ্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।লোক সংস্কৃতি সংসদের বরিষ্ঠ সভাপতি অরুণ নাথ সর্বস্তরের মানুষকে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বাউল সংগীত উপভোগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।এই আয়োজনের সাফল্য নিশ্চিত করতে আজ সকালে চন্ডিপুরের বিধায়ক তথা সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়ের চন্ডীপুর স্থিত বাসভবনে দেখা করেন লোক সংস্কৃতি সংসদের বরিষ্ঠ সভাপতি অরুণ নাথ,সমাজ সেবক অরুণ সাহা আইনজীবি সন্দীপ দেবরায় সহ অন্যান্যরা। তারা বাউল উৎসবের আয়োজন ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন এবং মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
সমস্ত শিক্ষার্থীদের হতে হবে আত্মনির্ভর মোহনপুরে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বললেন মন্ত্রী
প্রতিনিধি মোহনপুর :- মোহনপুরের স্বামী বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল শুক্রবার। এদিন প্রদীপ প্রজনন এবং গাছে জল দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেছেন মোহনপুরে বিধায়ক তথা মন্ত্রী রতন লাল নাথ। শিক্ষার্থীরা আত্মনির্ভর হওয়ার জন্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আহ্বান করলেন মন্ত্রী।
মোহনপুরের স্বামী বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ে অন্যান্য বছরের মত এই বছরও নবীন বরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল। এই অনুষ্ঠানের প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে সূচনা করলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ। টিএনজিসিএল এর উদ্যোগে স্বামী বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ে প্রদান করা হয়েছে দশটি কম্পিউটার। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই কম্পিউটার লেবের উদ্বোধন করেছেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। এদিন মন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা শিক্ষার্থীদের আহ্বান করেন সঠিকভাবে পড়াশোনা করে আত্মনির্ভর হওয়ার জন্য। তিনি শিক্ষার্থীদের আহ্বান করেন জীবনে বড় কিছু করার জন্য শুরু থেকেই দৃষ্টিভঙ্গি স্থির করতে। অন্যদিকে বামুটিয়ার বিধায়ক নয়ন সরকার আহবান করেন বর্তমানে যেভাবে ড্রাগস এবং অন্যান্য নেশার রমরমা চলছে সেগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের দূরে রাখার। পাশাপাশি আগামী দিনের সঠিক পড়াশোনার মাধ্যমে একজন সঠিক নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান করেন বিধায়ক। এই দিন মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন শুধু পড়াশোনা করে চাকরি করলেই হবে না। প্রত্যেকটি ছেলে মেয়েকে পড়াশোনা পাশাপাশি হতে হবে মানবিক এবং চিন্তনশীল। মন্ত্রী ছেলেমেয়েকে আহ্বান করেন গদ বাঁধা লক্ষ্য স্থির করে লেখাপড়ার কোন দরকার নেই। প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে নতুন নতুন বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা এবং পড়াশোনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আহ্বান করেছেন তিনি। যে যেই ক্ষেত্রে ভালো সে সেই ক্ষেত্রে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলাই গোস্বামী, মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রাকেশ দেব, মোহনপুর পুর পরিষদের চেয়ারপারসন অনিতা দেব সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ত্রিপুরা শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন এবং সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর ও মহাকুমা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে মনুভ্যালী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্য শিবির এবং প্রশাসনিক শিবির ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়,জেলা সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,ত্রিপুরা শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন জয়ন্তী দেববর্মা। চন্ডিপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন সম্পা দাশ, ভাইস চেয়ারপার্সন বিনয় সিংহ,জেলাশাসক ও সমাহর্তা দিলীপ কুমার চাকমা,সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস, শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের মেম্বার সেক্রেটারি স্বপন দাস।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঊনকোটি জেলা পরিষদের সদস্য শ্যামল দাস।প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের জেলা পরিদর্শক বিদ্যাসাগর দেববর্মা এবং ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার।আজকের এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শতাধিক শিশুর হাতে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে সমাজ কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে। মূলত শিশুদের অধিকার এবং তাদের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি শিশুদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করার উপর সকল বক্তারা গুরুত্বারোপ করেন।বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন মুখ্যমন্ত্রী মাতৃবন্ধন যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী মাতৃবন্ধন যোজনার মধ্য দিয়ে গর্ভবতী মায়েদের বাচ্চা প্রসবের পর আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে। কিন্তু তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন এই রাজ্যের একটা বড় অংশ গর্ভবতী হওয়ার পরও ১৮ বছরের নিচে থাকায় তাদের কোন সহযোগিতা করা সম্ভব হয় না।তিনি জোর দিয়ে বলেন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে শুধুমাত্র আইন নয়,পুলিশ নয়,মহকুমা প্রশাসন কিংবা জেলা প্রশাসন নয়,সকল নাগরিকদেরকে তাদের সন্তান-সন্ততিদের নজরে রাখতে হবে এবং যৌথ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে তার সচেতনতা বৃদ্ধি করে এই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে।তিনি দপ্তরের অধিকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় শিশুদের শেল্টার হাউস থাকলেও উনকোটি জেলার কৈলাসহর কিংবা কুমারঘাটে কোনো ধরনের চাইল্ড শেল্টার হোম নেই।যেহেতু জেলা সদরে জেলা আদালত রয়েছে তাই কৈলাসহরে একটি হোম সেন্টার নির্মাণ হলে অনেকটাই সুবিধা হবে সকলের।এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মহাকুমা প্রশাসনের তরফ থেকে প্রশাসনিক শিবির এবং স্বাস্থ্য শিবিরে হাজারেরও বেশি বাগিচা শ্রমিকরা অংশগ্রহণ করেছেন।
বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসকে কেন্দ্র করে সক্ষম ত্রিপুরা প্রান্তের একাধিক কার্যক্রমে উপস্থিত অধ্যক্ষ।।
ধর্মনগর রিপোর্ট।। প্রতিবছর ৩ ডিসেম্বরকে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।১৯৯২ সাল থেকে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে। শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগীতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকান্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই এই দিবসটির সূচনা। প্রতিবছরের মত এবছরও বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসকে কেন্দ্র করে ধর্মনগর সহ গোটা উত্তর জেলায় একাধিক কার্যক্রম হাতে নেয় সক্ষম। ধর্মনগরের জয়হিন্দ ক্লাব প্রাঙ্গণে সক্ষম ত্রিপুরা প্রান্তের উদ্যোগে এবং রোটারি ক্লাব ধর্মনগরের সহযোগিতায় দিব্যাংদের দিয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে ৪ জনকে হুইল চেয়ার, ১ জনকে ট্রাই সাইকেল, ২ জনকে শ্রবণযন্ত্র, ১০ জনকে স্মার্ট বেত(অন্ধ লাঠি) প্রদান করা হয়। এই মহতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধর্মনগরের বিধায়ক তথা রাজ্য রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সক্ষম ত্রিপুরা,দক্ষিণ আসাম ও মিজোরাম প্রান্তের যুগ্ম সম্পাদক রাজীব বিশ্বাস, উপস্থিত ছিলেন রোটারি ক্লাব ধর্মনগরের পক্ষ থেকে সুবীর সোম, বরুন দাস সহ সক্ষম, রোটারি ক্লাব ধর্মনগর, জয়হীন্দ ক্লাবের সকল সদস্যরা ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা। উক্ত অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষের হাত দিয়ে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে হুইল চেয়ার,ট্রাইসাইকেল সহ অন্যান্য জিনিস প্রদান করা হয়।পাশাপাশি অধ্যক্ষ জানান এমন মহতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। সক্ষমের এই ধরনের উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ জানান এবং আগামীদিনে এধরণের অনুষ্ঠানে তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করবেন বলেও আশ্বাস দেন।দেশের নতুন শিক্ষা নীতির আধারে কীভাবে দিব্যাংদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া যায়। দিব্যাংদের আরো এগিয়ে নেওয়া যায়,সাবলম্বী,আত্মনির্ভর করে তোলা যায় এই সকল বিষয়ে কাজ করে চলেছে সক্ষম। সক্ষম এমন একটি সংস্থা যা সমগ্র ভারতে দিব্যাংদের উন্নতির জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে চলেছে। সেইসাথে উত্তর জেলার ধর্মনগরেও তাদের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে দিব্যাংদের উন্নতির জন্য অনুপ্রাণিত করছে।
বারইগ্রাম রাধারমণ ধামের রথ নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন ত্রিপুরার ধর্মনগর, দশদা, পানিসাগর , পেঁচারতল, পানিসাগর
পানিসাগর ৩ ডিসেম্বর : ত্রিপুরার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বারইগ্রাম ধানের রথ ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার বরণ করেন ভক্তরা । স্থানে স্থানে রথ থামিয়ে শঙ্খ ধ্বনি উলু ধ্বনি দিয়ে প্রভুপাদ শ্রীশ্রী রাধারমণ গোস্বামী জিউর আশীর্বাদ নেন ভক্তরা ।
প্রতিটি স্থানের উপচেপড়া ভিড়ে প্রভুর নাম কীর্তন করে শোভাযাত্রায় সামিল হন।
রবিবার বারইগ্রাম রাধারমণ ধাম থেকে রথ যাত্রা করে
পাথারকান্দি, ত্রিপুরার সরসপুর বাজার, কদমতলা হয়ে
কৈলাশহর ডলুগাঁও এলাকায় বিশাল বাইক মিছিল করে
প্রভুর রথ কে নিয়ে যাওয়া হয় । রাতে রথ ধর্মনগর পদ্মপুর
প্রভুপাদ শ্রীশ্রী রাধারমণ গোস্বামী জিউর মন্দিরে সেখানে
উপসনা হয় এতে প্রচুর ভক্তদের সমাগম হয় ।
সোমবার সকালে ধর্মনগর পদ্মপুর প্রভুর আশ্রম থেকে কামেশ্বর প্রভুর মন্দিরে এসে সেখান থেকে পেঁচারতল
প্রভুর রথ নিয়ে প্রথমে সপ্তাহ ব্যাপী নাম কীর্তন চলা
অনুষ্টানে পরিক্রমা করে স্থানীয় শিব মন্দিরে প্রভুর রথ নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে নাম কীর্তন শেষে ফল প্রাসাদ বিতরণ করা হয়। সেখান থেকে কাঞ্চনপুর এলাকার দশদার কম্বলটিল্লা রাধারমণ সেবা সমিতির
প্রভুর মন্দিরে আয়োজিত রথ বরণ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন বৃহত্তর কাঞ্চনপুর এলাকার ভক্তরা । সেখান থেকে
ত্রিপুরার পাহাড়ি এলাকা পরিক্রমা করে পানিসাগর প্রবাস মন্দিরে আসে । সেখানে ভক্তরা ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে
বিশাল বাইক ও গাড়ির মিছিল করে রথকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার নিয়ে আসার পর বাজার থেকে মহিলা প্রদীপ জ্বালিয়ে শোভাযাত্রা মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। মন্দিরে রথ বরণের পর রথের সঙ্গে আসা আশ্রমের সুদেবি
দাসী, রাধে দাস বাবাজি, সনাতন দাস বাবাজি। তাছাড়া আশ্রম পরিচালন সমিতির, সম্পাদক তরুণ চৌধুরী,রঞ্জিত রায়,শঙ্করজিৎ দাস, অরূপ রায়,পীযূষ কান্তি দাস, কৌরব দাস কে পানিসাগর আশ্রম পরিচালন কমিটির পক্ষ উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করেন । রাতে এখানে প্রভুপাদ উপাসনা হয় প্রচুর ভক্তরা নাম কীর্তনে সামিল হন শেষে
প্রাসাদ বিতরণ করা হয়। মঙ্গলবার পানিসাগরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠান শেষে চূরাইবাড়ি, লোয়ারপোয়া আসে সেখানে ভক্তরা রথ বরণ করে সেখান থেকে যান মিছিল করে বাজারিছড়ায় আসার পর সেখানে বিশাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয় পরে
আশ্রমে প্রবেশ প্রবেশ করে। সেখানে প্রথমে রথে আসা রাধে দাস বাবাজি কে বরণ করা হয়,এর পর রথের
সঙ্গে থাকা অরূপ রায়, বাপ্পন পাল,পীযূষ কান্তি দাস, শুভঙ্কর মালাকার,কৌরব দাস । এর পর বাজারিছড়া
শ্রীশ্রী রাধারমণ সেবাশ্রমের সভাপতি সম্পু পালের
পৌরহিত্য এক আলোচনা সভায় রথের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন অরূপ রায়, প্রভুর জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন সম্পূ পাল । শেষে ভক্তরা সমবেত উপসনায় সামিল হন ও প্রাসাদ বিতরণ করা হয়।
বুধবার বাজারিছড়া থেকে দোহালিয়া, বাজারঘাট, আনিপুর, রামকৃষ্ণ নগর, নিভিয়া চেরাগী হয়ে
রাতে দুল্লভছড়া থাকার পর পরের দিন হাইলাকান্দি যাত্রা করবে ।
দুঃস্থ পরিবারের পাশে থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য করলেন বিধায়ক ভগবান দাস
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-পাবিয়াছড়া বিধানসভার বিধায়ক তথা ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক ভগবান চন্দ্র দাস নিজ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি পরিবারের পাশে থেকে তাদের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে থাকেন সারা বছর।সম্প্রতি পাবিয়াছড়া বিধানসভার সায়দাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা পিঙ্কু রুদ্র পালের অকাল মৃত্যু যেন তার পরিবারে অন্ধকার নেমে এনেছে।কিছু দিন পূর্বে বিদ্যুতের পরিবাহী তারের সংস্পর্শে আসায় ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।প্রিয়জনের অকাল প্রয়াণে শোকে মুহ্যমান পিঙ্কু রুদ্র পালের স্ত্রী, শিশু পুত্র এবং পরিবারের সদস্যরা।এই শোকের মুহুর্তে পরিবারের পাশে থেকে আলো হাতে হাজির হলেন স্থানীয় বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস।আজ তিনি মৃত পিঙ্কু রুদ্র পালের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ান এবং তাদের প্রতি সমবেদনা জানান।শুধু কথার সহমর্মিতা নয়,তিনি নিজের বেতন ভাতা থেকে ৫০ হাজার টাকা পিঙ্কু রুদ্র পালের তিন বছরের শিশুপুত্রের নামে ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
বিধায়কের এই মানবিক উদ্যোগ শোকাহত পরিবারে সামান্য হলেও সান্ত্বনার পরশ বুলিয়েছে।এলাকাবাসীও বিধায়কের এই মানবিক কর্মকাণ্ডে খুশী প্রকাশ করেছেন।বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাসের এই উদারতা যেন আরেকবার প্রমাণ করে দিল, দায়িত্বশীল নেতৃত্ব কেবল কথায় নয়,কাজে প্রকাশ পায়।মানবিকতার এই দৃষ্টান্ত ভবিষ্যতের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।এর পূর্বেও মর্মান্তিক ঘটনার সময়ে শোকাহত পরিবারের পাশে থেকে মানবিক সহয়তার হাত প্রসারিত করেছেন বিধায়ক শ্রী দাস।
বিশ্ব দিব্যাঙ্গ দিবসে চলন সামগ্রী ও শ্রবন যন্ত্র বিতরন কৈলাসহর ডিডিআরসি তে
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই আজ ৩রা ডিসেম্বর বিশ্ব দিব্যাঙ্গন দিবস উপলক্ষে ডিডিআরসি কৈলাসহর,জেলা শিক্ষা দপ্তর এবং সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ডিডিআরসি প্রাঙ্গনে আলোচনা চক্র এবং চলন সামগ্রী- শ্রবণ যন্ত্র সহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।এবছর বিশ্ব দিব্যাঙ্গ দিবসের থিম হচ্ছে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থায়ী ভবিষ্যতের জন্য দিব্যাংঙ্গ ব্যক্তিদের নেতৃত্ব বৃদ্ধি করা। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস।অনুষ্ঠানের সভানেত্রী হিসেবে ছিলেন পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা রানী দেবরায়। এছাড়াও অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক ও সমাহর্তা অর্ঘ্য সাহা,জেলা পরিষদ সদস্য শ্যামল দাস,মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর শীর্ষেন্দু চাকমা,জেলা পরিদর্শক সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর বিদ্যাসাগর দেববর্মা,জেলা শিক্ষাধিকারীক প্রশান্ত ক্লিকদার,সুরজিৎ পাল প্রেসিডেন্ট ডিস্ট্রিক্ট দিব্বাং সেল,কৈলাসহর এবং যুব বিষয়ক ক্রীড়া দপ্তরের সহ অধিকর্তা অমিত কুমার যাদব।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিডিআরও ডিডিআরসি ডঃ কিষান দেববর্মা।সকল বক্তারাই আজকের দিনের গুরুত্ব তুলে ধরেন তাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে।অনুষ্ঠানের উদ্বোধক তথা জেলা সভাধিপতি ওনার উদ্বোধনী ভাষনে বলেন উনার সন্তান দিব্যেঙ্গ ছিলেন।২১ বছর বয়সে সে মারা যায়। তারা হচ্ছে দেবতার অংশ।তাদের সেবা করলে পূন্য প্রাপ্তি হয়।তাদের আশীর্বাদ আমাদের ব্যাক্তি জীবনে কার্যকরী হয়।উনি তখন উনার সন্তানের জন্যে একটি হুইল চেয়ার সংগ্রহ করতে হলে আগরতলায় ছুটে যেতেন।আজ সরকারি সহযোগিতায় প্রতিটি জেলায় এবং জেলার প্রতিটি গ্রামীণ এলাকায় হুইল চেয়ার,ট্রাই সাইকেল,হিয়ারিং এডস,টিএল এম কিট,স্মার্ট ক্যান,এলবো ইত্যাদি সরকারি উদ্যোগে বিনামূল্যে তুলে দেওয়া হচ্ছে কয়েক শতাধিক দিব্যাঙ্গদের। এছাড়াও দিব্যঙ্গ ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করতে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ঊনকোটি জেলায় ভালো ফলাফল করেছে।এমন ১০ জনকে সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের ১০০০ এবং উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণদের দেড় হাজার টাকা ও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব দিব্যাঙ্গ দিবস উপলক্ষে দিব্যঙ্গ ছাত্রছাত্রীরা বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।অনন্যা দাস,সাইনা বেগম এবং পিনাকী মালাকারের হাতে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।আজকের অনুষ্ঠানে দিব্যঙ্গ ভাই-বোনেরা ছাড়াও আশা কর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমের স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিতি প্রায় ৫ শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে।
সাব্রুম মাইকেল মধুসূদন দত্ত কলেজের জাতীয় সেবা প্রকল্পের(এনএসএস) উদ্যোগে আজ এক সচেতনতামূলক কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কলেজ এনএসএস ইউনিটের অভিযোজিত বিবেকানন্দ পল্লী ও দমদমা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান মিনতী দাস ও প্রসেনজিৎ দাস, গ্রামের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দসহ এনএসএস প্রোগ্রাম অফিসার অধ্যাপক অরূপ পাটারী, সেচ্ছাসেবকসহ ছাত্রছাত্রী ও অধ্যাপক-অধ্যাপিকাবৃন্দ। প্রতিনিয়ত প্লাস্টিক পদার্থের ব্যবহার, পলিথিন ব্যাগ, কসমেটিক, গৃহস্থলির প্লাস্টিক, বানিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিক পন্যের ব্যবহার যা “অবিয়োজন যোগ্য পদার্থ” পরিবেশে দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্লাস্টিক এমন
এক রাসায়নিক পলিমার যা প্রকৃতিতে বিয়োজন বা কারখানায় পুনপ্রক্রিয়াকরন করতে প্রচুর সময় লাগে। তাই
প্লাস্টিক ব্যবহার ও বর্জ্য পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে। আমাদের অসচেতনতাই প্লাস্টিক দূষণের মূল কারণ। আলোচনায় বলেন এনএসএস প্রোগ্রাম অফিসার অধ্যাপক অরূপ পাটারী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজ অধ্যক্ষ ড.অনুপম গুহ। তিনি বলেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বিভিন্ন বাঁধা নিষেধ থাকা সত্ত্বেও নিত্যদিনের কাজে আমরা পলিব্যাগসহ প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রি ব্যবহার করছি, তদুপরি বাড়ি ঘরের বিভিন্ন অর্বজনাসহ যেখানে সেখানে নিক্ষেপ করছি, ফলস্বরূপ নালা নর্দমা ভরাট হয়ে ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। সচেতনতার অভাবে দূষণ বেড়েই চলেছে। যেহেতু প্লাস্টিক অপচ্য পদার্থ, তাই সৃষ্টির পর পুনচক্রায়ণ না হওয়া পর্যন্ত এটি পরিবেশে অবস্থান করে, প্রতিনিয়ত খাদ্যচক্রে ঢুকে পড়ছে, যা আগামী দিনে ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তিনি উপস্থিত সকলকে প্লাস্টিক ব্যবহার না করার আবেদন করেন। ছাত্রছাত্রীদের কলেজ ক্যাম্পাসকে প্লাস্টিক ফ্রি করার আবেদন করেন। উপস্থিত গ্রামবাসীসহ সকলকে ধীরে ধীরে সচেতনতার মাধ্যমে প্লাস্টিক বর্জনের আবেদন করেন। বর্তমানে বায়োডিগ্রেডেবল পদার্থের ব্যবহার হচ্ছে। সচেতনতাই সভ্য সমাজের একমাত্র অবলম্বন। সানু দাস, এনএসএস স্বেচ্ছাসেবক স্বাগত আলোচনা এবং সকলকে গুরুত্ব অনুধাবন করার অনুরোধ করে।অনুষ্ঠানের শেষে এনএসএস সেচ্ছাসেবকরা প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন লিফলেট বিলি করে।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ১ ডিসেম্বর:- গন্ডাছড়া মহকুমার গ্রাম থেকে পাহাড় সর্বত্র বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দীর্ঘ বাম জমানায় মহকুমার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গিরিবাসীরা পানীয় জলের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। স্বাধীনতার দীর্ঘ বছর পরও তাদের ছড়া নালার জল পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করতে হত। এমনই একটি পাড়া নতুন জয়রাম পাড়া। এটি ডুম্বুরনগর ব্লকের আওতাধীন কল্যাণ সিং ভিলেজের ভারত-বাংলা সীমান্ত লাগোয়া। সেখানে ৬০ পরিবারের বসবাস। তারা সবাই রিয়াং সম্প্রদায়ের। জুম চাষই তাদের জীবিকার একমাত্র উৎস। বর্তমানে জল জীবন মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন জয়রাম পাড়ায় পানীয় জলের উৎস তৈরি করার লক্ষ্যে এলাকার বিধায়িকা নন্দিতা দেববর্মা রিয়াং বিশেষ উদ্যোগ নেয়। এই মোতাবেক শুক্রবার বিধায়িকা পানীয় জল সম্পদ দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে নিয়ে এলাকা পরিদর্শনে যান এবং পানীয় জলের উৎস স্থলের জায়গা নির্ধারণ করেন। আর তাতেই খুশি এলাকার গিরিবাসিরা। পাশাপাশি তারা রাজ্য সরকারের এহেন উদ্যোগের প্রশংসা করেন।