প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১ জুলাই:- ধলাই জেলাভিত্তিক কিশোরী উৎকর্ষ মঞ্চ ২০২৫-২৬-এর দুদিনব্যাপী জেলাভিত্তিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হলো মঙ্গলবার আমবাসা টাউন হলে। ধলাই ডিস্ট্রিক্ট প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর (সমগ্র শিক্ষা মিশন)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ধলাই জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুস্মিতা দাস। প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে শুভ সূচনা হয় এই বিশেষ অনুষ্ঠানের।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধলাই জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অনাদি সরকার, আমবাসা পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোপাল সূত্রধর, জেলা শিক্ষা আধিকারিক মধুসূদন দেববর্মা সহ অন্যান্য প্রশাসনিক ও শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা। অতিথিরা তাদের বক্তব্যে কিশোরীদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশে এই ধরনের উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এই দুদিনের অনুষ্ঠানে জেলার ৩৩টি বিদ্যালয় থেকে মোট ১০১ জন ছাত্রী অংশগ্রহণ করছে। ছাত্রীদের মেধা, সৃজনশীলতা ও শারীরিক সক্ষমতা বিকাশের জন্য আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা। বিতর্ক প্রতিযোগিতা, আর্ট অ্যান্ড কালচার, সামাজিক সেবা, যোগা, কুইজ কম্পিটিশন এবং গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস-এর মতো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ছাত্রীরা তাদের প্রতিভা ও দক্ষতা প্রদর্শন করছে।
শুধু প্রতিযোগিতাই নয়, ছাত্রীদের মানসিক উৎকর্ষ ও অনুপ্রেরণা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে মোটিভেশনাল স্পিচ ও গোল টেবিল বৈঠকেরও। অতিথি বক্তারা ছাত্রীদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। উদ্বোধনী ভাষণে সভাধিপতি সুস্মিতা দাস বলেন, এই অনুষ্ঠান শুধু প্রতিযোগিতা নয়, ছাত্রীদের আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্বের গুণাবলি ও সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলবে। ভবিষ্যতে এরা সমাজে সুদক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে এটাই আমাদের লক্ষ্য।
সমগ্র শিক্ষা মিশনের এই উদ্যোগ ধলাই জেলার ছাত্রীদের জন্য এক নতুন দিশা খুলে দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথি ও শিক্ষকবৃন্দ। ছাত্রীদের এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম প্রদানের মাধ্যমে তাদের আত্মপ্রকাশের সুযোগ যেমন বাড়ছে, তেমনি স্কুল পর্যায়েই নেতৃত্বের গুণাবলি গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দুদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান বুধবার নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে।
ত্রিপুরা
- ধর্মনগর প্রতিনিধি : আবারো চুরি কান্ড সংগঠিত হলো ধর্মনগরের।গতকাল দেওয়ানপাশা গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিপাড়া এলাকার বাসিন্দা যুগমায়া দে পুরকাইস্থ সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তাঁর ননদের বাড়ি উত্তর জেলার পানিসাগর মহকুমার জলেবাসা এলাকায় গিয়েছিলেন। সেই সুবাদে গতকালরাত বাড়িতে কেউ ছিলেন না।শনিবার সকালে যুগমায়া দে পুরকাইস্থের দেয়রের মেয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় উনার ঘরের মূল দরজার তালা ভাঙা এবং দরজা আধখোলা অবস্থায় রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি যুগমায়া দেবীকে জানানো হয়। পরে খবর দেওয়া হয় ধর্মনগর থানায়।খবর পেয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পর ধর্মনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তদন্তে নামে পুলিশ, তবে খবর সংগ্রহ করা পর্যন্ত কোনো চোরকে ধরতে পারেনি ধর্মনগর থানার পুলিশ। বাড়ির মালিক যুগমায়া দে পুরকাইস্থ জানান, চোরেরা তাঁর ঘর থেকে নগদ ₹১০,০০০ টাকা, একটি সোনার চেইন, একজোড়া সোনার কানের দুল এবং একটি সোনার আংটি নিয়ে যায়।স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি ধর্মনগর একের পর এক চুরির ঘটনার পরেও পুলিশ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অনেকেরই অভিযোগ, ধর্মনগর থানার পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা চোরদের বাড়তি সাহস জুগিয়ে দিচ্ছে।স্থানীয়রা দাবি তুলেছেন, চুরির ঘটনায় দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের গ্রেফতার করা হোক এবং এলাকায় নিয়মিত টহল ও নজরদারি বাড়ানো হোক।
প্রতিনিধি মোহনপুর :- রাজ্যর ছেলেমেয়েদের বিনে পয়সায় আধ্যাত্মিকতার সাথে আধুনিক শিক্ষা প্রদান করতে নির্মাণ করা হয়েছে চিন্ময় হরহর বিদ্যালয়। মোহনপুরে নব নির্মিত এই বিদ্যালয়ের আঞলিক উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা, কৃষি ও প্রসব কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ গোটা ভারতবর্ষে চিন্ময়া ট্রাস্ট এর উদ্যোগে বিদ্যালয় কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি রয়েছে। মোহনপুরে নব নির্মিত এই বিদ্যালয়ে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে শিক্ষাদান। বিনা পয়সায় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা রয়েছে এই বিদ্যালয়ে। ভারতের পাশাপাশি পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রে এই প্রতিষ্ঠানের বিদ্যালয় এবং কলেজ রয়েছে। মোহনপুরে নব নির্মিত এই বিদ্যালয়ের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার পাশাপাশি আধ্যাত্মিক চেতনায় বড় করার ক্ষেত্রে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দারুণ ভূমিকা রয়েছে। যখন ত্রিপুরাতে এই বিদ্যালয়ে স্থাপন করার জন্য প্রস্তাব আসে তখন কেবিনেটে সিদ্ধান্ত গ্রহণের এক্ষেত্রে কোন ধরনের মতানৈক্য তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে আধ্যাত্বিক চেতনায় ছেলেমেয়েদের বড় করার ক্ষেত্রে এই ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে মন্ত্রী রতন লাল নাথ এদিন অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান রাখেন ছেলেমেয়েদের সঠিকভাবে বড় করার ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার। বিশেষ করে ছেলেমেয়েরা ভুল করলে তাদের এই ভুলগুলোকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে শুধরে দেওয়া, ছেলে মেয়েদের ছোট বয়সেই যে কোনো কাজের জন্য এবং পড়ার জন্য মাত্রাতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি না করা, ছেলে মেয়েদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া সহ বিভিন্ন বিষয়ে এদিন আলোকপাত করেছেন তিনি। এদিন বিদ্যালয়ের উদ্বোধনের পাশাপাশি মন্দির নির্মাণ করার জন্য করা হয়েছে ভূমি পূজা। এইভূমি পূজাতে অংশ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিরা।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- আজ থেকে গত দুই মাস আগে গোমতী নদীতে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছিলো বিল্লাল মিঞা নামে গোমতী জেলার উদয়পুর মহকুমার অন্তর্গত সমতল ভদ্র এলাকার বাসিন্দার। অত্যন্ত গরিব ঘরের ছিল বিল্লাল মিঞা। বিল্লালের মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়ে গোটা পরিবারটি। ছোট কন্যা সন্তান ছিল বিল্লালের পরিবারে। এক কালো মেঘের অন্ধকার নেমে আসে তার স্ত্রী জাহানারা খাতুনের কপালে। পরবর্তী সময় , উদয়পুর মহকুমা শাসক ত্রিদিব সরকার এই গোটা বিষয়টি তদন্ত করতে শুরু করে। একের পর এক সরকারি তথ্য জমা পড়ে মহকুমা শাসকের কাছে । দীর্ঘ দিন পর মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় গোমতী জেলা সভাধিপতি দেবল দেবরায় ও উদয়পুর মহকুমা শাসক ত্রিদিব সরকারের উপস্থিতিতে মৃত বিল্লাল মিঞার স্ত্রী জাহানারা খাতুনের হাতে তুলে দেওয়া হয় চার লক্ষ টাকার সরকারি অনুমোদন। জানা যায় , আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জাহানারা খাতুনের ব্যাংক একাউন্টে এই টাকা দেওয়া হবে অনলাইনের মাধ্যমে। এদিন মহকুমা শাসকের এই ধরনের উদ্যোগ খুবই প্রশংসার যোগ্য বলে মনে করছে উদয়পুরের মহকুমা শাসকের অফিস থেকে শুরু করে গোটা উদয়পুর মহকুমাবাসী। যেভাবে এক অসহায় গরিব মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে একজন মহকুমা শাসক তা খুবই কম সংখ্যক মহকুমা শাসক এমন নজির সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছে মহকুমা বাসী ।
তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদ এলাকার উন্নয়নে কাজকর্ম খতিয়ে দেখলেন বিধায়ক, চেয়ারম্যান।
- প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া। ২৫ বছরের টানা বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বিধায়ক, বিধায়িকা, চেয়ারম্যান সহ নেতারা শহরের নানা সমস্যা সমাধানের কোনও চেষ্টা করেনি। সেই জায়াগায় মাত্র সাত বছরের বিজেপি সরকারের বিধায়িকা, চেয়ারম্যান এর আমলে শহরের নাগরিক পরিসেবা সহ নানা সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছে। এবং আগামীদিনেও এই ধরনের কাজ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলতে থাকবে। শনিবার তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ড এলাকায় নির্মিয়মান রাস্তা, ড্রেইন সহ নানা উন্নয়ন মূলক কাজ পরিদর্শনে বেরিয়ে একথা বলেন ত্রিপুরা বিধানসভার মূখ্য সচেতক তথা বিধায়িকা কল্যানী সাহা রায়। তিনি বিরোধী দলের নেতৃত্বদের কটাক্ষ করে বলেন, যাদের কাছে কোন রাজনৈতিক ইসু নেই। আগামী পুর পরিষদের নির্বাচনে কে সামনে রেখে নিজেদর অস্তিত্বের জানান দিতে ডেপুটেশন প্রদান করছে। অথচ দেখাযায় ডেপুটেশন দিচ্ছেন তাদের অনেকে পুর পরিষদের বিভিন্ন টেক্স বকেয়া রাখে। কিন্তু এসবে কাজ হবেনা মানুষ উন্নয়ন কারা করে তাদের ভাল করে চেনে। এদিনের এই পরিদর্শনে বিধায়িকা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের চেয়ারম্যান রুপক সরকার, কাউন্সিলর বিমল রক্ষিত, দপ্তরের আধিকারিক সহ অন্যান্যরা ।
- ধর্মনগর প্রতিনিধি,, সমস্ত রাজ্যের পাশাপাশি উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা ব্লক এলাকায় চুরি,ডাকাতির ঘটনা কিছুতেই যেন হ্রাস পাচ্ছে না। প্রতিরাতেই কোন না কোন গৃহস্থের বাড়িতে হানা দিচ্ছে চোর কিংবা ডাকাত দল। এতে করে বিভিন্ন এলাকার জনগণ এখন নিজেরাই রাত্রিকালীন প্রহরার ব্যবস্থা করলেও অধিকাংশ স্থানে এখনও ভয়ঙ্কর চুরি ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত করছে চোর কিংবা ডাকাত দল। একই ভাবে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উত্তর জেলার চুরাইবাড়ি থানাধীন পূর্ব ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪নং ওয়ার্ডের রেল গুদাম সংলগ্ন মিনতি দেবীর বাড়িতে হানা দেয় পাঁচ ছয়জনের এক ডাকাত দল। ডাকাত দলের সদস্যরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে ও হাতে ধারালো দা নিয়ে বাড়ির টিনের বাউন্ডারি ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। প্রথমে বাড়ির সদর দরজায় লাথি মেরে পাশের ঘরের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। যদিও ঘরে কোন লোকজন ছিল না। পরে ঘরে থাকা নগদ ত্রিশ হাজার টাকা, দুটি সোনার কানের দুল, পায়ের নপুর, স্বর্ণের চেইন সহ রুপার অলংকার ও দামি ব্ল্যাঙ্কেট, কাপড় ও বিছানা পত্র নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দলটি। তখন পাশের ঘরে থাকা মিনতি দেবী ও উনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাইরে ডাকাত দলের তান্ডব লীলা আঁচ করতে পেরে প্রাণের ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করেননি বলে জানান। তিনি আরো জানান, ঘরে মেয়ের বিয়ের জন্য দামি জিনিসপত্র রাখা ছিল সেগুলোও নিয়ে যায় ডাকাত দলটি। তখন উনারা পেছনের দরজা খুলে চিৎকার-চেঁচামচি করতেই পালিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। রাতেই তিনি চুরাইবাড়ি থানায় ফোন করলে রাত্রিকালীন পেট্রোলিং এ থাকা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে অবশ্য সকালে লিখিত আকারে জানানো হয় থানায়। সব মিলে আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মিনতি দেবী। তবে এই ডাকাত দলের উৎপাতে নাজেহাল উত্তর জেলার চুরাইবাড়ী ও কদমতলা থানা এলাকার জনগন।
প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া। ১৭ই জুন। তেলিয়ামুড়া মহকুমা ক্রিকেট এসোসিয়েশন আয়োজিত সিনিয়র ডিভিশন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হলো নেতাজি স্মৃতি সংঘ। আজ তেলিয়ামুড়া দশমী ঘাট স্থিত ভগৎ সিং মিনি স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচে সপ্তসিন্ধু দশ দিগন্ত কে ৯৭ রানে হারিয়ে পরপর দু’বছর চ্যাম্পিয়নের শিরোপা ছিনিয়ে নিল নেতাজির স্মৃতি সংঘ। রাজ্যের স্বনামধন্য একাধিক ক্রিকেটারে সমৃদ্ধ নেতাজি স্মৃতি সংঘ প্রথমে খেলতে নেমে ১৫ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান তুলে। অধিনায়ক শুভম ঘোষ ৫২, দুর্লভ রায় ৩২ এবং মিন্টু দেবনাথ এর ৩০ রান ছিল উল্লেখযোগ্য. সপ্তসিন্ধু দশ দিগন্তের বিশু দেববর্মা তিনটি উইকেট লাভ করে। পাল্টা খেলতে নেমে সপ্তসিন্ধু দশ দিগন্ত তেরো অবাক তিন বলে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান তুলে। নেতাজি স্মৃতি সংঘের শুভম ঘোষ দুইটি উইকেট এবং দলের এক নম্বর বোলার পৃতিসগোপ দুইটি উইকেট তুলে নেয়। নেতাজি স্মৃতি সংঘ এবার পরপর দু’বছর তেলিয়ামুড়া মহকুমা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সিনিয়র ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চেম্পিয়ান হলো। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন নেতাজি স্মৃতি সংঘের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা তেলিয়ামুড়ার বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রানার্স পুরস্কার তুলে দেন তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান রূপক সরকার। অন্যান্য ক্যাটাগরিতে পুরস্কার তুলে দেন মহাকুমা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সভাপতি বিমল রক্ষিত,সম্পাদক নন্দন রায়, তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রেস ক্লাব সম্পাদক পার্থ সারথী রায় প্রমূখ। এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আজকের ফাইনাল ম্যাচটি ৫০ ওভারের পরিবর্তে ১৫ ওভারে করা হয়. এবছর তেলিয়ামুড়া মহকুমা ক্রিকেট এসোসিয়েশন আয়োজিত টুর্নামেন্টে ১৮ টি দল অংশ নেয়.
- প্রতিনিধি ধর্মনগর,,
- উত্তর ত্রিপুরায় বেআইনি বার্মিজ সিগাবরেট চোরাচালান রুখতে তৎপর ত্রিপুরা পুলিশ। ধর্মনগর থানার অধীনস্থ আনন্দবাজার এসপিও ক্যাম্পের নাকা চেকিং পয়েন্টে পুলিশের এক সফল অভিযানে ফের আটক হলো বিপুল পরিমাণ চোরাচালানি সিগারেট। গতকাল গভীর রাতে এই ঘটনাটি ঘটে যখন একটি বিলাসবহুল গাড়ি (নম্বর: TR05G0597) সন্দেহভাজনভাবে চেকপোস্ট অতিক্রম করার চেষ্টা করে।
- তৎক্ষণাৎ কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা গাড়িটিকে থামিয়ে তল্লাশি চালান। সেই সময় গাড়ির ভেতর থেকে সাতটি কার্টুনে গুছিয়ে রাখা অবস্থায় মোট ৭০,০০০ বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান অনুযায়ী, এই বিপুল পরিমাণ সিগারেটের বাজারমূল্য আনুমানিক প্রায় কয়েক লক্ষ্য টাকা টাকা।
ধর্মনগর থানার রাতের ডিউটিতে থাকা পুলিশ অফিসার সোলেমান রিয়াং তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তদের আটক করেন। ধৃত তিন যুবক হলেন দামছড়া এলাকার সৌরভ সিনহা, পানিসাগরের জামটিলা এলাকার প্রকাশ দেবনাথ ও বিশ্বজিৎ দেবনাথ। তাদের বিরুদ্ধে চোরাচালান সংক্রান্ত আইনের অধীনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ধর্মনগর থানার পুলিশ। - পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া প্রতিটি কার্টুনে ১০,০০০টি করে বার্মিজ সিগারেট ছিল। সিগারেটগুলির কোনও বৈধ কাগজপত্র কিংবা কর সংক্রান্ত তথ্য ওই যুবকেরা দেখাতে পারেনি।
- এই ঘটনাটি উত্তর ত্রিপুরা জেলায় বার্মিজ সিগারেট চোরাচালান রোধে পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানের অংশ। উল্লেখযোগ্য যে, গত মার্চ মাসে রাজনগর এলাকায় একটি গাড়ি দুর্ঘটনার পর ৪০ কার্টুন বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার হয়েছিল। তবে সেই ঘটনায় তৎক্ষণাৎ কেউ গ্রেফতার না হলেও পরে তদন্তের ভিত্তিতে দুই সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়, যাদের বিরুদ্ধেও চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে।
- ধর্মনগর থানার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এ ধরনের বেআইনি ব্যবসা সীমান্তবর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। তবে পুলিশ এখন আরও সক্রিয়ভাবে নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছে। সোলেমান রিয়াং জানান, “চোরাচালান চক্র যতই সক্রিয় হোক, আমরা পিছু হটছি না। এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলতেই থাকবে।”
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-বিশ্ব রক্তদাতা দিবস ২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল কৈলাসহর ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে।কৈলাসহর ব্লাড ডোনার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জুড়ে ছিল সম্মাননা প্রদান, সেমিনার,রক্তদান শিবির এবং নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচি।অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বিশ্বখ্যাত রক্তের গ্রুপ আবিষ্কারক কার্ল ল্যান্ডস্টেইনারের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং একটি চারা গাছে জল সিঞ্চনের মধ্য দিয়ে।এরপর আমেদাবাদে সদ্য ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ২৪১ জন যাত্রীর প্রতি এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।অনুষ্ঠানের সূচনা সঙ্গীত পরিবেশন করেন নির্ঘোষ নিক্বণ এর শিল্পীবৃন্দ।স্বাগত ভাষণ দেন ব্লাড ডোনার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক শুভাশিস চৌধুরী।অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এসোসিয়েশনের সভাপতি অনুপম পাল।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৈলাসহর পুর পরিষদের চেয়ারপারসন চপলা দেবরায়,ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক ডঃ তমাল মজুমদার,মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার,জেলা শিক্ষা আধিকারিক প্রশান্ত কিলিকদার,মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি কার্যালয়ের আধিকারিক সুকান্ত মলসই, ডঃ শঙ্খশুভ্র দেবনাথ,ভাইস চেয়ারপার্সন নিতিশ দে, বিশিষ্ট সমাজসেবী প্রীতম ঘোষ সহ জেলার একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।রক্তদানের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন ডঃ শঙ্খশুভ্র দেবনাথ। পাশাপাশি,ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় এক তথ্যবহুল সেমিনার, যেখানে “চাইল্ড ম্যারেজ” ও “টিনেজ প্রেগন্যান্সি” বিষয়ে আলোচনা করেন ডঃ অয়ন রায়।এছাড়াও ছাত্রদের মধ্যে একটি কুইজ প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়।এই দিনে ধারাবাহিকভাবে রক্তদান করে সমাজে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় পাঁচজন মহিলা রক্তদাতাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।সম্মান প্রাপ্তরা হলেন শাশ্বতী চক্রবর্তী,পৌষালী ভট্টাচার্য, মহামায়া দাস,সংঘমিত্রা দে এবং সুপর্ণা চক্রবর্তী। এছাড়াও জেলার তেরোটি ক্লাবকে রক্তদানের ক্ষেত্রে তাদের সক্রিয় ভূমিকার জন্য সংবর্ধনা জানানো হয়।রক্তদান শিবিরে মোট ২২ জন রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন,যা অনুষ্ঠানটির মূল সার্থকতাকে প্রমাণ করে।অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন বাচিক শিল্পী সুকান্ত চক্রবর্তী।পুরো অনুষ্ঠানের সফল বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ঊনকোটি জেলার বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর।সার্বিকভাবে, কৈলাসহর ব্লাড ডোনার্স এসোসিয়েশনের এই বর্ণাঢ্য আয়োজন রক্তদানের প্রতি জনসচেতনতা গড়ে তোলার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রইল এমনটাই মত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের।এর পূর্বেও কৈলাসহর ব্লাড ডোনার্স এসোসিয়েশনের রক্তদানের প্রয়াস সফলতার শীর্ষে রয়েছে।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া 13 জুন:- গন্ডাছড়ার বাসিন্দা মায়ারানি দেবনাথের ৬৯ তম জন্মদিনটি এবারে এক ভিন্ন রকম উজ্জ্বলতা পেল তাঁর পুত্র, পেশায় সাংবাদিক, রামু দেবনাথের মাধ্যমে। মায়ের জন্মদিন উপলক্ষে তিনি যে মানবিক ও সমাজসেবামূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা সকলের মন ছুঁয়ে গেছে।
তাঁর মায়ের জন্মদিন’টিকে অর্থবহ করে তুলতে অমরপুরের পূর্ব মৈলাক গ্রামের এক নিরীহ পরিবারের অসুস্থ শিশুর পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। কাজল দাসের ৮ বছর বয়সী কন্যা প্রিয়াঙ্কা দাস দীর্ঘদিন ধরে থ্যালাসেমিয়া নামক কঠিন রোগে আক্রান্ত। পরিবারটি আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হওয়ায় প্রিয়াঙ্কার চিকিৎসা ও স্বাভাবিক জীবনযাপনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই অবস্থায় সাংবাদিক বাবু তাঁর মায়ের জন্মদিন উপলক্ষে প্রিয়াঙ্কার হাতে তুলে দেন জামা, স্কুল ব্যাগ, ছাতা, জুতো, আমলদুধ, টিফিন বক্স, পেন্সিল বক্স, জলের বোতল, বিস্কিট, ব্যাস, কলকেট, সাবান, তেল, পাউডার, মুখের স্কীম, সেম্পু, পুতুল, ড্রয়িং খাতা, রং পেন্সিল এবং পাঁচ জাতের ফল। শিশু প্রিয়াঙ্কার চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক ছিল স্পষ্ট। সাংবাদিক বাবুর এহেন উদ্যোগে খুশি কাজল দাসের গোটা পরিবার। পাশাপাশি কাজল দাস সাংবাদিকের মায়ের দীর্ঘ আয়ু কামনা করেন।
সাংবাদিক বাবু বলেন, “প্রতিবার মায়ের জন্মদিনে কেক কাটা, খাবার খাওয়া তো হতোই। কিন্তু এবার মনে হলো এমন কিছু করি যাতে একজন মানুষের মুখে হাসি ফোটে। মা সবসময় আমাদের শেখাতেন দুঃখীদের পাশে দাঁড়াতে। তাঁর শিক্ষাই আজ আমাকে এই উদ্যোগ নিতে অনুপ্রাণিত করেছে।”
এই অভিনব ও মানবিক উদ্যোগে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ বলেন, “এ ধরণের উদ্যোগ সমাজে একটা দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে। একজন সাংবাদিক শুধু খবর পরিবেশনেই নয়, সমাজ গঠনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন— সাংবাদিক বাবু সেটাই করে দেখালেন।”
একজন সন্তানের পক্ষ থেকে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবার এমন মানবিক দৃষ্টান্ত নিঃসন্দেহে সমাজের কাছে এক অনুকরণীয় উদাহরণ। সাংবাদিক বাবুর মতো আরো অনেকেই যদি বিশেষ দিনগুলোতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান, তাহলে সমাজ হবে আরও মানবিক ও সুন্দর।