প্রতিনিধি, উদয়পুর :- মাতাবাড়ি ফামার্স সার্ভিস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর উদ্যোগে বোর্ডের মোট ৫৫ জন মহিলা সদস্যাকে আর্থিক স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে মোট ১১ টি যৌথ দায়বদ্ধতা গ্রুপের মাধ্যমে সর্বমোট ২৭,৫০,০০০ টাকা লোন দেওয়া হয়েছে । উক্ত লোন লেটার বন্টন অনুষ্ঠানে অংশ নেন মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিষেক দেবরায়। এদিন সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে ভাষণ রাখতে গিয়ে বিধায়ক বলেন , কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রাজ্যের জনগণকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন ব্লক স্তর থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন , আগামী দিনে গ্রামীণ মহিলাকে আত্মনির্ভর ভাবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি মাতাবাড়ি ফার্মাস সার্ভিস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর উদ্যোগে ৫৫ জন সদস্যাকে যে লোন দেওয়া হয়েছে তা আগামী দিনে প্রত্যেকে আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করে। এদিন গোটা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায়।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২০ এপ্রিল।। ব্যানার ছিল জন অধিকার সংগ্রাম মঞ্চ। কার্যত হলো বামগ্রেসের রাজনৈতিক মঞ্চ। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধী আন্দোলনে বিরোধীদের মুখ ও মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেল। রবিবার বিশালগড় রেল স্টেশন সংলগ্ন মাঠে সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন জন অধিকার সংগ্রাম পরিষদ। পুলিশের অনুমতি না থাকায় মিছিল বাতিল হয়ে যায়। মাঠেই হয়েছে সভা। লক্ষ্যমাত্রা দশ হাজার থাকলেও উপস্থিতির সংখ্যা আটকে যায় আড়াই হাজারে। যদিও বিশালগড়ের সংখ্যালঘুদের উপস্থিতি ছিল নগণ্য। পার্শ্ববর্তী কমলাসাগর, বক্সনগর, চড়িলাম, উদয়পুর প্রভৃতি এলাকা থেকে সংখ্যালঘুরা সমাবেশে অংশ নেন। অরাজনৈতিক সমাবেশের কথা থাকলেও আড়ালে কল কাঠি নেড়েছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। সিপিএম কংগ্রেসের ছলচাতুরি আগেই ধরে ফেলেছিলেন বিশালগড়ের সংখ্যালঘুরা । তাই সমাবেশ মুখী হয়নি বিশালগড়ের সংখ্যা লঘুরা। বেলা দুইটাই সমাবেশ শুরু হওয়ার পর আচমকায় সভা মঞ্চে উপস্থিত হন সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী ভানু লাল সাহা, সিপিএমের মহকুমা সম্পাদক পার্থ প্রতিম মজুমদার, কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গোপীনাথ সাহা। মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে মঞ্চে ভাষণ দেন পুরুষোত্তম রায় বর্মন। অন্যদিকে মঞ্চে ছিলেন তিপরা মথার সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান শাহ আলম মিয়া। এ নিয়েও গুঞ্জনের অন্ত নেই। এদিকে সংখ্যালঘুদের আন্দোলনে বাম কংগ্রেস নেতাদের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ লিখছে করোনা মহামারী সময়ে হিন্দু মুসলমান কারোর পাশেই ছিলেন না সিপিএমের নেতারা। আবার কেউ প্রশ্ন তুলছে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় কোথায় ছিলেন সিপিএম কংগ্রেসের নেতারা ? আবার কেউ লিখছে ওরা অসুবিধাবাদী। যখন যেমন, তখন তেমন। অনেকেই বলছে শান্ত বিশালগড় কে অশান্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে কংগ্রেস সিপিএমের নেতারা। সংখ্যালঘু মোর্চা লিখেছে কংগ্রেস সিপিএমের নেতারা তাদের রাজনৈতিক পতাকা হাতে নিয়ে সমাবেশে আসলেই পারতেন। ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনে বিরোধীদলের মাতব্বরিতে অখুশি সংখ্যালঘুরাও। কংগ্রেস সিপিএমের নেতারা যে সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন তা গোপন রেখেছে আয়োজকরা। যদিও বিশালগড়ের সংখ্যালঘু নাগরিকরা তা আগেই টের পেয়েছেন। তাই বামগ্রেসের ফাঁদে পা দেননি। এদিকে অনুমতি না থাকলেও মিছিল করার চেষ্টায় ছিলেন আয়োজকরা। পুলিশ প্রশাসন আগে থেকেই সতর্ক ছিলেন। পুলিশ টিএসআর সিআরপিএফ মোতায়েন ছিল । জল কামান , রাবার বুলেট নিয়ে যুদ্ধ সাজে ছিল পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার বিজয় দেববর্মা, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার রাজিব সূত্রধর, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দুলাল দত্ত, থানার ওসি সনজিত সেন সকাল থেকেই যে কোন অশান্তি এড়াতে প্রস্তুত ছিলেন। জম্পুইজলা এবং আগরতলা থেকেও বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার দায়িত্ব সামলিয়েছেন।
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ১৯ এপ্রিল: – গত ১৬ এপ্রিল, অসমের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের অরণ্যে দেখা গেল এক অত্যন্ত বিরল সোনালি বাঘ বা গোল্ডেন টাইগার। এই অনন্য মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি করেন ত্রিপুরার গন্ডাছড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং শখের আলোকচিত্রী ডঃ শ্রীমন্ত রায়।
বাঘটির গায়ের রং ছিল হালকা সোনালি-কমলা, আর ডোরা হালকা লালচে—যা সাধারণ বাঘের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটি বেঙ্গল টাইগারের একটি জিনগত বৈচিত্র্যের ফল, যার নজির পৃথিবীতে হাতে গোনা কয়েকটিই আছে।
ডঃ রায় এই অভিজ্ঞতাকে তাঁর আলোকচিত্র জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন। তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কাজিরাঙ্গার অভিজ্ঞ সাফারি চালক শ্রী ভাস্করজ্যোতি হাজং-এর প্রতি, যিনি তাঁকে সঠিক স্থানে ও সঠিক সময়ে নিয়ে গিয়ে এই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে সাহায্য করেন।
তাঁর এই সফরের অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস ছিলেন তাঁর স্ত্রী শ্রীমতী নিশিতা ভৌমিক, যিনি সবসময় তাঁর সৃজনশীল প্রচেষ্টাকে উৎসাহ দিয়ে চলেছেন। তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন স্থানীয় ট্যাক্সি চালক শ্রী বিনোদ কুমার দাস-এর প্রতিও, যিনি পুরো যাত্রাপথে তাঁকে সহায়তা করেছেন।
ডঃ রায় তাঁর এই দুর্লভ ছবিটি উৎসর্গ করেছেন তাঁর ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে, যাতে তারা প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য এবং সৃজনশীলতার প্রতি আগ্রহী হয় ও পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে শেখে।
এই ছবি শুধুমাত্র একটি দুর্লভ দৃশ্য নয়, বরং এটি বহন করে একটি গভীর বার্তা—প্রকৃতি আমাদের কত অমূল্য এবং আশ্চর্য রত্নে সমৃদ্ধ।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- উদয়পুর শহরসহ তার আশপাশ এলাকায় প্রতিদিন দিন অথবা সন্ধ্যা রাতে ড্রোন উড়ছে আকাশের মধ্যে। কারা এবং কোথা থেকে এই ড্রোনগুলি উড়াচ্ছে শহরের বুকে তা নিয়ে খবর নেই পুলিশের কাছে। শনিবার সন্ধ্যা রাতে উদয়পুর জগন্নাথ দিঘীর মধ্যে একটি ড্রোন উড়ানো হয়। একটা সময় ড্রোনটি প্রায় এক ঘন্টা গোটা শহরের বিভিন্ন জায়গার ছবি নিয়ে নেয় । কিন্তু কেন এই ড্রোন এইভাবে সন্ধ্যারাতে ওড়ানো হয়েছে শহরের বুকে তা নিয়ে কিন্তু চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে শহরবাসীদের মধ্যে। জানা যায় , কোন শহর অথবা গ্রামে যদি ড্রোন উড়ানো হয় তার জন্য জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। সূত্রের দাবি , এদিন সন্ধ্যা রাতে যেভাবে উদয়পুর শহরের মধ্যে ড্রোন উড়ানো হয়েছে তাতে করে কোন ধরনের প্রশাসনিক অনুমতি ছিল না। একটা সময় ড্রোন উড়ানো কয়েকজন যুবক সাধারণ মানুষকে দেখতে পেয়ে বাইক নিয়ে জগন্নাথ দিঘীর পূর্বপাড় থেকে চম্পট দেয়। শহরবাসী দাবি তুলছেন প্রশাসন যেন আকাশে এই ড্রোন উড়ানো নিয়ে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করে । তার কারণ যেভাবে অবৈধভাবে এর ড্রোনগুলি উড়িয়ে সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘরের ছবি নিয়ে নিচ্ছে । সেই ছবিগুলি যে কোনো খারাপ কাজে ব্যবহৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করতে জনগণ।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- বৈশাখের তৃতীয় দিনেই গরমে নাভিশ্বাস ওঠার যোগার। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশে কখনও রোদ কখনও আবারও রোদের ফাঁকে মেঘের দেখা মিললেও গরম থেকে স্বস্তি নেই। শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যের গোমতী জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্র বিদ্যুৎসহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উদয়পুরে কালবৈশাখীর সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কাও। শুক্রবার পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। এমনটাই আবহাওয়ায় দেখিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তার মাঝেই বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ কালবৈশাখীর ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে গোটা উদয়পুর মহকুমা। এদিন তীব্রগতির ঝড়ের কারণে উদয়পুর রেল স্টেশনে মরুভূমির মরু ঝড় দেখতে পাওয়া গিয়েছে যা ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল । অন্যদিকে মহারানী , কাকড়াবন এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা ভেঙে পড়ে রাস্তার উপর। তারপরে ঐ সকল এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বর্তমানে কি পরিস্থিতি রয়েছে ঝড়ের পরে সে সকল ছবিগুলি গোমতী জেলা শাসক সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আধ ঘন্টার বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি নেমে এসেছে জনমানুষে তার কারণ যেভাবে গত কয়েকদিনের তীব্র গরম নাজেহাল করে তুলেছিল সাধারণ মানুষকে তাতে করে পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু করে তার দ্বিতীয় দিনে গরমের হাঁসফাঁস থেকে রেহাই পায়নি কোন মানুষ তারপরে অসুস্থ হয়ে পড়েছে উদয়পুর মহকুমার বিভিন্ন মানুষ । ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বহু লোক। যেভাবে গরমের তীব্রতা বেড়েছে উদয়পুরে তাতে করে বৃহস্পতিবার দুপুরের হালকা বৃষ্টি স্বস্তি নেমেছে শহরবাসীর মধ্যে।
পহেলা বৈশাখের শুভক্ষনে কৈলাসহর এবং চন্ডিপুর সহ গোটা রাজ্যের মানুষকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মন্ত্রী টিংকু রায়।নতুন বছরের ভোর হোক আশার আলোয় ভরা,হোক শান্তি,প্রগতি ও সৌভ্রাতৃত্বের বার্তাবাহক।বাংলা নববর্ষ আমাদের পরম্পরাগত সংস্কৃতি,ঐতিহ্য ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক। এই দিন শুধু নতুন খাতা বা হিসেবের সূচনাই নয়,এটি হৃদয়ের নবীকরণ,সম্পর্কের পুনর্গঠন এবং মানবতার জয়গান।চলুন আমরা সকলে মিলে প্রতিজ্ঞা করি এই নতুন বছরে বিভেদ নয়,গড়বো ঐক্যের বন্ধন।শোষণ নয়, গড়বো সহানুভূতিশীল সমাজ।হতাশা নয়,জাগিয়ে তুলবো আশার আলো।আমি বিশ্বাস করি,একত্রে আমরা গড়তে পারি একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও উন্নত ত্রিপুরা। বাংলা নববর্ষ আমাদের সেই নতুন পথ চলার প্রেরণা জোগাক।শুভ নববর্ষ!
প্রেম,ঐক্য ও মানবিকতার আলোয় আলোকিত হোক আমাদের নতুন বছর।
প্রতিনিধি ধর্মনগর,, সুপারি বাগানের মালিকের বক্তব্য অনুযায়ী,, জমি সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে সুপারি বাগানে আগুন দিল দুষ্কৃতিকারীরা। সঙ্গে মারধরের অভিযোগ জানিয়ে কদমতলা থানার দ্বারস্থ হল অসহায় পরিবার। ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা থানাধীন ইন্দো-বাংলা সীমান্তের প্রত্যেক রায় গ্রামের ২নং ওয়ার্ডে। উক্ত ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল মিয়া(৪৪) (পিতা-মৃত আমজাদ আলী) জানান, গত মঙ্গলবার বিকেল চারটা নাগাদ তারই প্রতিবেশী ভাই আব্দুল কালাম হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে আব্দুল মিয়ার বাড়ির পাশের কুড়ি শতক জায়গা দখলের জন্য আসে। এতে আব্দুল মিয়া বাঁধা দিলে তাদের মারধোর করে এবং উক্ত জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এতে সুপারি বাগান সহ আম ও বিভিন্ন ফলজাতীয় গাছ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আব্দুল জানায় ওই জায়গা সে নিজের টাকায় খরিদ করলেও আব্দুল কালাম নামের তার এক কাকাতো ভাই এসে নিজের বলে দাবি করে এবং জবরদখল করতে চায়। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলতে থাকে। কিন্তু সেদিনের ওই চরম অবস্থা দেখে সে কদমতলা থানার দ্বারস্থ হয়েছে এবং আব্দুল কালাম ও তার দুই স্ত্রী পিয়ারা বেগম, রাজিয়া বেগম এবং তার ছেলে আছাদ উদ্দিনের নামে লিখিত মামলা করেন। যদিও সংবাদ লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি এবং ঘটনার কোন তদন্তই করেনি বলে অভিযোগ আব্দুল মিয়ার।এখন দেখার বিষয় যে এই নির্যাতিত পরিবার কখন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পায় এই কথা ই ভাবছেন এলাকার মানুষ।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- সিধাই থানার অন্তর্গত বড়কাঠাল সহ বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি নেতৃত্ব ও সমর্থকদের বাড়িতে আক্রমণ চালায় দুষ্কৃতীরা। বিশেষ করে এলাকার প্রথম শাড়ির নেতৃত্বদের বাড়িতে করা হয়েছে ভাঙচুর। রক্তাক্ত হয়েছেন সিমনা বিধানসভার ৪১ নং বুথ সভাপতি অরুন দেববর্মা। তিনি বর্তমানে জিবিপি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বুধবার বড়কাঠাল এলাকায় ছিল গাঁও চলো অভিযান। এই অনুষ্ঠান শেষে বিজেপি দলের নেতৃত্ব এবং কর্মী সমর্থকরা বাড়ি ফিরে গেছেন। রাত হতেই নেতৃত্বদের বাড়িতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টি বাইক গিয়ে শুরু করে আক্রমণ। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়িঘর এবং বাইক। বড়কাঠাল এলাকায় হেজামারা ব্লকের বিইসি ভাইস চেয়ারম্যান নিহার দেববর্মার বাড়িতে আক্রমণ করেছে দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়িঘর। পাশাপাশি প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি যুগেন্দ্র দেববর্মা, বুথ সভাপতি অরুন দেববর্মার বাড়িতেও করা হয়েছে আক্রমণ। অরুণ দেববর্মাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ তিপ্রামথা দলের দুষ্কৃতীরা এই আক্রমণ সংঘটিত করেছে। আহত অরুন দেববর্মা বর্তমানে জিবিপি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। সিপিএমের ঘাতকদের নৃশংসতার শিকার হয়েছিলেন বিশালগড়ের তরুণ বিধায়ক পরিমল সাহা। ১৯৮৩ সালে আজকের দিনে বিশালগড়ের অফিসটিলায় জাতীয় সড়কে প্রকাশ্যে দিবালোকে তৎকালীন বিধায়ক পরিমল সাহা এবং তাঁর সহযোগী জিতেন সাহা কে নিশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল । সোমবার প্রয়াত বিধায়কের ৪২ তম প্রয়াণ দিবস পালন করা হয় বিশালগড়ে। এদিন পরিমল সাহার হাতে তৈরি বিশালগড় সিলভার এরো ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, প্রাক্তন মন্ত্রী মতিলাল সাহা, বিশালগড় পৌরপরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, কাউন্সিলর রতন দেব, ব্রজ গোপাল দেবনাথ সহ আরো অনেকে। প্রয়াত বিধায়ক পরিমল সাহার প্রতিকৃত্তিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব সহ উপস্থিত সকলে। বিজয় নদের তীরে প্রয়াত বিধায়কের স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, প্রাক্তন মন্ত্রী মতিলাল সাহা প্রমূখ। এছাড়া এদিন প্রয়াত বিধায়ক পরিমল সাহার স্মরণে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এক স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। প্রয়াত বিধায়কের অনুজপ্রতিম মিহির লাল সাহা জানান কয়েকশো সাধারন মানুষ শিবিরে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েছেন।
রাজ্যের মন্দির গুলোকে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, ব্রহ্ম কুণ্ড মেলার উদ্বোধন করে বললেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রতিনিধি মোহনপুর:- রাজ্যের ধর্মীয় স্থানগুলোকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গোটা দেশে এই কর্মযজ্ঞ চলছে। শুক্রবার ব্রহ্ম কুন্ডু মেলার উদ্বোধন করে বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা।
রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে এবং মোহনপুর মহকুমা প্রশাসন ও মেলা কমিটির যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় ব্রহ্মকুণ্ড মেলা। শুক্রবার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে মেলার শুভ সূচনা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা। এই মেলার উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত ভাষণ রাখতে গিয়ে সিমনার বিধায়ক তথা রাষ্ট্রমন্ত্রী বৃষ কেতু দেববর্মা বলেন এই মেলাটি বর্তমানে শুধুমাত্র সিমনা এলাকা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। গোটা রাজ্যের মানুষ সমবেত হয় এই মেলাতে। ইতিমধ্যেই এই মেলা প্রাঙ্গণকে আরো সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য পর্যটন দপ্তর থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে তার কাজ। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নিকট আহ্বান রাখেন সিমনা বিধানসভা এলাকার সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য।
অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন বর্তমানে দেশের সরকার সমস্ত ধর্মীয় স্থানগুলোকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তার থেকে ব্যতিক্রম নয় এই ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরাও। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি তার পাশেই একান্ন পিঠের আদলে কাল্পনিক মন্দির তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কসবেশ্বর কালীবাড়ি, চৌদ্দ দেবতা বাড়িকেও সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি ধর্মীয় স্থানগুলোকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলে পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারও সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মেলার উদ্বোধনের পাশাপাশি সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন প্রদর্শনী স্টল গুলো উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিটিএএডিসির ইএম রবীন্দ্র দেববর্মা, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, জেলাশাসক ডক্টর বিশাল কুমার, মহকুমা শাসক সুভাষ দত্ত সহ অন্যান্যরা।