প্রতিনিধি মোহনপুর:- বাংলাদেশের দিনের পর দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর যে নির্মম অত্যাচার সংঘটিত হচ্ছে তার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে মৌন মিছিলের মাধ্যমে প্রতিবাদ করল কাঠিয়া বাবা চেরিটেবল সোসাইটি পরিচালিত পাঠিয়ে বাবা মিশন স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষক শিক্ষিকারা। সিমনা বিধানসভার অন্তর্গত কাতলা মারায় কাঠিয়া বাবা চেরিটিবল সোসাইটি পরিচালিত পাঠিয়ে বাবা মিশন স্কুলের উদ্যোগে এক মৌন মিছিল সংঘটিত হয়েছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপস্থিতিতে।
অন্যদিকে কাঠিয়া বাবা চেরিটিবল সোসাইটি পরিচালিত মোহনপুর কাঠিয়া বাবা মিশন স্কুলের উদ্যোগে একই বিষয়ে রেলি অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। এদিন রেলির মাধ্যমে মোহনপুর মহকুমা শাসক কার্যালয় মারফত প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে শিক্ষার্থীর তরফে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ, ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং চিন্ময় প্রভুকে মুক্তির দাবিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে এই চিঠি।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশ ইস্যুতে কালীবাজারে প্রতিবাদ মিছিল কুশপুত্তলিকা পুড়ানো হলো ইউনূসের
প্রতিনিধি মোহনপুর :- প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিদিন যেভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে তাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদে শামিল হল রাঙ্গুটিয়া গৌরনিতাই সংঘ। বামুটিয়ার কালীবাজারে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাঙ্গুটিয়া গৌরনিতাই সংঘের উদ্যোগে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে। ইইদিন মশাল মিছিল করার পাশাপাশি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মোহাম্মদ ইউনুসের কুসপত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। সেদিন এলাকা সতন ধর্মাবলম্বী মানুষরা সরব হয়েছেন বাংলাদেশে ভূমিকাকে কেন্দ্র করে। এই কর্মসূচি থেকে দাবি তোলা হয়েছে বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিনা শর্তে চিন্ময় প্রভুকে মুক্তি দেওয়ার ও দাবি করা হয়েছে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অত্যাচারের প্রতিবাদে গন্ডাছড়ায় চাকমা সামাজিক পরিষদের বিক্ষোভ
প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া ২ অক্টোবর:- বাংলাদেশের পার্বত্য জেলায় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ এবং অত্যাচারের প্রতিবাদী আগেরে গুমেত সুলআনী চাকমা সামাজিক পরিষদের উদ্যোগে বুধবার গন্ডাছড়া মহকুমা শাসকের নিকট ছয় দফা দাবি সনদ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এর আগে বিশাল একটি প্রতিবাদ রেলী গন্ডাছড়া ডাক বাংলো চৌমুহনি থেকে শুরু হয়ে মহকুমা শহর এলাকার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা শেষে মহকুমা শাসক অফিসের সামনে এসে জোর হয়। পরে সেখান থেকে পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল মহকুমা শাসকের নিকট ডেপুটেশনে মিলিত হন। স্মারকলিপি প্রদান কালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন আগেরে গুমেত সুলআনী চাকমা সামাজিক পরিষদের নেতৃত্ব বিকাশ চাকমা, নৃপন চাকমা, সাগরজিৎ চাকমা, জয়মনি চাকমা, গদারাম চাকমা। স্মারকলিপি প্রদান শেষে চাকমা সামাজিক পরিষদের নেতৃত্ব বিকাশ চাকমা সাংবাদিকদের জানান বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের সেনাবাহিনীর মদতে মৌলবাদীরা যে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িঘর লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, মা-বোনদের ধর্ষণ, খুন সন্ত্রাস সংঘটিত করে চলছে। তারই প্রতিবাদে মহকুমা শাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। যাতে করে মহকুমা শাসকের মাধ্যমে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হয়ে সেই দেশের সরকারের কাছে প্রেরণ করা হয়। তিনি চাকমা সামাজিক পরিষদের পক্ষ থেকে সেখানকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের জোরালো দাবি রাখেন।
মলদ্বীপে আসছে চিনের গুপ্তচর জাহাজ! ভারতের উপর চাপ বাড়াতেই কি নতুন কৌশল মুইজ্জুর?

নয়াদিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়ে এ বার মলদ্বীপে ঘাঁটি গাড়তে চলেছে চিনা গুপ্তচর জাহাজ। ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩’ নামে ওই জাহাজটি ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চিন সাগর থেকে মলাক্কা প্রণালী পেরিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাভা এবং সুমাত্রা দ্বীপপুঞ্জের মধ্যবর্তী সুন্দা প্রণালীতে পৌঁছেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সেটি ভারত মহাসাগরে ঢুকে পড়তে পারে। ৮ ফেব্রুয়ারি চিনা চর জাহাজ মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে পৌঁছবে বলে এনডিটিভিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।নয়াদিল্লি-মালে কূটনৈতিক টানাপড়েন এবং মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সাম্প্রতিক চিন সফরের পরেই এই ঘটনা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। ঘটনাচক্রে, চিন সফর থেকে ফিরেই মুইজ্জু মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর জন্য ১৫ মার্চের ‘চরম সময়সীমা’ ঘোষণা করেছেন। ২০১০ সাল থেকে একটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অংশ হিসেবে প্রায় ১০০ জন ভারতীয় সেনা মলদ্বীপে রয়েছেন।গত কয়েক বছরে চিনা নজরদার জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’, ‘হাই ইয়াং ২৪ হাও’ এবং ‘শি ইয়ান ৬’ ভারতের প্রতিবেশী আর এক দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে সাময়িক ঘাঁটি গেড়েছিল। যা নিয়ে নয়াদিল্লি-কলম্বো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ‘স্নায়ুযুদ্ধ’ শুরু হয় বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর। ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩’-এরও হাম্বানটোটায় নোঙর করার কথা ছিল। কিন্তু ভারতের আপত্তিকে মর্যাদা দিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার চিনা চর জাহাজকে সে দেশে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
যুদ্ধ থামানোর প্রশ্নই ওঠে না, হামাসের কাছে মাথা নত করব না, বলে দিলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী

যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কারণ, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলে মনে হবে হামাসের কাছে ইজ়রায়েলি শক্তি আত্মসমর্পণ করছে। এমনটাই জানালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। যুদ্ধ যেমন চলছে, তেমনই চালিয়ে যাওয়ার নীতি নিয়েছেন তিনি। ফলে পশ্চিম এশিয়ায় মৃত্যুমিছিল আরও দীর্ঘ হতে চলেছে।
গাজ়া ভূখণ্ডে ঢুকে স্থলপথে আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে ইজ়রায়েলি ফৌজ। প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে চলছে হামলা। একই সঙ্গে আকাশপথেও হামলা চালাচ্ছে ইজ়রায়েল। গাজ়ার মাটিতে মুহুর্মুহু বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে। যুদ্ধ মঙ্গলবার ২৪ তম দিনে পা দিল। ইতিমধ্যে শুধু গাজ়ায় মারা গিয়েছেন আট হাজারের বেশি মানুষ। তাঁদের মধ্যে রয়েছে বহু শিশু।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিতে হামলা চালায়। হামাসের হামলায় নিহত ইজ়রায়েলির সংখ্যা প্রায় ১৪০০। বহু মানুষকে ইজ়রায়েল থেকে পণবন্দি করে নিয়ে যায় হামাস। তার পরেই এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন নেতানিয়াহু। হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার পণ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে গাজ়ায় যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। তাতে ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকেছে ভারত। হামাসের সদস্যদের হত্যা করতে গিয়ে নিরপরাধ সাধারণ প্যালেস্তিনীয় নাগরিকদের প্রাণ যাতে না যায়, সে বিষয়ে নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেছে আমেরিকা। যুদ্ধে তারা ইজ়রায়েলের পাশেই আছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি জানান, গাজ়ায় হামাসের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েলের অভিযানে ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে। এই অবস্থায় যুদ্ধ থামানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না। নেতানিয়াহুর কথায়, ‘‘যুদ্ধবিরতি মানেই হামাসের সামনে ইজ়রায়েলের আত্মসমর্পণ, সন্ত্রাসবাদের কাছে ইজ়রায়েলের আত্মসমর্পণ। সেটা কখনওই হতে পারে না।’’ জয় না পাওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবে ইজ়রায়েল।
পাহাড় গিলে নিল একের পর এক বাড়ি! প্রবল বৃষ্টিতে ধস কঙ্গোয়, মৃত্যু অন্তত ১৭ জনের

পাহাড়ের নীচে ছবির মতো সাজানো ছোট ছোট ঘর। আচমকা তার উপরেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল পাথরের চাঁই। পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে এসে পিষে দিল বাড়িঘর। পাহাড়ের একাংশ যেন গিলে নিল শহরের একাংশ। কঙ্গোয় পাহাড়ি ধসে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
কঙ্গো নদীর ঠিক পাশে মোঙ্গালা প্রদেশের লিসাই শহরের ঘটনা। গত কয়েক দিন ধরে সেখানে মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। সেই কারণেই পাহাড়ে ধস নামে। পাহাড়ের ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে অনেক বাড়ি। বাড়িগুলি পাহাড়ের পাদদেশে তৈরি করা হয়েছিল। ধ্বংসস্তূপে এখনও অনেকে আটকে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।ইতিমধ্যে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে প্রশাসন। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মোঙ্গালা প্রদেশের গভর্নর। তিনি জানিয়েছেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এই বিপর্যয়। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকে থাকা বাসিন্দাদের উদ্ধার করার জন্য আরও উন্নত যন্ত্রপাতি প্রয়োজন। দুর্ঘটনাগ্রস্তদের বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা প্রশাসন করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
লগ্নি আনতে বিদেশে মমতা, দুবাই ছুঁয়ে স্পেনে, সফরে দুই ‘প্রথম’, ফেরার পথে মরুদেশেও হবে লগ্নি-বৈঠক

এ যাবৎ টানা ১২ বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বের কালে তিনি একাধিক বার বিদেশসফরে গিয়েছেন লগ্নি আনতে। শেষ গিয়েছেন সাড়ে চার বছর আগে। তার পর মঙ্গলবার আবার বিদেশসফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকালে কলকাতা থেকে রওনা হয়ে আপাতত তিনি দুবাইয়ে। বুধবার ভোরে দুবাই থেকে তিনি রওনা দেবেন স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের পথে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু তাঁর ঠাসা কর্মসূচি।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিল্পসচিব বন্দনা যাদব। এসেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সচিব গৌতম সান্যাল। রাজ্যের প্রতিনিধিদলের সদস্য হয়ে এসেছেন একঝাঁক শিল্পপতিও।
চিনের আপত্তি উড়িয়ে ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘তেজস্ক্রিয়’ জল সমুদ্রে ফেলল জাপান

চিনের আপত্তি উড়িয়ে সুনামি-বিধ্বস্ত ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘তেজস্ক্রিয় জল’ প্রশান্ত মহাসাগরে নিষ্কাশন শুরু করল জাপান। ফুকুশিমা পরমাণুকেন্দ্রের পরিচালন সংস্থা ‘টেপকো’ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পরিস্রুত করা ওই জলের একাংশ সমুদ্রে ফেলা হয়েছে। পাম্পের সাহায্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে জানিয়েছে জাপান। প্রায় ২০ মিনিট পরে প্রথম পর্যায় সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে অন্য একটি পাম্পকেও সক্রিয় করা হয়।
রাষ্ট্রপুঞ্জের পরমাণু নজরদারি সংস্থা, আইএইএ (‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি’ বা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা) জুলাই মাসে জানিয়েছিল, ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় জল জাপান যতখানি পরিস্রুত করতে পেরেছে, তার মান সন্তোষজনক। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার হাতে তুলে দিয়ে ‘তেজস্ক্রিয় জল’ প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলার ছাড়পত্রও দিয়েছিল। যদিও সে সময়ই চিনের তরফে তীব্র আপত্তি জানিয়ে বলা হয়েছিল, ‘‘আইএইএ রিপোর্ট সাগরে বর্জ্য জল ফেলার ছাড়পত্র হতে পারে না।’’
স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ছক খলিস্তানপন্থীদের! সুরক্ষা বাড়াল আমেরিকা

স্বাধীনতা দিবসে ওয়াশিংটনের ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের পরিকল্পনা করেছে আমেরিকার কয়েকটি খলিস্তানপন্থী গোষ্ঠী। গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর পেয়েই মঙ্গলবার রাত (আমেরিকায় সকাল) থেকে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে সেখানে।
গত মার্চ মাসেও ওয়াশিংটনের ভারতীয় দূতাবাসের সামনে খলিস্তানপন্থীদের বিক্ষোভ হয়েছিল। আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিস খবর, খলিস্তান নেতা অমৃতপাল সিংহের সমর্থনে খলিস্তানি পতাকা ওড়াতে জড়ো হয়েছিলেন তাঁরা। ওয়াশিংটনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হয়েছিলেন ওই খলিস্তানপন্থীরা। ইংরেজি এবং পঞ্জাবি ভাষায় ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছিলেন। পাশাপাশি পঞ্জাব পুলিশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে স্লোগান দিয়েছিলেন তাঁরা।খলিস্তানপন্থীদের ওই বিক্ষোভের খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন সাংবাদিক ললিতা ঝা। তাঁকে মারধর করেন খলিস্তান সমর্থকেরা। প্রসঙ্গত, আমেরিকার পাশাপাশি গত কয়েক বছরে ব্রিটেন এবং কানাডাতেও ভারতীয় দূতাবাসের সামনে খলিস্তানপন্থীদের বিক্ষোভ, ভাঙচুর হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’-সহ বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী ওই বিক্ষোব সংগঠিত করেছে বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর।
আমেরিকার আলাস্কায় বড়সড় ভূমিকম্প, কম্পনের মাত্রা ৭.৪, সুনামি সতর্কতা জারি

আমেরিকার আলাস্কা পেনিনসুলা অঞ্চলে ভূমিকম্প। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রিখটর স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৪। ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মাটির ৯.৩ কিলোমিটার গভীরে। আলাস্কার ভূমিকম্প কেন্দ্র জানিয়েছে, আলাস্কা উপদ্বীপ, আলিউটিয়ান দ্বীপ এবং কুক ইনলেটে অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়েছে। আলাস্কা এমনিতেই ভূমিকম্প প্রবণ। প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ারের অংশ, যা সব সময় সক্রিয় থাকে।১৯৬৪ সালের মার্চে আলাস্কায় বিশাল এক ভূমিকম্প হয়েছিল। রিখটর স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৯.২। এত প্রবল ভূমিকম্প এর আগে বা পরে উত্তর আমেরিকায় হয়নি। ওই ভূমিকম্পের জেরে আলাস্কা উপসাগর, পশ্চিম আমেরিকা, হাওয়াইতে সুনামি আছড়ে পড়েছিল। প্রায় ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল সে বার।