প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া।২রা মে। গাঁজা পাচারের সাথে যুক্ত তিন যুবতী মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ। তেলিয়ামুড়ার হাওয়াই বাড়িতে আজ নিয়মিত চেকিং এর অংশ হিসেবেই যাত্রীবাহী এক অটো গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ২৫ কেজি শুকনা গাজা উদ্ধার করে। সেই সাথে গাড়ির চালক এবং গাড়িতে থাকা তিন যুবতী যারা গাজাগুলো পাচার করছিল বলে পুলিশের বক্তব্য তাদেরকে আটক করা হয়। এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাক অর্থাৎ গাঁজা উদ্ধার হয়েছে যারা কাজের পাচার করছিলেন তাদেরকেও পুলিশ আটক করেছে, কিন্তু পর্দার পেছনে রয়েছে একটা গুরুত্বপূর্ণ আপডেট।
বিভিন্ন সূত্র মারফত খবরের ভিত্তিতে দেখা গেছে নিরন্তর ভাবে গাঁজা ব্যবসায়ীরা নিজেদের গাঁজা সাম্রাজ্যের বা অবৈধ নেশা সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটাতে গিয়ে একের পর এক অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করে চলেছেন। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যে দেখা গেছে যখনই গাঁজা আটক করা হয় পুলিশ গাড়ির চালককে আটক করতে পারছেন এবং স্বাভাবিক কারণেই লঘু ধরা প্রয়োগ হচ্ছে সংশ্লিষ্ট চালকের বিরুদ্ধে, এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর চালক পারও পেয়ে যান।
আজকের গাঁজা পাওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা গেছে পুলিশ আগরতলার বুধজংনগর থানার অন্তর্গত চাম্পামুড়া এলাকার সুনন্দ ঘোষ নামক অটোচালককে আটক করেছে তার বিশেষ গাঁজা ব্যবসা রয়েছে খবর এমনটাই। এমনটাও জানা গেছে আজকে ড্রাইভার হিসেবে আটক হওয়া সুনন্দ ঘোষ তার বন্ধু জয়ন্ত দেবের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই গাজা সহ বিভিন্ন অবৈধ নেশা সামগ্রির ব্যবসা করছে। আরো খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ধৃত সুনন্দ ঘোষের অটো ছাড়া ও দুদুটা ট্রাক গাড়ি রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে বহি:রাজ্য থেকে সবজির সাথে সাথে অবৈধ বিভিন্ন ধরনের নেশা সামগ্রী রাজ্যে আনা নেওয়া করছে।যদিও আজকে আটক হওয়া যুবতীদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে ,তদন্ত করবে, কিন্তু তারপরেও যে খবর গুলো উঠে আসছে এই খবরের ভিত্তিতে আটকৃত সুনন্দকে সঠিকভাবে জেরা করলে বা তদন্ত করলে ত্রিপুরা রাজ্যে নিরন্তর ভাবে বৃদ্ধি পাওয়া গাজা পাচার কান্ডের বহু তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে অনুমান।
অপরাধ
প্রতিনিধি, বিশালগড়,
২ মে।। হিন্দু নাবালিকা অপহরণ এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। গত ২৭ এপ্রিল বিশালগড়ের এক হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সোনামুড়ার কুলুবাড়ির সাদ্দাম হোসেন। ফেসবুকে মেয়েটির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল সাদ্দামের। ধর্মীয় পরিচয় এবং বিবাহিত জীবনের কথা গোপন রেখে মেয়েটির সঙ্গে ভালবাসার নাটক করে সে। গত ২৭ এপ্রিল মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায় সাদ্দাম। বাড়িতে গিয়ে মেয়েটি জানতে পারে সাদ্দাম হোসেন বিবাহিত এবং দুটি সন্তান রয়েছে। এবং সে মুসলমান সম্প্রদায়ের। তাই মেয়েটি বাড়িতে ফিরে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু সাদ্দাম হোসেন মেয়েটিকে আটকে রেখে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। গত মঙ্গলবার কোনক্রমে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় মেয়েটি। পরবর্তী সময়ে বিশালগড় মহিলা থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে। সাদ্দামের সহযোগিতা পেশায় মুহুরি অভিষেক চক্রবর্তী এখনো অধরা। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিশালগড় মহিলা থানায় ডেপুটেশন প্রদান করে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিদ্যার্থী পরিষদের এক প্রতিনিধি দল মহিলা থানার আধিকারিকের হাতে দাবি সনদ পেশ করেন। কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যার্থী পরিষদের রাজ্য কমিটির সদস্যা অর্পিতা মজুমদার, বিশালগড় শাখার সেক্রেটারি শুভ্রজিৎ রায় প্রমুখ । মহিলা থানার আধিকারিকরা নির্যাতিতাকে আইনি বিচার পাইয়ে দিতে এবং অভিযুক্তদের শাস্তির বিষয়ে সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
প্রতিনিধি : খোয়াই।সুভাষপার্কে দিনদুপুরে এক মহিলার ব্যাগ কেটে পাঁচ হাজার টাকা চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি ঘটে বুধবার দুপুর ১ নাগাদ। জানা যায়, বয়স ৫৩ বছরের তবলা বাড়ি এলাকার রত্না দাস সুভাষ পার্ক বাজারে বাড়ির কাজে আসে। পরবর্তী সময়ে সুভাষপার্ক কালিবাড়ী সহ আশপাশ এলাকায় বিভিন্ন জিনিস বাজার করে। পরবর্তীতে নিজের কাজে একটি ব্যাগের দোকানে গেলে সেখান থেকেই নাকি ওই মহিলার ব্যাগ কেটে আনুমানিক ৫০০০ টাকা নিয়ে যায় কে বা কারা। পরবর্তীতে ওই মহিলা সুভাষ পার্ক আউট পোস্ট এর দ্বারস্থ হয়। সেখানে সম্পূর্ণ বিষয়টি খুলে বলেন মহিলা। মহিলা জানান, কয়েকজন মিলে তাকে অনেকক্ষণ ধরে ফলো করছিল। হয়তোবা তারাই এই ঘটনাটি সংঘটিত করেছে। গোটা ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় সুভাষপার্ক এলাকায়। আশ্চর্যের বিষয় হলো খোয়াই শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্র সুভাষ পার্কে দিন-দুপুরে এরকম ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে প্রত্যেকটি মহলে।
- প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১ মে।। নিজের ধর্মীয় পরিচয় এবং বিবাহিত জীবনের কথা গোপন রেখে এক হিন্দু নাবালিকাকে প্রেমের জালে ফাঁসায় সেনামুড়া কুলুবাড়ির সাদ্দাম হোসেন। ব্রাহ্মণ পরিবারের নাবালিকার বাড়ি বিশালগড় থানা এলাকায়। গত কয়েকমাস আগে ফেসবুকে পরিচয় এবং পরবর্তী সময়ে প্রেমের অভিনয় শুরু করে সাদ্দাম। এমনকি বেশ কয়েকবার বিভিন্ন নির্জন স্থানে নিয়ে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়। অবশেষে গত ২৭ এপ্রিল শনিবার সকালে নাবালিকা মেয়েটিকে কুলুবাড়িতে নিয়ে যায় সাদ্দাম। কুলুবাড়িতে গিয়ে মেয়েটি জানতে পারে সাদ্দাম হোসেন মুসলমান সম্প্রদায়ের। এবং সে বিবাহিত। তার দুই সন্তান রয়েছে। তখন মেয়েটি বাড়িতে ফিরে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু সাদ্দাম এবং তার সহযোগীরা নাবালিকাকে বেআইনি ভাবে আটকে রাখে। এবং জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। সাদ্দাম হোসেনকে সহযোগিতা করে মেলাঘরের পেশায় মুহুরি অভিষেক চক্রবর্তী। জাল কাগজপত্র দিয়ে সাদ্দাম এবং নাবালিকাকে নোটারী বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেয় অভিষেক। এমনকি সাদ্দামের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে অভিষেক চক্রবর্তী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। অবশেষে ঘটনার তিনদিন পর সেখান থেকে কোনক্রমে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় নাবালিকা। বাড়িতে গিয়ে সমস্ত ঘটনা পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করে সে। এরপর এদিনই বিশালগড় মহিলা থানায় মামলা দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। মামলা গ্রহণ করে মাঠে নামে মহিলা থানার পুলিশ। এদিন রাতেই মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৬৬(এ)/৩৭৬(৩)/৩৪২/৩৫৪(এ)/৫০৬/৩৪ এবং পকসো এক্টে মামলা গ্রহণ করেছে পুলিশ। বুধবার অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনকে বিশালগড় মহকুমা আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে ১৪ দিনের জন্য জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিকে অপর অভিযুক্ত অভিষেক চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে। তবে গত শনিবার নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার পর মেলাঘর থানায় ডেপুটেশন প্রদান করেছিলো বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক প্রতিনিধি দল। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিলে মেয়েটির সম্ভ্রম রক্ষা হতো। পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এই সুযোগে মেয়েটিকে আটকে রেখে যৌন নির্যাতন চালিয়েছে সাদ্দাম হোসেন। সাদ্দাম হোসেন কুলুবাড়ি এলাকার কুখ্যাত সমাজবিরোধী। সীমান্ত অপরাধী হিসাবে পরিচিত। আন্তর্জাতিক নারী পাচার থেকে শুরু করে নেশা পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ।
ধর্মনগর প্রতিনিধি। পানিসাগর থানার পুলিশ এবং পানিসাগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের একান্ত প্রয়াসে ধরা পড়লো এপ্রিল মাসের ২১ তারিখ হয়ে যাওয়া ডাকাতির ঘটনা। ঘটনা ঘটেছিল প্রণব নাথ ,পূর্ব তিলথী তা নিয়ে ১৮/২৪, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৫৭/ ৩৮০ নম্বরে একটি কেস রেজিস্ট্রি করা হয়েছিল। চূড়ান্ত তল্লাশির পর পানি সাগরের তিনজন ধরা পড়লো। একজন হল আব্দুল হান্নান, বয়স ২৮ বছর, বাড়ি ছয় নং ওয়ার্ডের তিলথৈএর ব্যাথাঙ্গ তারই বড় ভাই আব্দুল সালাম বয়স ৪৩ বছর বাড়ি বেথাঙ্গি অপর দ্বিতীয় ব্যক্তি হচ্ছে নাজিম উদ্দিন বাড়ি নারায়ণপুর পাথাকান্দি, আসাম, ওয়ার্ড নং ১০। তাদের কাছ থেকে ব্যবহৃত দাও, একজোড়া কানের দুল, রুপার একজোড়া ব্রেসলেট, বেশ কিছু অলংকার এবং নগর পাচ হাজার দুশো টাকা পাওয়া গেছে। তাদেরকে পানিসাগরের পুলিশ আধিকারিক সৌম্য দেববর্মা এবং ওসি দেবজিত চ্যাটার্জি তদন্ত করে দেখছে ডাকাতির কাজে আর কি কি দ্রব্যাদী তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায়।
আবারো নেশা বিরোধী অভিযানে সাফল্য পেল খোয়াই থানার পুলিশ। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খোয়াই থানাধীন গোপিটিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক মহিলা সহ দুইজন নেশা কারবারিকে জালে তুলে খোয়াই থানার পুলিশ। খোয়াই থানা সূত্রে জানা যায় এদিন দুপুরে গুপি টিলা এলাকার জৈনিক মহিলা মনিকা দেববর্মার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১৬০ গ্রাম ব্রাউন সুগার নগদ ২৪ হাজার ১ ৬০ টাকা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। পাশাপাশি শেষপেয়ার দেববর্মা নামে আরও এক নেশা কারবারিকে গ্রেফতার করে খোয়াই থানার পুলিশ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে মনিকা দেববর্মা এবং তার পরিবার নেশার ঠেগ চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশকে জানানোর পরও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি মহিলা নেশা কার বারির বিরুদ্ধে। অবশেষে সোমবার এলাকাবাসী জোট বদ্ধ হয়ে নেশা সামগ্রী সহ মহিলাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এন ডি পিএস ধারায় মামলা গ্রহণ করেছে। আগামীকাল তাদের আদালতের প্রেরণ করা হবে।
নির্বাচনের দিনগুলিতেও খোয়াই তে অব্যাহত রয়েছে নেশা কারবারীদের দৌরাত্ম। শনিবার দুপুরে ১৬০ বোতল ফ্যানসিডিল সহ এক নেশা কারবারিকে জালে তুলে খোয়াই থানার পুলিশ। খোয়াই থানা সূত্রে জানা যায় যে, এই দিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খোয়াই মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে খোয়াই থানা এবং বাইজাল বাড়ি আউটপোস্টের পুলিশ বেলফাং এলাকায় নাকা পয়েন্টে চেকিং এ বসে। পুলিশের চেকিং চলাকালীন সময় টি আর ০১ এজে ০৩৭২ নাম্বারের একটি ইকু গাড়ি নাকা পয়েন্টের সামনে এসো উপস্থিত হয় । তখন পুলিশ গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে ১৬০ বোতল ফেনসিডিল বাজেয়াপ্ত করে, পাশাপাশি দুটি মোবাইল ফোন নগদ ৬ হাজার ৫০০ টাকা এবং গাড়ির চালক মিঠুন নম দাস কে আটক করে খোয়াই থানার পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এন ডি পিএস ধারায় মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। আগামীকাল অভিযুক্ত কে আদালতের প্রেরণ করা হবে।
প্রতিনিধি মোহনপুর:-এয়ারপোর্ট থানার অন্তর্গত উত্তর রামনগর এলাকায় ওয়ার্টার পাম্প থেকে বিভিন্ন সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গেল চোরের দল। এই ঘটনায় এলাকাতে পানীয় জলের সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সকালে ঘটনা স্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।এয়ারপোর্ট থানা এলাকাতে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। শুক্রবার গভীর রাতে উত্তর রামনগরে জলের পাম্পে হানা দেয় চোরের দল। পাম্প পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে গেছে চোরেরা। স্থানীয়দের ধারণা এলাকার কতিপয় অসাধু ব্যক্তি এই কাজের সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছে। প্রায় ১৫ দিন আগে স্থানীয় জনতা কতিপয় দুষ্কৃতিকে চুরির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে আটক করে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক ওই অভিযুক্তদের থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। এরপরই এই ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি এলাকায় এই ধরনের চুরির ঘটনার রোধ করতে পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-বূহস্পতিবার দুপুরে উদয়পুর গকুলপুর এলাকার বাসিন্দা রত্না সাহা নামে এক মহিলা নিজের গরু নিয়ে খামারে দিকে যাচ্ছিল। এমন সময় এক যুবক মহিলাকে একটু খাবারের জন্য জল দিতে বলে। মহিলা তাকে জল দিয়ে গরুকে ঘাস খাবার জন্য রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলছিল। হঠাৎ ঐ যুবকটি মহিলার গলা থেকে একভড়ি চার আনার একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে পালিয়ে যায় বলে রত্না সাহা জানান ।তবে যে যুবকটি মহিলার গলা থেকে হার নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে তাকে চিনতে পেরেছে রত্না। ঘটনায় অভিযুক্তের নাম আবুল কালাম। পরবর্তী সময়ে রাধাকিশোরপুর থানায় এসে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হাতে মামলা নিয়ে অভিযুক্ত আবুল কালাম কে জালে তুলতে মাঠে নেমে পড়েছে।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-রাতের অন্ধকারে দুঃসাহসিক চুরি উদয়পুর শহরে । ঘটনার সূত্রে জানা যায় , বুধবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ রমেশ চৌহমুনী এলাকার ব্যবসায়ী রাকেশ দেবনাথ দোকানের ব্যবসা-বাণিজ্য শেষ করে অন্যান্য দিনের মতো রাতে বাড়ি চলে যায় কিন্তু বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১ টা নাগাদ দোকানে এসে দেখতে পায় দোকানের পেছনের দরজা ভাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে । পরে দোকানের ভেতর প্রবেশ করে দোকান মালিক রাকেশ দেখতে পায় তার দোকানে থাকা একটি মোবাইল ফোন , নগদ দশ হাজার টাকার ঠান্ডা পানীয় থেকে শুরু করে আরো অন্যান্য দোকানের সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয় চোরের দল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে রমেশ স্কুল থেকে মাত্র কুড়ি মিটার দূরেই দোকান । যেখানে গোমতী জেলার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটের মেশিন রাখা রয়েছে সে সকল ভোটের মেশিন পাহারা দিচ্ছে স্কুলের ভেতর এবং বাইরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। প্রতিনিয়ত টহল চলছে রমেশ চৌহমুনির জাতীয় সড়কে পুলিশের গাড়ির। কিন্তু সেই জায়গায় কিভাবে এত বড় চুরি কান্ড সংগঠিত হলো রাতের অন্ধকারে তা বুঝে উঠতে পারছে না দোকান মালিক। এই ঘটনায় উদয়পুর শহরবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎকন্ঠা তৈরি হয়েছে । এখন দেখার বিষয় রাধা কিশোরপুর থানার পুলিশ সংবাদ সম্প্রচারিত হওয়ার পর কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে ।