প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার সাথে সখ্যতা।মনের রং আর মননের চর্চার মাধ্যমে ছবি জীবন্ত হয়ে উঠে শিল্পীর তুলিতে।সেভাবেই শিক্ষার আলোকবর্তিকা প্রজ্জ্বলিত হয়েছে এই মেধাবীর মননে।কৈলাসহর রাধাকিশোর ইনস্টিটিউশনের ছাত্র সায়ন্ত বিশ্বাস এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে দর্শন শাস্ত্রে ৯৭ নম্বর পেয়ে গোটা রাজ্যে দ্বিতীয় হয়েছে।যে রাজ্যের বুকে প্রথম হয়েছে মন্তোষ গোপ তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৮ সেও এই স্কুলের-ই ছাত্র।ত্রিপুরা বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সায়ন্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৫ এবং বাংলায় ৯৩ পেয়েছে।৫টি সাবজেক্টের মধ্যে সংস্কৃতে লেটার মার্ক পেলেও বাকি তিনটি বিষয়ে স্টার পেয়েছে সে।রাধা কিশোর ইনস্টিটিউশনে এবারের ফলাফলে গৌরবময় অবস্থানে রয়েছে সায়ন্ত। আগামীতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স দিয়ে কৈলাশহর রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ে পড়তে চায় সে।পাশাপাশি আগামীর লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে সে জানায় পলিটিক্যাল সাইন্স নিয়ে পিজিটি করে শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত হতে।পড়াশোনার পাশাপাশি চিত্রশিল্পী হিসেবেও সুনাম রয়েছে সায়ন্ত বিশ্বাসের।বিশেষ করে প্রতিকৃতি মূলক ছবি তাকে অনেক সম্মান উপহার দিয়েছে।২০২৪ সালে কলা উৎসবে ত্রিপুরা থেকে জয়ী হয়ে জাতীয় স্তরে ত্রিপুরার প্রতিনিধি হয়ে রাজ্যকে রিপ্রেজেন্ট করেছিল।২০২৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল আইকন অ্যাওয়ার্ড ফর আর্ট এন্ড ক্রিয়েটিভিটি এই বিশেষ শিরোপা অর্জন করেছিল সে।যা অনলাইন কম্পিটিশন হয়েছিল।সায়ন্তের দর্শনশাস্ত্রে এই ব্যতিক্রমী সাফল্যের জন্য তার পরিবারের পাশাপাশি গর্বিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারাও।
admin
গন্ডাছড়ার প্রত্যন্ত এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু, বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে মানুষের জন্য মানবিক উদ্যোগ
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২২মে:- গন্ডাছড়া মহকুমার সাধারণ মানুষের জন্য এক উল্লেখযোগ্য পরিষেবা চালু হলো বৃহস্পতিবার। ৪৪ রাইমাভ্যালী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা নন্দিতা দেববর্মা রিয়াং তাঁর বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে ৯ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেন জগবন্ধু পাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে। এই অ্যাম্বুলেন্সটি গন্ডাছড়া মহকুমার প্রত্যন্ত এলাকাগুলির সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এদিন এই উপলক্ষে গন্ডাছড়া মহকুমা শাসকের অফিস প্রাঙ্গণে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পতাকা নেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার উদ্বোধন করেন বিধায়িকা নন্দিতা দেববর্মা রিয়াং। তাঁর এই মানবিক উদ্যোগকে ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে এক বিশেষ উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গন্ডাছড়া মহকুমা শাসক চন্দ্র জয় রিয়াং, ডিসিএম দিলীপ দেববর্মা, জগবন্ধু পাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এমওআইসি, সমাজসেবী ক্ষত্রজয় রিয়াং, হরিশ দেববর্মা সহ বিশিষ্টজনেরা। সবাই বিধায়িকার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং একে সাধারণ মানুষের জন্য একটি কল্যাণময় পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন।
বিধায়িকা জানান, এই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা গন্ডাছড়া মহকুমার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের জরুরি চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। এর ফলে রোগীদের দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে পৌঁছানো সম্ভব হবে এবং অনেকের জীবন রক্ষা পাবে।
এই উদ্যোগকে ঘিরে এলাকায় ইতিবাচক সাড়া পড়েছে। সাধারণ মানুষ বিধায়িকার এই উদ্যোগে খুশি এবং কৃতজ্ঞ। তাঁরা আশাবাদী, আগামী দিনেও এই ধরনের মানবিক উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এ ধরনের পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের জন্য এক আশার আলো হয়ে উঠছে।
উন্নয়নের কাজে আরো বেশি গতি আনতে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে রিভিউ মিটিং জোলাই বাড়ি।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি :আজ জোলাই বাড়ি ব্লকের এই অর্থ বর্ষের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম গুলিকে আরো বেশি দ্রুত সম্পন্ন করতে বৃহস্পতিবার জোলাই বাড়ি ব্লকের কনফারেন্স হলে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক এবং বিভিন্ন ভিলেজ, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান , ভাইস চেয়ারম্যান ,সহ ,পঞ্চায়েত সচিবদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠীত করাহয় মন্ত্রী শুক্লাচরণের নেতৃত্বে । জোলাই বাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়ার পাশাপাশি আজকের এই রিভিউ মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন জোলাই বাড়ি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান তাপস দত্ত,জোলাই বাড়ি ব্লকের বিএসসি চেয়ারম্যান অশোক মগ,জোলাই বাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান কেশব চৌধুরী , বিশিষ্ট সমাজসেবী সুজিত দত্ত ,জোলাই বাড়ি বিএসএফ ভাইস চেয়ারম্যান জিতিরাম ত্রিপুরা, জোলাই ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক
নবব্রত দত্ত, সহ অন্যান্যরা। এছাড়াও আজকের এই রিভিউ মিটিং এ জোলাই বাড়ি ব্লকের বিভিন্ন লাইন ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।এই মিটিং এ ব্লকের অধীনে থাকা সব কয়টি পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি , পঞ্চায়েত সচিব, বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারী গন সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী পরিকল্পনা জনগণের কাছে দ্রুত পৌঁছে দিতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশদ ভাবে আলোচনা করেন। পাশাপাশি যে সকল বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ গুলি অর্ধসমাপ্ত রয়েছে তা কেন অর্ধসমাপ্ত রয়েছে এবং কিভাবে কাজে আরো বেশি গতি এনে এই অর্থ বর্ষের মধ্যে কাজগুলিকে
সম্পূর্ণ করা যায় তানিয়েও
এই রিভিউ মিটিং এ বিশদভাবে আলোচনা করা হয়। আজকের এই আলোচনাশেষে বিভিন্ন দিকগুলি সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানালেন মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া। পাশাপাশি আজকের রিভিউ মিটিং এ মন্ত্রী আলোচনা করতে গিয়ে বলেন আমরা সকলে এক পরিবারের লোক হয়ে সরকারের এই ধারাবাহিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে । সাধারণ জনগণের কাছে সরকারের এই উন্নয়ন্মুখী প্রকল্পগুলি পৌঁছে দিতে সকলে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে । এতে প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্ন সবকা সাথ সবকা বিকাশ সেটি পরিপূর্ণ হবে।
প্রতিনিধি ধর্মনগর,, আজ ৬০ নং বিজেপি কাঞ্চনপুর মণ্ডলের উদ্যোগ কাঞ্চনপুর টাউন হলে বিজেপির রাজ্য সভাপতির উপস্থিতিতে এক সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সাংগঠনিক সভায় রাজ্য বিজেপির প্রদেশ সভাপতি শ্রী রাজীব ভট্টাচার্য সহ উপস্থিত ছিলেন বিজেপির উত্তর জেলার সভাপতি কাজল দাস, উত্তর জেলার সভাধিপতি অপর্ণা নাথ,কাঞ্চনপুর মন্ডল সভাপতি বীরেন্দ্র কর সহ কাঞ্চনপুর মন্ডলের অন্যান্য নেতৃত্বরা। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে সভায় সূভ সূচনা করেন উপস্থিত অতিথিবর্গরা। তারপর বক্তব্য রাখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য মহোদয়এই সাংগঠনিক সভায় আগামী এডিসি নির্বাচনের উপর দলের কার্যকরতা বাড়ানোর জন্য সবাইকে অনুপ্রেরণা প্রদান করেন এবং কিভাবে আরো মানুষের উপকারে আসা যায় সেই ব্যাপারে আরো ব্যাপকভাবে কাজ করার জন্য সবাইকে অগ্রসর হওয়ার জন্য অনুরোধ রাখেন এরই সাথে তিনি এই সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি তুলে ধরলেন সকলের সামনে ।তিনি বলেন রাজ্যের জনগণদের একটি সময় ঘরের জন্য নেতাদের বাড়িতে লাইন ধরতে হত । তবে এখন আর ঘরের জন্য নেতাদের বাড়িতে লাইন ধরতে হয় না কারন বর্তমানে রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার কাজ করছে এবং বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ৪.৫০ লক্ষ পাকা বাড়ি এই ডাবল ইঞ্জিনের সরকার নির্মাণ করে দিয়েছে পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে ২০১৯ সাল থেকে এই ডবল ইঞ্জিনের সরকার রাজ্যের গরিব অংশের গনগণদের সম্পুর্ন বিনামূলে পরিবার পিছু ৫ কেজি করে চাল প্রদান করে আসছে।সবশেষে এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে ছিল তিরঙ্গা যাত্রা। সেই মোতাবিক প্রায় ৭ থেকে ৮০০ মানুষ উপস্থিত হন, কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেই রেলি প্রদর্শন হয়নি। তবে তারা আশাবাদী আগামী দিনগুলোতে তারা আরো বিভিন্ন কর্মসূচির চালিয়ে যাবেন।
প্রতিনিধি মোহনপুর – বামুটিয়া কৃষি মহাকুমার অন্তর্গত তেবাড়িয়ায় ভূমি পূজার মাধ্যমে শিলান্যাস হলো এগ্রি ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ কাম ট্রেনিং সেন্টার উইথ আইটি ফেসিলিটিস দপ্তরের। অন্যদিকে গান বাজারে নতুন মার্কেট স্টল নির্মাণের জন্য জমি পরিদর্শন করেছেন মন্ত্রী। দীর্ঘ সময় ব্যবসায়ীদের সাথে খোলামেলা আলোচনায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে হয়েছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
বামুটিয়ার কৃষি মহকুমা এলাকার অন্তর্গত তেবাড়িয়া এলাকায় নির্মাণ হতে যাচ্ছে এগ্রি ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ কাম ট্রেনিং সেন্টার উইথ আইটি ফেসিলিটিস দপ্তরের। আনুষ্ঠানিকভাবে ভূমি পূজার মাধ্যমে হয়েছে শিলান্যাস। এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন বর্তমানে কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে কৃষিকাজ করতে হবে। উন্নত মানের বীজ ব্যবহার এবং দপ্তরের সঠিক দিকনির্দেশনায় ফসল বৃদ্ধিতে কৃষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন ভারতবর্ষের অর্থনীতিতে একটা বড় প্রভাব রয়েছে কৃষকদের। এই রাজ্যেও কৃষকদের গুরুত্ব কোনোভাবেই কম নয়। তবে ত্রিপুরাকে খাদ্যশস্যে স্বয়ংভর করার ক্ষেত্রে আরো ব্যাপকভাবে চাষবাসের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন মন্ত্রী। আহ্বান করেছেন কোন জমি খালি না রেখে কিছু না কিছু চাষ করার জন্য। এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা ফোষনী ভুষণ জমাতিয়া, বামুটিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ ধন দাস, মন্ডল সভাপতি শিবেন্দ্র দাস সহ অন্যান্যরা।
অন্যদিকে গান্ধীগ্রাম বাজারে কৃষি দপ্তরের অর্থানুকুলে নির্মাণ হতে যাচ্ছে আধুনিক মার্কেট স্টল। সোমবার এই স্টল নির্মাণের জন্য নির্ধারিত জমি পরিদর্শন করেছেন মন্ত্রী। কথা বলেছেন এলাকার জনপ্রতিনিধি আধিকারিক এবং ব্যবসায়ীদের সাথে। এদিন মন্ত্রী রতন লালন বলেন প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয় করে এই মার্কেট স্টল নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সঠিকভাবে ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে আলোচনাক্রমে এই মার্কেট স্টল গুলো নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে এলাকার ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বেকারদের জন্যও রোজকারের একটি নতুন পথ খুলবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
- আগরতলা: ভাবগম্ভীর এবং নান্দনিক একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গতকাল ১৮ মে অনুষ্ঠিত হলো বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদের ত্রিপুরা রাজ্যভিত্তিক বার্ষিক সমাবর্তন ২০২৫। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের দুই নম্বর হলে সকাল থেকেই শুরু হয় সমাবর্তনের প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান। এতে বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. দেবব্রত দেবরায় এবং বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রীতা চক্রবর্তী। দুজন বক্তাই শিশুদের মানসিক এবং শারীরিক বিকাশের ক্ষেত্রে সংগীতের অসামান্য ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। স্বাগত সম্ভাষণ রাখেন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামল গাঙ্গুলি। এই পর্বে খোয়াই, গোমতী, দক্ষিণ ত্রিপুরা, ঊনকোটি, ধলাই এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলার পঞ্চম ও সপ্তম বর্ষে উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের অভিজ্ঞান পত্র তুলে দেওয়া হয়।
সমাবর্তনের দ্বিতীয় পর্বটি ছিল অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক। এই পর্বের উদ্বোধন করেন ভবনস ত্রিপুরা বিদ্যামন্দিরের প্রধান অধ্যক্ষ স্বপ্না সোম। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন
লংতরাই গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর রতন দেবনাথ এবং বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী তপতী ভৌমিক মজুমদার। বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদের রীতি অনুযায়ী এই পর্বে রাজ্যের বিশিষ্ট উদ্যোগপতি এবং লংতরাই গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর রতন দেবনাথ কে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। অভূতপূর্ব আয়োজনের মধ্য দিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “এসো আমার ঘরে এসো” গান এবং নৃত্য সহযোগে তাঁকে মঞ্চে বরণ করে নেওয়া হয় বিভিন্ন উপাচারে। পরবর্তী সময়ে ত্রিপুরার বাণিজ্যক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানকে স্মরণ করা হয় মানপত্র এবং বিশেষ ক্রেস্ট প্রদানের মধ্য দিয়ে। এছাড়াও শিল্প সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় রতন দেবনাথের অবদানের কথা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বার বার উল্লেখ করা হয়। এখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রতন দেবনাথ আয়োজকদের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে শিশুদেরকে ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতির আঙিনায় যুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, এখানে এসে এ’কথা তিনি আরো গভীরভাবে উপলব্ধি করছেন। তিনি বলেন, পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। আজকের এই অর্জনকে তিনি তাঁর সতীর্থ এবং ত্রিপুরাবাসীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বপ্না সোম এবং তপতী ভৌমিক মজুমদার শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের স্ব-স্ব অভিজ্ঞতার কথা ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদের বিশিষ্ট কেন্দ্রাধ্যক্ষ অনুপম চৌধুরী এবং বন্দনা নন্দীকে বিশেষ সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। এই পর্বে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী নির্মল দেব। তিনিও তাঁর বক্তব্যে সংগীতের ক্ষেত্রে ড্রপ আউটের সমস্যাকে অভিভাবকদের নতুন করে ভেবে দেখতে বলেন। এই পর্বে পশ্চিম ত্রিপুরার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অভিজ্ঞান পত্র বিতরণ করা হয়। দুটি পর্ব মিলিয়ে প্রায় ৮০০ ছাত্রছাত্রী অভিজ্ঞান পত্র গ্রহণ করেন। এই উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নতুন কুঁড়ি এবং ভবন্স কলা কেন্দ্রের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করে।
অসহায় বাবা কাজল দাসের কাতর আবেদন — “মুখ্যমন্ত্রীই পারেন আমার মেয়েকে বাঁচাতে”
প্রতিনিধি,উদয়পুর :- গোমতী জেলার অমরপুর মহকুমার পূর্ব মৈলাক গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাসিন্দা কাজল দাসের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা দাস জন্মসূত্রে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। এই মারাত্মক জেনেটিক রোগের কারণে প্রিয়াঙ্কার শরীরে প্রতি মাসে অন্তত দু’বার করে রক্ত দিতে হয়। যদিও গোমতী জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক থেকে কখনো কখনো বিনামূল্যে রক্ত মেলে, তবুও বহু সময় রক্তের অভাবে সমস্যায় পড়তে হয় পরিবারটিকে। তখন রক্তদাতার খোঁজে কাজল দাসকে ছুটতে হয় রাজ্যের নানা প্রান্তে। রক্তদাতা পেলেও তাকে নিয়ে আসতে গাড়িভাড়া, খাওয়া-দাওয়া এবং অন্যান্য খরচ বহন করতে হয় এই দরিদ্র পরিবারকে।
দিনমজুর পেশায় নিয়োজিত কাজল দাস গত আট বছর ধরে মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রাণপণ লড়াই করে চলেছেন। তিনি জানান, তার পরিবারে ছয়জন সদস্য—তার বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং তিনি নিজে। বাবা স্ট্রোকের রোগী, মা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। একমাত্র উপার্জনকারী হিসেবে তার সামান্য আয়ে পরিবারের চিকিৎসা ও দৈনন্দিন খরচ চালানো একপ্রকার অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
তিনি কাঁদতে কাঁদতে জানান, আজ থেকে ১৪ বছর আগে তার বড় মেয়েও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মাত্র এক বছর বয়সে মারা যায়। সেই সময়ও চোখের সামনে মেয়েকে হারাতে হয়েছে চিকিৎসার অভাবে। এখন ছোট মেয়ের জীবনও একই বিপদের মুখে পড়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রিয়াঙ্কার দ্রুত একটি অপারেশন দরকার, যা আগরতলার জিবি হাসপাতালে করা সম্ভব হলেও খরচ প্রায় লক্ষাধিক টাকা। এই বিপুল খরচ জোগাড় করা তার পক্ষে সম্পূর্ণ অসম্ভব।
কাজল জানান, তার পরিবার ইতিমধ্যেই মেয়ের চিকিৎসার জন্য ঘরের কাঠ, ফার্নিচার, রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার, স্ত্রীর সমস্ত স্বর্ণালংকার বিক্রি করে দিয়েছেন। বর্তমানে তারা একেবারেই নিঃস্ব। দিনের পর দিন শুধু চোখের জলে দিন কাটছে। এ অবস্থায় তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহার কাছে কাতর আবেদন জানিয়ে বলেন, “আপনি একজন ভালো মানুষ, গরিবের পাশে সবসময় দাঁড়ান। দয়া করে আমার মেয়েটাকে বাঁচান।” তিনি আর ঘরবাড়ি চান না, শুধু চান মেয়ের চিকিৎসার সুযোগ।
কাজল দাস অভিযোগ করেন, প্রিয়াঙ্কার হাতে ৮০ শতাংশ প্রতিবন্ধী শংসাপত্র থাকা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিবন্ধী ভাতা বা কন্যা সন্তানের ভাতা পাচ্ছেন না। একাধিকবার মহকুমা সিডিপিও অফিস এবং জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে গিয়েও কোনো কাজ হয়নি। এর মধ্যেও প্রিয়াঙ্কা তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে মৈলাক হাই স্কুল থেকে ভালো নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে।
তিনি চান, মেয়ে সুস্থ হয়ে যেন পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, তার জন্য শিক্ষা দপ্তর থেকে সকল রকম সহায়তা দেওয়া হোক। আজ এলাকাবাসী তাকিয়ে রয়েছেন, দেখার পর মুখ্যমন্ত্রী কবে এগিয়ে আসেন এই অসহায় পরিবারের পাশে। তারা বিশ্বাস করেন, মুখ্যমন্ত্রীর সহানুভূতির একটুকরো ছোঁয়ায় প্রিয়াঙ্কার জীবন নতুন আশায় ভরে উঠতে পারে।
প্রতিনিধি ধর্মনগর,, আগরতলা থেকে গুয়াহাটিতে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে পাচারকারীরা যেগুলি বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করেছিল তার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের জন্য সুদূর আগরতলা থেকে এক প্রতিনিধি দল ছুটে আসেন চুরাইবাড়ি থানায়। তারা সরজমিনে ট্রান্সফরমার গুলি দেখে ও বিভিন্ন পরীক্ষা করে জানান এগুলি ত্রিপুরা বিদ্যুৎ দপ্তরের কোন ট্রান্সফর্মার নয়। এক কথায় বলতে গেলে নেশা পাচারকারীরা নিত্যনতুন পন্থা অবলম্বন করছে ইদানিং কালে এর ফলে ট্রান্সফরমার গুলোকে ব্যবহার করেছিল। গত ১২ মে সোমবার দুপুরে ত্রিপুরা থেকে গুয়াহাটি পাচারের পথে ট্রান্সফর্মারের ভেতর থেকে চুরাইবাড়ি থানার সামনে থাকা পুলিশ নাকা পয়েন্টে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল UP58AT/1128 নম্বরের একটি গাড়ি থাকা দশটি ট্রান্সফর্মারের ভেতর থেকে ৯৬ প্যাকেটে মোট ৯৬০ কেজি শুকনো গাঁজা সহ দুই গাড়ি চালক ও সহচালক । তারা হল যথাক্রমে গাড়ি চালক অদ্রেশ কুমার সাচ্চান (৪২,পিতা মৃত অশোক কুমার সাচ্চান ) ও সহ চালক প্রমোদ কুমার (৫৯,পিতা মৃত রাম ভরসে)। তাদের বাড়ি উত্তর প্রদেশ রাজ্যের কানপুর জেলার বিধু থানাধীন কানপুরনগর এলাকায়। ট্রান্সফর্মারের সাথে কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই খবর চাউর হতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর ত্রিপুরা বিদ্যুৎ দপ্তরের জেনারেল ম্যানেজার স্বপন দেববর্মা, পানিসাগরের ডিজিএম দেবাশীষ দাস, কদমতলা বিদ্যুৎ দপ্তরের এস ডি ও দীপায়ন দাস সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মীদের নিয়ে চুরাইবাড়ি থানাতে এসে ট্রান্সফর্মার গুলি সরজমিনে তদন্ত করেন। তখন উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেরেমিয়া ডার্লং সহ থানার ওসি খোকন সাহাও। সরজমিনে পরিদর্শন শেষে জেনারেল ম্যানেজার শ্রী দেববর্মা জানান,এই ট্রান্সফর্মার গুলি দফতরের কাজে ব্যবহৃত হয়নি। তাছাড়া এই সাইজের ট্রান্সফর্মার ত্রিপুরা বিদ্যুৎ দপ্তর ব্যবহার করে না। উনার মতে এই ট্রান্সফর্মার গুলি গাঁজা পাচারের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া ট্রান্সফর্মারের সাথে উদ্ধারকৃত কাগজে যে সই রয়েছে সেটিও নকল বলে জানান তিনি। এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেরেমিয়া ডার্লং জানান,ত্রিপুরা বিদ্যুৎ দপ্তর এর তরফে পরবর্তীতে পুলিশকে রিপোর্ট দেওয়া হবে। তাঁরা জানিয়েছেন ট্রান্সফর্মার গুলি তাঁদের দপ্তরের নয়। তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি কিছু তিনি বলেন নি।
প্রতিনিধি , উদয়পুর :- বৃহস্পতিবার করবুক মহকুমা শাসকের অফিসে বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী , রেশন ডিলার এবং স্থানীয় বাজারের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রেক্ষিতে প্রস্তুতি মূলক ব্যবস্থার উপর আলোকপাত করা হয়েছে । জরুরী পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পন্য সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করা। আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সম্ভবিত প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে এদিন বিস্তারিত আলোচনা করা হয় । পাশাপাশি যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করার জন্য সক্রিয় পরিকল্পনা সময়োপযোগী যোগাযোগ এবং কার্যকর সম্পদ ব্যবস্থাপনার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই দিনের বৈঠকে মহকুমা শাসক সীমান্ত রক্ষী বাহিনী থেকে শুরু করে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও অন্যান্য বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। অনেকের মতে এই ধরনের বৈঠক আগাম করার ফলে অনেকটাই সচেতন হবে বিভিন্ন দপ্তর থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা খুব দ্রুত গতিতে করা যেতে পারে বলে মনে করছে সকলে।
সি বি এস ই, মাধ্যমিক ফলাফলে মানিক্যনগরের কৃতি সন্তান সিপাহীজলা জেলায় সেরা দশের স্থান অর্জন।
বক্সনগর প্রতিনিধি:- ২০২৫ সালের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ফলাফল ঘোষণা করেছেন গতকাল দুপুর নাগাদ। বক্সনগর আর ডি ব্লকের অন্তর্গত মানিক্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে,পূর্ব পাড়ার মধ্যবিত্ত পরিবারের এক ছেলে সিপাহী জলা জেলার সেরা দশে স্থান দখল করে নিয়েছে, তার নাম দেবজিৎ দাস, মোট পরীক্ষা নম্বর ছিল ৫০০ , সে পেয়েছে ৪৭৮ নম্বর। বিশালগড় ইংলিশ মিডিয়াম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল হইতে পরীক্ষায় বসে ছিল। শতকরা হিসেবে 95.6%. সে ইংরেজিতে পেয়েছে ৯৮, বাংলা পেয়েছি ৯৬, অংকে পেয়েছে ৯৭, বিজ্ঞানের ৯০ সোশ্যাল সায়েন্সে ৯৫ । দেবজিৎ দাস শৈশব জীবনেই খুব ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট হিসেবে গ্রামের স্কুলগুলি থেকে উঠে এসেছে। তার পিতা উজ্জ্বল দাস, দক্ষিণ কলম চৌড়ার বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় ছোটখাটো জবে নিয়োজিত। মাতা মামন দাস গৃহিণী। ছেলেকে কোলে পিঠে করে মানুষের মত মানুষ হবার স্বপ্ন গুনছেন। দেবজিৎ দাসের গৃহ শিক্ষক ছিল ৮ জন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১২-১৪ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন। পিতা মাতা এবং দাদু আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী সবাই দেবজিতের ফলাফলে খুশি। দেবজিৎ সাংবাদিকদের জানান সে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে সমাজ রাষ্ট্র গঠনে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করবে এবং সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে। গোটা বক্সনগর এলাকার মধ্যে সিবিএসসি পরিচালিত বোর্ডে সেরার সেরা। কিন্তু পরিবারটি মধ্যবিত্ত অর্থ সেই রকম নেই টেনে হ্যাস রে পরিবার চালাচ্ছে তার পিতা উজ্জ্বল দাস। সরকার যদি তার পড়াশোনার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং সুযোগ সুবিধা দেয়,তাহলে ছেলের ইচ্ছে পূরণ করা সম্ভব হবে।