Home » চাকমাঘাটে জলাশয় কে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে।

চাকমাঘাটে জলাশয় কে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে।

by admin

প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া।

।আসাম -আগরতলা জাতীয় সড়কে একটা সময়ে কনভয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, যানবাহন চলাচল করতো, সেই সময়ে তেলিয়ামুড়ার চাকমাঘাটে বহু পরিবার ফেরি করে সংসার চালাত পারত। উত্তর ত্রিপুরা এবং বহি রাজ্যগামী যানবাহন গুলিকে এখান থেকেই নিরাপত্তা বাহিনী কোন ভয় করে নিয়ে যেত। আজ সেই দিনগুলি অতীত হয়ে গেছে। এখন আর কনভয় সিস্টেম নেই। স্বাভাবিকভাবেই যে সকল পরিবার গুলি ফেরি ব্যবসা করে সংসার চালাতো তাদের নানান সমস্যায় পড়তে হয়। চাকমাঘাট কে কেন্দ্র করে ব্যবসা বাণিজ্যের সেই দিনগুলি ফিরতে চলেছে। এবার চাকমাঘাটে খোয়াই বেরিজ কে কেন্দ্র করে, খোয়াই নদীতে ব্যারেজের এক প্রান্তে যে বিশাল জলরাশি রয়েছে, সেই জলাশয় কে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তর সেই উদ্যোগ শুরু করেছে। জলাশয়এ আগামী কিছুদিনের মধ্যেই বোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চাকমাঘাটে জাতীয় সড়কের পাশেই, খোয়াই নদীর পাড়ে নৌকা ঘাট বানানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। এখানেই রয়েছে রাজ্যের অন্যতম বাস বিক্রয় কেন্দ্র। আঠারোমুড়া রেঞ্জ এলাকা থেকে বাঁশ নিয়ে আসা হয় নদী দিয়ে। সারা রাজ্য থেকেই বাঁশ ব্যবসায়ীরা এখান থেকে বাঁশ কিনে নিয়ে যান। এখানে বোট চালু হলে সারা রাজ্য থেকেই পর্যটকরা আসবে। পর্যটকরা এখানে বোট দিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখতে দেখতে কাঁকড়াছড়া এডিসি ভিলেজ এ পিকনিক করার আনন্দ দিতে পারবে। বনদপ্তর পাহাড়ের দুই দিকে হাওয়া মহল বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই চাকমাঘাট এলাকার ব্যবসায়ীরা এই নৌকা ঘাট কে কেন্দ্র করে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। রাজ্য উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক বিকাশ দেববর্মা ও উৎসাহ দেখাচ্ছেন নৌকা ঘাটকে নিয়ে। এ বিষয়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমা বন আধিকারিক সাবির কান্তি দাস জানান, চাকমাঘাট খোয়াই বেরিজ এলাকাতে হোয়াই নদীর এই বিশাল জলাশয় কে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় মানুষদের অর্থ সামাজিক উন্নয়নে আমরা একগুচ্ছ পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই নিয়েছি। নির্মাণ কাজও শুরু হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি ধীরে ধীরে তেলিয়ামুড়া রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে এক অন্য রকম জায়গা করে নেবে। পর্যটকরা যাতে এখানে এসে আনন্দ উপভোগ করতে পারে সে দিকগুলির প্রতিও আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে দেখছি।

You may also like

Leave a Comment