প্রতিনিধি মোহনপুর:-দেশের চার রাজ্যের নির্বাচনে সিপিআইএম ফলাফলের নিরিখে লড়াই করেছে নোটার সাথে। বর্তমানে তাদের অবস্থান এতটাই অবনতি হয়েছে। শনিবার মোহনপুরের টিলাবাড়ীতে এক যোগদান সভায় এভাবেই সিপিআইএমকে কটাক্ষ করলেন মন্ত্রী রতল লাল নাথ। এইদিনের যোগদান সভাতে ৬৭ জন ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করেছেন।
বিগত দুদিন যাবত মোহনপুর বিধানসভা এলাকায় যোগদান সভা জারি রয়েছে। শনিবার বিকেলে বাড়িতে ২১ এবং ২৪ নং বুথের উদ্যোগে যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই যোগদান সভাতে সিপিআইএম এবং অন্যান্য বিরোধী দল ছেড়ে ৬৭ জন ভোটার বিজেপি দলে যোগদান করেছেন। এই যোগদান সভাতে মোহনপুরে বিধায়ক তথা মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন সিপিআইএম চাইলেই মোহনপুরের উন্নয়ন করতে পারতো। কিন্তু করেনি। কারণ তাদের মানসিকতাই ছিল না উন্নয়নের। অথচ বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই মোহনপুর বিধানসভার এলাকাতে জাতীয় সড়ক নির্মাণ, নতুন বিদ্যালয় পরিকাঠামো তৈরি, মোহনপুর বাজারকে ঢেলে সাজিয়ে তোলা, পানীয় জলের সুবন্দুবস্ত, গৃহ নির্মাণ থেকে শুরু করে বহু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। এদিন মন্ত্রী বলেন মানুষের সমস্যা সমাধান নাকরে সিপিআইএম প্রতিনিয়ত সমস্যা জিয়িয়ে রাখত। কারণ তারা চাইতো মানুষ তাঁদের কাছে আসোক। অথচ বিজেপি একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। এদিন সম্প্রতি দেশের চার রাজ্যে সিপিআইএম দলের ফলাফলের সংখ্যা তুলে ধরতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন মধ্যপ্রদেশে নোটা ভোট পেয়েছে ০.৯৯ শতাংশ এবং সিপিআইএম পেয়েছে ০.০১ শতাংশ, ছত্রিশগড়ে নোটা পেয়েছে-১.২৭ শতাংশ এবং সিপিআইএম পেয়েছে -০.০৪ শতাংশ, রাজস্থানে নোটা পেয়েছে-০.৯৬ শতাংশ এবং সিপিআইমও পেয়েছে ০.৯৬ শতাংশ। অন্যদিকে তেলেঙ্গানাতে নোটা পেয়েছে- ০.২২ শতাংশ এবং সিপিআইএম পেয়েছে -০.৭৩ শতাংশ ভোট। তিনি কটাক্ষ করে বলেন সিপিআইএম এখন ভোটের ময়দানে প্রতিযোগিতা করছে নোটার সাথে। এদিন নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে বরণ করে নেন মন্ত্রী রতল লাল নাথ সমেত মোহনপুর পুর পরিষদের চেয়ারপারসন অনিতা দেবনাথ, ভাইস চেয়ারম্যান শংকর দেব, এবং দলের অন্যান্য নেতৃত্বরা।
এখন ভোটের ময়দানে সিপিআইএমের প্রতিযোগি নোটা: রতন
151
previous post