প্রতিনিধি কৈলাসহর:-বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জোরকদমে এগিয়ে যাচ্ছে বিজেপি দল।ঝড়ের গতিতে সাব্রুম থেকে ধর্মনগর সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি।গ্ৰাম থেকে পাহাড় নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলছেন প্রদেশ থেকে জেলা নেতৃবৃন্দ। ভারতীয় জনতা ওবিসি মোর্চা ঊনকোটি জেলা কমিটির উদ্যোগে ২৯শে ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ডলুগাঁও স্কুল মাঠে এক প্রকাশ্য জনসভা অনুস্টিত হয়ছে।জনসভায় উপস্থিত ছিলেন ওবিসি মোর্চা ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সভাপতি সমীর রঞ্জন ঘোষ,বিজেপি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক টিংকু রায়, বিধায়ক সুধাংশু দাশ,মন্ত্রী ভগবান দাস,ওবিসি মোর্চা ঊনকোটি জেলা কমিটির সভাপতি অমিও সিনহা, বিজেপি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সদস্য রঞ্জন সিনহা, বিজেপি চন্ডীপুর মন্ডলের সভাপতি শ্যাম কুমার সিনহা, ওবিসি মোর্চার ঊনকোটি জেলা কমিটির প্রভারী কান্তি গোপাল নাথ,নারী নেত্রী কাবেরী সিনহা,শিবানী সিনহা সহ আরও অনেকে।প্রকাশ্য জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওবিসি মোর্চার রাজ্য কমিটির সভাপতি সমীর রঞ্জন ঘোষ কংগ্রেস এবং সি.পি.আই.এমের তীব্র সমালোচনা করে বলেন যে, বিজেপি দল বরাবরই বলে এসেছে এবং এখনও বলছে যে,কংগ্রেস এবং সি.পি.আই.এমের মধ্যে চিরকালই মিতালী ছিলো এবং এখনও রয়েছে।আগামী কিছু দিনের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ প্রকাশ্যে দেখবে।ভোটের প্রাক্কালে এই দুই দল জোট করতে যাচ্ছে। ত্রিপুরা রাজ্যে ২৫বছর সি.পি.আই.এম রাজত্ব করতে পেরেছে একমাত্র কংগ্রেস দলের জন্য।কংগ্রেস দলের সাপোর্ট না থাকলে তা সম্ভব হতো না।কারন কংগ্রেস দলের নেতারাই চাইতো না রাজ্যে বামেদের সরকার চলে যাক।এছাড়াও উনি বলেন যে, দীর্ঘ ২৫বছরে বামেদের সময়ে ত্রিপুরা রাজ্যে ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষদের কোনো সন্মান দেওয়া হয় নি। ওবিসিদের উন্নয়নের জন্য কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয় নি।পঞ্চায়েত কিংবা পুর পরিষদে কিংবা জেলা পরিষদে কিংবা পঞ্চায়েত সমিতিতে কিংবা বিধানসভায় কোনো ক্ষেত্রেই ওবিসিদের প্রাধান্য দেওয়া হয় নি।রাজ্যে বিজেপি দলের সরকার আসার পর ওবিসিদের যোগ্য সন্মান দেওয়া হচ্ছে।প্রতিটি ক্ষেত্রেই ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে উন্নয়ন করা হচ্ছে এবং আগামী দিনে আরও বেশি করে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলেও সমীর বাবু জানান।প্রকাশ্য জনসভার মঞ্চে বিজেপি নেতা তথা চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিশিষ্ট সমাজসেবী পরিমল সিনহাকে সংবর্ধিত করা হয়। কারণ,ওবিসি মোর্চার এই প্রকাশ্য জনসভাকে সার্থক করার জন্য উনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।জনসভা থেকে চলে যাবার পর সময় বিজেপি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক টিংকু রায় সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে,আগামী ৫ডিসেম্বর উত্তর জেলা থেকে দলের উদ্যোগে সারা রাজ্য ভিত্তিক রথযাএা শুরু হবে।এই রথযাএাকে সার্বিক ভাবে সাফল্য করতে পাইতুরবাজার এলাকায় অবস্থিত বিজেপি ঊনকোটি জেলা কমিটির অফিসে এক বৈঠকে যোগ দিতে উনি জনসভা থেকে চলে যাচ্ছেন।তবে ডলুগাঁও স্কুল মাঠে ওবিসি মোর্চার উদ্যোগে প্রকাশ্য জনসভায় হাজার হাজার সাধারণ মানুষের উপস্থিতি এটাই প্রমান করে যে,এটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। ২০২৩ সালে চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিরোধী দলের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে এবং বিজেপি দলের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। সাধারণ মানুষেরা শুধু অপেক্ষা করছেন কবে বিধানসভা ভোট হবে আর ভোট কেন্দ্রে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেবে।প্রকাশ্য জনসভার মঞ্চে মুনীপুরী সম্প্রদায়ের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুস্টান করে।এই সভার মাধ্যমে প্রমাণ করে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে বিজেপি এবং বিরোধীদের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে আছে ভারতীয় জনতা পার্টি।
111
previous post