Home » সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের সময় আটক ৮টি গরু: পলাতক পাচারকারী

সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের সময় আটক ৮টি গরু: পলাতক পাচারকারী

by admin

প্রতিনিধি কৈলাসহর:-কিছুদিন পূর্বে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে আসা বাংলাদেশী নাগরিক আটকের পর ফের শুরু হয়েছে গরু পাচারের উপদ্রব।গভীর রাতে অবৈধভাবে বাংলাদেশে গরু পাচার করার সময় বি.এস.এফের হাতে আটক হয়েছে ৮টি গরু। ঘটনা কৈলাসহরের ইরানী থানার অন্তর্গত হীরাছড়া এডিসি ভিলেজের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায়।যদিও বিএসএফ কে ঘুমে রেখে প্রায়শই এদিক দিয়ে গরু পাচার হয়।ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে গরু পাচার করার সময় বি.এস.এফ আটটি গরু আটক করতে সক্ষম হলেও পাচারকারীকে আটক করতে পারে নি।কারণ,টহলরত বি.এস.এফ-কে দেখামাত্রই পাচারকারী দৌড়ে পালিয়ে যায়।যদিও এনিয়ে উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।বি.এস.এফ আটক কৃত আটটি গরু ইরানি থানায় এনে পুলিশের হাতে তোলে দেয়।এব্যাপারে চলতি সপ্তাহে রোববার দুপুরে ইরানি থানার ওসি যতিন্দ্র দাস সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, ইরানি থানার অন্তর্ভুক্ত হীরাছড়া এডিসি ভিলেজের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় শনিবার গভীর রাতে বি.এস.এফ পাহাড়ারত ছিল। সেই সময় এক পাচারকারী ৮টি গরু নিয়ে ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাটা তারের দিকে আসছিলো।সীমান্ত থেকে প্রায় তিনশো মিটার দূর থেকে পাচারকারী টহলরত বি.এস.এফ-কে দেখতে পেয়ে গরু ছেড়ে দিয়ে পাচারকারী দৌড়ে পালিয়ে যায়।টহলরত বি.এস.এফ আটটি গরুকে আটক করে রাতেই প্রাথমিকভাবে হীরাছড়া বি.ও.পি-তে নিয়ে যায়। এরপর রবিবার সকালে বি.এস.এফ ইরানি থানায় আটটি গরুকে নিয়ে এসে পুলিশের হাতে তোলে দেয়। পুলিশ আটটি গরুকে প্রাথমিকভাবে গোশালায় পাঠিয়ে দিয়ে গরুর প্রকৃত মালিকের খোঁজে তল্লাশী চালাচ্ছে বলেও ওসি যতিন্দ্র দাস জানান।এছাড়াও উনি জানান যে,ভোটের প্রাক্কালে ইদানীং কালে পুলিশ এবং বি.এস.এফের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে বৈঠক অনুস্টিত হয়।যার ফলস্বরূপ বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে আসা বাংলাদেশী নাগরিকরা কয়েক দফায় আটকের পর আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের সময় গরু আটক হয়।আগামী দিনেও এমন অভিযান জারী থাকবে বলেও জানান ওসি যতিন্দ্র দাস।তবে,ভোটের প্রাক্কালে একের পর এক বাংলাদেশী নাগরিক আটকের পর গরু পাচারের সময় গরু পাচার করতে না পেরে গরু আটক হওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।এনিয়ে বিএসএফ এবং পুলিশ প্রশাসনকে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্ৰহনের আর্জি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

You may also like

Leave a Comment