প্রতিনিধি, উদয়পুর :- গোমতী জেলার সদর উদয়পুরের উপকণ্ঠে মাতাবাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে শুরু হবে আগামী ৩১ শে অক্টোবর থেকে রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী দেওয়ালি উৎসব ও মেলা । মেলা চলবে ২ রা নভেম্বর পর্যন্ত । তিন দিন ব্যাপী এই উৎসবকে সার্বিক রূপ দিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রশাসনিক তৎপরতা । মন্দিরের গায়ে নতুন করে রং লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে । গোটা মন্দির চত্বর রং করা হবে । জানা যায় , মন্দিরের গায়ে নতুন রং লাগানোর দায়িত্বে রয়েছে পিডব্লিউডি দপ্তর । স্থানীয় বিধায়ক তথা মাতাবাড়ি মন্দির ট্রাস্টের সদস্য অভিষেক দেবরায় প্রতিদিন মন্দিরের আশপাশ এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করছেন কিভাবে মেলাকে সৌন্দর্য রূপ দেওয়া যায়। জানা যায় , এই বছর মন্দির চত্বরে আধুনিকভাবে নানা আলোকমালায় সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । তাছাড়া মাতাবাড়ি লোকনাথ আশ্রম থেকে সুদৃশ্য আলোকমালার গেইট দিয়ে শুরু হবে মন্দিরে রাস্তা মূল ফটকে থাকবে নানা আলোকসজ্জা । এদিকে গোটা মন্দির এলাকায় প্রসাদ প্রকল্পে কাজ চলা কাজের খোঁজখবর নিচ্ছেন জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা । এবছর মেলা প্রাঙ্গণে বিশেষ করে কল্যাণ দিঘীর চার পাড়ে ও কল্যাণ দিঘিতে নতুন আলোক সজ্জায় সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে । দেওয়ালি মেলায় এই বছর পূণ্যার্থীদের সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছে মেলা কমিটি । দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ জনগণের অংশগ্রহণে মাতা বাড়িতে অনুষ্ঠিত দেওয়ালী মেলা বর্তমানে কেবলমাত্র একটি মেলায় নয় , ত্রিপুরার বহু বিচিত্র সংস্কৃতির সঙ্গমের একটি প্রকৃত চিত্র । ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরের অপর আরেকটি আকর্ষণীয় বিষয় হলো ভগবান বিষ্ণুর বিগ্রহ। এখানে ভগবান বিষ্ণুর বিগ্রহটি শালগ্রাম শিলা বা কষ্টিপাথর রূপে পুজিত হয় । শক্তি দেবীর সাথে কালী মন্দিরে কিংবা কোন শক্তি পিঠে ভগবান বিষ্ণুর বিগ্রহ এইভাবে পূজিত হওয়ার নিদর্শন কেবলমাত্র বিরলই নয় , এই উপমহাদেশের মধ্যে এক অনন্য বৈশিষ্ট্য । শক্তি ও বৈষ্ণব সংস্কৃতির এরূপ অনন্য সন্নিবেশ ও সঙ্গম এই মন্দিরকে কেবলমাত্র বিখ্যাত করেনি এই মন্দিরের তাৎপর্যকেও ব্যাপকভাবে মহিমান্বিত করেছে। বর্তমানে একান্ন শক্তি পীঠের অন্যতম ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির ভারতবর্ষের প্রাচীনতম মন্দিরগুলির মধ্যে এক অন্যতম স্থান দখল করেছে । এবছরের দেওয়ালী মেলা কে কেন্দ্র করে সেজে উঠছে মাতাবাড়ি ।
83
previous post