প্রতিনিধি, বিশালগড় , । জনসমর্থন হারিয়ে লোকসভা নির্বাচনেও জোট বেঁধেছে কংগ্রেস সিপিএম । এই জোটকে কেউ বলছে বামগ্রেস। আবার কেউ বলছে অশুভ জোট। তবে জোটের কুপ্রভাব পড়েছে সিপিএমের অন্দরে। বিশেষ করে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে জোটের প্রার্থীকে মেনে নিতে পারছেনা সিপিএমের সমর্থকরা। বামগ্রেস নেতারা বিধানসভা নির্বাচনেও “আইয়া পরতাছি ” বুলিতে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছিলো। বামগ্রেস নেতারা মুখে যা-ই বলুক না কেন বাস্তব বলছে অন্য কথা। জোটের ঘোষণা হতেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সিপিএমের সমর্থকরা। গ্রামীণ এলাকায় সিপিএম ছাড়ার হিড়িক লেগেছে । শুক্রবার সিপাহীজলা জেলার কমলাসাগর, গোলাঘাটি এবং চড়িলামে ২৩৭ ভোটার সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এদিন গোলাঘাটি বিধানসভার পাথালিয়াবাড়ি পঞ্চায়েতের নবশান্তিগঞ্জ বাজারে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে মিছিল এবং সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, সহসভাপতি প্রদীপ ভৌমিক, মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত দাস, কিশোর ঘোষ প্রমূখ। সভায় ১০৪ জন সিপিএমের সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ নবাগতদের বরণ করেন। দলত্যাগীরা দীর্ঘদিন সিপিএমের হয়ে কাজ করেছেন। এমনকি কংগ্রেস জোট সরকারের সময়কালেও নানা অত্যাচার সহ্য করে সিপিএমের জন্য কাজ করেছেন। বর্তমানে কংগ্রেসের সাথে সিপিএমের জোট মেনে নিতে পারছেনা তারা। তাই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান দলত্যাগীরা। এছাড়া কমলাসাগর বিধানসভার নগরপাড়ায় ১০১ জন ভোটার সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাদের বরন করেন বিধায়ক অন্তরা দেব সরকার। উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন ছন্দা দেববর্মা, মন্ডল সভাপতি সুবীর চৌধুরী প্রমুখ। প্রাক্তন সিপিএমের বিধায়ক নারায়ণ চৌধুরীর পাড়ায় এই দলত্যাগে অস্বস্তিতে বাম শিবির । অন্যদিকে চড়িলাম বিধানসভার ১৬ নম্বর বুথে ১১ জন এবং ২৬ নম্বর বুথে ২১ জন সিপিএমের সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। নবাগতদের বরণ করেন মন্ডল সভাপতি রাজকুমার দেবনাথ। সব মিলিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গ ধরে জমি হারাচ্ছে সিপিএম ।
155
previous post