রাইমাভ্যালীর সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মাঠে নামল ব্লক কংগ্রেস। বুধবার রাইমাভ্যালী ব্লক কংগ্রেসের উদ্যোগে পাঁচ দফা দাবির সমর্থনে গন্ডাছড়া বাজারে এক বাজার সভার আয়োজন করা হয়। মূলত দাবি গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল গন্ডাছড়া মহকুমা এলাকার বেহাল রাস্তাগুলি অতি দ্রুত মেরামত করা, এসপিও কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করা, ডুম্বুর জলাশয় তিন মাস বন্ধ থাকাকালীন সময় মৎস্যজীবীদের মাসিক ৫০০০ টাকা এবং এক কুইন্টাল করে চালের ব্যবস্থা করা, গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে স্পেশালিস্ট, সুপার স্পেশালিস্ট এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগের ব্যবস্থা করা সহ মহকুমা এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে দ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাইমাভ্যালী ব্লক কংগ্রেস সভাপতি রঞ্জিত ত্রিপুরা, ব্লক যুব কংগ্রেস সভাপতি বাদল সরকার, ব্লক সেবা দলের সভাপতি যতীন্দ্র ত্রিপুরা, ব্লক কংগ্রেসের সহ-সভাপতি কিশোর চাকমা, ধলাই জেলা কমিটির যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাজীব চাকমা প্রমুখ।
সেখানে আলোচনা করতে গিয়ে ব্লক যুব কংগ্রেস সভাপতি বাদল সরকার বলেন বিজেপির শাসনে রাজ্যের মানুষ অতিষ্ঠ। এখনো সাধারণ মানুষ রাস্তাঘাট ,পানীয় জল, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ এর দাবিতে লড়াই আন্দোলন করতে হয়। এমনকি নিত্যদিন রাস্তা অবরোধ পর্যন্ত করতে হচ্ছে। যুব কংগ্রেস সভাপতি আরো বলেন কেন্দ্রে ৬০ বছর কংগ্রেসের শাসনে যে উন্নয়ন হয়েছে বিজেপি ৫০০ বছর শাসন করলেও তাহা করতে পারবে না। দেশের মানুষ কংগ্রেসের উন্নয়ন দেখেছে। তাইতো ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীরা একজোট হচ্ছে। তিনি বলেন বর্তমান সরকারের শাসনে গন্ডাছড়া মহকুমা এলাকার রাস্তাঘাট গুলি ভেঙ্গে চুরমার। অথচ রাস্তাঘাটের উন্নয়নে সরকার বছর বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। তার মতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তিনি বলেন গন্ডাছড়া- আমবাসা রাস্তা সহ ভগীরথ, কল্যাণ সিং, দলপতি, রতননগর, কসরাই পাড়া, রাবণ পাড়া, হনুমান পাড়া, বিশ্বরাম পাড়া, ইন্দ্র জয় পাড়া, বোয়ালখালী, সদাইনন্দ পাড়া প্রভৃতি রাস্তা বর্তমানে মারাত্মক অবস্থা। বিশেষ করে বর্ষার সময় এইসব রাস্তা দিয়ে যান চলাচলের অসুবিধা হয়। এর মধ্যে গত দুই দিনের বৃষ্টিতে সদাইনন্দ পাড়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে পড়ে। এরপরেও রাস্তা সংস্কারের পূর্তকর্তাবাবুদের কোন হেলদুল নেই। যুব কংগ্রেস সভাপতি এদিন তার ভাষনে পূর্তকর্তাদের হুশিয়ারি দিয়ে বলেন চোরের ১০ দিন আর গৃহস্থের একদিন। তিনি বলেন যেদিন তাদের কেলেঙ্কারি হাতেনাতে ধরা পারবে সেই দিন আর তাদের বাঁচার সুযোগ থাকবে না। তিনি বলেন আগরতলা, উদয়পুর, অমরপুর, খোয়াই, আমবাসা প্রভৃতি এলাকা থেকে ঠিকাদাররা মহকুমায় কাজ করতে এসে কোটি কোটি টাকার ঘোটালা করছে। এমত অবস্থায় তিনি পূর্ত দপ্তরের প্রতিটি কাজের সঠিক তদন্তের দাবি জানান। এদিনের কংগ্রেসের বাজার সভাকে ঘিরে পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
রাইমাভ্যালীর সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মাঠে নামল ব্লক কংগ্রেস।
127