তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি:
রিস্কা । এটি মূলত ত্রি-চক্রযান । এই রিস্কা চড়ে শহরের বাবুরা বাজারে কেনাকাটা করে বাড়িঘরে ফিরে যেত । কিন্তু কালের বিবর্তনে সেই পেডেল চালিত রিস্কা বর্তমান বিজ্ঞান যুগে অতীত হয়ে যাচ্ছে ক্রমান্বয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে । বিজ্ঞান যুগকে ভর করে মানুষজন বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার বাজারে নিয়ে এসেছে ব্যাটারি চালিত টমটম ই-রিস্কা। মানুষজন ও হল সুবিধা ভোগী । বাজারে হু হু করে ব্যাটারি চালিত টমটম ই-রিস্কা আসার ফলে পেডেল চালিত রিস্কার কদর কমেছে অনেকাংশে । পূর্বে তেলিয়ামুড়া শহরজোড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ পেডেল চালিত রিকশা ছিল । কিন্তু ব্যাটারি চালিত টমটম রিস্কার দাপাদাপিতে তেলিয়ামুড়া শহরে বর্তমানে পেডেল চালিত রিস্কার সংখ্যা দাঁড়িয়েছ ৪৫ টি । দু একজন পেডেল চালিত রিস্কার চালকের সাথে কথা বলে জানা গেল পূর্বে তারা রিস্কা চালিয়ে পরিবারের ভরণ পোষণ থেকে সন্তান সন্ততিদের খুব ভালোভাবে শিক্ষিত করতে পারছিলেন । কিন্তু বর্তমানে পরিবেশ পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গেছে । বর্তমানে পেডেল চালিত রিস্কা চালকরা নিত্যদিন রিস্কা চালিয়ে টাকাও উপার্জন করতে পারে না । কেননা বাজারে আসা যাত্রী সাধারণ ব্যাটারি চালিত টমটম ই-রিস্কা চড়েই যাতায়াত করছেন। ওই সব যাত্রীরা পেডেল চালিত রিস্কায় উঠতে নারাজ । কারণ এতে সময়ের অপচয় হয় । এই অবস্থায় একপ্রকার রোজগার হারিয়ে পেডেল চালিত রিস্কার চালকরা ভেবে পারছে না আগামী দিনে তাদের সংসারে ভরণপোষণ কিভাবে চলবে । তাদের দাবি সরকার যেন তাদের প্রতি কৃপা দৃষ্টি করেন ।
কালের বিবর্তনে সেই পেডেল চালিত রিস্কা বর্তমান বিজ্ঞান যুগে অতীত হয়ে যাচ্ছে
104