প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২৭ ফেব্রুয়ারি।। ত্রিপুরার নাগরিকরা সচেতন। ভোটদানের ক্ষেত্রে ত্রিপুরার সুনাম রয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে। এবারে প্রায় ৯০ শতাংশ নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। অন্য রাজ্যে এই সুনাম নেই। আমাদের রাজ্যের এই সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে শান্তি বজায় রাখতে হবে । সোমবার কমলাসাগরে নাগরিকদের নিয়ে শান্তি বৈঠকে কথাগুলি বলেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক কিরণ গিত্যে। এদিন দুপুরে কমলাসাগর বিধানসভার ৩৭ এবং ৩৯ নম্বর বুথের নাগরিকদের নিয়ে শান্তি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গকুলনগর কমিউনিটি হলে। বৈঠকে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্যে। এদিনের বৈঠকে সিইও কিরণ গিত্যে ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহকুমা রিটার্নিং অফিসার বিনয় ভূষণ দাস, কমলাসাগর বিধানসভার বিজেপির প্রার্থী অন্তরা সরকার দেব, বামফ্রন্ট প্রার্থী হিরন্ময় দেবনাথ প্রমুখ। সিইও কিরণ গিত্যে আরো বলেন ১৬ ফেব্রুয়ারি উৎসবের মেজাজে ভোট গ্রহণ হয়েছে। সংবিধান সকল নাগরিকদের ভোটাধিকার দিয়েছে। জনগণের রায়কে সম্মান দিতে হবে। কোন ভোটারকে অসম্মান করা মানেই সংবিধানকে অসম্মান করা। ত্রিপুরায় জাতি জনজাতি সবাই বহু বছর ধরে একসঙ্গে বসবাস করছে। আমাদের রাজ্যে গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। শিক্ষা সংস্কৃতি ক্রীড়া সর্ব ক্ষেত্রে আমাদের রাজ্যের ছেলেমেয়েরা কাজ করছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ত্রিপুরা। রাজ্যের মানুষ সচেতন বলেই এতো পরিমাণ ভোট দান হয়েছে। অন্য রাজ্যে এতো পরিমান ভোট হয়না৷ গণতন্ত্রের ওপর আস্থা আছে বলেই রাত ১১ পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছে । এই গণতন্ত্রকে সম্মান জানাতে ভোটের ফলাফল যা-ই হোক মেনে নিতে হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শাসক বিরোধী উভয়ের গুরুত্ব রয়েছে। তাই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া যেভাবে শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে ঠিক সেইভাবেই ফলাফল প্রকাশের পর সারা রাজ্য শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। প্রয়োজনে আইনের সহায়তা নিন, কিন্তু আইন হাতে নিয়ে কাউকে আঘাত করবেন না। তিনি বলেন আজ থেকে রাজ্যের ৩৩৩৬ টি বুথে শান্তি বৈঠক হচ্ছে। আমরা শান্তির পক্ষে, আমরা অহিংসার পক্ষে এই আহবানে সকল শান্তিপ্রিয় জনতা বৈঠক করেছেন। সমাজের অধিকাংশ মানুষ শান্তির পক্ষে থাকলে অশান্তি সৃষ্টিকারীরা ভয় পাবে। তাই শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। নির্বাচন উপলক্ষে ভিন রাজ্য থেকে প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। মিডিয়া এসেছে। আমরা এমন কাজ করবোনা যাতে ত্রিপুরার বদনাম হয়। আপনি একজন সচেতন নাগরিক হয়ে রাজ্যের বদনাম করবেন না। এদিন আকাশে বেলুন উড়িয়ে শান্তির বার্তা দেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্যে। সবশেষে বিশালগড় দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সিইও। তিনি জওয়ানদের সুবিধা অসুবিধা নিরিক্ষণের চেষ্টা করেন।
ত্রিপুরার গৌরবোজ্জ্বল সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে শান্তি বজায় রাখার আহবান জানান সিইও
by admin
written by admin
94
previous post
নেশাখোর চোরকে উত্তম মধ্যম জনতা
next post