প্রতিনিধি শান্তিরবাজার : ঘটনার বিবরণে জানা যায় তাকমাছড়া এডিসি ভিলেজের ৫২ কলোনী খন্ডলপাড়ায় প্রায় ৫০টি রিয়াং জনজাতি অংশের পরিবারের বসবাস। প্রায় সকল পরিবারই কৃষি এবং রাবার উৎপাদনের মধ্যে তাদের জীবন জীবিকা করে। ৫২ কলোনির খন্ডলপাড়া এক রিয়াং অসহায় পরিবার দীর্ঘদিন এই জমিতে ফসলের পাশাপাশি গত দু’বছর আগে একটি রাবার বাগান করেন। প্রায় ৩৫০টি চারা রোপণ করেন। বিবরণী জানা যায় কিছুদিন আগে হঠাৎ শান্তির বাজার বনদপ্তর গিয়ে এবং তাকমা ছড়া টিএফডিপিসির তিনজন অস্থায়ী শ্রমিককে নিয়ে সেই বাগানটিকে কেটে ধ্বংস করে বলে অভিযোগ। এই খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হতেই ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় গরিব পরিবারের এই দুরবস্থার কথা খবর পেয়ে ছুটে যান বীরচন্দ্র মনু দক্ষিণ জুনাল জয়েন চেয়ারম্যান হরেন্দ্র বিয়াং এর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল। এই ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাটি পরিদর্শন শেষে এই অসহায় পরিবারটিকে আগামী দিন সাহায্যের আশ্বাস প্রদান করেন। পাশাপাশি অসহায় পরিবারটির যারা ক্ষতি করেছে এইভাবে রাবার এবং জুমের সবজি কেটে এই ধরনের অমানবিকতার করেছেন, তাদের চিহ্নিত করার দাবিতে ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থার রাজ্য কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি খনারাম রিয়াং এক প্রতিনিধি দল নিয়ে তাকমা ছড়া রাবার ফ্যাক্টরি ডিএম জিন্দাল দেববর্মা সঙ্গে দেখা করেন। কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাহায্য করা যায় তা নিয়েও বিভিন্ন দিক থেকে আলোচনা করেন এই প্রতিনিধি দল। অপরদিকে তাকমাছড়া টিএফডিপিসির অফিসার ইনচার্জ ফটিক জমাতিয়া ঐদিন উনি ছুটিতে ছিলেন কিন্তু তারপরেও উনার বিরুদ্ধে কিছু লোক বৃত্তিহীন অভিযোগ করার চেষ্টা করছে বলে উনার এবং তাকমা ছড়া টিএফডিপিসির দপ্তরের তরফ থেকে জানা যায় । সব মিলিয়ে অসহায় পরিবার চাইছেন তাদের পুনরায় ওই জাগাতে রাবার বাগান করে দেয়া হোক সরকার বা দপ্তরের তরফ থেকে।
সংবাদ প্রকাশের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত রিয়াং জনজাতীয় অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালো ব্রু সংগ্রংমা মথহ্ সামাজিক সংস্থা এবং তিপ্রা মথা্র প্রতিনিধি দল।
24