
প্রতিনিধি, বিশালগড়, ।। বক্সনগরে সাফ তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বক্সনগরে তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ যোগ দিলেন বিজেপিতে। মঙ্গলবার বক্সনগরের বিজেপি প্রার্থী তফাজ্জল হোসেনের সমর্থনে প্রচারে যান মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা । এদিন গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজিত প্রার্থী জয়দল হোসেন সহ দলের সকল নেতা-নেত্রী বিজেপিতে যোগ দেন। এছাড়া এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূল ব্লক মহিলা সভানেত্রী মিনাক্ষী বেগম, ব্লক মাইনোরিটি সেলের চেয়ারম্যান জয়নাল হোসেন। এছাড়া এদিন জেলা কংগ্রেস সম্পাদক জাকির হোসেন এবং সিপিএমের যুব নেতা শরিফ আহমেদ বিজেপিতে যোগ দেন। মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা নবাগতদের বরণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন তফাজ্জল হোসেনকে ভোট দেওয়া মানেই হলো নরেন্দ্র মোদিকে ভোট দেওয়া। এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার কাজ করছে প্রধানমন্ত্রী। সিপিএমের সন্ত্রাসের হাত থেকে রাজ্যবাসীকে মুক্ত করেছে প্রধানমন্ত্রী। বক্সনগরের উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মনোনীত প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন, বিজেপির জেলা সভাপতি দেবব্রত ভট্টাচার্য, বক্সনগর মন্ডল সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সাহা, অর্থমন্ত্রী প্রানজিত সিংহ রায়, পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, বিজেপি নেতা সুবল ভৌমিক, প্রকাশ দাস প্রমুখ। এদিন বক্সনগরে বিজেপির নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক করেন শক্তি ইনচার্জ সহ মন্ডল জেলা স্তরের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে। হাতে বেশি সময় নেই। তাই প্রতিটি ভোটারের কাছে গিয়ে সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজকর্ম তুলে ধরার জন্য কার্যকর্তাদের পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া এদিন বক্সনগরের ১৮ এবং ১৯ নং বুথে ডোর টু-ডোর প্রচার করেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে খুশি আমজনতা। প্রার্থী তফাজ্জল হোসেনকে ভোট দিয়ে সুন্দর ত্রিপুরা গড়ার অংশীদার হওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা বলেন সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানেই হলো ৩৫ বছরের অপশাসন সন্ত্রাসকে সমর্থন করা। আর বিজেপিকে ভোট দেওয়ার মানেই হলো উন্নয়নের পক্ষে সমর্থন করা। এছাড়া এদিন বক্সনগরে প্রচারে ঝড় তুলেছে বিজেপি। ২০ নম্বর বুথে ২৯ জন সিপিএম সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। তাদের বরণ করেন প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ দাস। এদিন রহিমপুরে কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় ভূখণ্ডে বসবাসকারী গৌরাংগুলা পাড়ায় জনসম্পর্ক করেন আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। তাছাড়া কুলুবাড়ি গ্রামে ডোর টু-ডোর প্রচার করেন যুব ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়। প্রচারে ছিলেন শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান তথা যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি নবাদল বণিক, সহসভাপতি ভিকি প্রসাদ প্রমুখ।