প্রতিনিধি মোহনপুর:-এই প্রান্তিক রাজ্যের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল কৃষকরা পেঁয়াজ চাষের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভিত মজবুত করার পথ দেখাচ্ছে কৃষি কলেজ। সহ অধ্যাপক ডঃ ত্রিদিপ ভট্টাচার্য দীর্ঘ প্রায় তিন বছর পেঁয়াজ চাষ নিয়ে রিসার্চ করার পর রাজ্যের কৃষকদের আহ্বান করেন লাভজনক এই পেঁয়াজ চাষে যুক্ত হতে।
আয়তনের দিকে ত্রিপুরা ছোট হলেও পেঁয়াজ চাহিদার ক্ষেত্রে একেবারেই কম নয়। রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ পেয়াজ খেতে অভ্যস্ত। একটি সময় ছিল পেঁয়াজ শুধুমাত্র প্রয়োজন হতো রান্নাঘরে। কিন্তু সেই গণ্ডি পেরিয়ে পেঁয়াজ রেস্টুরেন্ট,হোটেল, স্ট্রিট ফুডের দোকানে অত্যাবশকীয় দ্রব্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। ফলে চাহিদা ও বৃদ্ধি পেয়েছে দারুণভাবে। বেশ কয়েক বছর আগে করা একটি সমীক্ষাতে দেখা গেছে রাজ্যে মাথাপিছু পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে ৯.৩৭ কিলো।২০২০-২০২১ সালে রাজ্যের পেঁয়াজের চাহিদা ছিল ৩৮.৪২ হাজার মেট্রিক টন। এই ব্যাপক চাহিদার সাথে রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন একেবারেই কিঞ্চিৎ মাত্র বলা যায়। কৃষি কলেজের সহ অধ্যাপক ডক্টর ত্রিদিপ ভট্টাচার্জ প্রায় তিন বছর যাবৎ এই পেঁয়াজ চাষ নিয়ে কৃষি কলেজে রিসার্চ করছেন। তিনি জানান উনার রিসার্চে পেঁয়াজ চাষের যে তথ্য উঠে এসেছে তার নিরিখে এটা নিশ্চিত ত্রিপুরাতে পেঁয়াজ চাষ কৃষকদের জন্য একটি গেম চেঞ্জিং হতে পারে। তার কারণ হিসেবে তিনি ব্যাখ্যা করেন ত্রিপুরা রাজ্যের চাষীরা যে ধরনের ফসল উৎপাদন করে থাকেন তার বেশিরভাগ সংরক্ষণযোগ্য নয়। তার উপর আবার পচনশীল। এই পেঁয়াজ বাজারে সঠিক মূল্য না পেলে হিম ঘর ছাড়াই নিজ বাড়িতে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। পেঁয়াজ চাষ করতে খরচ অন্যান্য ফসলের চাইতে অনেক কম বলে দাবি করেন তিনি। ত্রিপুরা রাজ্যের জলবায়ুতে বছরের তিনটি ঋতুতে এই চাষ সম্ভব। ফলে রাজ্যের কৃষকরা এই পেঁয়াজ চাষে যদি উদ্যোগী হয় অর্থনৈতিকভাবে কৃষকরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের একটা বৃহৎ অংশের অর্থ পেঁয়াজ আমদানিতে বহির রাজ্যে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। যার মধ্য দিয়ে মজবুত হতে পারে ত্রিপুরার অর্থনীতি।
পেঁয়াজ চাষ বিকল্প আয়ের পথ দেখাচ্ছে রাজ্যের কৃষকদের
কৃষি কলেজের রিসার্চে উঠে এল তথ্য
121