উত্তর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর কার্যালয়ে বেলা ১২ ঘটিকায় এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ।সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডক্টর রাহুল পুরকায়স্থ, ডিস্ট্রিক্ট হেলথ অফিসার এবং নডাল অফিসার। উপস্থিত ছিলেন ডক্টর প্রসূন ভট্টাচার্য, মেডিসিন স্পেশালিস্ট ।নোডাল অফিসার রাহুল পুরকায়স্থ বলেন বর্তমান বিশ্ব তথা সমগ্র ভারতবর্ষে হিট ওয়েব অত্যন্ত বেশি পরিমাণে বাড়ছে । এর পেছনে নানা কারণ রয়েছে। যেমন, প্লান্টেশনের অভাব, নির্বিচারে বৃক্ষ ছেদন, পাহাড়ে জম চাষের ক্ষেত্রে অগ্নিসংযোগ এর মাধ্যমে পাহাড়ের বড় বড় গাছ সহ সমগ্র উদ্ভিদ পুড়ে বস্মীসভূত করা প্রভৃতির কারণে মূলত গরম বাড়ছে । এর ফলে মানুষ যেমন নানা অসুবিধা ও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ঠিক তেমনি জঙ্গলের পশুরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে ।তাই বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলের যারা জুম চাষ করছেন কিংবা পাহাড়ে আগুন লাগিয়ে বৃক্ষপুড়ে ছাই করছে, যারা নির্বিচারে বৃক্ষ ছেদন করছেন তাদের মধ্যে সচেতনতা পৌঁছে দিতে হবে । বৃক্ষ ছেদন এবং পাহাড়ে অগ্নিসংযোগ এর ফলে বৃক্ষ রাশির এই ধ্বংসের ফলে বর্তমান অবস্থার সৃষ্টি এবং পরিবেশ ভারসাম্যতা হারাচ্ছে যার ফলে অতিরিক্ত গরম । অতিরিক্ত গরমের ফলে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের অসুস্থতা জনিত লক্ষণ দেখা দিতে পারে ,যেমন মাথার ব্যথা, মাথা ঘোরানো ,বমির ভাব, পেটের অসুখ ,পায়ের চাবানো প্রকৃতি লক্ষণ দেখা গেলে প্রথমে ওয়ারেস খেতে এবং সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চিকিৎসা কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকরা আরো বলেন বাইরের কোন খাবার ,ঠান্ডা জাতীয় পানীয় ,কফি ,চা, অ্যালকোহল ,গ্লকোজ প্রভৃতি খাওয়া থেকে দূরে থাকার জন্য পরামর্শ দেন ।বর্তমান এই হট ওয়েব পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা কেবল নরমাল জল, লেবুর জল এবং অবস্থা বুঝে ওআরএস খাওয়ার পরামর্শ দেন ।বেশি পরিমাণে নরমাল জল ও লেবুর জল কেবল এইসব প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে অনেকটাই রক্ষা করতে সক্ষম হবে বলে জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। চিকিৎসক রাহুল পুরকায়স্থ বলেন বুধবারের ধর্মনগরের টেম্পারেচার দুপুর ১২ টায় ৩৭ ডিগ্রি ছিল তা ৩৮ এ যেতে পারে। তবে রিয়েল ফিল চলছিল ৪৩। এছাড়াও চিকিৎসকরা প্রত্যেক নাগরিককে এই বিশেষ মুহূর্তে প্রতিদিন ৩ লিটারেরও বেশি জল খাওয়ার পরামর্শ দেন ।কাজ ছাড়া রোদে না বেরোনোর কথা বলেন ,বিশেষ প্রয়োজনে রোদে বেরোলে হালকা কাপড় দিয়ে শরীর ঢেকে বের হওয়ার পরামর্শ দেন । বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আরো বলেন যে উত্তর জেলার সাধারণ নাগরিকদের সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করেছেন মানুষের কাছে সতর্কতামূলক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য। আশা কর্মীদের কাজে লাগানো হয়েছে এবং আশা কর্মীদের মধ্যে ও আর এস দেওয়া হয়েছে যাতে প্রয়োজনে আশা কর্মীরা সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ও আর এস বিতরণ করে দিতে পারে। সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে উত্তর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কার্যালয়ে থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা উত্তর জেলা বাসি তথা রাজ্যবাসীকে এই বর্তমান বিশেষ পরিস্থিতিতে খুব সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান করেন এবং যে সমস্ত বিধি নিষেধ র কথা বলা হয়েছে সেগুলি যাতে প্রত্যেকে নিজেরা পালন করেন এবং অন্যদেরকেও পালন করার পরামর্শ দেন।
উত্তর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর কার্যালয়ে বেলা ১২ ঘটিকায় এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়
by admin
written by admin
98