Home » কামেশ্বরের দেশবন্ধু ক্লাবের পূজা পরিদর্শন এবং সদস্য সদস্যদের সাথে মতবিনিময়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন।

কামেশ্বরের দেশবন্ধু ক্লাবের পূজা পরিদর্শন এবং সদস্য সদস্যদের সাথে মতবিনিময়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন।

by admin

ধর্মনগর প্রতিনিধি।
শনিবার- রবিবার ক্রমাগত ধর্মনগরের বিধায়ক তথা বিশ্ববন্ধু সেনের একের পর এক পূজা প্যান্ডেল উদ্বোধনে ব্যস্ত থাকার পর সোমবার শহরতলীর পুজো গুলি পরিদর্শন এবং ক্লাব সদস্য সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় এর কাজ সম্পন্ন করলেন অধ্যক্ষ। সোমবার সন্ধ্যায় ধর্মনগরের শহরতলীর আরম্বরপূর্ণ পূজা রামেশ্বরের দেশবন্ধু ক্লাবের পূজা পরিদর্শন এবং মানুষের সাথে মতবিনিময়ে রান ধর্মনগরের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন। উনার সাথে ছিলেন ধর্মনগর পুর পরিষদের চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ দে সরকার, সমাজসেবী বিপ্লব দাস সহ ক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদক। মানুষের সাথে মতবিনিময় করতে গিয়ে বিশ্ববন্ধু সেন বলেন আমরা ভুলে যাই আমাদের ধর্ম। যেসব নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা রয়েছে তাদের জ্ঞানই নেই ব্যাড এবং উপনিষদ সম্পর্কে। কারণ হিন্দু ধর্মের কোন প্রচার নেই। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরা যে যার ধর্ম নিয়ে আপ্লুত। শুধুমাত্র আমরা আমাদের ধর্মের প্রতি আসক্ত নই। এক সময় এমন অবস্থা ছিল যে হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে নিজেদেরকে সেকুলার ভাবত। তিনি বলেন যে সব জিনিস হিন্দু ধর্মে খাওয়া নিষিদ্ধ রয়েছে সেই সব জিনিস ভক্ষণ করে কিছু সংখ্যক মানুষ নিজেদেরকে মহান ভাবত। কিন্তু চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন যারা হিন্দু ধর্মের নিষিদ্ধ জিনিসগুলি ভক্ষণ করে নিজেদেরকে মহান ভাবতো তারা কি কখনো অন্য ধর্মের নিষিদ্ধ কোন জিনিস সেই ধর্মের মানুষকে খাওয়াতে পারবে নাকি। এত পুরাতন এই সনাতন ধর্ম তার জন্ম লগ্ন পাওয়া খুব দুষ্কর ব্যাপার। অন্যান্য সব ধর্মের একটা জন্ম লগ্ন খুঁজলেই পাওয়া যায় কিন্তু হিন্দু ধর্মের জন্ম লগ্ন পাওয়ায় সম্ভব নয়। হিন্দু ধর্ম বিভিন্ন সময়ে অন্যান্য ধর্মের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। আর ভারতবর্ষে হিন্দু ধর্ম ঢাকায় ঈদ অন্যান্য ধর্মের লোকেরা থাকতে পারছে। তা না হলে অন্যান্য দেশের মতো ভারত বর্ষ থেকেও হিন্দু ধর্ম বাদে সব ধর্ম হারিয়ে যেত। সুদীর্ঘ ২৫ বছর আমরা একটা আবর্তে ছিলাম যে কি করে হিন্দু ধর্মকে ছোট করে দেখা যায় তাই নিয়ে ভাবা হতো। নিজের ধর্মকে অস্বীকার করে কখনো কোন জাতি এগিয়ে যেতে পারেনি। তাই সব সময় নিজের ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে যে যার কাজে মনোনিবেশ করলে তবে অবশ্যই সফলতা আসবে। উপস্থিত অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন তারা যেন হিন্দু ধর্মের প্রতি মনোযোগী হয় এবং পাশাপাশি তাদের সন্তান-সন্ততিদের বেদ উপনিষদের জ্ঞান দিয়ে থাকে। শহরতলিতে এত উন্নত মানের এত সুন্দর পূজা মন্ডপ বানানোর জন্য তিনি ক্লাব কর্মকর্তাদের অভিবাদন জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি এই ক্লাব সংলগ্ন কালী মন্দিরের জন্য কর্মকর্তারা টিন দাবি করেছিলেন। পুরো পরিষদের চেয়ারম্যান জানান কালী পূজার পর অধ্যক্ষের বাড়ি থেকে নির্দিষ্ট সাইজের কতগুলো টিম লাগবে তা নিয়ে আসতে। তাতে উপস্থিত এলাকাবাসীর মধ্যে খুশির জোয়ার দেখা যায়।

You may also like

Leave a Comment