প্রতিনিধি কৈলাসহর:-আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ দুপুরে বিজয় সংকল্প জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে চন্ডীপুর বিধানসভার অন্তর্গত ডলুগাঁও মাঠে।উক্ত জনসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এছাড়া সমাবেশ মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা,উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রভারি তথা রাষ্ট্রীয় প্রবক্তা সম্বিত পাত্রা,চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী টিঙ্কু রায়, ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুধাংশু দাস এবং কৈলাসহর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মবশ্বর আলী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঞ্চে আসার পূর্বে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক সুধাংশু দাস এবং চন্ডিপুরের প্রার্থী টিঙ্কু রায়। প্রার্থী টিংকু রায় তার বক্তব্যে বলেন,করোনাকালীন সময়ে এবং বন্যার সময়ে একমাত্র বিজেপি দলই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল।সে সময়ে চন্ডিপুরের বিধায়ক তপন চক্রবর্তীকে দেখা যায়নি।প্রায় ৪৫ বছর যাবৎ চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্র বামপন্থীদের দখলে থাকলেও চা শ্রমিকদের উন্নয়নে কোন কাজই করতে পারেনি সেই সরকার।ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে,ভূমিহীন বাগিচা শ্রমিকদের জমির এলটমেন্ট দেওয়া হয়েছে এবং সর্বোপরি বাগিচা শ্রমিকদেরকে যোগ্য সম্মান প্রদান করা হয়েছে।তিনি বলেন গনদেবতাদের ভোটে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হওয়ার পর বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিনেই মনিপুরী ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল গঠনের জন্য বিধানসভায় তিনি দাবি তুলবেন।পূর্বতন বিধায়ক তপন চক্রবর্তীর প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি প্রার্থী টিঙ্কর রায় বলেন,তপনবাবু একটা সময় শিল্প দপ্তরের চেয়ারম্যান ছিলেন।কিন্তু চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কোন শিল্প স্থাপন করতে পারেননি।এমনকি ত্রিপুরা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা অবস্থায়ও চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সাধারণ মানুষের আর্থ সামাজিক এমন কোন উন্নয়ন চোখে পড়েনি।উলটো ১০৩২৩ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছেন। তথ্য দিয়ে তিনি বলেন,একটা সময় দেখা যেত কৃষকদের ফসল নষ্ট হলে তাদের মাথায় হাত পড়তো।আর এখন শুধুমাত্র চন্ডীপুরেই প্রায় ৮ হাজার কৃষক ফসল বীমা যোজনার মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে কৃষিকাজ করছেন।যেখানে ফসল নষ্ট হলেও তার ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা তার বক্তব্যে বলেন বিজেপি মানেই ডেভেলপমেন্ট।মোদি সরকার লোক ইস্ট পলিসির মাধ্যমে উত্তর পূর্বাঞ্চলের আটটি রাজ্যকে অষ্টলক্ষী বলে ঘোষণা করেছেন।যেখানে মোদীজি বলেছেন উত্তর-পূর্ব ভারতের যদি ডেভেলপমেন্ট না হয় তাহলে গোটা ভারতের ডেভেলপমেন্ট সম্ভব নয়। বর্তমানে ছয়টি ন্যাশনাল হাইওয়ের কাজ চলছে ত্রিপুরায় এবং আরো ৭টি ন্যাশনাল হাইওয়ের জন্য ১০ হাজার ২২২ কোটি টাকা এখন অব্দি বরাদ্দ হয়ে গেছে। বিজেপির হাত ধরে এয়ারওয়েজ থেকে রেলওয়েজ থেকে ইন্টারনেট সমস্ত ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরা।আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে বাগিচা শ্রমিকদের ছুপি পড়িয়ে তাঁকে সম্মানিত করা হয়।বক্তব্যের শুরুতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঊনকোটি,কালীশাসন মন্দির, কালীবাড়ি এবং ছিন্নমস্তা মন্দিরের নাম উল্লেখ করে তিনি পবিত্র ভূমিতে দাঁড়িয়ে সকলের উদ্দেশ্যে প্রণাম নিবেদন করেন।তিনি বলেন চা বাগানের উন্নয়নে ব্যাপক মাত্রায় কাজ করেছে বিজেপি সরকার।এরপর তিনি বলেন,ডাবল ইঞ্জিনের সুফল হিসাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রদত্ত আয়ুষ্মান কার্ডের মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ টাকার বীমা যোজনা,জল জীবন মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি ঘরে পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত, উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে গ্যাসের সংযোগ, গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর, শৌচালয়,বিনামূল্যে চাল এবং সর্বোপরি করোনাকালীন পরিস্থিতিতে বিনামূল্যে কোভিডের টিকা দেওয়া হয়েছে।যা,কেন্দ্র এবং রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার থাকাতেই এটা সম্ভব হয়েছে।তিনি বলেন ত্রিপুরার মানুষ ৭০ বছর কংগ্রেসের শাসন দেখেছে,ত্রিপুরায় ২৫ বছরের সিপিএমের শাসন দেখেছে।কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিকাশ হয়েছে বিজেপি সরকারের এই পাঁচ বছরের সময়কালে।যে দল গরিব, মহিলা,যুবা,জনজাতি আদিবাসী সবার কথা চিন্তা করে।তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন,সিপিএম কিংবা কংগ্রেস একা বিজেপির বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারবে না জেনে সমস্ত আদর্শকে বিসর্জন দিয়ে সিপিএম কংগ্রেস এক হয়েছে।তাই সিপিএম কংগ্রেস এবং ত্রিপুরা মথা প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত করে পুন…
চন্ডীপুরে দাঁড়িয়ে কৈলাসহর বিমান বন্দর চালুর প্রতিশ্রুতি দিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
by admin
written by admin
114