প্রতিনিধি, বিশালগড়, ১১ এপ্রিল।। শুধু বড় সভা মিছিল এ সীমাবদ্ধ না থেকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে বিজেপির পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব। মূলত ৩ থেকে ৫ টি বুথ নিয়ে বিজেপির সাংগঠনিক স্তর শক্তিকেন্দ্র রয়েছে। এই শক্তি কেন্দ্র পর্যন্ত প্রচার পর্ব চালিয়ে যাচ্ছে বিপ্লব কুমার দেব। অতীতে এমন গ্রাস রুটে কোন লোকসভা প্রার্থীকে প্রচারে দেখা যায়নি। এবারেই ব্যতিক্রম চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিরোধী দল যেখানে বিধানসভা ভিত্তিক প্রচার করতেই হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে বিজেপির খোদ প্রার্থী পৌঁছে যাচ্ছে শক্তি কেন্দ্রে। এছাড়া দলের সকল বিধায়ক থেকে শুরু করে প্রদেশ জেলা মন্ডল বুথের নেতৃবৃন্দ পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। বৃহস্পতিবার চড়িলাম এবং কমলাসাগরে পাঁচটি শক্তি কেন্দ্রের কার্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন বিপ্লব কুমার দেব। এদিন দক্ষিণ চড়িলামে অরুণ জেটলি এবং মনোহর পারিকর শক্তি কেন্দ্র ভিত্তিক বৈঠকে অংশ নেন প্রার্থী বিপ্লব দেব। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মন, প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, বিজেপির প্রদেশ সম্পাদিকা মৌসুমি দাস, মন্ডল সভাপতি রাজকুমার দেবনাথ প্রমুখ। দু’টি শক্তি কেন্দ্রের সবগুলো বুথের কার্যকর্তা উপস্থিত ছিলেন। প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব কার্যকর্তাদের বলেন নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসাতে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করার জন্য। এছাড়া এদিন কমলাসাগরের সেকেরকোট নাটমন্দিরে শহিদ ক্ষুদিরাম এবং ভগৎ সিং শক্তি কেন্দ্র ভিত্তিক বৈঠকে অংশ নেন বিপ্লব কুমার দেব। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অন্তরা দেব সরকার। সর্বশেষ বৈঠক করেন চাম্পামুড়ায়। সেখানে ছত্রপতি শিবাজি শক্তি কেন্দ্র ভিত্তিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত। বিপ্লব কুমার দেব বলেন ২০১৮ সালে সিপিএমের অত্যাচার থেকে রাজ্যবাসীকে মুক্তি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ত্রিপুরায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। গরিব মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে। দলবাজি চাঁদাবাজি দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে। তাই ত্রিপুরার অগ্রগতি তরান্বিত করতে আবার নরেন্দ্র মোদির হাতে দেশের দায়িত্ব তুলে দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে সকল কার্যকতাদের মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ভোট চাইতে হবে। এছাড়া এদিন বিশালগড়ে যুব বাইসাইকেল যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি অনুরাগ চক্রবর্তী প্রমুখ। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন বর্তমান যুব সমাজ বাইসাইকেল থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। সেই পুরনো স্মৃতি আবার ফিরিয়ে আনতে চাইছি। বাইসাইকেল চালানোর ফলে শরীর সুস্থ থাকে। বাইসাইকেল পরিবেশ বান্ধব। অন্যদিকে গোলাঘাটি বিধানসভার যুগল কিশোর নগর, ধারিয়াছড়া, জয়ন্ত পাড়া, গয়াচরণ পাড়ায় জনজাতি পরিবারের সঙ্গে জনসম্পর্ক অভিযানে অংশ নেন মহিলা মোর্চার প্রদেশ সভানেত্রী মিমি মজুমদার, বিধায়ক মানব দেববর্মা, প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, বিজেপির প্রদেশ সম্পাদিকা মৌসুমি দাস সহ স্থানীয় কার্যকর্তারা।
138