ধর্মনগর প্রতিনিধি।
২০১৪ সালে ধর্মনগর মহকুমার চুরাইবারি থানাধীন শনি ছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটা অন্যরকম শান্ত আবহাওয়ায় সমাজসেবী রানা সিনহার একান্ত প্রয়াসে গড়ে উঠেছিল মহাদেব তপস্থলী বৈদিক গুরুকুল। ১৫ জন ছাত্রীকে নিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে নয় জন ছাত্রী সেই বৈদিক সনাতন পদ্ধতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছে। বর্তমানে যে পাশ্চাত্য শিক্ষার কারণে ভারতের গৌরব বৈদিক সনাতন শিক্ষা ব্যবস্থা হারিয়ে যাওয়ার পথে সে শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিয়ে এখানে চলছে ভারতীয় সংস্কৃতিতে কেমন করে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা তাদের নিজস্ব আঙ্গিকে পৃথিবীতে ভারতকে চিনিয়ে দিতে পারে তার প্রচেষ্টা। একের পর এক তৈরি হচ্ছে দালান ঘর, শিক্ষক রয়েছেন সকাল পাঁচটা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ছাত্রীদেরকে পড়াশোনার পাশাপাশি ভারতীয় সংস্কৃতি যোগাব্যাস এবং ভারতীয় রীতি নীতিতে উন্নত করার জন্য। ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের আশ্রয় ছেড়ে দিয়ে তারা নিজেদেরকে গড়ে তোলে একজন দেশ প্রেমিক হিসাবে। যাদের উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে ভারত বিশ্বের দরবারে শ্রেষ্ঠ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। অথচ এত উৎকৃষ্ট চিন্তা ধারা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া এই গুরুকুলের আর্থিক সংস্থান করতে হচ্ছে খুবই কষ্টে। বড় কোন ধরনের সরকারি অনুদান প্রায় নেই বললেই চলে। যারা বৈদিক সনাতন সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী তাদের সামান্য অনুদানে চারতলার ফাউন্ডেশন দিয়ে দালান বাড়ি গড়ার কাজ চলছে। কিন্তু এই কাজ কেমন করে সম্ভব করবেন তা নিয়ে চিন্তিত সংস্থার কর্মকর্তারা। দিবারাত্রি পরিশ্রম করে কাজ করে চলেছেন এই গুরুকুলকে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার জন্য। আর অপেক্ষা করছেন যদি সহৃদয় ব্যক্তিরা এবং কোন সরকারি অনুদান পাওয়া যায় তাহলে যাদেরকে নিয়ে সংস্থা স্বপ্ন দেখছে তাদের স্বপ্ন সার্থক রূপ দেওয়া সম্ভব হবে।
বৈদিক ও সনাতন শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিয়ে নয় জন ছাত্রীকে নিয়ে ব্যতিক্রমী শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত করে তুলছে মহাদেব তপস্থলী বৈদিক গুরুকুল।
140