প্রতিনিধি কৈলাসহর:-রাজ্যের ফটিকরায় বিধানসভা এলাকার পেঁচারডহর গ্রামে গত ৬ই অক্টোবর এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির তৈরী হয়।ঘটনার সূত্রপাত পশ্চিম বাংলার এক ফেরিওয়ালাকে ঘিরে।আলটপকা অভিযোগ করে রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাসের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর টার্গেট।তাকে কলুষিত করতেই বিভিন্ন চক্রান্ত সাজানো হচ্ছে বলে মন্ত্রীর অনুগামীদের ধারনা।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন মুর্শিদাবাদ থেকে আসা যুবক মতিবুর রহমান পেঁচারডহর গ্রামে ফেরি করতে আসে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন মতিবুরের কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে পরিচয়পত্র দেখাতে বললে সে তাতে অমত প্রকাশ করে। স্থানীয়দের সন্দেহের মধ্যে আরও ইন্ধন দেয় সাম্প্রতিক ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অবৈধ অনুপ্রবেশের গুঞ্জন। পরিস্থিতি গড়ায় উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে।যা পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে এবং মতিবুরকে কৈলাসহর থানায় নিয়ে আসা হয়।বহিঃরাজ্য থেকে আসা এই ফেরিওয়ালার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে গ্রামবাসীদের অভিমত।তবে পরবর্তীকালে তার দেওয়া বক্তব্যে সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যায় নি।৭ই অক্টোবর একটি ভিডিও বার্তায় দেখা যায় মতিবুর নতুনভাবে দাবি করছে যে,মন্ত্রী সুধাংশু দাসের উপস্থিতিতে তার ওপর হামলা হয়েছে।যা সে ৬ই অক্টোবর দেওয়া বক্তব্যে উল্লেখ করেনি।ভিডিওটি খুব দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং তাতে গ্রামবাসী ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয় মতিবুর।তবে কৈলাসহরের টিলাবাজার স্থিত ভাড়া বাড়িতে বসে যে বক্তব্য ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দিয়েছে সেটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে রেকর্ড করে মন্ত্রীর স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করতেই করা হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দারা এটিকে মন্ত্রীর সম্মানহানির একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলেই মনে করছেন।তারা অভিযোগ করেন বহিঃরাজ্যের এই ফেরিওয়ালা তৃনমূল সমর্থক এবং কিছু অনুগামী এ ধরনের উস্কানিমূলক ঘটানোর পেছনে আছেন। ভিডিওটি সম্পর্কে প্রশ্ন তুলছেন সকলেই।সন্দেহ করা হচ্ছে মতিবুর কে ব্যবহার করে মন্ত্রীর ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করার জন্য বড়সড় ষড়যন্ত্র রচিত হয়েছে।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য মন্ত্রী সুধাংশু দাসের নামে এভাবে মিথ্যা কুৎসা রটানো খুবই দুঃখজনক।তাদের দাবি, বহিঃরাজ্যের ওই যুবক যদি আবার এ ধরনের উস্কানিমূলক কাজ করে তবে তারা তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন।যদিও এখন পর্যন্ত মন্ত্রী সুধাংশু দাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।তবে এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।