প্রতিনিধি কৈলাসহর:-সদ্য সমাপ্ত দেশের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন এক গুরুত্বপূর্ণ জনাদেশ দিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন যা ইতিহাসের পাতায় একটি স্বর্ণখছিত অধ্যায়।দেশের ২৮ টি রাজনৈতিক দল একজোট হয় লড়াই করেও এনডিএ জুটকে হারাতে পারেনি।বরঞ্চ ২৮টি রাজনৈতিক দল সব মিলিয়ে যে সংখ্যা পেয়েছে তার থেকে একক ভাবে ভারতীয় জনতা পার্টির সংখ্যা অনেক বেশি।বিজেপি দলের নেতৃত্বে এনডিএ জোটের অষ্টাদশ লোকসভা ভোটে বিপুল জয় এবং পর পর তৃতীয় বারের মতো মোদিজীর নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রীসভাকে অভিনন্দন জানিয়ে ১০ই জুন সোমবার সন্ধ্যায় কৈলাসহরের রাজপথে ধন্যবাদ র্যালী করেছে ত্রিপুরা রাস্ট্রীয় কর্মচারী সংঘ অর্থাৎ টি.আর.কে.এস কৈলাসহর মহকুমা কমিটি এবং বি.এম.এস মহকুমা কমিটি। ধন্যবাদ র্যালীটি কৈলাসহরের ঊনকোটি কলাক্ষেত্র প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে শহরের পিডব্লিউডি রোড,সেন্ট্রাল রোড,নেতাজী কর্নার,গার্লস স্কুল রোড থেকে থানা রোড হয়ে পুনরায় একই রাজপথ পরিক্রমা করে শহরের পুরাতন মোটরস্ট্যান্ডে এসে দলীয় এক সভায় মিলিত হয়।মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন কর্মচারী সংগঠনের সুপরিচিত শিক্ষক তথা কর্মচারী নেতা পার্থ সারথী দত্ত,কর্মচারী নেতা বিপ্লব সরকার,গোপাল মল্লিক,প্রসেনজিত সিনহা, উত্তম সিনহা সহ আরও অন্যান্য রাস্ট্রবাদী নেতৃত্বরা। পুরাতন মোটরস্ট্যান্ডে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্থ সারথী দত্ত বলেন যে, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের পূর্বে দেশের জাতীয়তাবাদী নামধারী কংগ্রেস দলের বড় মিঞা আর উত্তর প্রদেশের ছোটো মিঞা আর পশ্চিমবঙ্গের তথাকথিত পিশি ভাইপোরা অনেক রাস্ট্র বিরোধী কাজ করেও নরেন্দ্র মোদীর সরকারের জয় আটকাতে পারেন নি।ওদের লজ্জা থাকা উচিত।মোদি ওদের মুখে জামা ঘষে দিয়ে উচিত শিক্ষা দিয়েছেন বলেও পার্থ বাবু দাবী করেন। তাছাড়াও পার্থ সারথী দত্ত বলেন যে,লোকসভা ভোটে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি দল এগিয়ে থাকলেও শুধুমাত্র ৫৩-কৈলাসহর কেন্দ্র বিগত ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে দশ হাজার ভোটের ব্যবধান ছিল।সেই ব্যবধান আড়াই হাজারে এসেছে।আগামী দিনে বিজেপি দলের প্রার্থীদের জয় শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি করেন নেতৃত্বরা।তবে কিছুদিন বাদেই অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বর্তমানে লোকসভা নির্বাচনে কৈলাসহরে ফলাফল যা হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল কতটা মাইলেজ নিতে পারবে তা সময়ই জবাব দেবে।
171