প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। লোকসভা নির্বাচনের মুখে বিরোধী দল ছাড়ার হিড়িক লেগেছে। পাহাড় থেকে সমতল সর্বত্র জমি হারাচ্ছে বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ফের একবার বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা করার আহবানে ময়দানে ঝাঁপিয়েছে বিজেপির কার্যকর্তারা। ত্রিপুরার দু’টি আসন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। সাধারণ মানুষ বিভ্রান্তির অন্ধগলি থেকে বেরিয়ে বিকাশ যাত্রায় সামিল হচ্ছে। বিজেপিকে আরও শক্তিশালী করতে দলে দলে সাধারণ মানুষ এবং বিরোধী দলের সমর্থকরা বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার টাকারজলায় ৪১২ জন জনজাতি ভোটার বিজেপিতে যোগ দেন। এদিন টাকারজলা বিধানসভার জম্পুইজলায় যুব মোর্চার উদ্যোগে যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তিপরা মথা এবং সিপিএম সহ বিভিন্ন দল ছেড়ে ৪১২ ভোটার বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তথা যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি সুশান্ত দেব, বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা, বিজেপির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা , বিএসি চেয়ারম্যান বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ দেববর্মা, জেলা সম্পাদক নির্মল দেববর্মা, মন্ডল সভাপতি রবীন্দ্র দেববর্মা প্রমুখ। বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ উপস্থিত নেতৃবৃন্দ নবাগতদের বরণ করেন । বুখুরুই হলে অনুষ্ঠিত যোগদান সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, জম্পুইজলা ছিল সিপিএমের দুর্গ। এখান থেকে জনশিক্ষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে জনজাতিরা সিপিএমকে ভোট দিয়েছে। কিন্তু জনজাতিদের কোন উন্নয়ন করতে পারেনি সিপিএমের সরকার। ২০১৮ সালে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর জনজাতিদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনহিতকর প্রকল্প ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। জনজাতিদের উন্নয়ন চায় বিজেপি। তাই সারা রাজ্যে জনজাতিরা নরেন্দ্র মোদির বিকাশ মুখী সরকারের পাশে দাঁড়াচ্ছে। টাকারজলার সার্বিক কল্যাণের জন্য বিজেপিকে শক্তিশালী করার আহবান জানান তিনি। বিধায়ক সুশান্ত দেব বলেন আর বিভ্রান্তি নয়। বিভ্রান্তির রাজনীতি থেকে মুক্তি চাইছে জনজাতিরা। এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত এবং এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে সবাই মিলেমিশে কাজ করতে হবে। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে সমৃদ্ধির পথে এগোতে হবে ।
101
previous post